মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৮

আপনার কবুতরের গোসল (Bath for pigeons) Written By Kf Sohel Rabbi





কবুতর অনেক কিছুর জন্য পরিচিত ও বিশ্ববিখ্যাত এবং বিভিন্ন কারণের জন্য এর চাহিদা রয়েছে। কবুতরের আকার, রং ও বিক্রয়ের জন্য কবুতরের পোষা পাখি হিসাবেও বেশ দেখা যায়। কবুতরের যত্ন এর সাথে সাথে এর কিছু ব্যাপারে আমরা সহজেই অনেক সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকতে পারি। কবুতরের পুষ্টিকর খাবার, ভিটামিন ছাড়াও আরও একটি গুরুত্তপূর্ণ ব্যাপারে যা আমরা অনেকেই খেয়াল রাখি না, সেটা কি? সেটা হল আপনার কবুতরের গোসল করান। যদিও ব্যাপারটা খুবই সাধারন কিন্তু এর গুরুত্ব অনেক, প্রাথমিক ভাবে বলা যায় যে আপনার পায়রার দেখাশুনা ছাড়াও অনেক অনাখাঙ্খিত রোগ বালাই থাকেও নিরাপদ থাকবে আপনার কবুতর।


পায়রার মালিক তাঁর কবুতর কিভাবে গোসল/ স্নান দিবে তাঁর একটা সঠিক নির্দশনা দেওয়া হলঃ


১। আপনি প্রায় হয়তো খেয়া করবেন যে আপনার কবুতরটি তাঁর পানির পাত্র টিতে স্নান করার চেষ্টা করছে এটাকে একটু ভালভাবে কিভাবে করান যায় তাই আলোচনা করবো।



  • যেমন একটা মাপসই ক্লিন ট্রে ক্রয় বা বানাতে হবে, সেটা প্লাস্টিক অথবা টিনের হতে পারে।

  • ট্রে টি কমপক্ষে বারো ইঞ্চি জুড়ে অধিক সাত ইঞ্চি গভীর ট্রে নির্বাচন করুন, পরিষ্কার জল তিন বা চার ইঞ্চি ট্রে পূরণ করুন।

  • ছোট পায়রার প্রজাতির জন্য অগভীর গভীরতা ব্যবহার করুন, দৈনিক মল মিশ্রিত হলে সঙ্গে সঙ্গে নোংরা জল পরিবর্তন করুন।

  • জলের তাপমাত্রার ব্যাপারটা মনে রাখবেন, মাত্রাতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা জল ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে ঠান্ডার সময় হাল্কা গরম পানি দেয়া যেতে পারে।



২। আগে পায়রার গোসলের পানি অফার করুন, ধাপ এক এ উল্লিখিত হিসাবে একই কৌশল ব্যবহার করুন। আপনি ধীরে ধীরে আপনার পায়রাকে অভ্যস্ত করার জন্য পানি দিতে এবং আপনি এটি তাদের স্নান করার আগে তাদের সেটি প্রদর্শন করুন । সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন স্নান করান যেতে পারে। তবে যারা কোন প্রতিযোগিতাই অংশ নিতে চাই তারা অবশ্যই পাঁচ দিনের শো তারিখের আগে স্নান করান উচিৎ। এই জল পালকের তেল রং মুছে ফেলা এবং পায়রার পালকের উজজলতা ফিরে পেতে সাহায্য করবে।


৩। স্পট-ক্লিনার ব্যবহার করুন। একটি হালকা শ্যাম্পু (একটি ঔষধমিশ্রিত ছাড়া শ্যাম্পু ভাল কাজ করে) ব্যবহার করুন। গরম পানি এবং শ্যাম্পু অল্প পরিমাণ মিশ্রিত করে একটি কাগজ গামছা বা নরম কাপড় নিন। শ্যাম্পু  ব্যবহারের ক্ষেত্রে পায়রার মুখ এড়িয়ে চলুন বা বাচিয়ে রাখুন, জল অথবা একটি ভিজা পরিষ্কার কাপড় একটি স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার এলাকা পাখলান। কিছুক্ষণ পর পাখি স্বাভাবিক ভাবেই শুকিয়ে যাবে।


যদি কবুতরের শরীরে পোকা/উকুন/মাইট ইত্যাদি হয় তাহলে, নিম পাতা সিদ্ধ করে পানির তাপমাত্রা নরমাল করে স্নান এর জন্য দিতে পারেন, ফিটকারি/পটাস/ডেটল মিক্স পানিও এক্ষেত্রে ভাল কাজ করে। অথবা English shampoo, দিয়া স্নান করাতে পারেন এটা খুব ভাল কাজ করে। তবে শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করানোর পর ভাল ভাবে সাধারন পানি দিয়ে পরিস্কার করে নিবেন। ঠাণ্ডার সময় তোয়ালে অথবা হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে ভাল করে শুকিয়ে নিতে পারেন। অসুস্থ কবুতরের পা গরম পানির সাথে একটু অ্যান্টিসেপ্টিক মিক্স করে ধুয়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়। সুস্থ কবুতর কে যদি স্নান করান সম্ভব না  হলে অন্তত পা ধুয়া এবং নরমাল পানি দিয়ে স্প্রে করা উচিৎ।


স্নান এর উপকারিতাঃ



  • স্নান কবুতরের ময়লা দূর করার সাথে সাথে এর শরীরে লেগে থাকা রোগ জীবাণু/ ফাঙ্গাস/ ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি ধুয়ে যায়।

  • স্নান কবুতরের শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করে।

  • স্নান কবুতরের শরিরকে চকচকে রাখে।

  • ডিমে তা দেয়া কবুতরের স্নান অতি জরুরি, এতে ডিমের আদ্রতা বজাই থাকে ও ডিম ফুটতে সাহায্য করে।

  • স্নান দেবার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কানে পানি না যায়। (যখন নিজেস্নান দিবেন)।

  • স্নান স্ট্রেস মুক্ত রাখবে আপনার কবুতরদের।

  • কবুতর দের স্নান দিবার পর রোদে কিছুক্ষন রাখার ব্যাবস্থা করা, আর সম্ভভ হলে রোদের মধ্যেই স্নান এর বাবস্থা করা।


সতর্কতাঃ


শ্যাম্পু দিয়ে কখনও স্প্রে করবেন না।


অ্যান্টি জীবাণু মুক্ত ঔষধ দিয়ে গোসল দিবেন না।


অতিরিক্ত কোন ঔষধ যার সম্পর্কে আপনার জ্ঞান নেই সেগুল দিয়ে গোসল দিবেন না।


ঠাণ্ডার সময় কুসুম গরম পানি ব্যাবহার করতে পারেন। বেশি ঠাণ্ডার সময় গোসল না করানোয় ভাল।




আপনার কবুতরের গোসল (Bath for pigeons) Written By Kf Sohel Rabbi

শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

আপনার কবুতরের উপবাস Fasting of pigeon

উপবাস (fasting of pigeon) খুব বিস্ময়কর শব্দ কিন্তু তার সত্যিকারের উপকারিতা আছে। আপনি আপনার কবুতর কে প্রতি সপ্তাহে বা ২ সপ্তাহে অন্তর বা অন্তত মাসে একবার উপবাস রাখুন। আমরা সবাই জানি সব পশু পাখি অধিকাংশ সময়ই তাদের Corp বা পেটে কিছু অতিরিক্ত খাবার সঞ্চয় রাখে প্রয়োজনীয় বা জরুরী অবস্থার জন্য বা অন্য যে প্রয়োজনে, আর যখন এই খাবার তারা হজম করতে পারে না, যখন তারা স্বাভাবিক ভাবেই খাদ্য পায়। তারা এই undigested / বা সঞ্চিত খাদ্য যখন হজম করতে পারে না, ফলে এটি Corp / পেট সংক্রমণ হতে পারে বা অন্য কোন ব্যাকটেরিয়া সমস্যা হতে পারে। তাই আমরা তাদের কিছু সময় রোযা/উপবাস রাখুন। (খাদ্য ও জল অন্তত ৪/৫ ঘন্টা ছাড়া) কিন্তু এই প্রক্রিয়া অসুস্থ যারা বা squab বা বাচ্চা আছে বা যারা ঔষধ অধীনে আছে এমন পায়রার জন্য প্রযোজ্য নয়।


মনে রাখবেনএই প্রক্রিয়া শুধুমাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য সমগ্র দিনের জন্য নয়। এই প্রক্রিয়া সকালে সময় প্রয়োগ করা উচিত। মনে রাখবেন এই প্রক্রিয়া পাখি / পায়রার হজম ক্ষমতা বাড়াতে ও আরও অনেক অপ্রত্যাশিত রোগ থেকে রক্ষা করবে এবং প্রয়োজনীয় এনজাইম বৃদ্ধি হবে।




আপনার কবুতরের উপবাস Fasting of pigeon

বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫

নতুন কবুতর খামারে প্রবেশের আগে আপনার অবশ্য করনীয়।

আমরা সবাই কম বেশি নতুন কবুতর ভালবাসি, আর তাই নতুন কোন কবুতর দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করে। আর যদি সেটা ভাল জাতের হয় আর তার মধ্যে যদি দামটা নাগালের মধ্যে থাকে, তাহলেতো কথাই নাই। কিন্তু যে কোন কবুতর কেনার আগে ভাল করে পরখ করে কিনবেন। কারন আপনি হয়তো জানেন না যে আপনার নিজের অজান্তেই আপনি কি সমস্যা বাসায় বয়ে নিয়ে আসছেন। হইতো একটা সাধারন নতুন কবুতরের জন্য আপনার পুরো খামারের সব গুলোই কবুতর মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই হাট ও কবুতর ব্যাবসায়িদের কাছ থেকে কেনার সময় সতর্ক আরও একটু বেশি হবেন। শুধু তাই নয় শখের বসে আপনি হাটে গেছেন আর বাসাই ফিরে আপনার সখের কবুতরের কাছে গেছেন তাতে হইতো কবুতর না কিনেও আপনি জীবাণু বহন করে আপনার খামারে ছড়াচ্ছেন। হইত সাধারন ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সমস্যা আপনি খুব সহজেই সমাধান করে ফেলতে পারবেন কিন্তু জীবাণু যদি ভাইরাল হয় তাহলে মনে রাখবেন আপনি এত সহজে মুক্তি না ও পেতে পারেন। তাই নতুন কবুতর খামারে প্রবেশ করানোর আগে আপনার অতি জরুরি কিছু কাজ আছে যা আপনাকে অত্যান্ত সতর্কতার সাথে পালন করেতে হবে।



  •  নতুন কবুতর আনার পর সেটাকে আলাদা করে রাখুন এবং জীবাণু নাশক স্প্র্যে করুন।

  • প্রথম দিনে সকালে নাক্স ভুম ৩০ (হোমিও) দিন ও সন্ধ্যায়ে টিবারকুলিনাম ৩০ (হোমিও) দিন। ৩ ফোটা করে। সঙ্গে খাবার ও স্যালাইন দিতে হবে।

  • দ্বিতীয় দিনে টিবারকুলিনাম ৩০(হমিও) দিন ও সন্ধ্যায়ে ক্যালকেরিয়া ক্রাব ৩০ দিন। যদি কবুতরের মধ্যে কোন রোগ বা আসুবিধা থাকে তাহলে এরই মধ্যে প্রকাশ পাবে, আর যদি না থাকে তাহলে আপনি সেই কবুতর গুলোকে আপনার খামারে যোগ করতে পারেন।

  • তৃতীয় দিনে মাল্টি ভিটামিন দিন।

  • চতুর্থ দিনে কবুতরের ক্রিমির ওষধ প্রয়োগ করুন। পঞ্চম দিনে শুধু পানি দিন। ষষ্ঠ দিনে স্যালাইন দিতে হবে।

  • সপ্তম দিনে মাল্টি ভিটামিন দিন টানা ৩/৪ দিন।

  • এগারতম দিন থেকে সাল্মনিলা কোর্স করান ৪/৫ দিন।

  • ষোলতম দিনে ক্যালসিয়াম+ADe3+E-SELL মিক্স করে দিন পর পর ২ দিন।

  • আঠারোতম দিনে শুধু পানি দিন।

  • উনিশতম দিনে রসুন বাঁটা ২/৩ চা চামচ ১ লিটার পানিতে মিক্স করে দিন।

  • বিশতম দিনে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দিন। (Mocap ভিটামিন, Novartis এর তা ভাল )

  • একুশতম দিনে স্যালাইন দিন।

  • বাইশতম শুধু পানি দিন।

  • তেইশতম দিনে ভিটামিন K মিক্স দিন।

  • চব্বিশতম দিনে শুধু পানি দিন।

  • পঁচিশতম দিনে বরাক্স ৩০(হমিও)দিন। ১ লিটার পানিতে ১ সিসি করে। এটা আপনার কবুতরের সংক্রমিত রোগ প্রতিরোধ করবে।

  • ছাব্বিশতম দিনে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দিন।

  • সাতাশতম দিনে বেলেডনা ৩০ দিন। ১ লিটার পানিতে ১ সিসি করে। এটা আপনার কবুতরের (mpv1/newcastle) রোগ প্রতিরোধ করবে। অথবা যারা ভ্যাকসিন দিতে চান তারা দিতে পারেন। তবে যেদিন ভ্যাকসিন দিবেন সেদিন পানির সাথে স্যালাইন দিবেন।

  • আটাশতম দিনে শুধু পানি দিন।

  • ঊনত্রিশতম দিনে ভিটামিন সি দিন। লেবুর রস দিতে পারেন।

  • ত্রিশতম দিনে Aloe Vera (গ্রিত কুমারি) দিন।

এভাবে আপনি আপনার সারা মাসের ছক সাজাতে পারেন অথবা আপনার পছন্দ অনুসারে করে নিতে পারেন। আর এভাবেই আপনার নতুন ও পুরাতন কবুতরদের রোগ থেকে প্রতিরোধ করে আপনার খামারকে আদর্শ খামারে পরিনত করতে পারেন। আর তা না হলে হইতো কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্তিতির জন্য একদিন আপনি নিজে, আপনাকেই দায়ী করবেন।


লেখক : সোহেল রাবি ভাই









নতুন কবুতর খামারে প্রবেশের আগে আপনার অবশ্য করনীয়।

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৫

A pair of white fantail Pigeon for sale




*A pair of white fantail Pigeon for sale

* totally fresh

* কোন রোগ বালাই নাই।

শখ করে কেনা কবুতর। Varsity + Job এর কারনে ঠিকমত দেখাশোনা করতে পারছি না। খাঁচা সহ কিনলে ১০০০৳ অতিরিক্ত দিতে হবে।(বড় খাঁচা মাজখানে পার্টিশন কর ২ জোড়া পালা যাবে)




A pair of white fantail Pigeon for sale

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৪

আমরা কি ধরনের কবুতর খামারি ? (কবুতরের কেস স্টাডি)

আমরা কি ধরনের কবুতর খামারি ? (কবুতরের কেস স্টাডি)


আমাদের দেশে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে যে ধরনের হ জ ব র ল শিক্ষা ব্যাবস্থা, আমার মনে হয় দেশের ৯০% শিক্ষার্থীর এই সময়টা খুব একটা সুখকর ভাবে কাটে না। আমি স্কুল জীবনে খুব একটা ভাল মানের ছাত্র ছিলাম না কিন্তু সব সময়ই প্রথম বেঞ্চিতে বসতাম, আমার স্কুলে পৌঁছাতে দেরি হলেও আমার জন্য সেই জায়গা তা বরাদ্দ থাকত। প্রথম বা দ্বিতীয় ক্যাপ্টেন আমার জন্য সেই জায়গা টা রেখে দিত। যাই হোক, আমাদের প্রধান শ্রেণী শিক্ষক আমাদের, অংক, ইংরেজি, গ্রামার ও বিজ্ঞান ক্লাস নিতেন। প্রতিদিন ১০ টা অংক, ১ টা প্যারাগ্রাফ, ১০ টা অনুবাদ, ছাড়াও বিজ্ঞানের কোন না কোন বাসার কাজ দিতেন। সমাজ বিজ্ঞান শিক্ষক তো আরেক খাড়া উপরে তিনি প্রতিদিন ২ পাতা করে সমাজ বিজ্ঞান এর সেই কঠিন পড়া মুখস্থ করতে দিতেন আর পরদিন সেগুলো দাড়িয়ে তার সামনে বলতে হত না দেখে তিনি সামনে এমন ভাবে ছড়ি ঘুরাতেন যে জানা পড়াও অনেক সময় ভুলে যেতাম, বা যারা ভাল ছাত্র ছিল তারাও পর্যন্ত তার হাত থেকে রেহাই পেত না যদি না সে উনার কাছে প্রাইভেট পড়ত। এর পর ইসলামিয়াত শিক্ষক বিভিন্ন সুরার শানে নযুল ও সূরা গুলো মুখস্থ করতে হত।


টিফিন পিরিয়ডে ৪০ মিনিট সময় পাওয়া যেত, এর মধ্যেই নাস্তা এরই মধ্যে নামাজ কারণ টিফিন ব্রেক এর পরে আরবি শিক্ষক এর ক্লাস আর যদি নামাজ না পড়ি তাহলে শাস্তির পরিমান দ্বিগুণ, ফলে অনেক সময় নামাজ পড়ে টিফিন করার সময় পাওয়া যেত না। আর সেই কারনে কোন রকমে ১ টাকার বার ভাজা খেয়েই টিফিনের কাজটা সারতে হত। আর একারনেই আজ অনেক বছর পরও সেই সময়ের অনিয়মের বোঝা আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। সেই আরবি ক্লাসে প্রতিদিন ১০-১৫ নতুন আরবি শব্দ প্রতিদিন মুখস্থ করতে হত। ইংরেজি রচনার জন্য একজন শিক্ষক যিনি সপ্তাহে ২ দিন ক্লাস নিতেন, তাকে প্রতি ক্লাসে একটা করে ইংরেজি রচনা মুখস্থ বলতে হত। আর এসেম্বলি রোদের মধ্যে ৪০ মিনিট প্রান ঘাতি ছিল। এর পর আবার সিনিয়র ও জুনিয়র সমস্যা। সিনিয়র দের সামে কমরে হাত দিয়ে দারান যাবে না। পায়ে পা তুলে বসা যাবে না। উনাদের সামনে আড্ডা মারা যাবে না। আর এর উল্টো হলে, তার কপালে কি হত সেটা না হয় নাই বললাম। এভাবেই জীবনের উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ বছর পার করেছি। মাঝে মাঝে পড়ার চাপ এত বেশী হত যে অসুস্থ হয়ে পড়তাম বা স্কুল কামাই দিতাম। পরে হয় জরিমানা দিতাম বা অবিভাবক এর আবেদন পত্র জমা দিতাম। সেই সময়ের দুঃসহ সৃতি নিউরো সেলে বা ২৩ জোড়া ক্রমসমের কোন জায়গাই এমন ভাবে জেঁকে বসে গেছে। যে আজ জীবনের অনেক বছর পার হলেও মাঝে মাঝে রাতে ঘুমের মধ্যে সেই সময়ের স্বপ্ন দেখলে ভয়ে ঘেমে উঠি, আর ঘুম থেকে জেগে উঠে একগ্লাস পানি খেয়ে ঘাম মুছতে মুছতে মহান আল্লাহ্‌ তালার কাছে শুকরিয়া আদায় করি, যে কমপক্ষে আল্লাহ্‌ সেই কঠিন সময় টা তো পার করিয়েছেন। আমাদের সেই হ য ব র ল শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমরা কেউই খুব ভাল না জানি অংক,না জানি ভাল ইংরেজি,না জানি ভাল বিজ্ঞান, না জানি ভাল ধর্ম। আমেরিকার এক জরিপে দেখা গেছে ৭০% সঠিক ভাবে জানে না মানুষের পাকস্থলী কোথাই অবস্থিত। আর জানার দরকার নাই। কারণ তারা কেউই ডাক্তার না। আর তাদের মতে এগুলো জানবে ডাক্তাররা, এটা তাদের জানার দরকার নাই। একজন বিখ্যাত মনিষী বলেছিলেন, যে জিনিষ ক্যালকুলেটরে একটা বতাম চিপে বের করা যাই সেটা মনে রাখার দরকার নাই। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হয়। কারণ আমাদের সাধারন একটা অফিস সহকারী পদের জন্য বিশ্বের কোথাই বেশী হাতি আছে? আর চাঁদে কি আছে, সমুদ্র তলদেশে কি আছে সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়! আর সেটা সেই পদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকুক আর নাই থাকুক, কিছুই যায় আসে না।


বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কবুতর খামারি দের দিকে যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখব এক এক খামারি এক এক জাতের কবুতর ব্রীড করছে। আর তাতে তাদের সমস্থ মেধা প্রয়োগ করছে। ক্রস ব্রীড, আউট ব্রীড, লাইন ব্রীড করে তারা ভাল জাতের কবুতর উৎপাদন করছে। খুব কম খামারিই আছেন যারা সব জাতের কবুতর এক সাথে ব্রীড করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে সেই জগা খিচুরি শিক্ষা ব্যাবস্থা থেকেই হোক, আর যে কারনেই হোক একজন ব্রীডারের কাছে সব ব্রীড থাকতে হবে। তা নাহলে সে খামারি না। আমরা অনেক সমই ভুলে যাই, যে আমাদের দেশে সবাই কবুতর বিক্রি করে পেট চালাই না। ফলে যিনি কবুতর বিক্রি করে পেট চালান আর যিনি শখের বসে পালেন তাদের ২ জনের খামারের পরিবেশ এক হবে না বা হবার কথাও না। একজন পেশাদার কবুতর খামারির কাছে যে কবুতর থাকবে, আকজন সৌখিন কবুতর খামারির কাছে সে কবুতর নাও থাকতে পারে। কিন্তু আমরা আমাদের চিন্তাধার অন্যের মধ্যে চাপিয়ে দিয়ার চেষ্টা করি সব সময়।


আমাদের চিন্তা ধারা আমি যেমন আমার ছেলেও সে রকম হবে, কিন্তু আমরা ভুলে যাই তার চিন্তা চেন্তনা তার থেকে ভিন্ন হতেও পারে। ছাগল ও ভেড়া কে কেউ যদি দড়ি ধরে টেনে নিতে চাই তাহলে সেটা পারবে না। কিন্তু তাদের একটাকে কেউ কোলে তুলে যদি নিয়ে যাই, তাহলে বাকিগুলো সবাই সেটাকে অনুসরন করতে থাকবে, সে যেখানেই যাক না কেন। আমাদের চিন্তা চেতনায় কোথাই যেন, এই প্রাণীর সাথে বিচিত্র কারনে মিল পাওয়া যাই, আমাদের ক্রমসমের কোন এক জোড়ার সাথে হয়ত তাদের তাদের টা মিশে গেছে। কারণ তা না হলে কবুতর খামারিরা কেন এক জন এক ব্রীড কিনেই সবাই কেনার জন্য হিরিক পরে যাই, কেন আমরা বুঝি না যে সবাই যদি এক দিকে ছুটি তাহলে জিনিষটার ভারসাম্যহীনতা ঘটবে। আর ফলে সবাইকে তাতে ভুগতে হবে। সেদিন এক অনুষ্ঠানে কবুতরের বড় বড় সব ব্রীডাররা জ্বালাময়ী সব বক্তৃতা দিলেন, আমদানি কারকদের তুলোধোনা করে ফেললেন। তাদের কাছেই সব গুলো ভাল ব্রীড আছে সেটাও শুনাতে ছাড়লেন না। যাই হোক, কিছু লোক আবার কবুতরের বিদেশী ঔষধের কথাও বললেন যে আমাদের দেশে বিদেশ থেকে ঔষধ আমাদানি করছে কিছু লোক, আমাদের দেশি ঔষধ অনেক ভাল ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু তিনি খেয়াল করেনি যে তার পিছনেই প্রজেক্টরে বিভিন্ন বিদেশী ঔষধের বিজ্ঞাপন চলছিলো আর তারই পাশের সেগুলো কেনার হিড়িক। এই ব্যাপার টা দেখে আমার মনে পরে গেল সেই কথা, “মোল্লা যা বলে তা শুন কিন্তু যা করে তা করোনা।”


আজ থেকে দুই বছরেরও আগে আমি আমার এক পোস্ট এ যখন এই সব ব্রীডাররা আমদানি কারকদের কাছে সকাল বিকাল ধরনা দিতেন আর আমদানি করা রিং এর কবুতরের বাহারি ছবি বিভিন্ন সামাজিক সাইট গুলো তে গর্ব ভরে দিতেন, আমার নতুন কালেকশন এনপিএ ব্র্যান্ডেড বা এই এই রিং ২০১০ ইত্যাদি তখন বলেছিলাম যে এভাবে চলতে থাকলে এক সময় আসবে যখন সবাইকে লোক দিয়ে মাথাই করে কবুতর বিক্রি করতে হবে বা বাসার ফ্রাইং প্যানে ফ্রাই করে খেতে হবে। তখন তাদের মনে এসব কথা মনেও হইনি, কারণ তখন তারা তাদের ঘড় গুছাতে ব্যাস্ত ছিলেন। তারা খেয়ালি করেনি যে তাদের নিজের অজান্তেই তাদের ঘরে যে আগুন লেগেছে সেই আগুন তাদেরকেও পুরাতে পারে। আজ যখন সেই আগুনে তাদের গা পুঁড়া শুরু হয়েছে তখন টনক নড়েছে। আরে কি হচ্ছে, হই হই রৈ রৈ …!!! করে বেড়াচ্ছেন বাঁচানোর জন্য, কিন্তু তারা ভুলে গেছেন, তাদেরকে কে বাচাবে। যখন আক্রান্ত সবাই। বিড়ালকে মাছের হাড়ি চিনিয়েছে কারা, আর আজ যদি সব বেড়াল সেই সব হাড়ীর খোঁজে বের হয়ে পরে তারা কি করতে পারবেন?


আজ যখন এই সেক্টর তা সকটাপন্ন তখন তারা সেই স্কুল জীবনের সিনিয়র আর জুনিয়র কল্কী হাতে নিয়ে টান দিয়ে ধুয়া ছাড়ছেন। কিন্তু তাদের কে মনে রাখতে হবে একটা সময় পর সিনিয়র ও জুনিয়র এর কোন ভেদাভেদ থাকে না। আর আপনি যদি এটা চিন্তা করেন তাহলে আমি বলব, আপনি মূর্খের রাজ্যে বাস করছেন এখনও অথবা আপানি একজন জ্ঞান পাপী ছাড়া আর কিছুই না। আমরা ফরজ কাজের খোজ রাখি না কিন্তু সুন্নত ও নফল নিয়ে টানাটানি করি। এই প্রসঙ্গে এক গল্প না বললেই নয়, একবার এক হুজুর এক গ্রামের মসজিদে বয়ান দিলেন যে, পাগড়ি পড়া সুন্নত, তো একদিন হুজুর গ্রামের ক্ষেতের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই খেতে এক গ্রাম্য কৃষক কাজ করছিল লুঙ্গি পরে খালি গায়ে। হুজুর কে দেখে তার বয়ান এর কথা মনে হতেই, তাড়াতাড়ি করে সে লুঙ্গি টা খুলে পাগড়ি বানিয়ে মাথাই দিল, এদিকে তার নিচের দিকে কোন কাপড় না থাকাই হুজুর তাড়াতাড়ি চোখ ঢেকে বললেন আরে কর কি কর কি? কৃষক অবাক হল, হুজুরের এই ধরনের প্রশ্নে, সে বলল হুজুর আপনে না বলেছেন যে, পাগড়ি পড়া সুন্নত? হুজুর বলল, আরে মিয়া আগে ফরজ আদায় কর তারপরই সুন্নত পালন করবে। আমাদের দেশে কবুতর সেক্টরে আরেকটা বড় সমস্যা সেটা আমার স্কুলের মতই সিনিয়র জুনিয়র সমস্যা, এই ভুত আমাদের মাথা থেকে নামে না। তারা ভুলে যান যে, বয়সের এই বাঁধ থাকে না থাকতে হয় না। তাহলে আপনি জীবনে চলার পথ হারিয়ে ফেলবেন।


আমাদের এই সেক্টরের লোকজন কবুতরের আমদানি কারকদের উপর দোষারোপ করে নিজেরা নিজেদের দোষ ঢাকার এক অপচেষ্টা করছেন মাত্র। আমাদের দেশে কবুতর সেক্টরের এই অবস্থার জন্য আমদানি কারকরা যতনা দায়ী, তার থেকেও দ্বিগুণ দায়ী আমাদের মানসিক অবস্থা আর আমাদের নৈতিকতা। আমাদের এক জন বড় ব্রীডার ২-৩ হাজার টাকার লোভ সামলাতে পারে না। ফাটা কবুতরের পর তুলে বিক্রি করে। অসুস্থ কবুতর কে চালিয়ে দেয় সুস্থ বলে। নতুন খামারি কে উৎসাহিত করার বদলে ঘার মটকে কিভাবে খাওয়া যাই সেটাই চিন্তা করে। আর এটা দিনের পর দিন চলে আসছে…! এটা কেন হবে…? আমরা কি মনে করি না যে আমাদের কে কবরে যেতে হবে…২ দিন আগে বা পরে? আমরা কি ভুলে গেছি আজ যাদের জন্য আমি গর্ত খুঁড়ছি কালকে সেই গর্তে আমাকেও পড়তে হতে পারে…! তাহলে কেন…এই সব বাটপারি…কেন এই সব জচ্চরি…?! আমাদের কিছু সৌখিন ব্রীডার এই সব অবস্থা দেখে কবুতর পালাই ছেড়ে দিয়েছেন। আরে ভাই মাথা ব্যাথা হলে যদি মাথা কেটে ফেলাই সমাধান হত তাহলে তো কোন সমস্যাই থাকত না। আর সব কারনের ফলেই সেই সব খামারিরা আমদানি করা কবুতর কিনতে আগ্রহী হয়েছেন। আর আজ আমরা বুঝতে পারছি আমরা কি করছি। আমাদের কিছু ব্রীডার পাশের দেশে কবুতর পাঠাতেন, তখন তাদের কোন অসুবিধা হয়নি। আর লোকাল কবুতর বাজার নিয়ে তাদের তখন কোন ম্যাথাব্যাথাও ছিল না। কারণ তখন তারা লোকাল বাজার থেকেই বেশী দাম পাচ্ছেন। কিন্তু আজ যখন সেটা বুমেরাং হয়ে গেছে তখন তাদের আত্মা কেপে উঠেছে। তখনি সেই সব কবুতর সেক্টরের সমাজপতিরা সোচ্চার হয়ে উঠেছেন কি করা যাই কি করা যাই। কিন্তু প্রবাদ আছে, “ভাবিয়া করিয় কাজ করিয়া ভাবিও না!” আমাদের দেশে আমদানি কারক আর বিক্রেতা, ট্রেডার আর তথাকথিত ব্রীডার দের অত্যাচারে যখন প্রান ওষ্ঠাগত তখন ক্রেতার অস্থিরতা আর এক মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।


সেদিন এক আমদানি কারকের বাসাই গিয়ে এক ক্রেতা তার কাঙ্ক্ষিত কবুতর না পেয়ে এমন ভাবে হাঁ হুতাস করতে শুরু করলেন মনে হল যেন সেই কবুতর টা উনার জীবন রক্ষা কারী ঔষধ আর ওটা না পেলে উনি এখনি মারা যাবেন। এই এই সুযোগ গুলোই সবাই গ্রহন করেন। কাঁচা মরিচের দাম যখন ১০০ টাকা তখন আপনার তো সেটা কিনার দরকার নাই বা আপনার যদি বিকল্প কিছু থাকে। কিন্তু না আমরা তার পিছনেই দৌড়াতে পছন্দ করি। যাই হোক প্রকৃতি, সময় মানুষকে সব কিছু শিখতে বাধ্য করে, আর আশা করি হয়ত অচিরেই মানুষ শিক্ষা নিবে না হয় চরম মূল্য দিতেই থাকবে অনন্ত কাল, যতক্ষণ না নিঃশেষ হয়ে যায়।


“আর যে সম্পদকে আল্লাহ তোমাদের জীবন-যাত্রার অবলম্বন করেছেন, তা অর্বাচীনদের হাতে তুলে দিও না। বরং তা থেকে তাদেরকে খাওয়াও, পরাও এবং তাদেরকে সান্তনার বানী শোনাও।“(সূরা আন নিসাঃআয়াত-৫)


লেখক : সোহেল রাবি ভাই



আমরা কি ধরনের কবুতর খামারি ? (কবুতরের কেস স্টাডি) BD Online Pigeon Market

আমরা কি ধরনের কবুতর খামারি ? (কবুতরের কেস স্টাডি)

Uncategorized

শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৪

বিদেশ থেকে আমদানিকৃত কবুতরের বিভিন্ন রোগের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ (Pigeon Medicine) বিক্রয় করা হবে।

বিদেশ থেকে আমদানিকৃত কবুতরের বিভিন্ন রোগের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ (Pigeon Medicine) বিক্রয় করা হবে। আগ্রহী কবুতর পালক,খামারি ও ফেন্সিয়াররা যোগাযোগ করুন, মোবাইল# ০১৮১৯৮১৬৩৯৩। (মজুত সীমিত।)


1) Coccicure: কবুতরের coccidiosis প্রতিরোধ ও চিকিত্সায় ভাল কার্যকরী ঔষধ।


2) Streptococ-coli-cure : কবুতরের Streptococcus bovis (তরুণ কবুতরের অসুস্থতা) ও ই-কোলাই দ্বারা সৃষ্ট রোগ ও তার প্রতিকারের জন্য ব্যবহৃত হয়।


3) Trichomonas Cure: Trichomoniasis (Cankar) এবং Hexamitiasis রোগের প্রতিরোধ ও

চিকিত্সায় ভাল কাজ কএ থাকে।


4) Paratyphoid cure: salmonellosis (প্যারাটাইফয়েড) এর জন্য কার্যকরী।


5) Wormacure: কবুতরের বিভিন্ন ধরনের ক্রিমির জন্য কার্যকরী।


6) Total Disinfection Combination: occidiosis,trichomoniasis(cankar),salmonella (টাইফয়েড-

সদৃশ জ্বর), ornithosis(one eye coldness) জন্য প্রতিকারের জন্য কার্যকরী ।


7) OrniSpecial: ornithosis(one eye coldness) জন্য প্রতিকারের জন্য কার্যকরী


8) BS: canker (tricho), coccidiosis, hexamitiasis এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়াল

সংক্রমন থেকে প্রতিকার করে, হজমের সমস্যা ও হজম শক্তি বাড়াতে

ও অতিরিক্ত পালক ঝরা রোগ থেকে প্রতিকার করে থাকে।


9) Belgawormac: কবুতরের বিভিন্ন ধরনের ক্রিমির জন্য কার্যকরী।


13) 10% ENROFLOXAROM ঃব্রড স্পেকট্রাম antimicrobial, Mycoplasmosis, salmonellosis,

pasteurelosis চিকিত্সার জন্য ও সংক্রামক coryza ব্যাকটেরিয়া, মাইকোপ্লাজ়মা এবং chlamidia

দ্বারা উত্পাদিত রোগের চিকিৎসায় কার্যকরী।


14) Alazol: trichomoniasis (cankar) চিকিৎসায় ও প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।


17) Belgaroni 10%: trichomoniasis (cankar) ক্ষেত্রে প্রিভেন্টিভ এবং চিকিত্সা রোগ নিরাময়কারী।


18) Chevi-Col: Trichomoniasis (cankar) এবং Hexamitiasis প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় কার্যকারী।


19) OrniSpecial: Ornithosis (one eye coldness) , ময়লা নাক,কঠিন শ্বাস (ঝিমুনি ভাব), চোখের পাতা ফোলা, ইত্যাদি চিকিৎসায় কার্যকরী।


20) Nirfuramycin: salmonellosis (Paratyphus) বিরুদ্ধে ভাল চিকিত্সা। এছাড়াও যেকোনো ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ, কোলাই সংক্রমণে , শ্বাসযন্ত্র ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ, বা স্ট্রেস এ ভাল কাজ করে থাকে।


21) Superboli: একটি আদর্শ ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের । কবুতরের রেসের পর এই ভিটামিন বিশেষ ভাবে কার্যকরী।



বিদেশ থেকে আমদানিকৃত কবুতরের বিভিন্ন রোগের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ (Pigeon Medicine) বিক্রয় করা হবে। BD Online Pigeon Market

বিদেশ থেকে আমদানিকৃত কবুতরের বিভিন্ন রোগের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ (Pigeon Medicine) বিক্রয় করা হবে।

শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৪

কবুতর খামারিদের জন্য শীতের মাসিক ছক

কবুতর খামারিদের জন্য শীতের মাসিক ছক


“তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর।“ (সূরা আল আ’রাফঃআয়াত-১৭৯)


আমাদের জীবনে অহরহ অনেক ঘটনা ঘটছে বা অনেক কিছুই আমরা জানতে পারছি পড়া,দেখা বা শুনার মাধ্যমে। যেটা আমাদের মন বিশ্বাস করে না বা সায় দেই না সেগুলোকে আমরা অন্য কারো সাথে আলোচনা করা বা জানানোর প্রয়োজন মনে করি না। কিন্তু যে সব ঘটনা আমরা অন্যের সাথে আলোচনা করি বা জানানোর জন্য ব্যাতিব্যাস্ত থাকি। যদিও বা আমারা মুখে বলে থাকি এগুলো আমি বিশ্বাস করি না বা এগুলো ভুয়া। যেভাবেই বলি না কেন একবার একটু চিন্তা করে দেখেন এগুলোর ব্যাপারে মনের এক কনাই কোথাও যেন এর কিছুটা হলেও বিশ্বাস লুকিয়ে আছে বা এই কথার স্বপক্ষে কোন যুক্তি আপনার মনে আছে। একথার বাস্তবতা বা কেস স্টাডি হল এরূপ, অনেকেই আছেন যারা বলে থাকেন ভাই আমাকে উনি এই ঔষধ দিয়েছেন এটা কি ভাল হবে? বা ভাই আমি উনাকে এই ধরনের ঔষধ দিতে দেখেছি। বা উনাকে এই ঔষধ প্রয়োগ করে উপকার পেতে দেখেছি, আপনি কি বলেন। এভাবে কারো কাছে উপদেশ চাওয়া হয়। বা বলা হয় ভাই উনি আপনার সম্পর্কে এটা বলেন বা বলেছেন। এর মানে আপনি এই কথা স্বপক্ষে আপনার মনে একটু হলেও সমর্থন আছে বা এই কথা আপনি একটু হলেও বিশ্বাস করেন। অনেকেই বলে যা রটে তা কিছু না কিছু বটে। অনেক সময় কিছু না রটলেই আমরা বিশ্বাস করে নেই এটা কিছু বটে। যেমন ভ্যাকসিন এর কোথাই বলি, আমাদের দেশে হাঁস মুরগির ভ্যাকসিন মানুষ দিতেছে অবলীলাই জিজ্ঞাস করলে বলেন, ভাই মানসিক সান্তনা। ভাই অহেতুক মানসিক সান্তনা কেন দিবেন? অনেকেই আছেন যারা এই ধরনের মানসিক সান্তনা লাভ করারা সাথে সাথে অহেতুক এই মানসিক সান্তনা তা অন্যকে দিতেও উৎসাহিত করেন। ব্যাপারটা অনেক টা এ রকম,”o foxes cut your tails because it is ugly….!” কিন্তু অন্যের লেজ কাটার ব্যাপারে উনারা কেন আগ্রহী তা বোধগম্য হয় না।



এখন ডিজিটাল যুগ এই যুগে একটা বোতামের চাপে অনেক কিছুই জানা যায়। আর এই যুগেও যদি আমরা বলি ভাই আমি জানিও না বা আমি তো নতুন এটা বলে। সেই তেমনি মানসিক সান্তনাই পাবেন আর কিছু না। আর এটা বলে আপনি আপনার দায়িত্ব থেকে পালাতে পারবেন না। পরকালে যদি আপনি বলেন যে হুজুর রা আমাদেরকে এটা জানানি তাহলেও কিন্তু আপনি মাফ পাবেন না। আপনার নিজের দায়িত্ব হল জ্ঞান অর্জন করা আর আপনি সেই ফরজ তরখ করেছেন। সেই জন্য এ ক্ষেত্রে আপনার দুই ধরনের শাস্তি হতে পারে পরকালে। এক, না জানা বা জানার চেষ্টা না করা এবং দুই, পালন না করার।


যাই হোক, শীত প্রায় সমাগত, তাই অনেকের মনে কবুতর নিয়ে আজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে শীতে অনেক কবুতর মারা যায়। আসলে তা সঠিক না। আপনি যদি আপনার কবুতরের সঠিক পরিচর্যা না করেন তাহলে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুতেই আপনার কবুতর মারা যাবে। আর আপনি যদি সঠিক পরিচর্যা করেন বা অলসতা না করেন। তাহলেই কেবল আপনি সফল খামারি হিসাবে পরিগণিত হবেন সন্দেহ নাই।


শীতের মাসিকঃ


দিন ১-৪ঃ পর্যন্ত সাল্মনিল্লা কোর্স করাতে হবে। (যেটা বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে করে থাকে, কিন্তু সবচেয়ে উপযুক্ত সাফি+ফেবনিল+মারবেলাস এর মিক্স কোর্স করা, অনুপাত তা এরূপ ২+২+১ টেবিল চামচ ।)


দিন ৫ঃ স্যালাইন দিন। (অথবা এর বদলে ভিটামিন সি দিতে পারেন যেমন লেবুর রস। ১ টি লেবু ১ লিটার পানিতে।)


দিন ৬-৯ঃ পর্যন্ত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দিন। (এক্ষেত্রে toxynil, biovit, vita B+C ইত্যাদি ভিটামিন দিতে পারেন। কারন এর অভাবে বেশীর ভাগ টাল রোগ হয়।)


দিন ৯-১০ঃ পর্যন্ত হমিও Kali Curb 30 দিন। (এটা ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা থেকে প্রতিরোধ করবে।)




দিন ১১ঃ
রসুন বাটা+মধু+লেবুর রস। (১ লিটার পানিতে ২ চা চামচ রসুন বাতা,২ চা চামচ মধু আর ১ চামচ লেবুর রস মিক্স করে দিলে ভাল।তবে পানি অবশ্য ছেকে নিতে হবে। আর লেবু চিপার সময় গ্লভস বা লেমন ইস্কুইজার ব্যাবহার করবেন। এটা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে।তবে খেয়াল রাখতে হবে যে এই কোর্স করার আগে কবুতরের ক্রিমির ঔষধ দিয়া আছে কিনা টা জেনে নিবেন। কারন ক্রিমি থাকলে এটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।)


দিন ১২ঃ হোমিও Belodona 30 (এটা আপনার কবুতর কে প্যারামক্সি ভায়রাস থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।)


দিন ১৩-১৬ঃ পর্যন্ত ক্যাল ডি,ভিটামিন K ও E ভিটামিন দিয়া ভাল। (এক্ষেত্রে Calcium Forte+AD3e+k Vitঅথবা Calbo D+Ad3e+k Vitদিয়া যেতে পারে। এতে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবেও ভিটামিন কে ডিমের ভিতর কবুতরের বাচ্চা মারা যাওয়া ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। এগুলো আলাদাভাবে বা একসঙ্গেও দিতে পারেন। তবে ভিটামিন K টা আলাদা ভাবে দেবার চেষ্টা করবেন।)




দিন ১৭ঃ
স্যালাইন দিন। (অথবা এর বদলে ভিটামিন সি দিতে পারেন যেমন লেবুর রস। ১ টি লেবু ১ লিটার পানিতে।)


দিন ১৮-২১ঃ পর্যন্ত লিভার টনিক দিন। (অধিকাংশ কবুতর লিভার জনিত সমস্যায় বেশি ভুগে থাকে। তাই লিভার এর ব্যাপারে একটু খেয়াল রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে হামদারদ এর Cinkara, Icturn, Karmina ইত্যাদি বা আপনার পছন্দ মতো ব্যাবহার করতে পারেন।)


দিন ২২ঃ হোমিও Tiberculinum 30 দিন।(এটি ধুলা জনিত সমস্যা থেকে প্রতিরোধ করবে।)




দিন ২৩ঃ
লিকার চা বা গ্রিন চা বা প্রবায়টীক দিতে পারেন। ( এটা কাঙ্কার প্রতিরোধ ও ভাল ব্যাকটেরিয়া উৎপাদনে সাহায্য করবে।)


দিন ২৪ঃ হোমিও Borax 30 দিন। (এটি বায়ু বাহিত রোগ থেকে প্রতিরোধ করবে।)

দিন ২৫ তারিখ অ্যাপেল সিডার দিন। (এক্ষেত্রে আমিরিকার তৈরি অ্যাপেল সিডার দিয়া উত্তম। এটা সাল্মনিল্লা প্রতিরোধে সাহায্য করবে।১ লিটারে ১ সিসি বা তার কম, বেশি প্রয়োগ করবেন না তাতে বিপরিত ফল হতে পারে।)


দিন ২৬-৩০ঃ পর্যন্ত মাল্টি ভিটামিন দিয়া ভাল। (এক্ষেত্রে pawer max(made in Vietnam),All Vit Ma(Made in Germany),Max grower (made in Holland) দিয়া যেতে পারে। এতে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে। সকল ভিটামিন ও মিনারেলস এর অভাব পুরন করবে।)


দিন ৩১ঃ স্যালাইন দিন। (অথবা এর বদলে ভিটামিন সি দিতে পারেন যেমন লেবুর রস। ১ টি লেবু ১ লিটার পানিতে।অথবা সাধারন পানিও দিতে পারেন।)


প্রতিরোধক কিছু জরুরি ঔষধঃ


১) হোমিও deptherinum 200 ১ ফোঁটা করে মাসে বা ক্যালিমুর ৬ক্স ১ টা ট্যাবলেট মাসে দিতে পারেন। এতে ডিপথেরিয়া হবার সভাবনা অনেকটা কম থাকবে বা এর প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করবে।


২) হোমিও Eupatorium Perfo. ১ সিসি= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (মাসে ১ বার)।


(সতর্কতাঃ ২ ধরনের হোমিও ঔষধ একসঙ্গে ব্যাবহার করবেন না অনুগ্রহ করে।)


এই ছক যে আপনাকে অনুসরন করতেই হবে এমন কন বাধ্যবাধকতা নাই, এটা আপনার পছন্দ অনুযায়ী পরিবত্তন করে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন অসুস্থ কবুতর কে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ছাড়া অন্য কোন ভিটামিন দিবেন না। এটা তার ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর অনেকে বয়লার গ্রয়ার বা এই ধরনের খাবার দিতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে অসুস্থ কবুতরকে এই ধরনের খাবার দিয়া ঠিক না।একটা কথা খুব ভাল করে খেয়াল রাখতে হবে শীতে ক্রিমির ঔষধ ৪৫ দিন পর পর দিতে হবে, যদিও ছকে এটা উল্লেখ করা হয়নি। একটা জিনিষ আপনি খেয়াল রাখবেন সব সময় উপরের ছক একটা দিক নির্দেশনা মাত্র, এটা অত্যাবশ্যকীয় কিছুই না সাল্মনেল্লা,লিভার টনিক, বি কমপ্লেক্স, মাল্টি ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ছাড়া। আপনি যদি এই কয়টা করেন ঠিক মত আপনার আর কোন কিছু না করলেও চলবে। ব্যাপারটা অনেক টা এ রকম যে ঘর যত সুন্দর করে সাজাতে পারেন ততই দেখতে ভাল লাগবে আপনার। অনুরূপ ভ্যাকসিন এর ব্যাপারেও, অনেকে মনে করেন ভ্যাকসিনই সকল সমস্যার সমাধান। কিন্তু আসলে এটা ঠিক না। আপনি যদি ভ্যাকসিন দিতে চান তবে কবুতরের জন্য যে ভ্যাকসিন সেগুলো দিবেন। হাঁস বা মুরগির ভ্যাকসিন দিবেন না অনুগ্রহ করে। আতে আপনার কোন কাজে আসবেই না, বরং এতে আপনার কবুতরের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।


“আর তোমাদেরকে যদি কেউ দোয়া করে, তাহলে তোমরাও তার জন্য দোয়া কর; তারচেয়ে উত্তম দোয়া অথবা তারই মত ফিরিয়ে বল। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব-নিকাশ গ্রহণকারী।“(সূরা আন নিসাঃআয়াত-৮৬)


লেখক : সোহেল রাবি ভাই



কবুতর খামারিদের জন্য শীতের মাসিক ছক BD Online Pigeon Market

কবুতর খামারিদের জন্য শীতের মাসিক ছক

Pigeon Discussion, Pigeon Diseases & treatment