মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৩

কবুতরের পাঁচড়া/কাউর/ একজিমা(Pigeon Scabies)

কবুতরের পাঁচড়া/কাউর/ একজিমা(Pigeon Scabies)

Sarcoptes scabiei মাইট দ্বারা ঘটিত হয় এবং সরাসরি শরীরে আক্রান্ত হয়। এটি অন্য পাখির সাথে যোগাযোগ দ্বারা হয় অথবা বিভিন্ন ফর্ম থেকে আসা একটি সংক্রামিত কবুতরের সাথে ভাল একটা কবুতরের শারীরিক যোগাযোগের মাধ্যমে হতে পারে। এটি এক ধরনের চর্ম রোগ। আর এই রোগ শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা এই তিন মৌসুমে দেখা যায়। আর আবহাওয়ার কম বা বেশিতে রোগের তীব্রতা বেড়ে থাকে। এই রোগ কবুতর কে অসস্থিকর অবস্থার মধ্যে দিন পাত করে থাকে। আর এই রোগ থেকে প্রচণ্ড স্ট্রেস হয় আর ফলে অনেক নতুন রোগের সূত্রপাত হতে পারে।


কারনঃ


১) কবুতরের শরীরের বাইরে মাইট (External parasites) এর আক্রমন।

২) নিয়মিত গোসল না করানোর ফলে শরীরে আতিরিক্ত খুসকি থেকে এই রোগ হতে পারে।

৩) কীটপতঙ্গ/মাছি/মশা ইত্তাদির আক্রমন বা কামড়ের ফলে ঘা থেকে এই রোগ হতে পারে।

৪) অনেক সময় কাঁচা পালক তুলার ফলে,সেই জাইগাটা সঙ্ক্রমন হয়ে এই রোগ হতে পারে।

৫) কোন অ্যালার্জি যুক্ত খাবার যেমনঃ রেজা, ধান, যব কিছু বয়লার গ্রয়ার ইত্যাদি।

৬) নোংরা পানিতে গোসল।


লক্ষণঃ


১) ক্ষত সহ বা ছাড়া চুলকানি বা কামড়।

২) ত্বক প্রায়শই তীব্র চুলকানি এবং ঠোঁট দিয়ে চুলকাতে চুলকাতে ঘা করে ফেলে ও ঘা বড় করে ফেলে। অনেক সময় কাম্রে মাংস পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলে।

৩) খুব ধীরে ধীরে আরোগ্য ।

৪) নির্দিষ্ট এলাকায় উপসর্গের বৃদ্ধি।

৫) রাতে ও আর্দ্র আবহাওয়া উপসর্গের বৃদ্ধি।

৬) পাখার নিচে,গলার নিচে বা ঘাড়ে।

৭) অতিরিক্ত পর ঝরা ও পর ঝরা জায়গায় ঘা এর মত তৈরি হওয়া।

৮) পাখার নিচে অথবা বড় পালকের গোঁড়ায় অথবা লেজের গোঁড়ায় ছোট ছোট চেটচেটে ঘা বা ঘা এর কারনে আকা বাকা পাখার পড় গজান।

৯) ঠোটের গোঁড়ায় ঘা বা চোখের পাশে, কানের কাছে বা পায়ে লাল লাল র‍্যাস এর মত হয় ও কবুতর ঠোঁট দিয়ে চুলকাতে থাকে।

১০) এই রোগটি শুকনো বা ভিজা চ্যাটচেটে ধরনের হতে পারে বা হলুদ রস নির্গত হতে পারে।

১১) যদি ঠোঁট দিয়ে কামড়াতে থাকে তাহলে আক্রান্ত স্থানটি ভাল করে পরিস্কার করে একটা পরিস্কার কাপড় বা ব্যান্দেজ করে দিন।

১২) এই রোগ হলে অনেক সময় কবুতর বেশি ক্লান্ত দেখায়,পাখা ঝুলে যায় ইত্যাদি।


চিকিৎসাঃ


১) পটাস/ফিতকারি/নিম পাতা সিদ্ধ করে কুসুম গরম পানিতে গোসল। (ঠাণ্ডা পানিতে গোসল না দিয়া ভাল।)

২) হোমিও আর্সেনিক ২০০, ২ ফোঁটা করে দিনে ৩-৪ বার।

৩) Crotamiton lotion 10% অথবা Ivermectin ওরাল(মানুষের) ঔষধ ভাল কাজ করে।

৪) কবুতরের গায়ে ছোট লাল পোকার জন্য ইংলিশ শ্যাম্পু ব্যাবহার করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন শ্যাম্পু এর পড় ভাল করে শরীর ধুয়ে ফেলতে হবে।

৫) নিয়মিত জীবাণু মুক্ত স্প্রে করতে হবে।


সতর্কতাঃ


এই ধরনের রোগ হলে কোন প্রকার কাটা ছেড়া করা বা অস্ত্রপ্রচার করা যাবে না এতে সংক্রমন হয়ে কবুতরের প্রানহানির সম্ভাবনা রয়েছে।


এই রোগ সাধারণত অপরিস্কার খামার ব্যাবস্থাপনার কারনে হয়ে থাকে। তাই এই রোগ প্রতিরোধ করার ভাল পদ্ধতি হল পরিস্কার খামার। আর একটা বিষয় খেয়াল রাখা যেন অকারনে কবুতর খালি হাতে না ধরা। আর যদি ধরতে চান ভাল করে হাত ধুয়ে ফেলুন। এতে যে শুধু এই রোগ থেকে মুক্ত থাকবে তাই না। যেকোনো রোগ থেকেই নিস্থার পেতে পারেন।


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



কবুতরের পাঁচড়া/কাউর/ একজিমা(Pigeon Scabies) BD Online Pigeon Market

কবুতরের পাঁচড়া/কাউর/ একজিমা(Pigeon Scabies)

Pigeon Diseases & treatment

শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৩

কবুতরের রিং (কেস স্টাডি)

রিং! রিং!! রিং!!! জি না এটা কোন টেলিফোনের শব্দ না। এটা কবুতরের পায়ে লাগানো একটা ডিভাইস। যা আজ একটা ব্যাবসায়িক হাতিয়ারে পরিনত হয়েছে। আজকাল মানুষ রিং এর কথা শুনলেই পাগল পারা হয়ে যায়,আর তাই যে কবুতর এর স্বাভাবিক দামের থেকে ৩ গুন ৪ গুন বেশি দামেও কিনতে পিছপা হয়না। কি এই রিং ? কি তাঁর মহাত্ত ? আর কেনই বা এটা লাগানো হয়। এসব কিছুই অনেকেই জানেন না, কিন্তু তারপরও রিং এর প্রতি একটা অলিখিত টানে মানুষ ছুটে আসে এই রিং লাগানো কবুতরের কাছে। আর এই সুযোগে কিছু দু পয়সা কামিয়ে নিচ্ছে সেই সব চালাক অসাধু লোকজন। আর তাই রিং এর ব্যাবসাও বেশ রমরমা।


কিন্তু আমরা কেউ কি আজ পর্যন্ত জানতে চেয়েছি বা জানার চেষ্টা করেছি কি এই রিং? কেন এটা লাগানো হয়? আর কি এর উদ্দেশ্য? মনে হয় না। যদি তাই হত তাহলে এভাবে আমরা রিং পিছনে ছুটতাম না। এই ত কিছুদিন আগে নেটে একজন নামকরা কবুতর ব্যাবসায়ি একটা স্ত্রেসার এর বিজ্ঞাপনে লিখলেন রিং এর জরা,ভাল ব্লাড লাইন, ইত্যাদি কিন্তু দেখা গেল সেই জোড়াটা ফাটা,তারপর কিভাবে রিং বলে চালানর চেষ্টা করা হল? কারন সে জানে যে আমরা রিং শুনলেই দৌর দিব। আর এইসব বায়বসায়ি রা সে অপেক্ষাই করে। অনেকেই গর্ব ভরে বলে থাকেন আমার একটা রিং পেয়ারের বাচ্চা কিনেছি। আসলেই কি তিনি এব্যাপারে সঠিক খোঁজ নেবার চেষ্টা করেছেন যে,আসলেই কি সেটা রিং এর জোড়া। নাকি অন্য কিছু। আমাকে একদিন একজন জানালেন যে তাঁর একটা রিং এর পেয়ার আছে তাকে জিজ্ঞাস করলাম ভাই রিং এর পেয়ার বলতে কি বুঝেন? তিনি জানালেন যে যার কাছ থেকে কিনেছি তিনি বলেছেন যে এটা রিং এর পেয়ার!কি আশ্চর্য! এর কি কোনই প্রতিকার নাই। হা আছে। কিভাবে? শুধু আপনাকে সচেতন হতে হবে। আগেও রিং বা ব্যান্ড নিয়ে লিখা সংক্ষেপে লিখা হয়েছে। কিন্তু মনে হয় সেটা যথেষ্ট হয়নি। এখন আসুন আবার আমরা একটু জেনে নেই রিং কি? কেন রিং পরান হয়? আর কি এর উদ্দেশ্য?


সাধারণত একটি ধাতু, প্লাস্টিক,ব্যান্ড যা একটি সজ্জা বা প্রবৃত্তি বা একটি টোকেন হিসাবে আঙুল বা পায়ের ভিতর নিবদ্ধ থাকে বা রাখা হয়। অন্য ভাবে বলা যায় যে পরবর্তী প্রজন্ম সনাক্ত করার জন্য একটি রিং অথবা ক্লিপ যা পাখি বা কবুতর খামার বা মালিকের পরিচিতি বহন করে থাকে। অনেক সময় প্রতিযোগিতার মাধ্যমেও সবচেয়ে ভাল জাতের কবুতর বা পাখি কে প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটি কবুতর বা পাখির মালিককে নির্দিষ্ট সনদপত্র সহ একটি নাম্বার খচিত রিং লাগানো মালা প্রদান করে, ফলে সেই কবুতরের মালিক সেই রিং নাম্বার দিয়ে তাঁর কবুতরের পরবত্তি প্রজন্মকে সেই নাম্বার অনুযায়ী রিং পরায়। অনেক সময় রেস কবুতর যাতে হারিয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রেখে মালিকের সেল নাম্বার খচিত রিং বা রেজিঃ নাম্বার দিয়ে রিং পরায়। যা পরবর্তীতে সেই কবুতর কে খুজে পেতে সাহায্য করে থাকে। অনেক সময় কোন খামারের পরিচয় বা ব্যাক্তি পরিচয় রিং এর মধ্যে প্রকাশ করা হয়। আবার অনেক সময় রেস কবুতরের রক্ত পরিচয় মনে রাখার জন্য খামারি তাঁর একটা নিদিষ্ট পরিচয় নাম্বার রিং এ লিখে তাকে পরিয়ে দেয়। এভাবেই রিং এর সুত্রপাত হয়। সৌখিন কবুতরের রিং মুলত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেরা জাতের নিদিষ্ট চরিত্রের কবুতরকেই দেওয়া হয়। বাংলাদেশের বাইরে এই ধরনের নিয়মিত প্রতিযোগিতা হলেও আমাদের দেশে এই ধরনের প্রতিযোগিতা সচারচর দেখা যায় না। কিন্তু তারপরও রিং এর ছড়াছড়ি। নিদিষ্ট জাতের না হয়েও আমরা অবলিলায় লিখে দিই রিং এর জোড়া, বা রিং এর পরিবার থেকে ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা আমাদের দেশে অহরহ ঘটে কারন, আমাদের দেশে কবুতরের কোন শক্তিশালী সংগঠন নাই। যদি থাকত তাহলে এটা কোন কালেই কার পক্ষে এই ধরনের কাজ করা সম্ভব হত না।


আমাদের সকলের উচিৎ যদি আমদানিকৃত ব্র্যান্ড কবুতর না হয় বা আমদানিকৃত ব্র্যান্ড কবুতরের বাচ্চা না হয়। তাহলে আপনার খামার বা আপনার নিজস্ব পরিচয় বহনকারী রিং লাগানো। যাতে পরবর্তীতে সেই ব্রীড আপানার খামারের পরিচয় বহন করে। অনেকে আবার রিং পরাতে গিয়ে কবুতর কে একটা মহা যন্ত্রণা দায়ক অবস্থার মধ্যে ফেলে। তাই আপনাকে এ ব্যাপারে কিছু নিদিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে।


pigeon ring


আপনি যেহেতু আপনি ম্যানুয়াল রিং পরাবেন তাই আপনাকে নিম্নোক্ত কাজ নিশ্চিত করতে হবে ঃ


১) ডান পায়ের উপর রিং লাগাতে হবে।.

২) কবুতর কে উল্টায়ে রিং পরাতে হবে আর খেয়াল রাখতে হবে যাতে রিং এ অধিষ্ঠিত অক্ষর পাঠযোগ্য হয়।

৩) ডান পায়ের নেভিগেশন রিং রাখুন ও বাপ পায়ে রেসিং এর জন্য রিং মুছে ফেলা বা খুলে ফেলা নিশ্চিত করুন।

৪) ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে রিং বা ব্যান্ড লাগানো উচিৎ, যাতে ব্যান্ড লাগানো সহজ হয়। আর আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যেন রিং বা ব্যান্ড বেশি টাইট না হয় বা বেশি ঢিলা না হয়।

৫) রিং বা ব্যান্ড লাগানোর সময় আপনাকে পিচ্ছিলকারক পদার্থ ব্যাবহার করা উচিৎ বা মেশিন ব্যাবহার করতে হবে আর খেয়াল রাখতে হবে যাতে লাগানোর সময় পা কেতে না যায়। এতে পায়ে ধনুষ্টংকার বা bumble foot হবার সম্ভাবনা থাকবে।

৬) মেটাল বা প্লাস্টিক যে কোন ধরনের রিং হোক না কেন নিয়মত পাদদেশ মুছা এবং পরিষ্কার অথবা ময়লা হলে ভাল কিছু পরিস্কার পদার্থ দিয়ে পরিস্কার করা নিশ্চিত করুন।

৭) যে সব কবুতরের পায়ে বেশি লোম বা মোজা হয় তাদের রানের মধ্যে রিং বা ব্যান্ড লাগানো উচিৎ যাতে লোম ছিড়ে যাবার ভয় না থাকে।

৮) রিং বেশি টাইট হলে কেটে ফেলা নিশ্চিত করতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে যাতে কবুতর রিং বা ব্যান্ড লাগানো পা উঠিয়ে না রাখে। তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার কবুতরের রিং বা ব্যান্ড এ সমস্যা হচ্ছে।


যাইহোক আশা করি ও মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দুয়া করি যে, রিং বা ব্যান্ড নিয়ে যে তেলেসমাতি আমাদের দেশে চলছে বা চলে আসছে তা অচেরেই বন্ধ হবে, মানুষের সচেতনতা বাড়বে, রিং নিয়ে যে ভুল ধারনা আছে, তা কেটে যাবে। আর যে সব মানুষ এই সব নিয়ে ব্যাবসা করছে তাদের বোধগম্য হবে, মানুষ ঠকানর প্রবণতা বন্ধ হবে। (আমিন।)


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



কবুতরের রিং (কেস স্টাডি) BD Online Pigeon Market

কবুতরের রিং (কেস স্টাডি)

Pigeon Discussion

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৩

Gorguero pouter কবুতর পরিচিতি

এমন একটা কবুতর কল্পনা করুন যা প্রতিবার দাম্ভিকতার সাথে ঘরের একই জায়গায় উড়ে এসে বসে। এই কবুতর প্রজাতিটি দক্ষিণ অঞ্চল এই বেশি দেখা যা তাদেরকে অন্যান্য স্পানিশ প্রজাতি হিসেবে খ্যাত Don Juan এর প্রথম সারির Gorguero pouter নামে পরিচিত। এর জন্মস্থান স্পেন। বিশেষকরে যে সকল খামারিরা মানসম্মত breed পেতে চান তাদের জন্য এটা খুবই আকর্ষণীয় কবুতরের প্রজাতি


স্পেন এর লোকেরা বিভিন্নভাবে এই প্রজাতির কবুতর পালন করে থাকে। তাদের মধ্যে একটা ধারনা প্রচলিত আছে যে Jiennense এবং certainly প্রজাতির কবুতর থেকেই মুলত Gorguero প্রজাতির কবুতরের উৎপত্তি এবং এটি এখন বিলুপ্তির পথে।

Gorguero প্রজাতির কবুতর টিকিয়া রাখার জন্য পশুচিকিৎসক, প্রজনন বিশেষজ্ঞ এবং বিখ্যাত কবুতর পালক José Antonin i Cuatrecasas এর অবদান অনস্বীকার্য। ইনিএ নতুনভাবে এই প্রজাতির কবুতর আবিস্কার করেন। তিনি তার বাল্য জীবনে Raphael Buche Brage এর সাথে পরিচিত হন যিনি একজন ইতিহাসবিদ এবং স্পেন এর কবুতর সম্প্রসারন এ অনেক বড় ভুমিকা পালন করেন। Raphael এর কাছে তার বাবার আঁকা ১৯৯৫ সালের একটি Gorguero প্রজাতির কবুতরের প্রতিকৃতি ছিল যা পরবর্তীতে Antonin কে Gorguero এর নতুন বংশ খুজতে শুরু করার প্রেরনা যুগিয়েছিল।


Gorguero pouter 2


ঊপরের ছবিটি হল José Antonin i Cuatrecasas এর আঁকা একটি Gorguero প্রজিতির কবুতরের আদর্শ প্রমান। আসুন আমরা এই প্রজাতির কবুতর এর বাহ্যিক গঠন সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টা করি।


Gorguero pouter 3


এটি মাঝারি উচ্চতার কবুতর অনেকটা খারা ভাবে দাড়িয়ে থাকে। এর মাথা বড় এবং প্রসস্ত। মাথায় কিছু বাঁকানো দাগ দেকতে পাওয়া যায়। রুবি রঙ এর চোখগুলো বড় বড় কিছুটা মাথার পিছনের দিকে বাঁকানো। চোখের মণি সূক্ষ্ম এবং মসৃণ এবং প্লাস্মা এর রঙ সামঞ্জস্যপূর্ণ। বয়সের কারনের চোখের মণি বড় হতে পারে। এর রয়েছে শক্ত এবং একটু চ্যাপ্টা ঠোট। মাঝে মাঝে নাকের ঝুটির কারনে এদের ঠোট ছোট মনে হয়।


Gorguero pouter 4


এদের ঘাড় মাঝারি আকারের এবং শক্তিশালী। বুক প্রশস্ত এবং গোলাকার। দানাগুলো লম্বা এবং প্রশস্ত। প্রতিটা ডানায় ১১/১২ টির মত পালক রয়েছে। পালকগুল লেজ এর শেষপর্যন্ত ছড়িয়ে থাকে। স্বাভাবিক অবস্তায় পাখাগুল গ্রুপ আকারে থাকে। লেজ এর পালকগুলো লেজকে অনেক বড় আকৃতি রুপ প্রদান করে। নখের রঙ অনেকটা পালক এর রঙ এর মতই।


Gorguero pouter 5


সর্বোপরি Gorguero pouter এর সৌন্দর্য, দাম্ভিকতা, চলন ভঙ্গিমা সবকিচু মিলিেয় এটি একটি অসাধারন কবুতর।



Gorguero pouter কবুতর পরিচিতি BD Online Pigeon Market

Gorguero pouter কবুতর পরিচিতি

Pigeon Discussion

শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৩

ঈনব্রীডীং (Inbreeding) (সংশোধিত ও পরিমার্জিত) দূরবর্তী আত্মীয় বা অনাত্মীয় প্রাণীর প্রজনন

inbreeding এর ব্যাপারে কম বেশি সবারই কিছু না কিছু ধারনা শোনা আছে বলে আশা করি, যাইহোক, inbreeding কোন ব্যবহারিক উদ্দেশ্য আছে কি না এটা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। আর এটা অনেক কে এই বিষয়ে নিয়ে বিভ্রান্তিকর অবস্থার মধ্যে ফেলে। Inbreeding বলতে নিকট আত্মীয়তাসূত্রে আবদ্ধ প্রাণীদের মধ্যে সন্তান উৎপাদন কে বুঝাই। Inbreeding হল নিকট Kin(আত্মীয়) এবং out breeding, দূরবর্তী আত্মীয় বা অনাত্মীয় প্রাণীর প্রজনন। সহজ কথাই ভাল প্রজনন এর আশায় রক্ত লাইন বরাবর এর বাইরের অন্য রক্তের প্রজনন কে বুঝাই।


প্রজনন দীর্ঘ বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। Inbreeding জেনেটিক অপূর্ণতা ব্যাপক হত্তয়া এবং এটি তার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রয়োজন হতে পারে। এর মাধ্যমে সম্ভাবনা বৃদ্ধি, একটি জাতের জনসংখ্যা জিন বৈচিত্র্য হ্রাস করা হয়। অধিকাংশ উদ্ভিদ এবং প্রাণীর inbreeding এড়ানোর আচরণগত এবং অঙ্গসংস্থান পদ্ধতি বিকশিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। যাইহোক, আজ অনেক বিপন্ন প্রজাতির শুধুমাত্র inbreeding করা অনিবার্য। তাই এটি সংরক্ষণবাদীর জন্য একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা প্রজনন নিয়ে আলোচনা করার সময় একসাথে দুই পাখি রাখা এবং তার সন্তানসন্ততি নিয়ে সহজভাবে আলোচনা করা হয় না। আমরা আমাদের স্টক থেকে অধিকাংশ সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে পেতে একটি উচ্চ মান সপন্ন প্রজাতির বংশবৃদ্ধি কিভাবে করা যায় তারই আলোচনা করা।


আমরা জিন এবং তারা কাজ এবং কৌশলগত জিনিস এবং কিভাবে তা কাজ করে তার খুঁটিনাটি বিষয় গবেষণা করা বেশ সহজ হয়। যদিও inbreeding একজন খামারিরি মুল লক্ষ্য হওয়ার কোন মানে হয় না। দুটি পদক্ষেপে প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ Inbreeding আর দ্বিতীয় ধাপে শঙ্কর যা আজ আমরা আলোচনাই যাচ্ছি না। তবে অনেকে এই শঙ্কর কেই একটি নতুন চক্র বলে বিবেচনায় এনে থাকেন। কিন্তু পশু ছাড়া, পাখি বা কবুতরের ক্ষেত্রে শঙ্কর ব্যাপারটা কোন কাজে আসে না তা অনেকেই সেটি সঠিক ভাবে জানেন না। inbreed যে দুটি সম্পর্কহীন পায়রার উপর ভিত্তি করে করা হয় বলে এটাই যথেষ্ট। fanciers একটি ভাল জাতের পায়রার রক্ত সংরক্ষণ বা inbreeding এর জন্য ব্যবহার দেখা যায়, যদিও এই প্রক্রিয়াটি খুব সহজ নয়। তবে অধিকাংশ অভিজ্ঞ ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, কবুতরের ক্ষেত্রে ভাই ও বোন ,বা একই রক্তের মধ্যে যদি জোড়া করা হয় তাহলে সে থেকে ভাল জাত আশা করা যায় না। যেমন ফাটা কবুতর,খারাপ জাতের কবুতর বা যারা রেস করতে পছন্দ করেন সেক্ষেত্রে নিম্ন দক্ষতা হতে পারে। যেমন মানুষের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটে থাকে। যেমন আত্মীয় বা একই ব্লাড গ্রুপ এর মধ্যে বিয়ে হলে অসুস্থ,বিকলাঙ্গ,ইত্যাদি সন্তান জন্ম নিতে পারে।


গবেষণায় দেখা গেছে যে, একটি সফল জোড়া খুঁজে পেতে অসুবিধা হলে, মতভেদ ১/৮ এবং ১/১২ এর মধ্যে ডবল inbreeds সাফল্য ১/১৫ এবং ১/২০ হয়ে থাকে। যাইহোক, ট্রিপল inbreeds কাছাকাছি ১/৩০ হতে পারে। এই সংখ্যার কোন সঠিক বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আছে কিনা তা বলা যায় না। কিন্তু তারা খামারে এবং অন্যদের lofts উভয় ফলাফল এর সঙ্গে মিলে যায়। এই সংখ্যার উপর নির্ভর করে আপনি inbreeding প্রথম প্রজন্মের মধ্যে প্রজনন এক বছরের সাফল্য থাকার গড় ভাল ফলাফল দেখতে পারেন, এবং আপনি ডাবল এর সঙ্গে সাফল্য থাকার প্রথম দুই বছরের এক প্রশংসনীয় ভাল করার সুযোগ আছে । তবে, তৃতীয় বছরে, আপনি মতভেদ উল্লেখযোগ্য ব্যাকক্রস দেখতে পারেন। যদি এটি সত্য হয় তাহলে আপনি সাফল্যের জন্য পায়রার এর জীবনকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। যা অনেক সময় সম্ভব হয় না ।


এখন এর সংকর করন আমাদের জন্য কি করতে পারে। সঙ্করীকরণ (inbreeding প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপ ) কোর্সের inbreeding প্রত্যেক প্রজন্মের জন্য বিনিময়ে কত উৎপাদন পাবেন? Inbreeding টেকসই করার জন্য প্রথমে আমরা যে inbreeding কম্প্রেশন বেশি প্রজন্মের বড় সংকর উৎপাদন অনুমান করা হয় মাত্র।


অনুসরণ এই ধারণা আরও সহজ করতে, এস = প্রজনন সাফল্যের হার, জি ( ) = জেনারেশন, ই () সম্ভব উৎপাদনের = শতকরা .

জি ( ১), এস (১/৮) , ই (৭৫%)

জি ( ২), এস (১/১৫) , ই (৮০%)

জি ( ৩), এস (১/৩০) , ই (৮৫%)


প্রথম প্রজন্মের মধ্যে , অল্প বয়স্ক ছেলেমেয়ে ১/৮ সফল হবে লক্ষ্য করুন, এবং তারা যখন তারা সম্ভাব্য উৎপাদন ৭৫% করা হবে। তারপর দ্বিতীয় প্রজন্মের দ্বারা, একটি ডবল inbred প্রজনন সম্ভাবনা ১/১৫ লক্ষ্য করবেন, কিন্তু আপনি শুধুমাত্র উৎপাদন এর অন্য ৫% পর্যন্ত বাছাই করতে বেশ কম এবং কর্ম সম্পন্ন এমনকি যখন আপনি শুধুমাত্র অন্য ৫% হয়, যা একটা ট্রিপল inbred প্রজনন সম্ভাবনা ১/৩০ যে তৃতীয় বৃত্তাকার পর্যায়ে হয়। এটা অনেক fanciers প্রথম প্রজন্মের inbreeding বিদ্ধ ঝোঁক এই কারণে হয়। যা পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে যেতে দেখা যায় না। তারপর একটি নতুন problem দেখা যায়। এখত্রে Inbreeds সমস্যার সম্মুখীন হয়।


সাধারণত ভাল উড়ে না এবং হাইব্রিড সাধারণত ভাল বংশবৃদ্ধি হিসাবে ধরা হয়না। তাই কয়েক কবুতর পরিবার কখনো প্রথম একই লাইন বরাবর থাকে না। যা সবচেয়ে কম fanciers শুরু করে। অনেকে প্রথম প্রজন্মের মধ্যে তারা একটি খুবই দুর্বল সংকর হিসেবে কাজ করে এবং এতে কিছু শূন্য সাফল্য থাকে। যদিও এতিকে অনেকে ইনব্রীড হিসাবে মনে করে থাকে। (একটি inbred সম্ভবত একটি সোজা ক্রস তুলনায় ৫০ গুণ বেশি শক্তিশালী , কারণ এই প্রথম প্রজন্ম শুধুমাত্র inbreeding ধারণা দেয় )। যাইহোক, পরে দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যে জিন পুল উল্লেখযোগ্যভাবে প্রশস্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে এবং যদি সঠিক নির্বাচন না হয় বা খেয়াল রাখা না হয় তাহলে এর সাফল্যের হার অনেক যায় নিচে যায়। সর্বাধিক fanciers শুধু জিন আবার মিলিত শুরু না হওয়া পর্যন্ত তিন বা চার প্রজন্মের জন্য পায়রা খুঁজে পাওার অপেক্ষার সময় বা ধৈর্য থাকে না। তাই তখন এটি বংশবৃদ্ধি করা যায় না আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে সত্য হাইব্রিড breeders তারা দেশী যা থেকে inbred পরিবারের দুই পক্ষের একই রক্তে ফিরে ( backcross ) হয়ে থাকে বা ফেরে আসার সভাবনা অনেক বেশি থাকে। প্রথম backcross এর পর এই প্রচেষ্টাটি বরবাদ হয়ে যায়। কারন দেখা যায় এক্ষেত্রে পুনরায় আগের পরিবারের সঙ্গে ক্রস এর মাধ্যমে আবার নতুন রক্ত ফিরে আসে। সম্প্রতি একটি inbreeding প্রোগ্রামে একজন fancier এই প্রচেষ্টা করেন। তিনি সম্ভবত ৫০ জোড়া রাখেন ও তারি উপর এই প্রক্রিয়া প্রয়োগ করেন। যাইহোক, যে হারে তিনি গভীর একাধিক প্রজন্মের inbreeds করেন। তবে এ ক্ষেত্রে সফল হবেন যদি বেশী backcross না হয়।

যখন inbreeding করা হয় তখন কিছু নিদিষ্ট কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করা উচিত বলে মনে করি।


১) ঘনঘন breeding না করা।(কারন এক্ষেত্রে কবুতরের স্পাম এর সংখ্যা কমে যায় ফলে ভাল জাত পাওয়া সম্ভব হয় না।)

২) শীতের সময় breeding না করা।

৩) নর মাদি কে আলাদা করে রাখা।

৪) breeding খোলা জায়গায় বা ঘরের মধ্যে করান।

৫) breeding কালীন সময়ে অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগ না করা।

৬) breeding জোড়া কে ভাল মানের খাবার ও ভিটামিন ও মিনারেলস সরবরাহ করা।


ইনব্রীড এর যদি একটি সহজ উদাহারন দেওয়া হয় তাহলে দেখা যায় এরূপঃ

একজন ব্রীডার ৪ জোড়া থেকে ৫০ জোড়ার মধ্যে একই প্রজাতির কবুতর বা পাকির মধ্যে এই প্রোগ্রাম করতে পারেন। যেমন ধরিঃ (abcd আকি প্রিজাতির ৮ টি কবুতর ও ১ নর ও ২ মাদি তাহলে a1-a2,b1-b2,c1-c2 ও d1-d2 এই ৪ জোড়া কবুতর ইনব্রীড করার সময় এর ব্লাড লাইন যদি ভেঙ্গে প্রথম প্রজন্ম a1+b2=ab1-ab2 বাচ্চা হল , b1+a2=ba1-ba2 বাচ্চা হল, c1+ d2=cd1-cd2 বাচ্চা হল and d1+c2+ =dc1-dc2 বাচ্চা হল অনুরূপ দ্বিতীয় প্রজন্মের জন্য ab1 + cd2, ab2+ cd1, dc2+ ba1, dc1+ ba2 এভাবে তৃতীয় প্রজন্মের ক্ষেত্রে ও একই তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন ভাবেই আবার আগের প্রজন্মের রক্ত ফেরে না আসে যাকে back cross বলে, অল্প সংখ্যক জোড়ারা ক্ষেত্রে এটি হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

ইনব্রীড শুধু জোড়া পরিবর্তন এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না,যেটা আগেই বলেছি যে ভাল ও পর্যাপ্ত খাবার। সময়মত ও প্র্যজনে সবসয় খাবার ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। ইনব্রীড এর গুরুত্ব শুধু fancy মধ্যেই সীমাবদ্ধ না racing কবুতরের ক্ষেত্রে এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।


আমাদের দেশের কবুতর উৎপাদিত সৌখিন (fancy) বেদেশি কবুতর থেকে কোন অংশে কম নয় কিন্তু তারপরও বাইরের কবুতরের উপর একটা বিশেষ ঝোঁক দেখা যায়। যদিও বাইরের দেশের কবুতর পালন অনেক প্রতিকুল কিন্তু তারপরও তারা নিদিষ্ট নিয়ম পালনে ভাল জাত উৎপাদনে সফল হয়। যদিও আমাদের দেশে অনেক খামারি অনেক কষ্ট করে অনেক কাঠ খর পুড়িয়ে ভাল জাত উৎপাদন এর চেষ্টা করে কিন্তু উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় সেই উৎসাহে ভাটা পড়ে যায়। যেখানে অনেক খারাপ জাতের কবুতর বাইরের দেশ থেকে এনেও ভাল দাম পায়ে যায় সেই সব ব্যাবসায়িরা ফলে ভাল জাত দেশে উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে আমদানি তে উৎসাহিত হচ্ছে অনেকে। যেটা খুবই দুঃখ জনক ও অশনি সংকেত হিসাবে বলা যেতে পারে।


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



ঈনব্রীডীং (Inbreeding) (সংশোধিত ও পরিমার্জিত) দূরবর্তী আত্মীয় বা অনাত্মীয় প্রাণীর প্রজনন BD Online Pigeon Market

ঈনব্রীডীং (Inbreeding) (সংশোধিত ও পরিমার্জিত) দূরবর্তী আত্মীয় বা অনাত্মীয় প্রাণীর প্রজনন

Pigeon Discussion, Pigeon Diseases & treatment

কবুতরের সঠিক ভাবে রোগ নির্ণয় ও ঔষধ প্রয়োগ

রসূল (সঃ) বলেন, “একজন মুসলিম যিনি একটি পোষা প্রাণী রাখতে পছন্দ করে তার দায়িত্ব হল ভালমত এর যত্ন নেয়া,যথাযথ খাদ্য, পানি এবং আশ্রয়ের ব্যাপারে খেয়াল করা আবশ্যক। কোন বাক্তি যদি একটি পোষা প্রাণীর যত্নর ব্যাপারে উপেক্ষিত হয় তার কঠিন শাস্তি বর্ণনা করেছেন।”


কবুতর পালার কিছু নিয়ম আছে। শুধু পালার খাতিরে পালেন। একজন খামারি ১০০ কবুতর পাললে তাকে খামারি বলা যাবে না। যদি না তিনি সঠিক ভাবে খামারের পরিচর্যা করেন অথবা এই ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ না নেন। কিন্তু আপনি যদি অল্প কবুতর সফল ভাবে পালেন তবেই আপনাকে একজন আদর্শ খামারি বলা যাবে। আর এটাই একজন খামারির সার্থকতা ও আনন্দ। কবুতর অসুস্থ হলে জবাই করে ফেলা বা কাওকে দিয়ে দিয়া অথবা অপেক্ষা করা কবে মারা যাবে এটা কখনই একজন সত্যিকার কবুতর প্রেমির কাজ হতে পারে না। তিনি যতই দাবি করেন না কেন!


যাই হোক প্রসঙ্গে ফিরে আসি। কথাই আছে প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ ভাল, আর সেই প্রতিরোধ টা সঠিক হতে হবে। প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার খামারে ধুলা না থাকে। কারন সকল রোগের সুত্রপাত হয় এখান থেকে। এর পর খেয়াল রাখতে হবে যেন সাল্মনিল্লার প্রতিরোধ কোর্স ঠিকমত করান হচ্ছে। কারন সাল্মনিল্লা কবুতরের অন্যতম সমস্যা আর যা থেকে অনেক রোগের সুত্রপাত হয়। মানুষের ক্ষেত্রে আছে যে যদি আমাশয় হয় তাহলে টা নির্মূল তাড়াতাড়ি করতে হয়। কারন আমাশয় হল ৯০ টি রোগের জন্মদাতা। তেমনি বলা হয় সাল্মনিল্লা হল কবুতরের জন্য ১০০ টা রোগের জন্মদাত্রী বা জননী । তবে এই সাল্মনিল্লা নিয়ে অনেকের ভুল ধারনা পোষণ করে থাকেন। কারন সাল্মনিল্লা যেকোনো জিবিত প্রাণীর মধ্যে কমবেশি থাকবেই। আর এটা ১০০% নির্মূল সম্ভব না,তবে এটাকে নিয়ন্ত্রন এ রাখাতাই বুদ্ধিমানের কাজ।


যেমন সবুজ পায়খানা শুরু করলে অনেকে অস্থির হয়ে যায়। কিন্তু সবুজ পায়খানা করলেয় যে সাল্মিনিল্লা আক্রান্ত টা সঠিক নয়। তবে যদি দেখা যায় যে সবুজ পায়খানার সাথে সাথে খাওয়া দাওয়াও যদি বন্ধ করে দেয় তাহলে অনতিবিলম্বে কবুতরের অ্যান্টিবায়টিক চিকিৎসা শুরু করা উচিত। তবে মনে রাখতে হবে, যা অনেক বার অনেক পোষ্ট এ বলেছি যে, প্রতিরোধ মুলক হিসাবে কখনই অ্যান্টিবায়টিক আদর্শ হতে পারে না। যদিও অনেকে সেটাই করে থাকেন। কবুতরের ৩ নম্বর যে সমস্যা যা নিরব ঘাতক হিসাবে কাজ করে টা হল। এক্সটারনাল(শরীরের পোকা) ও ইন্টারনাল প্যারাসাইট (ক্রিমি) নির্মূল করা। ক্রিমির ক্ষেত্রে অনেকেই মানুষের ঔষধ ব্যাবহার করতে পছন্দ করেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে ক্রিমির ঔষধ একটি খুবই উচ্চ ক্রিয়াশীল যা, কবুতরের শরীরে খুবই মারাত্মক প্রভাব পরে ও স্ট্রেস তৈরি করে। আর এই স্ট্রেস অনেক রোগের কারন হতে পারে। যা আমার স্ট্রেস এর পোষ্ট এ বিস্তারিত লিখা হয়েছে। অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন যে,এত কিছু কিভাবে বুঝবো? কবুতর ত আর কথা বলতে পারে না। হা ভাই পারে কিন্তু আমরা অনেকেয় টা বুঝতে পারি না। একজন বোবা মানুষও আকার ইঙ্গিতে তাঁর কথা জানাই,তেমনি আপনার কবুতর আপনাকে নানা ভাবে বুঝাবে তাঁর অসুবিধার কথা। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত অনেকেই তা বুঝতে পারেন না। যেমন কিছুক্ষণ আগে আমাকে একজন জানালেন যে টার কবুতর কাল পায়খানা করছে ও খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। খুবই আশ্চর্য হলাম! উনাকে লিভার টনিক দিতে বললাম তিনি আবার জানালেন যে এটা ধরে খাওাবেন কিনা? আমার সন্ধেহ হল,উনাকে আবার জিজ্ঞাস করলাম যে পায়খানা টা কাল না ঘন সবুজ? এরপর তিনি ভাল করে পরীক্ষা করে জানালেন যে হা এটা গাড় সবুজ সাথে আমাশয় ভাব আছে……। আমার এটা বলার উদ্দেশ্য হল যে আপানর কবুতর কে যখন আপনি পর্যবেক্ষণ করবেন তখন ঠিকমত খেয়াল করবেন। কারন আপনার একটা ছোট ভুল সিধান্ত আপনার কবুতরের জীবনহানির জন্যই যথেষ্ট।


কবুতরের যে শুধু এই সব রোগই হয় তাই নয়, পেটে ব্যাথার মত কিছু সাধারন ক্রনিক সমস্যাও দেখা দেয়। কিভাবে বুঝবেন? যেমন দেখবেন…যে গুজ হয়ে বসে আছে বা পা টা একটু ছরিয়ে হাঁটছে। পিছনের পড় একটু ভিজার মত হয়ে আছে। এই এই সবই আপনাকে তাঁর চলাফেরা দেখে বুঝতে হবে। শুধু তাই নয় আপনি যদি কারও উপদেশ নেন, তাহলে তাকে ব্যাপারটা একটু ভালমত বর্ণনা করবেন। কারন আপনার বর্ণনার উপর তিনি আপনাকে ঔষধ দিবেন। তাই আপনার ভুল বর্ণনার খেসারত হয়ত আপনার নিরিহ প্রাণীটির কেই দিতে হতে পারে। এমন সব ছোটখাটো অথচ সাধারন পর্যবেক্ষণ আপানকে এক অসাধারন সাফল্য এনে দিবে। তবে তার আগে কিছু নিয়ম আপনাকে মেনে চলতে হবে। যেমনঃ


১) প্রথমে রোগ নির্ণয় করুন।

২) রোগ নির্ণয়ের সাথে সাথে ওষুধ নির্বাচন করুন ও প্রয়োগ করুন। হোক না তা রাত বা দিন।

৩) অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগ করলে অবশ্যই স্যালাইন দিতে ভুলবেন না।

৪) রোদের মধ্যে ভিটামিন বা ঔষধ রাখবেন না।

৫) অনেকে অমনে করেন অসুখ হলেই রোদে দেওয়া উচিত। কিন্তু কথাটা আসলে ঠিক না। আর এই ব্যাপারটা একটু খেয়াল রাখবেন।

৬) কিছু ঔষধ আছে যেগুলো পুরতা মিক্স করতে হয় নিয়ম অনুযায়ী, যেমনঃ সাসপেনসান ধরনের ঔষধ। আর এই ঔষধ ১ সপ্তাহ পর ফেলে দিতে হয়।

৭) অ্যান্টিবায়টিক নির্বাচনে একটু খেয়াল রাখুন, প্রথমে মধ্যম ধরনের অ্যান্টিবায়টিক আরপর উচ্চ অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহার করা উচিৎ। প্রথমেই উচ্চ লেভেল এর অ্যান্টিবায়টিক ব্যবহার করলে পরে সমস্যা হতে পারে।

৮) ঔষধ ব্যাবহারে ধৈর্য ধরতে হবে। ১ তা ঔষধ ব্যাবহারে যদি কাজ না হয় তাহলে কমপক্ষে ২/৩ দিন পর অন্য ঔষধে যেতে হবে।

৯) যেকোনো রোগের ঔষধ ব্যাবহারের সময় অবশ্যই চালের স্যালাইন ব্যাবহার করতে হবে।কারন অধিকাংশ কবুতর পানিশূন্যতা তে বেশি মারা যায়।

১০) অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহারের পর রোগ ভাল হলে অবশ্যই,প্রবায়টিক দিতে হবে। যাতে করে শরীর আবার শক্তি সঞ্চয় করতে পারে বা পুনরায় ভাল ব্যাকটেরিয়া তৈরি হতে পারে। তা না হলে সরদি,পাতলা পায়খানা,পারাল্যইসিস এর মত রোগ ফিরে ফিরে আসবে।

১১) হোমিও একটা ঔষধ প্রয়োগ এর পর আরেকটি ঔষধ দিলে পানির বাটি ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। তানা হলে অন্য ঔষধের মিস্রনে ঔষধের গুনাগুন নষ্ট হতে পারে। এমনকি আলাদা ড্রপার ও ব্যাবহার করতে হবে।

১২) কবুতরের অধিকাংশ রোগ তৈরি হয় লিভার জনিত সমস্যা থেকে তাই নিয়মিত লিভার টনিক দিতে হবে।

১৩) অসুস্থ কবুতরকে কোন প্রকার ভিটামিন দেওয়া যাবে না।

১৪) একই সঙ্গে ২ ধরনের অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহার করা যাবে না।


আপনি আপনার কবুতরের অভিভাবক যে যাই বলুক আপনার কবুতরের ভাল আপনি ছাড়া আর কেও বেশি ভাল বুঝতে পারবে না। কিন্তু তার জন্য আপনাকে সেই অনুভব তৈরি করতে হবে। আপনাকে সেই কবুতরের জায়গায় অনুভব করতে হবে। যেমন এক ফেসবুক বন্ধু তাঁর কবুতরের চোখে সমস্যা হয়েছিল। কারও উপদেশ না পেয়ে তিনি তাঁর ছেলের চোখ উঠার জন্য যে ঔষধ ব্যাবহার করেছিলেন,তার কবুতরের জন্য সেটাই ব্যাবহার করলেন। আর তাতেই কাজ হল। কারন তিনি তাঁর ছেলের জায়গাই তাঁর কবুতর কে অনুভব করেছিলেন। আর তাঁর ভালবাসা তাকে এই সাধারন জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করেছিল। আর এটাই দরকার সবচেয়ে বেশি।


“সকল প্রাণী ঈশ্বরের একটি পরিবারের মত হয় এবং তার পরিবারের সবচেয়ে যারা দয়াশীল তাদের আল্লাহ্‌ ভালবাসেন.” এটা আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ(সঃ) এর এই হজরত আনাস (রা) দ্বারা বর্ণিত (৩:১৩৯২ বুখারী থেকে উদ্ধৃত)।


আর অসুখ ও বিপদে মাথা ঠাণ্ডা রাখা একটা বড় গুন,আর এই গুন সবায়কে অর্জন করতে হবে। অন্তত চেষ্টা করাতাই অনেক বড় ব্যাপার।


মুহাম্মদ আমিন (রা.) হতে বর্ণিত। হুজুর (সা.) বলেছেন “যে প্রাণীর প্রতি দয়া করে, আল্লাহ্‌ তার প্রতি দয়া করবেন।”


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



কবুতরের সঠিক ভাবে রোগ নির্ণয় ও ঔষধ প্রয়োগ BD Online Pigeon Market

কবুতরের সঠিক ভাবে রোগ নির্ণয় ও ঔষধ প্রয়োগ

Pigeon Discussion, Pigeon Diseases & treatment

শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০১৩

1 pair yellow jecobin ( ringed ) pair for sale


1 pair yellow jecobin ( ringed ) pair for sale BD Online Pigeon Market

1 pair yellow jecobin ( ringed ) pair for sale

Full Fresh NEw Adult Chuina Tanagola pair for sale


Full Fresh NEw Adult Chuina Tanagola pair for sale BD Online Pigeon Market

Full Fresh NEw Adult Chuina Tanagola pair for sale

Polish Lynx Ringed for Sale


Polish Lynx Ringed for Sale BD Online Pigeon Market

Polish Lynx Ringed for Sale

Chuital Madi is Needed


Chuital Madi is Needed BD Online Pigeon Market

Chuital Madi is Needed