Fully Disease Free good quality KHaki NOR BD Online Pigeon Market

হোমিও (Homeopaths) সাধারণত বিশেষ করে একই রোগ বা অভিযোগের জন্য একই সাথে এলোপ্যাথি(allopathic) ঔষধ ব্যবহার করার চিকিৎসা সাস্ত্র্যে অনুমতি দেয় না। এ জন্য যে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ লক্ষণ ও উপসর্গের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয় এবং একটি ঔষধ এর কার্যক্ষমতা এছাড়াও মান, পরিমাণ ও উপসর্গ প্রকৃতির উপর তার প্রভাব দ্বারা গণ্য করা হয়। ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব এবং শেষের দিকে রোগের অগ্রগতি দ্বারা গণ্য করা হয়। allopathic ঔষধ প্রদান রোগের লক্ষণ দ্বারা ছাড়াও রোগ / রোগীর সত্য প্রকৃতি ইত্যাদি বিবেচনা করা হয় , এছাড়াও এর পুনরাবৃত্তি আংশিক প্রতিকার জন্য এবং যখন তাদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কারণে চিকিত্সকের জন্য রোগীর অবস্থার বিচার করে ঔষধ প্রয়োগ করা কঠিন হয়ে যায়।
যদিও একযোগে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের সঙ্গে allopathic ব্যবহারের ব্যাপারে অনেকে এর পিছনে যুক্তি দেখতে পারেন। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বা দুর্ভাগ্যক্রমে কিছু লোক পাখির ক্ষেত্রে উচ্চমানের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাবহারের জন্য পরামর্শ দেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমরাদের বাস্তব সত্য জ্ঞান না থাকার ফলে আমরা আমাদের পাখিকে খুসিমনে এইসব অ্যান্টিবায়োটিক ও হোমিও ঔষধ একযোগে প্রয়োগ করে থাকি। মনে রাখতে হবে যে আমরা আমাদের পায়রাকে শুধুমাত্র একটি স্বল্প সময়ের জন্য নিরাময় করছি না বরং আমরা তা স্থায়ীভাবে নিরাময় ও এর জীবনকাল বৃদ্ধি কিভাবে করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। যেখানে বিশ্বের প্রায় সব দেশের খামারিরা প্রাকৃতিক ঔষধ এর উপর নির্ভর করে সেখানে আমরা এই ধরনের ঔষধ কে নিরুৎসাহিত করি। তাই আপনার খামারে কি ধরনের ঔষধ প্রয়োগ করবেন তা আপনাকেই সিধান্ত নিতে হবে।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
সংক্রামক করিজা কবুতরের একটি জটিল সংক্রামক রোগ। এটি মারাত্মক ছোঁয়াচে/ সংক্রামক রোগ। এটি Homophilus Gallinarum ব্যাকটেরিয়ার জীবাণু থেকে এই রোগ সৃষ্টি হয়। শারীরিক ভাবে দুর্বল বা ২ থেকে ৭ সপ্তাহের বাচ্চা এই রোগে আক্রান্ত হয়। এই রোগের সাথে একচোখ ঠাণ্ডা(one eye coldness)এর সাথে সাদৃশ্য আছে বা এই রোগের প্রাথমিক স্তর কেও বলা যেতে পারে।
কারনঃ
# পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব।
# স্যাঁতস্যাঁতে খামার বা মাচা/বাটি।
# Parasite এর আধিক্য।
# পরিবেশের ধুলা বা শুকনো বিষ্ঠা থেকে সৃষ্ট ধুলা।
# অতিরিক্ত crowded.
# ঔষধের যথেচ্ছ ব্যবহার।
লক্ষনঃ
# প্রথমে নাক থেকে আঠাল ও ঘন হরিদ্রাভ/ সাদা পানির মত নির্গত হয়।
# চোখ থেকে দুর্গন্ধ যুক্ত পানি বের হয়।
# চোখে পিচুটি জমে, এভাবে জমতে জমতে চোখ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
# চোখ ও মাথা গায়ে ঘষতে থাকে বা পা দিয়ে মাথা চুলকাতে থাকে, ফলে চোখে পর লেগে ও গায়ে পিচুটি লেগে নোংরা হয়ে যায়।
# মাথা ও পাখা ঝুলে পড়ে।
# বুকে ঘর ঘর শব্দ করে,নাক প্রায় বন্ধ হয়ে আসে তাই শ্বাস হাঁ করে নিতে থাকে।
# প্রথমে খুদামন্দা ও পরে একেবারেই খাবার বন্ধ করে দেয়।
# বাচ্চার চোখের চারপাশে পুঁজ জমে হলুদ আকার ধারন করে, তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা না নিলে মারা যায়।
প্রতিরোধঃ
# আক্রান্ত কবুতরকে আলাদা করে দিন।
# খামার জীবাণুমুক্ত মুক্ত করুন।
# নিয়মিত খামার ও খাঁচা পরিস্কার করুন।
# আলোবাতাস চলাচলের প্রয়োজনীয় বাবস্থা করুন।
# খামারের জন্য আলাদা স্যান্ডেল,মাস্ক ও গ্লভস ব্যবহার করুন।
# বাইরে থেকে এসে খামারে প্রবেশ থেকে বিরত থাকুন।
# আগন্তক ও অতিথি থেকে খামার নিরাপদ রাখুন।
# মাছি ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ থেকে খামার নিরাপদ রাখুন।
চিকিৎসাঃ
# A-PHENICOL EYE OIENMENT বা BEUFLOX-D EYE DROP দিতে হবে ২ ঘণ্টা পর পর।
# এটি সঙ্গে একবার প্রতিদিন চোখ ফ্লাশ/ওয়াশ করা প্রয়োজন হতে পারে, এক্ষেত্রে BORIC ACID সহায়ক চোখ ফ্লাশ/ওয়াশ হতে পারে। অথবা সবচেয়ে ভাল হয় ঔষধের দোকানে মানুষের চোখ ধোয়ার ঔষধ পাওয়া যায় সেটি ব্যবহার করলে।
# এই রোগের ক্রিয়াশীল তেমন কোন ঔষধ নাই, তবে doxivet 1 grm+emodis ¼ ১০ সিসি করে, দিনে ৩-৪ বার ব্যবহার করলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
# হোমিও Aptimtart 200, ৩ ঘণ্টা পর পর বাবহারে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
# চোখে যদি ছানি পড়ে তাহলে হোমিও Cunium 200, ৩ বার ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে খাওয়াতে হবে।
# এই অবস্থায় একটু হালকা সেঁক দিলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
যেকোনো রোগ থেকে নিরাপদ থাকার অন্যতম শর্ত হল পরিস্কার পরিছন্ন খামার বাবস্থাপনা। আর এর কোন বিকল্প নাই। আপনি যতই ভিটামিন ও সুষম খাবার দেন এই শর্তটি পুরন না করলে, আপনার সব চেষ্টা ও পরিশ্রম বার্থ হয়ে যাবে।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
কবুতরের ভিটামিন জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় জৈব পদার্থ থাকে যা পায়রার শরীরের সঠিক ক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য। আর খনিজ পদার্থ মাটি এবং জল থেকে আসা এবং উদ্ভিদ দ্বারা শোষিত বা প্রাণী দ্বারা খাওয়া হয় যে অজৈব উপাদান। প্রতিটি প্রাণীর শরীরের কিছু খনিজ বৃহত্তর পরিমাণে প্রয়োজন। ভিটামিন ও খনিজ রোগ প্রতিরোধ করে ও এর ক্ষমতা তৈরিতে সাহায্য করে। প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ ভালো, তাই আপনার কবুতর কে নিয়মিত ভিটামিন ও খনিজ এর সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। নীচে ভিটামিন ও খনিজ এর উপকারিতা ও এর ওভাব জনিত সমস্যা নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলঃ
ভিটামিন প্রকারভেদঃ- ভিটামিন দুই গ্রুপ ভাগ করা যায় :
1 – দ্রবণীয়(Liposoluble) যা ক্ষুদ্রান্ত্র শোষিত হয় না। এই দলের A,D,E,এবং K এই সব ভিটামিনের দুইটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য আছে।
ক) শরীরের মধ্যে সংরক্ষিত হয়। খ) feces(তন্ত্রের) মাধ্যমে বের করে দেয় হয়।
2 – জলবাহিত(Hidrosoluble) এই ভিটামিন B1, B2, B3, B6, B10, B12, OO, H,C এবং Choline হয়। ভিটামিন B12 ছাড়া এই সব ভিটামিনের আবার দুইটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য উপস্থিত রয়েছে।
ক) শরীরের মধ্যে সংরক্ষিত হয় না। খ) প্রস্রাব মাধ্যমে প্রক্ষিপ্ত হয়।
• ভিটামিন A=>
- ত্বক ও শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির ও পালোকেড় জন্য ভালো ও উদ্দীপকের কাজ করে।
- হাড় গঠনের জন্য খুব উপকারী।
- দৃষ্টি উন্নত করতে সাহায্য করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- ক্ষিদে না থাকা.
- পালক গঠনে সমস্যা।
- কঙ্কাল মধ্যে অস্বাভাবিকতা।
- দৃষ্টি সমস্যা।
• ভিটামিন B1=>
- স্নায়বিক টিস্যুর সমর্থন কাজ করে।
- পেশী শক্তি উত্পাদন কাজে জড়িত।
- হজম সাহায্য করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- পেশীতে পক্ষাঘাত।
- ক্লান্তির অত্যন্ত দ্রুত সূত্রপাত।
• ভিটামিন B2=>
- বাচ্চার বেড়ে ঊঠা এবং উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
- দৃষ্টি উপকারিতা এবং চোখের ক্লান্তি উপশম করে।
- শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখা এবং হ্যাচিং করতে সাহায্য করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- পাখা ও পায়ের হাড়ের বিকৃত করে এবং পায়ের আঙ্গুল এর পক্ষাঘাত সৃষ্টি করে।
- ডিমে বাচ্চার মৃত্যুর হার বৃদ্ধি করে।
• ভিটামিন B3=>
- খাদ্য শক্তিতে রুপান্তর করতে অপরিহার্য।
- অ্যান্টিবডি সংকলন করে এবং রোগ প্রতিরোধের অবদান রাখে।
- পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হ্রাস পায়।
- ক্লান্তি প্রতিরোধ করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- পালক ঝোড়ে এবং ত্বক সমস্যা সৃষ্টি করে।
- পায়রার বাচ্চ জীবনের প্রথম দিনের মধ্যে খুব দুর্বল ভাবে জন্মগ্রহণ করে এবং মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়।
• ভিটামিন B6=>
- স্নায়বিক রোগ প্রতিরোধ এবং পালক ও ত্বক উন্নত করে।
- প্রোটিন বিপাকে সাহায্য করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- বিলম্বিত বৃদ্ধি।
- স্নায়ু সমস্যা।
- পালক ও ত্বকে সমস্যা হয়।
• ভিটামিন B10=>
- অন্ত্রের প্যারাসাইট এবং খাদ্যে বিষক্রিয়া বিরুদ্ধে রক্ষা করে।
- রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে।
- কার্বোহাইড্রেট বিপাকে সাহায্য করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
-বিলম্বিত বৃদ্ধি।
- রক্তাল্পতা।
- পালক ও ত্বকে সমস্যা হয়।
• ভিটামিন B12=>
- আকৃতি গঠন ও লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
- বৃদ্ধি শক্তি করে।
- তরুণ পায়রা ক্ষুধা ও শাড়ীড়ীক বৃদ্ধিতে সমর্থন করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- বিলম্বিত বৃদ্ধি.
- রক্তাল্পতা।
- ডিমে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়।
• ভিটামিন C=>
- ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
- ইমিউন সিস্টেম এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
- উচ্চ চাপ(STRESS)পরিস্থিতিতে ও প্রতিরোধে বিশেষ পরামর্শ দেওয়া হয়।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- মানসিক চাপ সহ্য করার ক্ষমতা কমে যায়।
- Eggshell ভঙ্গুর হয়।
• Choline =>
- লিভার ফাংশন উৎসাহিত করে।
- হাড় গঠনের সাথে জড়িত।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- নেভিগেশন কমে যাওয়া।
- স্বাভাবিক চেয়ে ছোট আকারের ডিম পারে।
•ভিটামিন D3=>
- অন্ত্র মধ্যে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শোষণ বাড়ে।
- অনুকূল পেশী বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- পায়রার জাত উন্নয়নে সাহায্য করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- রিকেট(Rickets) রোগ হয়।
- তরুণ পায়রা মধ্যে হাড় ও অঙ্গবিকৃতি ঘটে।
- Eggshell ভঙ্গুর হয়।
• ভিটামিন E=>
- উর্বরতা বৃদ্ধি তে উৎসাহিত করে।
- পেশী এবং স্নায়ুতন্ত্রের মসৃণ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
- ক্লান্তি দূর করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- উর্বরতা হ্রাস পায়.
- খারাপ ডিম পাড়া।
• ভিটামিন K=>
- এটা রক্তজমাট সাহায্য করে।
- হাড় জমাটকরণ এ অবদান রাখে।
- রক্ত আমাশয় প্রতিরোধ করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- স্বতঃস্ফূর্ত রক্ত প্রবাহিত করতে সাহায্য করে।
- গায়ে ও পালকের নীচে কালশিরা পড়ে।
• ক্যালসিয়াম=>
- শক্তিশালী পেশী ও হাড় গঠনে উপকারিতা।
- নার্ভ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
- রক্ত রক্তজমাট ও স্বাভাবিক হৃত্স্পন্দন জন্য প্রয়োজন।
- রক্তে কলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- হাড় বিকলাঙ্গতা
- হৃদয় বুক ধড়ফড় বা অস্বাভাবিক হৃদয় rhythms ;
- উচ্চতর কলেস্টেরলের মাত্রা।
- দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি ও গুরুতর ক্ষুধার অভাব,
- আঙ্গুল বেঁকে যাওয়া।
- অসাড়তা জন্মাতে পারে যে অত্যধিক নার্ভ কার্যকলাপ হতে পারে।
• ক্লোরাইড =>
- কোষের মধ্যে ভারসাম্য এবং শরীরে তরল এর পরিমান বজাই রাখে।
- পুষ্টির হজম এবং শোষণ জন্য অত্যাবশ্যক যে পেট দ্বারা নিঃসৃত পাচকরস এর
কম্পোনেন্ট হিসাবে কাজ করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- পেশীর দুর্বলতা।
- ঝিমুনি ও পানিশূন্যতা হতে পারে।
• ক্রোমিয়াম=>
- এটা প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট বিপাক এবং ইনসুলিন এর কাজ করে।
- রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে।
- ডিএনএ, কোষে জিনগত উপাদান নির্মাণ প্রয়োজন হয়।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- ইনসুলিন প্রতিরোধের বা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের ও গ্লুকোজ অসহিষ্ণুতা ।
• কপার=>
- বিশোষণ, পরিবহন এবং লোহা ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন।
- হিমোগ্লোবিন এবং লোহিত গঠনের জন্য প্রয়োজন।
- ত্বক নমনীয় কিন্তু শক্ত রাখে ও পালকের উন্নতি করে।
- পেশী অন্যান্য শরীরের টিস্যু গঠনে সমর্থন করে, এবং রোগ নিরাময় জন্য গুরুত্বপূর্ণ
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- হাড় উন্নয়নে বাধা বা অস্বাভাবিকতা।
- ঘন ঘন সংক্রমণ হতে পারে ।
- ত্বক বা পালকের রঙ ক্ষতিকরে।
• ফ্লোরাইড=>
- ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী।
- সুস্থ হাড় বজায় রাখে ও হাড় শক্তিশালী এবং হাড় ভাঙা প্রতিরোধ করায় সাহায্য করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- ভঙ্গুর বা দুর্বল হাড়।
- ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বাড়ে।
• আয়োডিন=>
- থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিক ক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য।
- সেল বিপাক প্রয়োজন এবং খাদ্য কে শক্তিকে রূপান্তর করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- শ্বাসপ্রশ্বাসে অসুবিধা ।
- ঘনঘন ঠান্ডা, ক্লান্তি বা দুর্বলতা ইত্যাদি
• লোহা=>
- শরীরের সব অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে, যে লাল রক্ত কোষে হিমোগ্লোবিন
উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
- স্বাস্থ্যকর ইমিউন সিস্টেম এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- লোহা-অভাবজনিত রক্তাল্পতা, শক্তির অভাব, দ্রুত হৃত্স্পন্দন, শ্বাসকষ্ট, অন্তর্ভুক্ত। -
- বিষক্রিয়া ঝুঁকি বেড়ে যায়।
• ম্যাগনেসিয়াম=>
-ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, সাথে সুস্থ হাড় ও দাঁতের গঠন একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
- কার্বোহাইড্রেট বিপাকের জন্য অত্যাবশ্যক।
- শক্তি উত্পাদনে ভূমিকা পালন করে।
- নিউরো-পেশীবহুল সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- পেশী দুর্বলতা, টাল, খিচুনি দেখা দিতে পারে।
- ক্ষুধামান্দ্য হতে পারে।
• ম্যাঙ্গানিজ=>
- শক্তি উত্পাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- ভিটামিন B1-(থায়ামাইন), biotin, choline, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, এবং ভিটামিন ই এর মত অন্যান্য পুষ্টি সদ্ব্যবহার করে।
- ক্ষত নিরাময় জন্য প্রয়োজন।
- একটি সুস্থ প্রজনন সিস্টেমের জন্য আবশ্যক।
- সুস্থ স্নায়ু রক্ষণাবেক্ষণ করে।
- সঠিক লোহা বিপাক জন্য অপরিহার্য ।
- বি কমপ্লেক্স ভিটামিন সাথে একযোগে কাজ করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- লোহা-অভাবজনিত রক্তাল্পতা।
- অত্যধিক হাড়ের ক্ষয় ।
- ত্রুটিপূর্ণ প্রজনন ।
- পক্ষাঘাত, হাড়ের বৃদ্ধি বা কঙ্কাল অস্বাভাবিকতা বা বৈকল্য ঘটে।
• MOLYBDENUM =>
- স্বাভাবিক কোষ ফাংশন উৎসাহিত করে।
- (ভিটামিন B2) সঙ্গে কাজ করে ।
- শরীরের নাইট্রোজেন ব্যবহারে করতে সক্ষম।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- শ্বাস বা হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি।
- রাত কানা রোগ।
- বয়স্ক male এর মধ্যে যৌন শক্তিহীনতা।
• ফসফরাস=>
- সুস্থ হাড় গঠন ক্যালসিয়াম সঙ্গে কাজ করে।
- কোষ এবং টিস্যু বৃদ্ধি এবং মেরামতের জন্য প্রয়োজন।
- শক্তি বহন শরীরের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
- শক্তি উত্পাদন ও শর্করা বিপাকে প্রয়োজন।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- পাখা ও পায়ের মধ্যে অসাড়তা ।
- সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রবণতা।
- ক্লান্তি বা পেশী দুর্বলতা ।
- রক্তাল্পতা, ক্ষুধা এবং ওজন পরিবর্তন ক্ষতি।
• পটাসিয়াম=>
- স্বাভাবিক শরীর বৃদ্ধি এবং পেশী-বিল্ডিং জন্য প্রয়োজন ।
- অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে প্রোটিন সংশ্লেষণ জড়িত।
- কার্বোহাইড্রেট বিপাক এবং সঞ্চয় করার জন্য প্রয়োজন।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- সঞ্চিত গ্লাইকোজেন কমে যাওয়ার কারণে ক্লান্তি; পেশী দুর্বলতা পেশী সংকোচন, পক্ষাঘাত ইত্যাদি হতে পারে ।
- শ্বাস বা দরিদ্র ফুসফুসের ফাংশন ক্ষুদ্রতা, এবং এমনকি গুরুতর ক্ষেত্রে ফুসফুসের পক্ষাঘাতও হতে পারে।
• সেলেনিয়াম=>
- বিশেষ করে ভিটামিন ই সঙ্গে একযোগে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে।
- ক্ষতিগ্রস্ত কোষের ডিএনএ মেরামতের করে।
- ভারী ধাতু বিষাক্ত প্রভাব বিরুদ্ধে শরীরের রক্ষা করে।
- ইমিউন সিস্টেম boosting দ্বারা ভাইরাস অগ্রগতি মন্থর করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- চাপ ও অসুস্থতা থেকে প্রবণতা দুর্বল ইমিউন সিস্টেম।
- ঠান্ডা, ঝিমানো, ওজন বৃদ্ধি, ভারী কুসুম, শুষ্ক ত্বক lethargy, ক্লান্তি ইত্যাদি।
• সোডিয়াম =>
- পেশী সংকোচন এবং নার্ভ সম্প্রচার নিয়ন্ত্রণ জন্য অত্যাবশ্যক ।
- পানি এবং শরীরের তরল সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- পেট ফাংশন এর জন্য প্রয়োজন।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- Dehydration, দুর্বলতা বা ঝিমানো।
• দস্তা =>
- শরীরের ইমিউন সিস্টেমের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য দস্তা অপরিহার্য ।
- কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন বিপাক জড়িত।
- কোষ বিভাজন এবং জেনেটিক কোষের ডিএনএ সংশ্লেষ নিয়ন্ত্রণ করে।
- ভ্রূণের স্বাভাবিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন।
- প্রজনন স্বাস্থ্য ও শুক্রাণু পূর্ণতা জন্য প্রয়োজন।
- স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য,প্রোটিন সংশ্লেষণ এবং কোলাজেন গঠনের জন্য প্রয়োজন।
- কাংকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধ করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
- নিউমোনিয়া ও অন্যান্য সংক্রমণের প্রবণতা।
- ধীর ক্ষত নিরাময়।
- অক্ষুধা; ওজন হ্রাস, ডায়রিয়া জনিত সমস্যা সৃষ্টি করে।
আপনি যদি আপনার খামারের প্রয়োজন অনুপাতে প্রতিমাসে নিয়মিত ভিটামিন ও খনিজ(minarels) এর সরবরাহ নিশ্চিত করেন, আশা করা যায় যে আপনার খামার অনেক অনাখাংকিত সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকবে।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
রোগ পরিচিতি
কবুতরের রক্ত আমাশয়
Coccidiosis coccidian সংক্রমণ দ্বারা সৃষ্ট রোগ কবুতরের একটি মারাত্মক ও ছোঁয়াচে রোগ । এক ধরনের এককোষী প্রাণী দ্বারা সৃষ্ট পরজীবীয় রোগ যা প্রাণীর আন্ত্রিকে বিস্তার লাভ করে। এই রোগের জীবাণূ একটা আবরণে ঢাকা থাকে। ঐ অবস্থাকে বলা হয় UCHIT, মলের সংগে এটি মাটিতে পড়ে । মাটিতে তাপ আর জলীয় আবহাওয়ায় চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পেকে ঊঠে। খাবার ও জলের মাধ্যমে এই জীবাণূ পাটে যায়। ফলে ভাল কবুতরও সংক্রমিত হয়। সাধারণত বর্ষাই এই রোগ বেশী হয়। এটি রোগ সংক্রামিত হয় টিস্যু যা খাবাররের মাধমে এক প্রাণী থেকে অন্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক পর্যায়ে ডায়রিয়া,হালকা সবুজ এবং গুরুতর ক্ষেত্রে রক্ত যেতে পারে।. Coccidia আক্রান্ত অধিকাংশ প্রাণী অনেক সময় কোন লক্ষণ দেখা যায় না। যাইহোক, তরুণ বা ইমিউন-সংকটাপন্ন প্রাণীর মৃত্যু সহ গুরুতর শারীরিক সমস্যাই ভুগতে পারে। stress, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং পানি অথবা অপরিস্কার খামারই এর প্রধান কারণ। 2 সপ্তাহ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত এই রোগ বেশি হয়,তবে বয়স্ক কবুতরের ও হতে পারে। এই সময় অন্ত্র ফুলে গিয়ে রক্তে ভরে যায়। আর তাই পায়খানার সাথে রক্ত পড়ে। সাধারণত এই রোগে সঠিক সময় চিকিৎসা না দিলে পাখী মারা যায়। রোগে মৃত্যুর হার ৯০% ভাগ।
কবুতরের Coccidiosisঃ
Coccidiosis প্রজনন কারণে খাওয়ানোর দ্বারা দূষিত Aviary বা খাঁচা মেঝে, সাম্প্রদায়িক জল সরবরাহ বা এক কবুতর থেকে অন্য কবুতরে পায়খানার মাধমে ছড়ায় ।
উপসর্গ/লক্ষণ :
• খাবারের সম্পূরক সহায়তায়র পরও অত্যধিক ওজন হ্রাস।
• Diarrhoea অথবা অধিক উজ্জ্বল সবুজ বা রঙ হলুদ, যা ফোঁটা ফোঁটা করে. (Watery)
রক্ত সহ বা ছাড়া
• Diarrhoea
• পালক ও শারীরিক অবস্থা নোংরা হতে পারে।
• পাখা ঝুলে যাওয়া ।
• ক্ষুধামান্দ্য
• এক জায়গায় ঝিমানো।
• শারীরিক ভারসাম্যহীনতা ও দাঁড়াতে অক্ষম।
• Dehydration।
• দ্রুত মৃত্যু।
ট্রান্সমিশন বা সংক্রমণ:
coccidia এর সংক্রামক পর্যায়ে মুল কিছু কারণ থাকে যেমন দূষিত পানির উৎস, অন্যান্য প্রাণী, কীটপতঙ্গ এবং মানুষের সংস্পর্শ , অপরিষ্কার পাত্র ও সরঞ্জাম মাধ্যমে ইত্যাদি। অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ক পাখির প্যারাসাইট থেকে অসুস্থটা বিকশিত হয়। বয়স্ক কবুতর যারা আগেও আক্রান্ত হয়েছিলো তারা পুনরায় আক্রান্ত হতে পারে কোনো ক্লিনিকাল লক্ষণ ছাড়াই । এসব ক্ষেত্রে নতুন/YOUNG কবুতর এদের কারণে সংক্রামিত হতে পারে। আক্রান্ত কবুতর বা পাখি কে অবশ্যই আলাদা করে ফেলতে হবে।
প্রতিরোধ:
• Aviary বা খাঁচার ঘন ঘন পরিস্কার।
• নিশ্চিত না হাওয়া পর্যন্ত নতুন বা YOUNG কবুতরের সঙ্গরোধ।
• নিয়মিত মল coccidia জন্য পরীক্ষা করতে হবে
• বায়ুচলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
• আর্দ্রতা রাখতে হবে।
• বিশুদ্ধ খাবার ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
• ইঁদুর বা এই ধরণের প্রাণী নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
• তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
• কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বিশেষ করে মাছি।
• ঠাসাঠাসি করে কবুতর রাখা যাবেনা ।
• খাঁচা বা কবুতর সরানো বা নাড়াচাড়ার আগে খাঁচার উপর আবরণ দিতে হবে।
• জীবাণু বিরোধী স্প্রে করতে হবে।
ঔষধ:
১) Doxivet (Doxicyciline)+ AMODIS (Human) ১ গ্রাম + ½ Amodis+১ গ্রাম স্যালাইন ৩০ মীলীঃ/ সি সি পানিতে মীক্স করে ১০ সি সি করে হাতে ধরে খাওয়াতে হবে দিনে ৩ বার।
২) হোমিও Acid Fos 200 ২ ফোটা করে ৫/৭ বার দিনে অল্প একটু পানির সাথে খাওয়াতে হবে।
৩) PAICHISH(হামদারদ) ১/২ ট্যাবলেট করে দিনে ২ বার। এটা সহায়ক হিসাবে দিতে হবে।
৪) নিয়মিত তরল খাবার যেমন আটা গুলা,সাবু বার্লি বা চালের স্যালাইনে দিতে হবে। শক্ত খাবার না দিয়াই ভাল কারন বমি হতে পারে। (খাবার ধরে খাওয়াতে হবে।)
৫) হালকা গরম পানি সরবরাহ করতে হবে।
সব সময় খেয়াল রাখতে হবে, যে কবুতর যে পড়ে থাকা খাবার না খাই, আর এটা তখনি নিশ্চিত করা সম্ভব যখন আপনি আপনার খামার পরিস্কার রাখবেন। খেয়াল রাখতে হবে যেন আক্রান্ত কবুতর প্রয়োজনীয় আদ্রতা পায়,কারন লিভারের ১২০ ফা বা ৪৯ সেলঃ এই রোগের জীবাণু মারা যায়(তাই বলে আবার গরম কিছু খাওয়ানো ঠিক হবে না)। প্রতিরোধ থেকে প্রতিকার ভাল, তাই আমাদের আগে প্রতিরোধের বাবস্থা নিতে হবে আগে।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
Test Post from BD Online Pigeon Market http://pigeon.bdfort.com
A huge oporajita nor quick sale on BD Online Pigeon Market
http://pigeon.bdfort.com/ads/a-huge-oporajita-nor-quick-sale
American Almond Lakkah for sale on BD Online Pigeon Market
http://pigeon.bdfort.com/ads/american-almond-lakkah-for-sale
Lal sulli running pair for sell on BD Online Pigeon Market
http://pigeon.bdfort.com/ads/lal-sulli-running-pair-for-sell
1 Baby sartin for sale on BD Online Pigeon Market
http://pigeon.bdfort.com/ads/1-baby-sartin-for-sale
1 pair white saxon Pouter breeding pair for sell on BD Online Pigeon Market
http://pigeon.bdfort.com/ads/1-pair-white-saxon-pouter-breeding-pair-for-sell
For sale Chila Female on BD Online Pigeon Market
http://pigeon.bdfort.com/wp-content/uploads/2013/07/For-sale-Chila-Female-500x375.jpg
Impoted Red barless Shawllow for sale on BD Online Pigeon Market
http://pigeon.bdfort.com/wp-content/uploads/2013/07/Impoted-Red-barless-Shawllow-for-sell-500x375.jpg
কবুতরের দুর্বল পা বা পক্ষাঘাত & উইং পক্ষাঘাত একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ (Salmonellosis / Paratyphoid বা PMV-1 (Paramyxovirus সংক্রমণ) দ্বারা সৃষ্ট হয়। আরেকটি কারণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর অভাব, এটা কোন অঙ্গ আক্রান্ত হয়েছে তার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। এটি ছোট পায়রার মৃত্যুহার খুবই বেশি । Salmonellae বিশেষ ফর্ম দ্রুত খাদ্য সংক্রমনে মাধমে বেঁচে থাকে যা পাখির অন্ত্রে সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত অন্ত্রের দেয়াল এর মাধ্যমে তারা রক্তধারায় সহজেই মিশে যায়। সেখান থেকে রক্ত পুরো শরীর জুড়ে রোগ বহন করে। রোগ সংক্রমণকারী জীবাণু স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে ফলে অন্ত্রে বেদনাদায়ক প্রদাহ হতে পারে। পায়রা জয়েন্টগুলোতে মধ্যে ফুলে যায়, এই জয়েন্টগুলোতে তরল বৃদ্ধি পায় ও পরে সংকলন দ্বারা ক্ষীণভাবে এর প্রদাহ হয়। পায়রার দ্বারা নিজেই জয়েন্টগুলোতে মুখ দিয়ে ব্যথা উপশমের বার্থ চেষ্টা করে। সাধারণত রোধ পৌছায় না এমন ক্ষেত্রে এই ঘটনা বেশি হয়।
প্রকারভেদ :
Marek ডিজিজ – প্রধানত বয়স ১৬ সপ্তাহ পাখির মধ্যে বেশি দেখা যায়। বর্ষা ও শীতে এই রোগের প্রকপ বেশি।
উপসর্গ: পা অথবা পাখা পক্ষাঘাত, উচ্চ মৃত্যুহার, আন্তরয়ন্ত্রীয়(নাড়ি অঙ্গ উপর) টিউমার। শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা এবং ঘাড় (stargazing) এর মোচড়ের কম্পন, পা এবং পাখা পক্ষাঘাত বা বেঁকে যাওয়া 1 বা 2 দিনের মধ্যে দেখা দেয় । বয়স্ক পাখিদের ৪ থেকে ৬ দিন পর কিছু শ্বাসযন্ত্রের পীড়া হয় এবং পক্ষাঘাতের কারনে উত্পাদন(ব্রিডিং) ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এই সব নিউক্যাসল(রানীক্ষেত রোগ) এর উপসর্গও হতে পারে।
চিকিত্সা:
Nuro B অথবা Nurobion ইনজেকশন … প্রথমে এটি বমি উপসর্গ হতে পারে কিন্তু পরে তা ঠিক হয়ে যাবে , তাই এটি সকালে খালিপেটে প্রয়োগ করা ভাল। ইনসুলিন সিরিঞ্জ , 1/3 সিসি ৬/৭ দিন বুকের নরম জায়গা দিতে হবে। এছাড়াও ভিটামিন Sancanl P অথবা Cal D এর সঙ্গে Calcaria Curb-30 (হোমিও) or Cal. Phos. 12X (বাইও কেমিক), দিতে ২/৩ বার করে দিতে হবে অল্প একটু পানির সাথে।
সব সময় একটা কথা মনে রাখতে হবে যে Calcium এর সাথে ভিটামিন D যোগ করে দিতে হবে, তা না হলে Calcium ঠিকমত শরীরে শোষিত হবে না, ফলে উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
ক্যাঙ্কার হল কবুতরের সবচেয়ে ব্যাপক সাধারণ রোগ। এটা আণুবীক্ষণিক প্রটোজোয়াটিক জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট খুবই বেদনাদায়ক ও সংক্রমিত রোগ। সাধারণত পানীয় জলের মাধ্যমে বা বাচ্চা খাওয়ানো ইত্তাদির মাধ্যমে সংক্রামিত হতে পারে। যদি তাড়াতাড়ি চিকিৎসা না করা হয় তাহলে নির্ঘাত মৃত্যু। যদিও অনেকে মনে করে থাকেন যে এটা বর্ষার রোগ কিন্তু কথাটা সঠিক নয়। এই রোগ যেকোনো সময় হতে পারে। অভিজ্ঞ জন বলে থাকেন যে ভিজা nest bowl এই রোগের অন্যতম কারন হতে পারে।
লক্ষণসমূহ:
• খাবার বার বার ঠোঁটে নেয় কিন্তু গিলতে পারেনা যা অন্যতম একটি চিহ্ন হতে পারে।
• সংক্রমিত কবুতর কার্যকলাপ কমিয়ে দেয়।
• গলা এবং ঠোঁটের মধ্যে হলুদ ও সাদা আস্তরন দেখা যায়।
• পাখা ঝুলে যাওয়া।
• পানির তৃষ্ণা বেড়ে যায় এবং ডায়রিয়া।
• খাবারে অনীহা।
• ওজন হ্রাস এবং দুর্বলতা
• পাখি উড়তে অনিচ্ছুক।
• রোগের উন্নত পর্যায়ে(ADVANCE STAGE) আঁশাল শ্লৈষ্মিক এবং নিকৃষ্ট রকমের গন্ধ মুখের মধ্যে সনাক্ত করা হয়
• ইয়াং পাখি সবচেয়ে বেশী সংক্রমিত হয়।
প্রতিরোধ:
• পায়রার lofts পরিষ্কার এবং শুষ্ক রাখুন।
• পরিষ্কার ফুটানো পানি এবং ফাঙ্গাস মুক্ত খাদ্য দিন।
• খামার থেকে পায়রা আলাদা করুন।
• জীবাণুমুক্ত স্প্রে করুন।
• নিয়মিত ভিটামিন সি ও লাল চা ক্যাঙ্কার প্রতিরোধে ভাল ভুমিকা রাখে।
চিকিৎসা:
১) প্রভাবিত এলাকার উপর MYCON ORAL GEL দিনে 2/3 বার লাগাতে হবে। (কখনও লাগানর জন্য তুলা বা (cotton bar) ব্যবহার করবেন না।
২) Riboflabin ট্যাব 2 টা দিনে ২ বার গুড়া করে খাওয়াতে হবে ।
৩) Liquid খাদ্য যেমনঃ বার্লি,আটা গুলিয়ে খাওয়াতে হবে, ১০ সিসি করে, নিয়মিত সালিনে দিতে হবে। তবে অতিরিক্ত খাওয়ানো যাবে না।
৪) প্রতিদিন Alo Vera প্রতিদিন ১ বার দিলে ভাল।
৫) হোমিও Acid Nit 30 তিন ফোটা অল্প জল দিয়ে মিশ্রণ করে ৩/৪ বার প্রদান করুন।
অথবা
৬) DEXATAB+Tetracycline+Milk of Magnesia+Flazil (human) মিক্স করে খওয়াতে পারেন অধিক হলে। অথবা
৭) ESP Mix (Vet) দিতে পারেন যা পশুপাখির জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি।
ঔষধ প্রক্রিয়া কমপক্ষে ৫/৭ দিন চালিয়ে যাওয়া উচিত যতক্ষণ না পাখি নিজে খাদ্য গ্রহণ শুরু করে। এভাবে চিকিৎসা করলে আশা করা যায় কবুতর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
দেশে ও বিদেশে এমন কোন খামারী নাই যিনি কবুতরের ডিম ভেঙ্গে ফেলার অভিজ্ঞতা দেখেননি। কম বেশী সব খামাড়ীকেই এই ধরণের খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আর আগুনে ঘী ঢালার মতো হয় যদি ডিম ইচ্ছে করে ভেঙ্গে এবং তা খেয়ে ফেলে……! কবুতরের কেন ডিম ভাঙ্গে ও খায়? অনেক বড় বড় খামাড়ী এর কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বা হয়ত জানেন কিন্তু কারো সংগে এই অভিজ্ঞতা ভাগ করতে চান না। সে যাই হোক। এক্ষেত্রে অনেকে ভাগ্য কে দোষ দেন, অনেকে কবুতর কে দোষ দেন ইত্যাদি। আর এসব বলে নিজের মনকে এক ধরণের সান্ত্বনা দিবার একটা অপচেষ্টা করা হয়। কিন্তু আসলে এর কারন যদি অনুসন্ধান করি তাহলে আমরা আমাদের কেই বেশী দোষারোপ করতে পারি।
এখন আসুন আমরা একটু সংক্ষেপে জেনেনেয় এর মূল কারণঃ
# কবুতর জোড়া যখন নতুন ডিম পাড়ার সময় হয় তখন স্বভাবতই একটু উত্তেজিত ও নার্ভাস থাকে। আর এই সময় তারা লাফালাফী করে ডিম ভেঙ্গে ফেলে।
# পর্যাপ্ত জায়গার অভাব, অসমান বাটী, বাটীতে প্রয়োজনীয় উপাদান (খর কুটা) বা নরম কিছু না দেওয়া।
# যখন একই বাটি না ধুয়ে অনেকের জন্য ব্যবহার করলে।
# কাঁক বা অন্য পাখী বা এর মাধ্যমে বিরক্ত হলে।
# পর্যাপ্ত ও সুষম খাবার সরবরাহ না করা।
# নিয়মিত গ্রিট না দেওয়া।
# ভিটামিন, ক্যালসিয়াম বা প্রয়োজনীয় খনিজ এর অভাব হলে।
# অতিরিক্ত আলো (ডিমে বসা অবস্থায় বেশি আলো হলে তারা অসুবিদা বোধ করে) ।
# লবনের অভাব হলে। নর ও মাদী মারামারি করে ডিমে বসার জন্য আর এটা করতে তারা ডিম ভেঙ্গে ফেলে।
# খামারে বা এর কাছে জোরে শব্দ করলে।
# খামারে বেশী গাদাগাদি করে কবুতর রাখলে।
# বারবার ডিম ধরলে অথবা কবুতর কে ডিম থেকে ঊঠালে।
# অনেক সময় বাচ্চা ফুটার পর ডিমের খোসা না সরালে কবুতর খোসা খেয়ে ফেলে,আড় এ থেকেও ডিম খাওয়ার অভ্যাস হতে পারে।
সাধারণত ভাঙা ডিম নিয়মিত অভ্যাস হলে তারা মাঝে মধ্যে তা থেকে স্বাদ নেয়ার চেষ্টা করে, আর এটা ক্রমাগত হতে থাকলে, তারা ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে ঊঠে। আর একবার এই অভ্যাস হলে তা কাটানো খুবই কঠিন । এজন্য নীচের কিছু কাজ আপনাকে হইত কিছুটা হলেও সাহায্য করবেঃ
১# ডিম ভাঙ্গার যতগুলো কারণ আছে তা দূর করতে হবে।
২# ভাঙ্গা ডিম তাড়াতাড়ি বাটী থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।
৩# যে জোড়া ডিম খাবার অভ্যাস আছে তার কাছ থেকে ডিম সরিয়ে প্লাস্টিক ডিম দিতে হবে (উপরের ছবি)। যাতে তাতে ঠোকর দিলেও তা না ভাঙ্গে এতে ওদের অভ্যাস বদলাবে।
৪# নিয়মিত অ্যামিনো এসিড,ক্যালসিয়াম ও খনিজ সরবরাহ করতে হবে।
৫# নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা।
৬# প্রয়োজন হলে একটা ডিম ভেঙ্গে তাতে গোল্মোড়ীশ মীক্স করে দিতে হোভে যাতে তারা খাবার সময় তার স্বাদ তা খারাপ লাগে তাহলে সে পরে সে আর ডিম খেটে চাইবে না।
৭# ডিম পাড়ার জায়গাটা একটু অন্ধকার রাখতে হবে যাতে ডিম ভাঙ্গার সুযোগ না পায়।
৮# ভালো বাটী সরবরাহ করা ও ডিম পাড়ার আগে তা দিতে হবে যাতে খাঁচার ভিতর ডিম মেঝেতে পাড়ার সুযোগ না পায়।
৯# এছাড়াও নিয়মিত জীবাণূ বিরোধী ওষধ ছীটাণো যাতে খামারে ডিমের গন্ধ না থাকে, কারণ যাদের ডিম খওয়ার অভ্যাস যাদের থাকে তারা ডিমের গন্ধ পেলে পাগোল হয়ে যায়।
উপরোক্ত ব্যবস্থা গূলো ঠিকমতো গ্রহণ করলে আশা করা যায়, আপনার প্রিয় কবুতরের এই ডিম নষ্ট করার অভ্যাস থেকে আপনি তাকে মুক্ত করতে সফল হবেন। তবে তার আগে অবশ্যই আপনাকেও একটু সচেতন হতে হবে।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
পানিশূন্যতা (Dehydration) পাখির দ্রুততম মৃত্যুর অন্যতম একটি কারন। এই সমস্যা তাড়াতাড়ি সমাধান করা কঠিন এবং পাখি যদি খুব বেশি সময় এই অবস্থাই থাকে তাহলে আরও সুস্থ করে তোলা কঠিন হয়ে যায়। পানি ছাড়া সূর্যের আলোর মধ্যে কয়েক ঘন্টা থাকা মানে কবুতরের নিশ্চিত মৃত্যু। সম্ভাব্য সর্বোত্তম সমাধান খুব মূল্যবান যদি রক্তের মধ্যে জলের dehydration এড়ানো হয়।
আসুন দেখি কিভাবে এই রোগটাকে সহজে প্রতিরোধ করা যায় ।
আপনি dehydration প্রতিরোধে কয়েকটি সহজ ধাপ গ্রহণ করে শুরু করতে পারেন।
সবসময় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে। আপনি যখন আপনার খামারে আসেন তখন আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল পানির পাত্রটিকে নিয়মিত পরিষ্কার করে জলপূর্ণ করা। গরম আবহাওয়ায় বেশ কয়েকবার এরূপ জল ভর্তি করা প্রয়োজন, এবং এটা করতে যদি আপনার সময় না থাকে তবে অধিক পানি ধারণকারী পাত্র ক্রয় করে অথবা একটি অতিরিক্ত পাত্র যোগ করতে হবে । এভাবে আপনি নিজেকে কবুতরের বীয়োগ বিষাদ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন।
পানি এমন স্থান এ রাখুন যেখান থেকে কবুতর সহজে পানি পান করতে পারে। পানি একটু উচ্চতাই রাখুন তা না হলে পানিতে পায়খানা করতে পারে। আর তা হলে আপনাকে জলদি পানি পরিবর্তন করতে হবে। পানি এমন স্থান এ রাখতে হবে যেন পা বা ডাণা লেগে পাত্রটি ঊল্টে না যায়।
-বিশেষভাবে পাখির জন্য তৈরি ইলেক্ট্রোলাইট / ভিটামিন প্যাকেট (প্যাকেট নির্দেশ অনুসরণ করুন) ব্যাবহার করা যেতে পারে।
-লিটার প্রতি দুই চামচ (অথবা আরও বেশি বা কম প্রয়োজন উপর নির্ভর করে) হারে পানীয় জল এর সাথে গ্লুকোজ মিশিয়ে দিতে পারেন।
-যদি জল সম্ভব Aloe-Vera জেল 1 পাতা 1 লিটার (জলের সঙ্গে জেল এর মিশ্রণ). এটি একটি ভাল ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সম্পূরক হিসাবে কাজ করে ও dehydration থেকে আপনার পাখিকে রক্ষা করবে, যা প্রকৃতি থেকে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
-ভিটামিন C দিতে হবে, নিয়মিত বিশেষ করে এই গরমে।
- গোসল করাতে হবে, যাতে পানিশূন্যতা কিছুটা উন্নতি হয়।
Dehydration এর লক্ষণসমূহ :
- dehydration পাখা দুপাশে ঝুলে যাওয়া আর এটাই হল প্রথম সতর্কবার্তা ।
মুখের পাতা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া সবসময় dehydration নির্দেশ করেনা মনে রাখবেন, এটা আপনার পাখি অসুস্থ অর্থ হতে পারে। আপনি উপসর্গের আরও পরীক্ষার মাধ্যমে অসুস্থতা বা dehydration থেকে আলাদা করতে পারেন।
-শ্বাস প্রশ্বাস ভারী হয়ে ওঠে।
-পাখি ডায়রিয়া দেখা দিবে।
- যদি আপনি আস্তে পেছনে চামড়া ধরে টানেন তাহলে অনেক ঢিলা মনে হবে।
-অল্পদিন ডায়রিয়া পরে, পাখির ঝিমানি, নড়বড়ে বা এমনকি সম্পূর্ণভাবে uncreative পরিণত হবে।
-যদি dehydration বেশি হয় তাহলে পাখির খিঁচুনি হতে পারে।
এ ব্যপারে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কিছুদিন পরেই মৃত্যু হয়।
সুসংবাদ হল, যদি ঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া যায় তাহলে অনেক পাখি এই অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠে এবং ধীরে ধীরে তাদের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ফিরে পায়।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই