বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৩

Bumblefoot বা পাখির পায়ে ক্ষত

Bumblefoot বা পায়ে ক্ষত প্রায় সব প্রজাতির পাখি ও কবুতরের মধ্যে দেখা দেয়।

খাঁচায় বন্দী বা Aviary পাখি বা ভুলভাবে পালন এর ফলাফল এটা হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভীষণ মোটা, নিষ্ক্রিয় ,অথবা পুষ্টিহীন পাখি (নির্দিষ্ট পুষ্টির একটি বাড়তি বা ঘাটতির কারনে) এই রোগ চিহ্নিত হয়। সাধারণত তত্ত্বাবধায়ক দ্বারা প্রথম উপসর্গ খেয়াল করতে হবে যে, পা বা পায়ের আঙ্গুল ও খোঁড়ায় হাটা এছাড়াও পায়ের মধ্যে জয়েন্টগুলোতে ফোলা হয়।


কারণ:


Bumblefoot বা পায়ে ক্ষত সাধারণত staphylococcus ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত হয়।

সাধারণত উচ্চতা বা খারাপ খামার ব্যবস্থাপনা অপর্যাপ্ত বিশ্রাম বা পুনরাবৃত্তিমূলক, ভারী landings থেকে ঘটমান পাদদেশ বা পায়ের প্যাডে কাটা(যা পরে বিষ্ঠার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হয়), scrape বা আঘাতের কারণেও হতে পারে। সাধারণ কারণ ভিটামিন A এর অভাবে হয়। Bumblefoot সময়মত চিকিত্সা না করলে এর হাড় ও tendons এ সংক্রমণের মাধ্যমে মৃত্যু ঘটাতে পারে।


এছাড়াও


সংকটাপন্ন ইমিউন ফাংশন।

একটি বিপাকীয় ব্যাধি (যেমন ভিটামিন, খনিজ পদার্থ বা প্রোটিন হিসাবে নির্দিষ্ট পুষ্টি, দেহমধ্যে সজীব উত্পাদনের রাসায়নিক পরিবর্তন সমস্যা) ।

ইউরিক অ্যাসিড এর আধিক্য।

রিং পরান বা রিং থেকে আঘত।

রোগের সংক্রমণ ইত্যাদি।


Bumblefoot 2


লক্ষণ:


Bumblefoot সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলো limping বা খোঁড়া হাটা অন্তর্ভুক্ত। পায়ের পাদদেশ প্যাড পরিদর্শন, লালভাব প্রকাশ, হালকা ভাবে ফোলা এবং কালশিটা ভাব থাকে।

প্রথম দিকে পিঙ্ক কড়া প্রদর্শিত হবে এবং পায়ের নীচে এই জোরে ঘযা দিয়া ছাল ছড়িয়া নেত্তয়া মত শক্ত বোধ হবে। আর সাধারণত উভয় পায়ে এর প্রভাব ফেলে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্ষত তৈরি হবে। প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে সুরাহা না হলে তৃতীয় পর্যায়ে অনুপ্রবেশ হতে পারে। নীল বা কালো হয়ে পচে যাবার মত হবে। পাদদেশ এবং পায়ের আঙ্গুল এবং স্থায়ী পা বা পায়ের ক্ষতি গুরুতর বিকৃতি দেখা দিবে। পাখি ব্যথা এবং অস্বস্তি অনুভব করে। তারা তাদের অস্বস্তি উপশম করতে পা উপরে উঠিয়ে রাখবে।


প্রতিরোধ:


# নিয়মিত পাদদেশ পরিদর্শন করা বাঞ্ছনীয়।

# খাঁচা পরস্কার রাখা। diseases

# সুষম খাদ্য সরবরাহ।

# কেটে গেলে বা ফোড়ার মত কিছু হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করা।

# খাঁচার খোঁচা অংশ গুলো সমান করা। পায়ের লোম কেটে কেটে ছোট করা।

# নিয়মিত ভিটামিন A দিতে হবে।


চিকিত্সা:


১) ক্ষত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

২) পটাস/পভিসেফ/ডেটল হালকা গরম পানিতে মিক্স করে পা ভেজান বা ধুতে হবে।

৩) হোমিও Calendula 30+ Echinacea 30+ Hypericum 200 দিতে হবে ১ ফোটা করে দিনে ৩ বার ৫/৬ দিন।

৪) প্রভাবিত পাদদেশ Oracin K +Saline ১ গ্রাম/সিসি করে মিক্স করে দিনে ৩ বার দিতে হবে। (কবুতরের হোমিও চিকিৎসা দিলে এই অ্যান্টিবায়টিক চিকিৎসার দরকার হবে না।)


এই রোগের ক্ষেত্রে নিয়মিত খেয়াল রাখতে হবে। যাতে সংক্রমণ বেশি না হয়। অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করা উচিৎ।


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



Bumblefoot বা পাখির পায়ে ক্ষত BD Online Pigeon Market

Bumblefoot বা পাখির পায়ে ক্ষত

Pigeon Diseases & treatment

রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৩

Ghia chulli for sale


Ghia chulli for sale BD Online Pigeon Market

Ghia chulli for sale

Khaki Nor For Sale


Khaki Nor For Sale BD Online Pigeon Market

Khaki Nor For Sale

Chuya condon baby pair for sale


Chuya condon baby pair for sale BD Online Pigeon Market

Chuya condon baby pair for sale

100% fresh pure chuina adult pair for sale


100% fresh pure chuina adult pair for sale BD Online Pigeon Market

100% fresh pure chuina adult pair for sale

Chocolate lokkha Urgent Sale


Chocolate lokkha Urgent Sale BD Online Pigeon Market

Chocolate lokkha Urgent Sale

Indian Krishna running pair for sale

Indian Krishna running pair for sale. Big size, long leg muff

Vaccinated and disease free

Interested buyers please contact with me.



Indian Krishna running pair for sale BD Online Pigeon Market

Indian Krishna running pair for sale

কবুতরের ডেপথিরিয়া (Diphtheria)

কবুতরের ডেপথিরিয়া একটি মারাত্মক প্রকৃতির রোগ। আক্রান্ত পাখিদের দেহ হতে সুস্থপাখিদের মধ্যে আক্রমন করে ও একটার পর একটা সংক্রমিত হতে থাকে। এই রোগের মুখ্য কারন হিসাবে Micrococci নামক ব্যাকটেরিয়া ঘটিত জীবাণুকে দায়ী করা হয়। ইহারা ডাল পালার মত দ্রুত বিস্তার লাভ করে এবং শেষ পর্যায়ে হৃত্পিণ্ড ,যকৃত ,ফুসফুস ইত্যাদি আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এটি ধুলো, পানি ও বায়ুর মাধমেও ছড়াতে পারে। এই রোগে মৃত্যুর হার খুব বেশি। অনেক সময় আরোগ্য লাভের পরও হৃত্পিণ্ড এর অস্বাভাবিক দুর্বলতা হেতু ও পর্যাপ্ত যত্নের অভাবে মারা যায়। এইজন্য রোগ মুক্তির পরও একটু খেয়াল রাখতে হয়। এই রোগে খুব দ্রুত চিকিৎসা না দিলে মারা যায়। এই রোগে মৃত্যুর হার ৯০ ভাগ।


কারনঃ


সাধারণত নোংরা খাবার ও পানির পাত্র, বেড়াল ও ইঁদুর বা তেলেপোকার খাবারে মুখ দিলে বা কামড়ান বা এর লোম পেটে গেলে ইত্যাদি এই রোগ হতে পারে। ধুলো, পানি ও বায়ুর মাধমেও ছড়াতে পারে।


Diphtheria 1


লক্ষণঃ


# এই রোগের প্রথম লক্ষণ হিসাবে দেহে অতিরিক্ত তাপমাত্রা দেখা যায়।

# বিষ্ঠা হালকা সবুজ,বা সাদা বা সাধারন রং এর হতে পারে।

# নাক ও মুখ দিয়ে পানি পড়া ।

# শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

# পাখি খুব দুর্বল হয়ে পড়ে।

# আংশিক পা বা পাখা পক্ষাঘাত

# ধীরে ধীরে কাশি শুরু হয়(যদিও অনেকে এটা ঠাণ্ডা বলে ভুল করে থাকে।)

# মুখে ও জিব্বায় সাদা জিল্লির মত দেখা যায়, মাঝে মাঝে লম্বা সুতার মত মুখের ভিতর দেখা যায়, তাই অনেকে কৃমি বলে মনে করে থাকে। (অনেকে এটা কাংকার বলেও ভুল করে থাকে।)

# মুখে দুর্গন্ধ থাকে এবং পরে পানি ও অভুক্ত খাবার সহ দুর্গন্ধ যুক্ত বমি নাক মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে।

# পেশী দুর্বলতা ও চোখ সংক্রমণ হয়।

# অনেক সময় গলা ফুলে টনসিল এর মত হয় কিন্তু তন্সিলের মত গতা বিচি মত হয় না।(অনেকে এটা টনসিল বলে ভুল করে থাকে।)

# খাবার গিলতে খুব কষ্ট হয় তাই খাবার মুখে নিয়ে ফেলে দেয়।

# পাখি লোম ফুলিয়ে এক জাগায় বসে থাকে।

# অনেক সময় কাশির সাথে রক্তু পড়তে পারে।

# শেষ পর্যায়ে ঘাড় শক্ত হয়ে যায় ও প্রচণ্ড কাশি ও সর্দির লক্ষণ দেখা যায়।

# মুখের সাদা পর্দা দেখা যায় এবং এটা তুললে কাচা ঘা দেখা যায়।

# এই রোগের পরবত্তি পর্যায়ে কাশির প্রভাব বেড়ে যায় তাই অনেকে দেখে ঘুংরি কাশি বলেও ভুল করে থাকে ও সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করে থাকে যা পাখির জন্য প্রানহানিকর হয়।


প্রতিরোধঃ


# নিয়মিত খাবার ও পানির পাত্র ডেটল পানি দিয়ে ধুতে হবে।

# খামার পুরিস্কার রাখতে হবে।

# পোকামাকড়,ইঁদুর ও বিড়াল কে আটকাতে হবে যাতে খামারে প্রবেশ না করে।

# বাইরের স্যান্ডেল পরিহার করতে হবে।

# নিয়মিত জীবাণু মুক্ত স্প্রে বা চুন অথবা বরিক পাওডার ছিটাতে হবে।

# টিনের খাবার পাত্র জং ধরে গেলে বাদ দিতে হবে।


চিকিৎসাঃ


# ডিপথিরিনাম ২০০ হোমিও দিনে ২/৩ বার ব্যাবহার করতে হবে অল্প একটু গরম পানির সাথে।

# ঠাণ্ডা পানি দেওয়া যাবে না।

# Orasin K ১ সিসি করে দিনে ৩ বার দিতে হবে ১ গ্রাম স্যালাইন পানির সাথে।

# নিয়মিত বারলি,সাগু বা আটা গুলিয়ে ৫ সিসি করে দিনে ৩ বার দিতে হবে।(তবে ঔষধ দিবে পরে এবং হালকা গরম পানির সাথে।

# রোগ ভাল হবার পরও নিয়মিত স্যালাইনে, ভিটামিন দিতে হবে।


পরিশেষে বলা যায় যে এই রোগ গ্রীষ্ম ও বর্ষা বেশি দেখা, তবে যদি নিয়মিত প্রতিরোধ ব্যাবস্থা গরে তোলা যায় তাহলেই ভাল, কারন রোগ নির্ণয় ও পরবর্তী চিকিৎসা ও যত্ন অনেকেই হয়তো ঠিকমত নাও করতে পারেন। ফলস্বরূপ আপনার কবুতরের অনাখাঙ্কিত মৃত্যু।


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



কবুতরের ডেপথিরিয়া (Diphtheria) BD Online Pigeon Market

কবুতরের ডেপথিরিয়া (Diphtheria)

Pigeon Diseases & treatment

আমার পছন্দের কবুতর ।

আমি সব ধরনের কবুতরই পছন্দ করি তাদের নিরিহ স্বভাবের কারনে। কিন্তু তাদের মধ্যে বিশেষ কিছু জাত আছে যে গুলো আমার পছন্দের কবুতর আর এগুলো পালতেও সুবিধা। তাদের মধ্যে প্রথমে লক্ষ্যার নাম আগে আসে, এর পর সিরাজি, বিউটি হমার, হমার স্ত্রেসার ইত্যাদি। পোর্টার আমার পছন্দের তালিকাই ছিল, কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে আজ এই কবুতরের জাত একেবারেই হযবরল।


বিউটি হমার


বিউটি হমার


পোর্টার


পোর্টার


এক সময় আমি বাচ্চা পোর্টার ২৫ হাজার টাকাতেও কিনতে পারি নাই, কারন সেই সময় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ছিল এর দাম এবং সেই সাইজ ও ছিল একেকটা দেখার মত। কিন্তু দিন যতই গেল, দেখলাম এর জাত একবারই তলানিতে এসে ঠেকেছে। কারন কি? কিছুই না … আমরা একটু বেশি বুঝে ফেলেছিলাম, বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে… আর কিছু বিক্রেতারা কারসাজিতে এর জাত এর কোন জুত নাই। আজকাল ৫-১০ হাজার টাকায় পোর্টার পাওয়া যায়। কিছুদিন আগে হেনা পোর্টার যেখানে ৭০-৮০ হাজার ছিল, সেদিন হাটে একজন বিক্রি করছেন ১২ হাজার টাকা দিয়ে। আর তাই যাদের কাছে ভাল জাত আছে তারা আর ব্রীড করাচ্ছেন না। কেন করবেন…তাদের ত আর কবুতর বিক্রি করে খেতে হয় না। কিন্তু এর ফলাফল কি…?


সার্টইন


সার্টইন


পছন্দের তালিকায় সার্টইন ব্রিডিং জোড়া ৪ থেকে ৫ হাজার ছিল, কিন্তু আজ বাচ্চা জোড়া বিক্রি হচ্ছে, ১৪ থেকে ১৫ হাজার। আসলেই কি এর এরকম দাম হওয়া উচিৎ? তাহলে এত দাম হবার কারন কি? তবে কি এখানেও শেয়ার বাজারের মত কোন চক্র কাজ করছে ? যাদের মুল উদ্দেশ্য টাকা বানানো ভাল জাতপাতের কোন খেয়াল তারা করে না, কি যাই আসে জাত ভাল হল না খারাপ হলে টা দেখে, পকেট ভরলেই ত হল! আর তাই ভাল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা এই ক্ষেত্রে সফল হচ্ছি না, এখনও নিয়মিত বাংলাদেশের বাইরে কবুতর আনা হচ্ছে। আর আমরা সবাই তাতে ঝাপিয়ে পড়ছি অথচ আমরা জানিই না যে বাইরে থেকে আনা ব্রীড থেকে ভাল বাচ্চা নিতে হলে কমপক্ষে ৩ প্রজন্ম অপেক্ষা করতে হয়, যদিও বাতিক্রম হয় না যে তা না। আমরা যদি আর কিছু জাতের দিকে নজর দিই তাহলে খেয়াল করব যে, সেগুলোর অবস্থাও সেই সার্টইন এর মতই, যা তার দাম না তার থেকেও বেশি দামের বাজার তৈরি করা হয়েছে।


তাদের মধ্যে
জ্যাকবিন


জ্যাকবিন


FAV PGN 5


বুখারা


কিং


কিং


অন্যতম । হইত অনেকেই এর পেছনে যুক্তি বা কারন খুজবেন। কিন্তু যত কারন থাকুক না কেন ক্রেতা যদি না থাকে তাহলে লাভ কি? অনেক বড় বড় ব্রিডাররা আছেন যারা হাটে কম দামে তাদের কবুতর বিক্রি করতে পছন্দ করেন কিন্তু অনলাইনে কবুতর বিক্রি করেন না। তাদের ভিসন হল, যে নেটে যদি কম দামে বিক্রি করা হয় তাহলে বাজার নষ্ট হয়ে যাবে, আরে ভাই বাজার ত আগেই থেকেই এই রকম নতুন করে আর কি করার আছে। এখন শুধু এই খাতটি ধুকে ধুকে বেঁচে থাকার মত অবস্থা। বাজারের এই অবস্থা দেখে অনেকেই নতুন কবুতর কিনতে ভয় পান, আর এতে করে নতুন ক্রেতা আর তৈরি হচ্ছে না। আমার পরিচিত বেশ কিছুজন কবুতর পালা থেকে সরে এসেছেন অনেক দুঃখে কষ্টে। আর যারা আছেন তারা ঢাকার বাইরে থেকে কবুতর কিনেন। যা হাওয়া উচিৎ ছিল না।


সুতরাং সবার কাছে অনুরধ থাকবে যে এই খাত নিয়ে একটু চিন্তা করুন, তা না হলে সামনে অশনি বিপদসংকেত অপেক্ষা করছে।


লিখেছেন : সোহেল রাবি ভাই



আমার পছন্দের কবুতর । BD Online Pigeon Market

আমার পছন্দের কবুতর ।

Pigeon Discussion

শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৩

কিভাবে নর ও মাদি কবুতর চিনবেন ?

কিভাবে নর ও মাদি কবুতর চিনবেন ?


আমার এক পরিচিত আমাকে একদিন জানালেন যে তার একজোড়া কবুতর ৪ টা ডিম দিয়েছে এবং তিনি নিশ্চিত করে বললেন যে এটা নর আর মাদি, আমি তাকে বুঝানর পরও তিনি তর্ক করলেন, আমি আর কিছু বললাম না, কিছুদিন পর তিনি বুঝতে পারলেন যে আসলে দুটাই মাদি। আসলে এটা উনার কোন দোষ নাই । আবার অনেক ক্ষেত্রে যখন বেশি মারামারি করে তখন বুঝা যাই যে দুটি নর। কারন অনেক ক্ষেত্রেই এই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়। সৌখিন কবুতরের ক্ষেত্রে এটা খুবই কঠিন নর ও মাদি আলাদা করা এবং অনেক অভিজ্ঞ সদস্যদেরও অনেক সময় বোকা হয়ে যান আর এটা সবসময় সহজ নয়। আর সেটা যদি বাচ্চা হয় তাহলে ত কথাই নাই, কাজটি তখন কঠিনতর হয়ে যায়। আজ পর্যন্ত যদিও এ ব্যাপারে কোন সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া হয় নি, ফলে অনেক কিছুই প্রাইয় অজানাই রয়ে গেছে। অনেক সময় দুইটা মাদি ঠিক নর মাদির মতই বৈশিষ্ট্য স্বভাব দেখা গেলেও অনেক পরে বুঝা যাই যে আসলে দুটাই মাদি, কিন্তু এর মাজে অনেক মূল্যবান সময় পার হয়ে যায়। আসুন আজ আমি আপনাদের জন্য কিছু তথ্য দিয়ে সাহায্যকারী হতে পারি কিনা।


পুরুষ ও মেয়ে কবুতরের কিছু শারীরিক ও স্বভাবগত কিছু বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য আছে সেগুলো হলঃ


ক) শারীরিক বৈশিষ্ট্যঃ

============


১) অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ কবুতর আকারে বড় হয় বিশেষ করে তার মাথা ও চ্যাপ্টা হয়।

মেয়ে কবুতরের শরীর তুলনামূলক ছোট, বিশেষ করে তার মাথা ছোট ও লম্বা হয়।


২) চোখ একটি মুরগি এর হিসাবে বৃত্তাকার হয় না কিন্তু মেয়ে কবুতরের বৃত্তাকার হয়।


৩) পুরুষ কবুতরের পা ও এর আঙ্গুল সমান ও মসৃণ হয় না, কিন্তু মেয়ে কবুতরের পা অর এর আঙ্গুল প্রায় সমান ও মসৃণ হয়।


nor madi 3


৪) উভয় হাতে কবুতর ধরুন (মধ্য লাইন থেকে বুক বরারর নিচে হাত চালায় তাহলে হাড় শেষে একটি স্পেস আছে, তারপর বরাবর একটি আঙ্গুল দিয়ে দেখলে 2 ছোট পাতলা হাড় পাবেন “v” এর মত, তারা একসঙ্গে আসা যেখানে মধ্যে একটি ছোট আঙুল বা তার বেশি ফিট করতে পারে, তাহলে এটি মেয়ে কবুতর যেখানে ডিম পাস হয়। আর যদি ১ বা -২ মিলি ফাক থাকে তাহলে পুরুষ কবুতর। অনেকে পুরুষ বা মাদি পরীক্ষা করার জন্য আঙ্গুল পায়খানার পথে দেন, কিন্তু বিশেষ ভাবে খেয়েল রাখবেন কখনও এটা করবেন না।এতে জরায়ু বা ভিতরে সংক্রমণ হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।)


৫) পুরুষ কবুতরের মাথা / ঘার ও দেহ একটু মতা একটু লম্বা ও ঘন ও সবল হয়। আর সাধারণত মাদীর মাথা / ঘার ও দেহ কাছাকাছি আরো মেয়েলি বা সূক্ষ্ম হয়।


৬) হ্যাচিং পরে ১ থেকে ৩ দিন পর যদি আপনি বাচ্চাকে অধিষ্ঠিত করে এর পায়খানা নির্গমনের(vent hole) পথের দিকে খেয়াল করেন তাহলে পুরুষ কবুতরের একটু চ্যাপ্টা বা smile এর মত দেখবেন আর মেয়ে কবুতরের সোজা বা গোল দেখবেন।


৭) পুরুষ কবুতরের গলার রগ মোটা হয় আর মেয়ে কবুতরের তুলনা মূলক ভাবে একটু পাতলা।


৮) পুরুষ কবুতরের ঠোঁট ধরে হালকা করে টান দিলে শে ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা করে, আর মেয়ে কবুতর সাধারণত চুপ করে থাকে বা কোন চেষ্টা করে না।


খ) স্বভাবগত বৈশিষ্ট্যঃ

============

৯) পুরুষ কবুতরের লেজ ও শরীর ময়লা থাকে কিন্তু মেয়ে কবুতরের শরীর তুলনামূলক পরিষ্কার থাকে। পুরুষ কবুতরের ডাক খুব ঘন ও জোরে হয়, অপরদিকে মেয়ে কবুতরের ডাক থেমে থেমে ও আস্তে ডাকে।


nor madi 2


১০) পুরুষ কবুতর হুমকি দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে একটি প্রয়াস চালানোর চেষ্টা করে বা মাদীকে চার্জ করবে বা সাধারণত তার মনোযোগ পেতে হালকা ঠোকর চেহারা নেয় এবং আঘাত করে যদিও এটি ইচ্ছাকৃত ঠোকর নয়। পুরুষ কবুতর গলা ফুলীয়ে একজাগা থেকে লেজ নামিয়ে মাদিকে আক্রমন করে আর মাদি মাখা নাড়িয়ে মাথা উপর নিচ করে এক জাইগাই থাকে।


১১) পুরুষ কবুতর পুরো ঠোঁট ডুবিয়ে পানি পান করে, যেখানে মাদি কবুতর অল্প বা অর্ধেক ঠোঁট ডুবিয়ে পানি পান করে।


১২) পুরুষ কবুতর মেয়ে কবুতরের থেকে বেশি আক্রমনাত্মক হয়। যদিও অনেক ক্ষেত্রে এর বাতিক্রম দেখা যায়। যদিও ডাকের কম্পন দুই জনের সমান হয় না।


১৩) পুরুষ কবুতর সূর্য দুবার আগে বেশি অস্থির থাকে, বিশেষ করে, আর মাদি কবুতর শান্ত থাকে।


১৪) পুরুষ কবুতর কবুতর সূর্য উঠার পর নেস্ত এ অবস্থান নেয়,আর মাদি সারারাত বাসায় বসে থাকে।


১৫) ব্রিডিং এর আগে নর কবুতর মাদির পায়ের কাছে বসে এক ধরনের শব্দ করে, যদিও এ সব গৌণ বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে পড়ে।


১৬) মাদি কবুতর নর কবুতরের মুকে ঘাড়ে ও গলাই ঠোঁট দিয়ে গ্রুমিং করে দেয়। আর মেটিং এর আগে ঠোঁট দিয়ে খওয়ায়ে দেই।


আশা করি এর মাধ্যমে অনেকের অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূর হবে ও অনেক অনাখাঙ্কিত পরিস্থিতি থেকে বাঁচা যাবে।


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



কিভাবে নর ও মাদি কবুতর চিনবেন ? BD Online Pigeon Market

কিভাবে নর ও মাদি কবুতর চিনবেন ?

Pigeon Discussion

শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৩

কবুতরের / পাখির ডিম আটকানোর (Egg binding ) কারন ও চিকিৎসা

ডিমের আটকানো (Egg binding ) মেয়ে কবুতরের/পাখির অন্যতম সমস্যা। ডিম পাড়ার সময় এটি cloaca কাছাকাছি এসে অথবা আরও ভিতরে পাস করতে পারেনি প্রজনন নালির মধ্যে আটকে থাকতে পারে। এটি একটি সাধারণ এবং সম্ভাব্য গুরুতর অবস্থা নির্দেশ করে। ডিমের আটকানো (Egg binding ) সাধারণত তরুণ মেয়ে পাখির হয় বেশি যদিও ক্রনিক ডিম পাড়ার এই অগণ্য স্বাস্থ্য সমস্যা ফলে ক্যালসিয়াম ঘাটতি ও পুষ্টির ফলে হয়, যা hypocalcaemia হিসাবে পরিচিত। এর ফলে জরায়ুর পেশীগুলো দুর্বল হয়ে যায়,যে কারনে জরায়ুর ভিতর ডিম ধাক্কা দিতে অক্ষম হয়। এটা অত্যধিক ডিম পাড়ার কারনেও হতে পারে।


ডিমের আটকানোর (Egg binding ) কারনে যে সব লক্ষণ ও উপসর্গ প্রদর্শিত হতে পারে মধ্যে নীচে কয়েকটি তালিকা দেওয়া হল:


• উদর জোরে টানাটানি।

• দ্রুত বা জড়তাপূর্ণ শ্বাস বা শ্বাস সমস্যা।

• পিছনে ফোলা ভাব।

• কোষ্ঠকাঠিন্য ভাব।

• উইংস ঝুঁকিয়া পড়া ।

• পালকে তালগোল পাকান ।

• প্রশস্ত ভঙ্গিমা ।

• ফোলান তলপেট ।

• নৈমিত্তিক আকস্মিক মৃত্যু।

• পুচ্ছ/লেজ নড়ান বা নামিয়ে রাখা।

• ডিপ্রেশন.

• খাঁচার মেঝেতে বসা।

• পা অবস বা পক্ষাঘাত। (যদিও অন্য কারনেও পা অবস বা পক্ষাঘাত হতে পারে।)


dim atakano 2


কারণ:


১) কম ক্যালসিয়াম স্তর বা Hypocalcaemia সিন্ড্রোম।


২) অপুষ্টি।


৩) ছোট খাঁচা বা বেশি ডিমে তা বা ডিম পাড়া অথবা বেশি বাচ্চা পালন।


৪) অসুস্থ এবং বৃদ্ধ পাখি।


৫) সঙ্গি বিহীন একা পাখি।


৬) বড় আকার ডিম।


৭) বিশেষ কিছু রোগের সংক্রমণ।


৮) অন্য কবুতর দ্বারা বিরক্ত থেকে।


৯) জরায়ুর সংক্রমণ ।


১০) জরায়ুর টিউমার ।


dim atakano 3


প্রতিরোধ:


ক) ভবিষ্যতে স্বাভাবিক ডিম পাড়ার বাবস্থা জোরদার এবং ডিমের আটকানো (Egg binding ) প্রতিরোধে উচ্চ ক্যালোরি, উচ্চ ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার প্রদান করতে হবে।


খ) ঘনঘন ডিম পাড়ার থেকে আপনার পাখিকে নিরুত্সাহিত / বন্ধ করতে পারেন।


গ) সম্ভব পাখির সাইট অপসারণ নীড় তৈরি উপাদান


ঘ) loft এলাকায় উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করবেন না।(বিশেষ করে ডিম পাড়া ও তা দেবার সময়।)


ঙ) বর্ণালী আলো প্রদান।


চ) আপনার পাখি মধ্যে প্রজনন আচরণ নিরুত্সাহিত করা। প্রয়োজন হলে “সঙ্গী” থেকে পৃথক করা।


ছ) খাঁচার অভ্যন্তর পুনরায় সজ্জিত এবং খাঁচা অবস্থান পরিবর্তন করা।


জ) ব্রিডিং জোড়া কে নিয়মিত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দিতে হবে। বিশেষ করে ডিম পাড়ার সম্ভাবনার সময়।


সতর্কতা:


নিজের আঙ্গুল বা চাপ দিয়ে ডিম বের করার চেষ্টা করবেন না, এটা আপনার পায়রার গুরুতর বা স্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। নালীর ভিতর সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ টিস্যুর সংক্রমণ বা ক্ষতি হতে পারে। বা ভিতরে ডিম ভেঙ্গে স্থায়ী সংক্রমণ হতে পারে। যা তৎক্ষণাৎ চিকিত্সা না করে ছেড়ে যাওয়া হলে – মৃত্যুও হতে পারে।


চিকিত্সা:


• হোমিও Pulsatilla mother, ৩ ফোটা অল্প একটু পানির সাথে ২ ঘণ্টা পর পর দিতে হবে।


• মেয়ে কবুতর কে হালকা একটু (পরিশ্রান্ত) করার ব্যাবস্থা করতে হবে।


• সন্দেহভাজন ডিমের আটকানোর (Egg binding )ক্ষেত্রে মেয়ে পাখিকে একটি উষ্ণ এলাকায় রাখুন এবং প্রয়োজনীয় সহায়ক যত্ন প্রদান করুন।


• বাথরুম এর ভিতর বা কোন রুমে একটি বাষ্পীয় রুম এর মত ব্যাবস্থা করতে হবে এবং তার মধ্যে পাখি রাখুন, 85-90 ডিগ্রী ফারেনহাইট / আর্দ্রতা: 60% তাপমাত্রা ভাল, অথবা গরম পানিতে ভিজান গামছা/তোয়ালে দিয়ে একটু সেঁকের মত ব্যাবস্থা করুন ।


• উষ্ণ জল স্নান করানোর ব্যাবস্থা করতে হবে ।


• তেল দিয়ে পেছনের এলাকায় পেশী ম্যাসেজ করতে হবে, মেসেজিং করার সময় খুব সাবধান কারন জোরে হলে ডিম ভিতরে ভঙ্গ হতে পারে যা জীবন নাশক হতে পারে।


• পেছনে পিচ্ছিলকারক পদার্থ হালকা করে দিয়া যেতে পারে এটি ভাল সহায়ক হতে পারে।


• ডিমের সফল পাসিং এর জন্য স্যালাইনে পানি খাওয়ানোর বাবস্থা করতে হবে এবং অন্য কবুতর থেকে আলাদা করতে হবে ও শান্ত রাখতে হবে।


সাধারণত ১ ও ২ নো চিকিৎসাতেই এ থেকে পরিত্রান পওয়া যায়। তারপর একটু বেশি সতর্কতা হিসাবে একটু বিশেষ যত্ন নিলে অনেক অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি থেকে বাচা যাবে। উপরক্ত সব ব্যাবস্থা একসঙ্গে নিয়ার দরকার নাই, যেকোনো দু একটা করলেই হয়।


(আপনি বা আপনার পাখি অন্য কোন অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হলে, একটি যোগ্যতাসম্পন্ন পশুচিকিত্সক সাথে যোগাযোগ করুন। একজন পশুচিকিত্সক সঠিকভাবে আপনার পোষা জন্তুর এর সমস্যা নির্ণয় করতে পারবেন, এবং একটি দ্রুত পুনরুদ্ধারের রাস্তা বলে দিবেন। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন কথা শুনে আপনার কবুতরের প্রাণনাশের কারন হবেন না, কথাটা দয়া করে একটু মনে রাখবেন।)


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



কবুতরের / পাখির ডিম আটকানোর (Egg binding ) কারন ও চিকিৎসা BD Online Pigeon Market

কবুতরের / পাখির ডিম আটকানোর (Egg binding ) কারন ও চিকিৎসা

Pigeon Diseases & treatment

আপনি কি সত্যিই প্রকৃত ও খাঁটি কবুতর পালক?

গতকাল আমার কাছে এক ভাই জানতে চাইলেন যে, তার একটা কিং কবুতর ৪/৫ দিন ধরে ভীষণ অসুস্থ,সাদা সাদা পায়খানা করছে ও কিছু খাচ্ছেনা। উনি প্রথমে একদিন renamycin দিয়েছিলেন, কিন্তু তাতে কাজ না হাওয়াই doxivet দিয়েছিলেন,তাতেও কাজ না হাওয়াই আরেকটি অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহার করেছিলেন, পঞ্চম দিনে তিনি আরেকজনের কথামত ciprocin ব্যাবহার করার আগে,কোনভাবে তিনি আমাকে ফোন করেছিলেন। সবকথা শুনে হতাশ ও ইস্তম্বিত হলাম। কি বলব ভাষা হারিয়ে ফেললাম। কিং কবুতর বলে বা হইত হায়াত জোরে ৫ দিন বেচে ছিল, কিন্তু অন্য কবুতর হলে এই ধরনের ঘটনা আর রোগে এতদিন বাঁচার কথা না। যদি রোগ নাও হত তারপরও ৫ দিন পানি ও খাবার না খাওয়ার জন্য যে কোন সুস্থ কবুতরও ৫ দিনে পানি শূন্যতা ও পুষ্টির অভাবে এমনিতেই মারা যেত। যাহোক, তাকে সব কথা জানিয়ে প্রথমে নাক্স ভূম ৩০(হমিও) ৩ ফোঁটা দিতে বললাম, তারপর oracin k দিতে বললাম, যেহেতু তিনি অনেক উঁচু রেঞ্জের অ্যান্টিবায়টিক গুলো ব্যাবহার করেছিলেন, তাই তার রেষটা কাটানোর জন্য প্রথমটা ও তারই প্রায় সমমানের অ্যান্টিবায়টিক দিয়েছিলাম। তিনি শুধু অ্যান্টিবায়টিক টাই ব্যাবহার করেছিলেন তিনি। আর ফলাফল যা হবার তাই হল! রাতে তিনি আবার ফোন করে দুঃসংবাদটা জানালেন! শুনে খুব দুঃখ পেলাম, এই দুঃখের ভিতর তিনি কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত যোগ করলেন যে, এই সাথে আরও ২ টা লক্ষা মারা গেছে একই দিনে, ব্যাপারটা আমাকে শক করল!কেন? জিজ্ঞাস করলাম এবং পুরো ইতিহাস শুনে জানলাম যে, তিনি সাত তলায় কবুতর পালেন ২ বছর ধরে, আর সাত তলায় উঠা নামা কষ্টকর বলে তিনি সকালে একবার খাবার ও পানি দেন। কারন হিসাবে তিনি জানালেন যে, তিনি সময় পান না। ইত্যাদি ইত্যাদি। কথাটা কোন মতেই গ্রহন করতে পারলাম না। আমার সাধারনত কখনও ঘুমের সমস্যা হয় না, কিন্তু এই ঘটনা শুনার পর মাঝ রাত পর্যন্ত ঘুমাতে পারলাম না। তাই বসে এই ঘটনাটা সবার সাথে শেয়ার করার জন্য লিখতে বসলাম। এটা তো ছিল বিছিন্ন একটা ঘটনা মাত্র বা সাধারন কেস স্টাডিও বলতে পারেন, এরকম হাজারও ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। যদি কারো মধ্যে বিন্দুমাত্র ভালবাসা বা মায়া থাকে তাহলে কখনও এ ধরনের কাজ করতে পারতেন না। এটা যদি একটা কবুতর না হয়ে নিজের বা আপন জনের ক্ষেত্রে হত তাহলে কি সেক্ষেত্রেও এ রকম করতেন? এখানে একটু বলে রাখা ভাল, অনেকে কবুতর পালেন শখে, কেও ব্যাবসার চিন্তা থেকে, কেও লোক দেখান আবার কেও বা নামের জন্য যে, আমার এত জোড়া দামি কবুতর আছে! কিন্তু কারন যায় হোক না কেন, একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন যে, আপনার কারনে যদি কোন প্রাণী মারা যায় বা অসুস্থ হয় বা কোন অসুবিধাই পড়ে তাহলে আপনি যত বড়ই পীর আওলিয়া হন বা সাধু সন্ন্যাসী হন, যতই নামাজ কালাম পড়েন আর যতই ঈশ্বর কে ডাকেন, নিশ্চিত করে বলতে পারি, আপনার কোন কিছুই কোন কাজে আসবে না। ছোট বেলায় পড়েছিলাম,”জীবে দয়া করে যে জন, সে জন সেবিছে ঈশ্বরে।” তাই দুটা হাত জড় করে বলছি,দুটা পায়ে ধরে বলছি। যদি ঠিকমত পালতে না পারেন, তাহলে কাওকে দিয়ে দেন বা ছেড়ে দেন বা বিক্রি করে দেন। কিন্তু কোন প্রাণী কেই অনর্থক কষ্ট দিবেন না অনুগ্রহ করে ।


আরেকটি ঘটনা মনে পড়ছে যা আপনাদের সাথে আবারও ভাগ করতে চাই, কিছু দিন আগে একভাই জানালেন যে তার কবুতরের চোখে পানি পড়ছিল আর পেচুটি জমছিল, কাওকে না পেয়ে,তিনি তার বাচ্চার জন্য ব্যাবহার করা চোখ উঠার মলম লাগিয়ে দিয়ে উপকার পেয়েছেন। শুনে মনটা অসামান্য খুশিতে ভরে গেল। আরে এটাই ত দরকার, এরাই ত তারা যারা তাদের প্রাণীকে তাদের আপনজনের মত ভালবাসে। আর এরাই ত প্রকৃত ও খাঁটি কবুতর প্রেমী ও পালক। আমাদের এই খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য এই ধরনের লোকই ত বেশি দরকার। হোক না তাদের ১ বা ২ জোড়া কবুতর, তাতে কি যেখানে ভালবাসা আছে সেখানে ত সাফল্য আসবেই আসবে। আর এই ১ বা ২ জোড়াই ত একদিন ১০০ বা ২০০ জোড়া হবে তাতে কোনই সন্দেহ নাই। কবুতর ব্রিডার তাকে বলে না যার ৫০০ জোড়া আছে, কিন্তু যত্নের অভাবে রোগে শোকে প্রতিমাসে ৫ জোড়া করে মারা যাই, প্রকৃত ব্রিডার তারাই যারা ৫ জোড়া কবুতরকেই সফল ভাবে পালে। আসুন আমরা সকলেই দোয়া করি যেন, আমারা সকলেই প্রকৃত ও খাঁটি কবুতর পালক হতে পারি।(আমিন।)


(এই লিখা কাওকে ব্যাক্তিগত আক্রমন বা ছোট করার মন মানসিকতা থেকে না,বরং সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও উৎসাহিত করাই এর মুল উদ্দেশ্য। তারপরও যদি কার মনে নিজের অজান্তে কষ্ট দিয়ে থাকি তবে অনুগ্রহ করে ক্ষমা করে দিবেন।)


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



আপনি কি সত্যিই প্রকৃত ও খাঁটি কবুতর পালক? BD Online Pigeon Market

আপনি কি সত্যিই প্রকৃত ও খাঁটি কবুতর পালক?

Pigeon Diseases & treatment

রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৩

এই বর্ষায় সবার জন্য একটি বিশেষ অনুরোধ

বর্ষা ও শীতে কমবেশি সব কবুতরই সাধারন কিছু সমস্যায় ভুগে, এই রোগগুলো খুবই স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক। কিন্তু অধিকাংশ খামারই এতে বেশি ঘাবড়ে যায়, আর এখানেই যত বিপত্তি ঘটে। খামারই রা ঘাবড়ে গিয়ে নানা জনের নানা পরামর্শ নিয়ে, বিভিন্ন ধরনের ঔষধ প্রয়োগ করে থাকেন। আর এতে কবুতরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। যেমনঃ এক খামারি কবুতরের সাধারন পাতলা পায়খানার জন্য একজন উপদেশ দেন (Doxivet,Filmet,Sk Mox) এবং যথারীতি সেই খামাড়ী এই ঔষধ গুলো প্রয়োগ করেন, যখন কোন উপকার না পেয়ে আবার আর একজন কে জিজ্ঞাসা করে সে আবার আরেক ধরণের ঔষধ এর পরামর্শ দেন। আবার একদিন এক কবুতরের টনসিল ফূলে বড় হয়ে গেছে আরেকজন জানালেন যে এটা কেটে ফেলে দিতে হবে এবং এই কাজটা তিনি খুবই সানন্দে করতে রাজি হলেন।কিন্তু তিনি হয়তো জানেনই না যে টনসিলের কাজ কী। একদিন এক পরিচিত জন তার কবুতর মারামারি করে মাথা রক্তারক্তি করে ফেলেছে উনি গাড়ো করে ফিটকারী পানি প্রয়োগ করেছেন। আমরা আমাদের এই ধরণের সমস্যা হলে কী করতাম ? মনে হয় না কখনই এই ঔষধ গুলো আমারা প্রয়োগ করতাম কখনই না…তাই না! সর্দী,কাশীর মতো সাধারণ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আগে চিন্তা করেন যে আপনার হলে আপনি এই অবস্থাই কী করতেন? যাই হোক, এখন আসুন আমরা জেনে নেয় কী করলে আমাদের এই ধরণের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।




# আপনার খাঁচা পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।

# জীবাণূ বিরোধী ওষুধের বদলে, বোড়ীক পাওডার ছিটান শুকনো।

# খাঁচাই এক টূকড়া কাঠ রাখুন, যাতে আপাণড় কবুতর দাঁড়াতে পারে। বা একটুকরো চট কেটে দিন।

# নিয়মিত স্যালাইন দিন।

# বাতাস ও বৃষ্টির ছাট থেকে প্রতিরোধ করুন।

# নিয়মিত সবুজ বা র চা দিন আদা ও মধু মীক্স করে।

# রসূন বাটা দিন পানির সাথে।

# পাতলা পায়খানা যদি বেশী হয় তবে হামদাদ এর পেছীশ ট্যাবলেট ১/২ করে দিনে ২ বার প্রয়োগ করুন।

# দশ জনের মতামত না নিয়ে একজনের মতামত এর উপর ঔষধ দিন।

# কোন ঔষধে কাজ না হলে নতুন ঔষধ প্রয়োগের আগে নাক্স ভুম ৩০(হোমিও# ৩ মিও# অল্প একটু পানিরসাথে দিন তারপর অন্য ঔষধ দিন।

# এক দিন সব কবুতর কে হোমিও tiberculinum 30 দিতে হবে ১ সিসি ১ লিত পানিতে।

# প্রতিরোধেঃ এক দিন সব কবুতর কে হোমিও tiberculinum 30 দিতে হবে ১ সিসি ১ লিটার পানিতে।

# প্রতিরোধেঃ Calcaria Curb 30 দিতে হবে ১ সিসি ১ লিটার পানিতে।

# Daulkamara 30 বর্ষা বা আদ্রতা বা ঋতু জনিত সর্দিকাশি ইত্যাদি তে ৩ ফোটা অল্প একটু পানির সাথে দিনে ৩ বার।

# শুধু ঘনকাশি হলে বা ঘরঘর করলে। Costicum 30 তে ৩ ফোটা অল্প একটু পানির সাথে দিনে ৩ বার।


শুধু একটু চিন্তা ও সঠিক সিদ্ধান্ত আপনাকে অনেক সুবিধা ও সুখবর বয়ে আনবে। আর সবাইকে একটু অনুরধ(অনুগ্রহ করে) না জেনে ঔষধ দিবেন না ।


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



এই বর্ষায় সবার জন্য একটি বিশেষ অনুরোধ BD Online Pigeon Market

এই বর্ষায় সবার জন্য একটি বিশেষ অনুরোধ

Pigeon Diseases & treatment

টনসিল বা গল-গ্রন্থির প্রদাহ (Tonsillitis)

টনসিল বা গল-গ্রন্থির প্রদাহ (Tonsillitis) একটি তীব্র ফোলা এবং জ্বালা (প্রদাহ) হয়। টনসিল একটি ব্যাকটেরিয়া বা একটি ভাইরাল সংক্রমণ দ্বারা সৃষ্ট রোগ। অধিকাংশ টনসিলের কারণ সাধারণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, এক ধরনের streptococcal সংক্রমণ দ্বারা সৃষ্ট যা গলা, থুতনি ইত্যাদি আক্রান্ত হয়। গত দশকে গবেষণা করে দেখা গেছে যে tonsils এর সংক্রমণ সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। এটি অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার প্রথম সারির ফর্ম বা সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি বর্ষা ঋতুতে একটি খুব সাধারণ ঘটনা। তবে একই রোগের বারবার সংক্রমণের ফলে অতিরিক্ত বা অধিক শক্তিশালী ঔষধের প্রয়গের খেত্রেও টনসিল বা গল-গ্রন্থির প্রদাহ (Tonsillitis) হতে পারে।


Tonsillitis 1


টনসিল (Tonsillitis) লক্ষণ:


বিভিন্ন পরিস্থিতিতে টনসিল(Tonsillitis) সম্ভাব্য অন্য রোগের সাধারন লক্ষণ বা উপসর্গগুলো হলঃ


• ব্যাকটেরিয়াল টনসিল (Tonsilitis টাইপ)

• ভাইরাল টনসিল (Tonsilitis টাইপ)


২য় টাইপ এর সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। টনসিল রসসংক্রান্ত সিস্টেম ও ইমিউন সিস্টেম অন্তর্গত এবং উপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে শরীর রক্ষা করতে সহায়তা। গলা এবং tonsils pus এর মধ্যে লাল হয়। গলার দুই পাশে ফোলা, সাদা ফুলা অংশ হয়ে টনসিল গৌণ লক্ষণ প্রদর্শিত হতে পারে। টনসিলের অন্যান্য উপসর্গ ফলার সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা সহ জ্বর এবং ফোলা গ্রন্থি (গ্রীবাসন্ধী ফোলা) থাকতে পারে।



• এডিনো ভাইরাস।

• সাধারণ ঠান্ডা।

• ডিপথিরিয়া।

• সংক্রামক mononucleosis।

• Lemierre সিন্ড্রোম ইত্যাদি।


টনসিল সংক্রামক সংক্রমিত কাশি অথবা হাঁচির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ।


সতর্কতা:


কিছু লোক জ্ঞানের অভাবের কারণে টনসিল কেটে ফেলার জন্য পরামর্শ দেয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে,এতে পায়রার জন্য খুব ক্ষতিকর হতে পারে। টনসিল শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে শরীর রক্ষা করতে সাহায্য করে।


প্রতিরোধ:


1) একটি শুকনো কাঠ খাঁচাই দিতে হবে যাতে পায়রার সেখানে বসতে পারে, আর এটি শুষ্ক কিনা টা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। এছাড়াও এক টুকরা পাটের ব্যাগও দিতে পারেন।

2) খাঁচা সবসময় শুকনো রাখা প্রয়োজন।

3) নিয়মিত মধ্যে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ক্যালসিয়াম ডি দিতে হবে।

4) মধু সঙ্গে সবুজ চা / কালো চা নিয়মিত সরবরাহ করতে হবে যা অনেক সাহায্য করে।

5) মধু +রসুন হালকা গরম পানির সাথে মিক্স করে দিতে পারেন এটি ভাল সাহায্য করে।


চিকিত্সা:


1) TEMPIL (এ্যাসিটামিনোফেন) + cef3 বা Oracin K দৈনন্দিন 2 বার অন্তত 4/5 দিন দিতে হবে। অথবা

2) হোমিও Baryta Carb 200, দিনে 3 ড্রপ 2/3 বার, 1 CC হালকা গরম পানির সঙ্গে দিতে হবে।


টনসিল বর্ষা ঋতুতে একটি খুব সাধারণ ঘটনা। সুতরাং আমরা এই অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য আমাদের কবুতরের একটু অতিরিক্ত যত্ন প্রয়োজন।


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



টনসিল বা গল-গ্রন্থির প্রদাহ (Tonsillitis) BD Online Pigeon Market

টনসিল বা গল-গ্রন্থির প্রদাহ (Tonsillitis)

Pigeon Diseases & treatment

শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৩

Blue white bar Fairy swallow 2 feather chicks 4 sale


Blue white bar Fairy swallow 2 feather chicks 4 sale BD Online Pigeon Market

Blue white bar Fairy swallow 2 feather chicks 4 sale

Berlin Lokkha 1pc Female 8por for sale


Berlin Lokkha 1pc Female 8por for sale BD Online Pigeon Market

Berlin Lokkha 1pc Female 8por for sale

BLUE Promaniean pouter female new adult for sale


BLUE Promaniean pouter female new adult for sale BD Online Pigeon Market

BLUE Promaniean pouter female new adult for sale

RED Reverswing Pouter Running Male for sale


RED Reverswing Pouter Running Male for sale BD Online Pigeon Market

RED Reverswing Pouter Running Male for sale

Black Hena Pouter Male Ringed 1st Generation for sale


Black Hena Pouter Male Ringed 1st Generation for sale BD Online Pigeon Market

Black Hena Pouter Male Ringed 1st Generation for sale

9(nine) pic RED Fantail babies For sale


9(nine) pic RED Fantail babies For sale BD Online Pigeon Market

9(nine) pic RED Fantail babies For sale

9(nine) pic RED Fantail babies For sale


9(nine) pic RED Fantail babies For sale BD Online Pigeon Market

9(nine) pic RED Fantail babies For sale