কবুতরের গ্রিট পাখির যেকোনো বীজ হজমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। পাখির হজমক্রিয়া বীজ এর খোলস যেটা হজমের প্রতিবন্ধক হিসাবে কাজ করে। গ্রিট এই প্রতিবন্ধকতা দূর করে হজমে সাহায্য করে। অনেকে মনে করেন গ্রিট কবুতরের ডিমের মান উন্নত করে, কিন্তু কথাটা সঠিক নয়। গ্রিট ডিমের জন্য তেমন কোন ভুমিকা রাখে না। তবে কবুতরের বাচ্চাদের বেড়ে উঠার জন্য গ্রিটের লবন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
গ্রিট সাধারণত দুই ধরনের মিস্রনে হয় ১. দ্রবণীয় ২. অদ্রবণীয়
১. দ্রবণীয়ঃ ইটের গুরা(চালের সমান) সামুদ্রিক ঝিনুকের খোলার গুঁড়ো,ঝিনুক শেল, লবণ, কাঠকয়লা, সুমুদ্রের ফেনা(cat fish), পোড়া মাটি, DCP, ডিমের খোসা, ইত্যাদি। দ্রবণীয় উপাদান শরীরে হজম হয়ে যাই।
২. অদ্রবণীয়ঃ ইটের গুড়া, চুনা পাথর (লাইম স্টোন) ইত্যাদি। অদ্রবণীয় উপাদান পড়ে পায়খানার সাথে বের হয়ে যাই।
সতর্কতাঃ সামুদ্রিক ঝিনুকের খোলার গুঁড়ো,ঝিনুক শেল, কাঠকয়লা, সুমুদ্রের ফেনা(cat fish), ডিমের খোসা, ইত্যাদি তে e coli,salmonilla জীবাণু থাকে, তাই এগুলো মিক্স করার আগে ১/২ ঘণ্টা ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে।
তৈরি পদ্ধতিঃ
প্রথমে ইটের গুড়া ভাল করে ৩ ধরনের চালনি দিয়ে ভাল করে চেলে নিতে হবে। এরপর সেটা কে লবন বা পটাস পানিতে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। পরে তা চুনের পানিতে(খাবার চুন) ভিজাতে হবে। পানি পুরোপুরি শোষিত হলে, এর পর সেটাকে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে যাতে কোন ভিজা না থাকে। এরপর সামুদ্রিক ঝিনুকের খোলার গুঁড়ো,ঝিনুক শেল, কাঠকয়লা, সুমুদ্রের ফেনা(cat fish), ডিমের খোসা, ইত্যাদি মিক্স করার আগে ১/২ ঘণ্টা ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে। (তারপর সেগুলোকে ভেঙ্গে মিশাতে হবে)এরপর সেগুলোকে ছোট করে ভেঙ্গে নিতে হবে যাতে চালের মত আকার হয়। পরে সেগুলো শুকিয়ে dcp,পোড়া মাটি, লবন মিক্স করতে হবে।
পরিমাণঃ
ইটের গুড়ো ১৫ কেজি।(ছাকার পর)। ৫০% সামুদ্রিক ঝিনুকের খোলার গুঁড়ো ৩ কেজি। (যদি পাওয়া যাই) ১০%ঝিনুক শেল, ২-৩ কেজি। (সামুদ্রিক ঝিনুকের পাওয়া না গেলে ঝিনুক শেলের পরিমান বাড়িয়ে দিতে হবে।) ১৫% সুমুদ্রের ফেনা(cat fish) ২ কেজি। ৫% ডিমের খোসা ১০ থেকে ১৫ টি। ১% Dcp ১ কেজি। (দানাদার usa টা নিবেন) ৩%কাঠ কয়লা ২ – ৩ কেজি। ০৮% পোড়া মাটি ২ কেজি। ৫% (যদি সম্ভব হয়)।আয়োডিন লবন ৫০০ গ্রাম। ৩% বিট লবন ২৫০ গ্রাম। ১% পরিমান টি আপনার পছন্দ মত ঠিক করে নিতে পারেন কমবেশি করে।
গ্রিট ২ থেকে ৩ দিন পর পর দিতে পারেন। এতে কবুতরের হজম এর জন্য খুবই সহায়ক হবে। আর একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে যে গ্রিত ১৫ দিন পর পর রোদে দিয়ে শুকিয়ে নিয়া ভাল, এতে ফাঙ্গাস হবার ভয় থাকে কম।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
কবুতরের গ্রিট (Grit) BD Online Pigeon Market

Pigeon Discussion
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন