For sale Pulish lynx pair BD Online Pigeon Market

Running Bukhara female Pigeon for sale. Fresh & Clear.
কবুতরের কৃমি বা কীট রোগ কবুতরের অবস্থার উপর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কবুতরের পারামক্সি,সাল্মনিল্লা এর পর সবচে মারাত্মক যে রোগ সেটা হল Internal & External Parasites । আমরা এখানে Internal Parasites বা ক্রিমির ব্যাপারে আলোচনা করব। ক্রিমির কারনে কবুতরের ওজন হ্রাস, খারাপ moult, ডায়রিয়া, এবং ক্লান্তি ছাড়ও আরো উপসর্গ থাকতে পারে। এটি ঋণাত্মক উর্বরতা প্রভাবিত করতে পারে। Hairworms roundworms আর পায়রা জন্য ক্ষতিকর। এটা সবসময় পায়রা আচরণ একটি কৃমি রোগের ক্ষেত্রে বাঞ্ছনীয়। যদি সময় মত এর চিকিৎসা না করা হয় তাহলে কবুতরের মৃত্যু অনিবার্য।
লক্ষনঃ
কারণ: – অপরিষ্কার খাবার,পানি, বা অন্য কবুতর থেকে, বা আক্রান্ত পুরাতন বিষ্ঠা থাকে হয়।
পায়রার কীট বা কৃমি সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য নিচের কাজগুলো:
ঔষধ ও চিকিৎসা:
Wormazole / Asca piller / Panacure / Avinex / Acimec 1% মৌখিক সমাধান বা ইনজেকশন বা Ivermectin লোশন ইত্যাদি পায়রার জন্য ভাল ঔষধ হিসাবে।
মাত্রা:
১। ছোট পায়রার জন্য 2/3 ড্রপ, জন্য বয়স্কদের PG, Wormazole-4/5 ড্রপ squab বা খুব ছোট কবুতরের বাচ্চা কে ক্রিমির ওষুধ প্রয়োগ করবেন না।
২। Asca Pilla: প্রতিটি পায়রার জন্য 1 টা ট্যাবলেট।
৩। Panacure: প্রতিটি পায়রার জন্য 1/8 ট্যাবলেট।
৪। Avinex: পানি 1 লিটার সঙ্গে 1 GRM পাওডার।
৫। Acimec 1%: ফিড 2 তারপর 21 দিন পরে আবার 2 ড্রপ খাবার ও পরিশেষে তার কাঁধে 2 ড্রপ প্রদান পর প্রতিটি পায়রাকে ছাড়ুন। ইনজেকশন তার কাঁধে চামড়াই দিতে হবে , আপনি যখন ইনজেকশন দিবেন তখন সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। যাতে হাড়ের মধ্যে না লাগে।
৬। Ivermectin লোশন: পায়রা মশা, মাছি ইত্যাদি দূর করতে পারবেন। এটি পায়রার শরীর (ঘাড়) উপর এক ড্রপ দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে. Ivermec কবুতরের লাল মাইট, উকুন এবং সব পায়রার মধ্যে আঁশযুক্ত লেগ মাইট সহ সব মাইট প্রতিকার হিসেবে কাজ করবে।
উপরেউল্লেখিত কৃমি ঔষধ গুলো প্রয়োগ করে গোটা কৃমি বের নাও হতে পারে, তার মানে এই না যে কৃমি ঔষধ কাজ করে নাই। এই কৃমি ঔষধ গুলো কৃমি কে গলিয়ে বের করে। আর আল্প মাত্রার কৃমি ঔষধ গোটা গোটা ভাবে বের করে। তাই অনেকে মনে করেন যে সেই সব কৃমি ঔষধই বোধহয় ভাল। আসলে তা ঠিক না। আর একটা কথা দামি কৃমি ঔষধই যে ভাল আর সস্তা ঔষধই যে খারাপ তাও ঠিক না। তাই এ ব্যাপারে আনুগ্রহ করে একটু খেয়াল রাখবেন সকলে। আবার অনেকে মনে করেন ফিতা কৃমি সাধারন ঔষধএ নির্মূল হয়ই না, এটাও সঠিক নয়। সাধারণত ফিতা কৃমির সংক্রমণ খুবই কম আর তা সাধারন ঔষধ দিয়ে নির্মূল করা সম্ভব।
সতর্কতাঃ
১) অতি গরমে কৃমির ঔষধ দিবেন না, বা অসুখ আছে আমন কবুতরকে কৃমি ঔষধ দিবেন না, ছোট (sqab) বাচ্চা আছে এমন কবুতর কে কৃমি ঔষধ দিবেন না। এতে বাচ্চার হজম শক্তি কমে যাবে এমনকি মারাও যেতে পারে।
২) মানুষের কৃমির ঔষধ ব্যবহার করবেন না।
৩) কৃমির ঔষধ একটু ঠাণ্ডার সময় দিবেন, সেক্ষেত্রে সকালে বা রাতে প্রয়োগ করবে বা যেদিন বৃষ্টি বা আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকবে সেদিন দিবেন।
৪) গরমের ২ মাস অন্তর কৃমির ঔষধ দিবেন। আর শীতের সময় ৪৫ দিন পর পর।
৫) কৃমির ঔষধ দিবার পর স্যালাইন দিবেন পরদিন। তার পরদিন মাল্টিভিটামিন দিবেন।
৬) কৃমির ঔষধ দিবার পর কবুতরের খাওয়া কমে যেতে পারে বা হাল্কা একটু ঝিমুনি ভাব থাকতে পারে। নিয়মিত স্যালাইনে ও ভিটামিন দিলে ঠিক হয়ে যাবে।
৭) কৃমির ঔষধ দিবার আগে লিভার টনিক দিতে হবে, কারন শক্তিশালী কৃমি ঔষধ কবুতরের লিভার ও কিডনিতে আক্রান্ত করে বেশি।
৮) অধিক মাত্রা বা বেশি পরিমান ঔষধ দিবেন না।
৯) ভ্যাকসিন এর পর কৃমির ঔষধ দিবেন না।
আপনি যদি আপনার কবুতর থাকে ভাল উৎপাদন ফলাফল আশা করতে চান তাহলে অবশ্যই কবুতরের রোগ ও তার প্রতিকারের ব্যাপারে সঠিক ভাবে নজর দিবেন। কবুতর বেশি কেনার মধ্যে কোন বাহাদুরি নাই, কিন্তু ভালভাবে পালার মধ্যে আছে। আপনি যদি কবুতর পালতে না চান ভাল কথা, কিন্তু পালতে শুরু করে যদি সঠিক ভাবে খেয়াল না রাখেন তাহলে আপনি নিজের কাছে দায়ী থেকে যাবেন। তাই আনুগ্রহ করে আপনার কবুতরের সঠিক যত্ন নিন।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
কবুতরের জন্য শীতের মাসিক ছক
আমরা কবুতর পালি শুধু পালার খাতিরে অথবা লোক দেখান অথবা ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য। যদিও সকল কে এক কাতারে ফেলা টা ঠিক হবে না। সে যাই হোক, আমার বলার উদ্দেশ্য হল যদি কবুতর পালতে হয় তবে পালার মত পালুন। অনেকে আছেন যে ইচ্ছা আছে কিন্তু সময়ের অভাবে আর একদল আছেন যারা অজ্ঞতা বসত,কিছু মানুষ আছে যে তাদের অবহেলায়। অনেক কবুতর মারা যায়। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এই সব থেকে নিচিন্ত হতে পারেন। আর কিভাবে এটা করতে হবে তা একটু চেষ্টা করলেয় জানতে পারবেন। কিছুদিন আগে গরমের জন্য একটা মাসিক ছক দিয়া হয়েছিল, কিন্তু মনে রাখতে হবে। গরমের আর শীতের খাবার ও ভিটামিন এক হতে পারে না। কিছু খাবার ও ভিটামিন গরমে একটু কম দিতে হয় যেটা শীতের সময় আবার একটু বেশি করে প্রয়োগ করতে হয়। অনেকে আছে যারা ঘরের ভিতরে কবুতর পালেন আবার অনেকে বাইরে। ভিতরে বা বাইরে যেখানেই পালুন না কেন, সব ক্ষেত্রেই একটু বেশি খেয়াল রাখাটা জরুরি। বিশেষ করে বাইরে যারা পালেন। তাদের ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা একটু বেশি থেকে যায়। আর সেটা যদি গ্রাম এলাকা হয় তাহলে ত কথায় নেই, ঠাণ্ডা যেন উড়ে আসে জুড়ে বসে। আর আপনি এই সব থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন অনায়াসে যদি আপনি কষ্ট করে কিছু নিয়ম মেনে চলেন।
আসুন আমরা শীতের মাসিক ছক টি জেনে নেই। মাসের ১-৪ তারিখ পর্যন্ত সাল্মনিল্লা কোর্স করাতে হবে। যেটা বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে করে থাকে, কিন্তু সবচেয়ে উপযুক্ত সাফি+ফেবনিল এর মিক্স কোর্স করার।
মাসের ৫ তারিখ স্যালাইন দিন। অথবা এর বদলে ভিটামিন সি দিতে পারেন যেমন লেবুর রস। ১ টি লেবু ১ লিটার পানিতে।
মাসের ৬-৯ তারিখ পর্যন্ত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দিন। এক্ষেত্রে toxynil, biovit, vita B+C ইত্যাদি ভিটামিন দিতে পারেন। কারন এর অভাবে বেশীর ভাগ টাল রোগ হয়।) মাসের ৯-১০ তারিখ পর্যন্ত হমিও Kali Curb 30 দিন।
মাসের ১১ তারিখ রসুন বাতা+মধু+লেবুর রস। ১ লিটার পানিতে ২ চা চামচ রসুন বাতা,২ চা চামচ মধু আর ১ চামচ লেবুর রস মিক্স করে দিলে ভাল। তবে পানি অবশ্য ছেকে নিতে হবে। আর লেবু চিপার সময় গ্লভস বা লেমন ইস্কুইজার ব্যাবহার করবেন। এটা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে এই কোর্স করার আগে ক্রিমির ঔষধ দিয়া আছে কিনা টা জেনে নিবেন। কারন ক্রিমি থাকলে এটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
মাসের ১২ তারিখ হমিও Belodona 30 এটা আপনার কবুতর কে প্যারামক্সি ভায়রাস থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।
মাসের ১৩-১৬ তারিখ পর্যন্ত ক্যাল ডি,ভিতামিন কে ও ই ভিটামিন দিয়া ভাল। এক্ষেত্রে Calcium Forte+AD3e+k Vit অথবা Calbo D+Ad3e+k Vit দিয়া যেতে পারে। এতে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে ও ভিটামিন কে ডিমের ভিতর বাচ্চা মারা যাওয়া ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
মাসের ১৭ তারিখ হমিও Borax 30 দিন। এটি বায়ু বাহিত রোগ থেকে প্রতিরোধ করবে।
মাসের ১৮ তারিখ অ্যাপেল সিডার দিন। এক্ষেত্রে আমিরিকার তৈরি অ্যাপেল সিডার দিয়া উত্তম। এটা সাল্মনিল্লা প্রতিরোধে সাহায্য করবে। ১ লিটার এ ১ সিসি বা তার কম, বেশি প্রয়োগ করবেন না তাতে বিপরিত ফল হতে পারে। মাসের ১৯ তারিখ স্যালাইন দিন। অথবা এর বদলে ভিটামিন সি দিতে পারেন যেমন লেবুর রস। ১ টি লেবু ১ লিটার পানিতে।
মাসের ২০-২১ তারিখ পর্যন্ত লিভার টনিক দিন। অধিকাংশ কবুতর লিভার জনিত সমস্যায় বেশি ভুগে থাকে। তাই লিভার এর ব্যাপারে একটু খেয়াল রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে হামদারদ এর Cinkara, Icturn, Karmina ইত্যাদি ব্যাবহার করা যেতে পারে। মাসের ২২ তারিখ হমিও Tiberculinum 30 দিন। এটি ধুলা জনিত সমস্যা থেকে প্রতিরোধ করবে। মাসের ২৩ তারিখ লিকার চা দিয়া ভাল। এটা কাঙ্কার প্রতিরোধ ও ভাল ব্যাকটেরিয়া উৎপাদনে সাহায্য করবে।
মাসের ২৪-২৮ তারিখ পর্যন্ত মাল্টি ভিটামিন দিয়া ভাল। এক্ষেত্রে pawer max (made in Vietnam), All Vit Ma (Made in Germany), Max grower (made in Holland) দিয়া যেতে পারে। এতে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে। সকল ভিটামিন ও মিনারেলস এর অভাব পুরন করবে।
মাসের ২৯ তারিখ স্যালাইন দিন।(অথবা এর বদলে ভিটামিন সি দিতে পারেন যেমন লেবুর রস। ১ টি লেবু ১ লিটার পানিতে। অথবা সাধারন পানিও দিতে পারেন। মাসের ৩০ তারিখ নিম বা করলা পাতা বেঁটে দিতে পারেন পানিতে। অথবা সাধারন পানিও দিতে পারেন। ১ লিটার পানিতে ১ চামচ।
এই ছক যে আপনাকে অনুসরন করতেই হবে এমন কন বাধ্যবাধকতা নাই, এটা আপনার পছন্দ অনুযায়ী পরিবর্তন করে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন অসুস্থ কবুতর কে ভিটামিন V কমপ্লেক্স ছাড়া অন্য কোন ভিটামিন দিবেন না। এটা টার ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর অনেকে বয়লার গ্রয়ার বা এই ধরনের খাবার দিতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে অসুস্থ কবুতরকে এই ধরনের খাবার দিয়া ঠিক না। একটা কথা খুব ভাল করে খেয়াল রাখতে হবে শীতে ক্রিমির ঔষধ ৪৫ দিন পর পর দিতে হবে, যদিও ছকে এটা উল্লেখ করা হয়নি। অনুরূপ ভ্যাকসিন এর ব্যাপারেও, অনেকে মনে করেন ভ্যাকসিনই সকল সমস্যার সমাধান। কিন্তু আসলে এটা ঠিক না। এমন কি অনেকে বড় বড় খামারিরা জানেনই না কিভাবে এর সঠিক প্রয়োগ করা হয়। আর এর কার্যকারিতা কততুকু? আসলেই কি এটা সঠিক কাজ করে কিনা? এসব নিয়ে এখন বিতর্কে যাব না। পরে এই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করার আশা রাখি।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
কবুতরের গ্রিট পাখির যেকোনো বীজ হজমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। পাখির হজমক্রিয়া বীজ এর খোলস যেটা হজমের প্রতিবন্ধক হিসাবে কাজ করে। গ্রিট এই প্রতিবন্ধকতা দূর করে হজমে সাহায্য করে। অনেকে মনে করেন গ্রিট কবুতরের ডিমের মান উন্নত করে, কিন্তু কথাটা সঠিক নয়। গ্রিট ডিমের জন্য তেমন কোন ভুমিকা রাখে না। তবে কবুতরের বাচ্চাদের বেড়ে উঠার জন্য গ্রিটের লবন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
গ্রিট সাধারণত দুই ধরনের মিস্রনে হয় ১. দ্রবণীয় ২. অদ্রবণীয়
১. দ্রবণীয়ঃ ইটের গুরা(চালের সমান) সামুদ্রিক ঝিনুকের খোলার গুঁড়ো,ঝিনুক শেল, লবণ, কাঠকয়লা, সুমুদ্রের ফেনা(cat fish), পোড়া মাটি, DCP, ডিমের খোসা, ইত্যাদি। দ্রবণীয় উপাদান শরীরে হজম হয়ে যাই।
২. অদ্রবণীয়ঃ ইটের গুড়া, চুনা পাথর (লাইম স্টোন) ইত্যাদি। অদ্রবণীয় উপাদান পড়ে পায়খানার সাথে বের হয়ে যাই।
সতর্কতাঃ সামুদ্রিক ঝিনুকের খোলার গুঁড়ো,ঝিনুক শেল, কাঠকয়লা, সুমুদ্রের ফেনা(cat fish), ডিমের খোসা, ইত্যাদি তে e coli,salmonilla জীবাণু থাকে, তাই এগুলো মিক্স করার আগে ১/২ ঘণ্টা ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে।
তৈরি পদ্ধতিঃ
প্রথমে ইটের গুড়া ভাল করে ৩ ধরনের চালনি দিয়ে ভাল করে চেলে নিতে হবে। এরপর সেটা কে লবন বা পটাস পানিতে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। পরে তা চুনের পানিতে(খাবার চুন) ভিজাতে হবে। পানি পুরোপুরি শোষিত হলে, এর পর সেটাকে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে যাতে কোন ভিজা না থাকে। এরপর সামুদ্রিক ঝিনুকের খোলার গুঁড়ো,ঝিনুক শেল, কাঠকয়লা, সুমুদ্রের ফেনা(cat fish), ডিমের খোসা, ইত্যাদি মিক্স করার আগে ১/২ ঘণ্টা ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে। (তারপর সেগুলোকে ভেঙ্গে মিশাতে হবে)এরপর সেগুলোকে ছোট করে ভেঙ্গে নিতে হবে যাতে চালের মত আকার হয়। পরে সেগুলো শুকিয়ে dcp,পোড়া মাটি, লবন মিক্স করতে হবে।
পরিমাণঃ
ইটের গুড়ো ১৫ কেজি।(ছাকার পর)। ৫০% সামুদ্রিক ঝিনুকের খোলার গুঁড়ো ৩ কেজি। (যদি পাওয়া যাই) ১০%ঝিনুক শেল, ২-৩ কেজি। (সামুদ্রিক ঝিনুকের পাওয়া না গেলে ঝিনুক শেলের পরিমান বাড়িয়ে দিতে হবে।) ১৫% সুমুদ্রের ফেনা(cat fish) ২ কেজি। ৫% ডিমের খোসা ১০ থেকে ১৫ টি। ১% Dcp ১ কেজি। (দানাদার usa টা নিবেন) ৩%কাঠ কয়লা ২ – ৩ কেজি। ০৮% পোড়া মাটি ২ কেজি। ৫% (যদি সম্ভব হয়)।আয়োডিন লবন ৫০০ গ্রাম। ৩% বিট লবন ২৫০ গ্রাম। ১% পরিমান টি আপনার পছন্দ মত ঠিক করে নিতে পারেন কমবেশি করে।
গ্রিট ২ থেকে ৩ দিন পর পর দিতে পারেন। এতে কবুতরের হজম এর জন্য খুবই সহায়ক হবে। আর একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে যে গ্রিত ১৫ দিন পর পর রোদে দিয়ে শুকিয়ে নিয়া ভাল, এতে ফাঙ্গাস হবার ভয় থাকে কম।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
Various imported pigeon for sale. All are fresh & Clear. Real buyer May contact With us. All are for sale with ’11’12’13 ringed.
Sarcoptes scabiei মাইট দ্বারা ঘটিত হয় এবং সরাসরি শরীরে আক্রান্ত হয়। এটি অন্য পাখির সাথে যোগাযোগ দ্বারা হয় অথবা বিভিন্ন ফর্ম থেকে আসা একটি সংক্রামিত কবুতরের সাথে ভাল একটা কবুতরের শারীরিক যোগাযোগের মাধ্যমে হতে পারে। এটি এক ধরনের চর্ম রোগ। আর এই রোগ শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা এই তিন মৌসুমে দেখা যায়। আর আবহাওয়ার কম বা বেশিতে রোগের তীব্রতা বেড়ে থাকে। এই রোগ কবুতর কে অসস্থিকর অবস্থার মধ্যে দিন পাত করে থাকে। আর এই রোগ থেকে প্রচণ্ড স্ট্রেস হয় আর ফলে অনেক নতুন রোগের সূত্রপাত হতে পারে।
কারনঃ
১) কবুতরের শরীরের বাইরে মাইট (External parasites) এর আক্রমন।
২) নিয়মিত গোসল না করানোর ফলে শরীরে আতিরিক্ত খুসকি থেকে এই রোগ হতে পারে।
৩) কীটপতঙ্গ/মাছি/মশা ইত্তাদির আক্রমন বা কামড়ের ফলে ঘা থেকে এই রোগ হতে পারে।
৪) অনেক সময় কাঁচা পালক তুলার ফলে,সেই জাইগাটা সঙ্ক্রমন হয়ে এই রোগ হতে পারে।
৫) কোন অ্যালার্জি যুক্ত খাবার যেমনঃ রেজা, ধান, যব কিছু বয়লার গ্রয়ার ইত্যাদি।
৬) নোংরা পানিতে গোসল।
লক্ষণঃ
১) ক্ষত সহ বা ছাড়া চুলকানি বা কামড়।
২) ত্বক প্রায়শই তীব্র চুলকানি এবং ঠোঁট দিয়ে চুলকাতে চুলকাতে ঘা করে ফেলে ও ঘা বড় করে ফেলে। অনেক সময় কাম্রে মাংস পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলে।
৩) খুব ধীরে ধীরে আরোগ্য ।
৪) নির্দিষ্ট এলাকায় উপসর্গের বৃদ্ধি।
৫) রাতে ও আর্দ্র আবহাওয়া উপসর্গের বৃদ্ধি।
৬) পাখার নিচে,গলার নিচে বা ঘাড়ে।
৭) অতিরিক্ত পর ঝরা ও পর ঝরা জায়গায় ঘা এর মত তৈরি হওয়া।
৮) পাখার নিচে অথবা বড় পালকের গোঁড়ায় অথবা লেজের গোঁড়ায় ছোট ছোট চেটচেটে ঘা বা ঘা এর কারনে আকা বাকা পাখার পড় গজান।
৯) ঠোটের গোঁড়ায় ঘা বা চোখের পাশে, কানের কাছে বা পায়ে লাল লাল র্যাস এর মত হয় ও কবুতর ঠোঁট দিয়ে চুলকাতে থাকে।
১০) এই রোগটি শুকনো বা ভিজা চ্যাটচেটে ধরনের হতে পারে বা হলুদ রস নির্গত হতে পারে।
১১) যদি ঠোঁট দিয়ে কামড়াতে থাকে তাহলে আক্রান্ত স্থানটি ভাল করে পরিস্কার করে একটা পরিস্কার কাপড় বা ব্যান্দেজ করে দিন।
১২) এই রোগ হলে অনেক সময় কবুতর বেশি ক্লান্ত দেখায়,পাখা ঝুলে যায় ইত্যাদি।
চিকিৎসাঃ
১) পটাস/ফিতকারি/নিম পাতা সিদ্ধ করে কুসুম গরম পানিতে গোসল। (ঠাণ্ডা পানিতে গোসল না দিয়া ভাল।)
২) হোমিও আর্সেনিক ২০০, ২ ফোঁটা করে দিনে ৩-৪ বার।
৩) Crotamiton lotion 10% অথবা Ivermectin ওরাল(মানুষের) ঔষধ ভাল কাজ করে।
৪) কবুতরের গায়ে ছোট লাল পোকার জন্য ইংলিশ শ্যাম্পু ব্যাবহার করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন শ্যাম্পু এর পড় ভাল করে শরীর ধুয়ে ফেলতে হবে।
৫) নিয়মিত জীবাণু মুক্ত স্প্রে করতে হবে।
সতর্কতাঃ
এই ধরনের রোগ হলে কোন প্রকার কাটা ছেড়া করা বা অস্ত্রপ্রচার করা যাবে না এতে সংক্রমন হয়ে কবুতরের প্রানহানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই রোগ সাধারণত অপরিস্কার খামার ব্যাবস্থাপনার কারনে হয়ে থাকে। তাই এই রোগ প্রতিরোধ করার ভাল পদ্ধতি হল পরিস্কার খামার। আর একটা বিষয় খেয়াল রাখা যেন অকারনে কবুতর খালি হাতে না ধরা। আর যদি ধরতে চান ভাল করে হাত ধুয়ে ফেলুন। এতে যে শুধু এই রোগ থেকে মুক্ত থাকবে তাই না। যেকোনো রোগ থেকেই নিস্থার পেতে পারেন।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
রিং! রিং!! রিং!!! জি না এটা কোন টেলিফোনের শব্দ না। এটা কবুতরের পায়ে লাগানো একটা ডিভাইস। যা আজ একটা ব্যাবসায়িক হাতিয়ারে পরিনত হয়েছে। আজকাল মানুষ রিং এর কথা শুনলেই পাগল পারা হয়ে যায়,আর তাই যে কবুতর এর স্বাভাবিক দামের থেকে ৩ গুন ৪ গুন বেশি দামেও কিনতে পিছপা হয়না। কি এই রিং ? কি তাঁর মহাত্ত ? আর কেনই বা এটা লাগানো হয়। এসব কিছুই অনেকেই জানেন না, কিন্তু তারপরও রিং এর প্রতি একটা অলিখিত টানে মানুষ ছুটে আসে এই রিং লাগানো কবুতরের কাছে। আর এই সুযোগে কিছু দু পয়সা কামিয়ে নিচ্ছে সেই সব চালাক অসাধু লোকজন। আর তাই রিং এর ব্যাবসাও বেশ রমরমা।
কিন্তু আমরা কেউ কি আজ পর্যন্ত জানতে চেয়েছি বা জানার চেষ্টা করেছি কি এই রিং? কেন এটা লাগানো হয়? আর কি এর উদ্দেশ্য? মনে হয় না। যদি তাই হত তাহলে এভাবে আমরা রিং পিছনে ছুটতাম না। এই ত কিছুদিন আগে নেটে একজন নামকরা কবুতর ব্যাবসায়ি একটা স্ত্রেসার এর বিজ্ঞাপনে লিখলেন রিং এর জরা,ভাল ব্লাড লাইন, ইত্যাদি কিন্তু দেখা গেল সেই জোড়াটা ফাটা,তারপর কিভাবে রিং বলে চালানর চেষ্টা করা হল? কারন সে জানে যে আমরা রিং শুনলেই দৌর দিব। আর এইসব বায়বসায়ি রা সে অপেক্ষাই করে। অনেকেই গর্ব ভরে বলে থাকেন আমার একটা রিং পেয়ারের বাচ্চা কিনেছি। আসলেই কি তিনি এব্যাপারে সঠিক খোঁজ নেবার চেষ্টা করেছেন যে,আসলেই কি সেটা রিং এর জোড়া। নাকি অন্য কিছু। আমাকে একদিন একজন জানালেন যে তাঁর একটা রিং এর পেয়ার আছে তাকে জিজ্ঞাস করলাম ভাই রিং এর পেয়ার বলতে কি বুঝেন? তিনি জানালেন যে যার কাছ থেকে কিনেছি তিনি বলেছেন যে এটা রিং এর পেয়ার!কি আশ্চর্য! এর কি কোনই প্রতিকার নাই। হা আছে। কিভাবে? শুধু আপনাকে সচেতন হতে হবে। আগেও রিং বা ব্যান্ড নিয়ে লিখা সংক্ষেপে লিখা হয়েছে। কিন্তু মনে হয় সেটা যথেষ্ট হয়নি। এখন আসুন আবার আমরা একটু জেনে নেই রিং কি? কেন রিং পরান হয়? আর কি এর উদ্দেশ্য?
সাধারণত একটি ধাতু, প্লাস্টিক,ব্যান্ড যা একটি সজ্জা বা প্রবৃত্তি বা একটি টোকেন হিসাবে আঙুল বা পায়ের ভিতর নিবদ্ধ থাকে বা রাখা হয়। অন্য ভাবে বলা যায় যে পরবর্তী প্রজন্ম সনাক্ত করার জন্য একটি রিং অথবা ক্লিপ যা পাখি বা কবুতর খামার বা মালিকের পরিচিতি বহন করে থাকে। অনেক সময় প্রতিযোগিতার মাধ্যমেও সবচেয়ে ভাল জাতের কবুতর বা পাখি কে প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটি কবুতর বা পাখির মালিককে নির্দিষ্ট সনদপত্র সহ একটি নাম্বার খচিত রিং লাগানো মালা প্রদান করে, ফলে সেই কবুতরের মালিক সেই রিং নাম্বার দিয়ে তাঁর কবুতরের পরবত্তি প্রজন্মকে সেই নাম্বার অনুযায়ী রিং পরায়। অনেক সময় রেস কবুতর যাতে হারিয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রেখে মালিকের সেল নাম্বার খচিত রিং বা রেজিঃ নাম্বার দিয়ে রিং পরায়। যা পরবর্তীতে সেই কবুতর কে খুজে পেতে সাহায্য করে থাকে। অনেক সময় কোন খামারের পরিচয় বা ব্যাক্তি পরিচয় রিং এর মধ্যে প্রকাশ করা হয়। আবার অনেক সময় রেস কবুতরের রক্ত পরিচয় মনে রাখার জন্য খামারি তাঁর একটা নিদিষ্ট পরিচয় নাম্বার রিং এ লিখে তাকে পরিয়ে দেয়। এভাবেই রিং এর সুত্রপাত হয়। সৌখিন কবুতরের রিং মুলত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেরা জাতের নিদিষ্ট চরিত্রের কবুতরকেই দেওয়া হয়। বাংলাদেশের বাইরে এই ধরনের নিয়মিত প্রতিযোগিতা হলেও আমাদের দেশে এই ধরনের প্রতিযোগিতা সচারচর দেখা যায় না। কিন্তু তারপরও রিং এর ছড়াছড়ি। নিদিষ্ট জাতের না হয়েও আমরা অবলিলায় লিখে দিই রিং এর জোড়া, বা রিং এর পরিবার থেকে ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা আমাদের দেশে অহরহ ঘটে কারন, আমাদের দেশে কবুতরের কোন শক্তিশালী সংগঠন নাই। যদি থাকত তাহলে এটা কোন কালেই কার পক্ষে এই ধরনের কাজ করা সম্ভব হত না।
আমাদের সকলের উচিৎ যদি আমদানিকৃত ব্র্যান্ড কবুতর না হয় বা আমদানিকৃত ব্র্যান্ড কবুতরের বাচ্চা না হয়। তাহলে আপনার খামার বা আপনার নিজস্ব পরিচয় বহনকারী রিং লাগানো। যাতে পরবর্তীতে সেই ব্রীড আপানার খামারের পরিচয় বহন করে। অনেকে আবার রিং পরাতে গিয়ে কবুতর কে একটা মহা যন্ত্রণা দায়ক অবস্থার মধ্যে ফেলে। তাই আপনাকে এ ব্যাপারে কিছু নিদিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে।
আপনি যেহেতু আপনি ম্যানুয়াল রিং পরাবেন তাই আপনাকে নিম্নোক্ত কাজ নিশ্চিত করতে হবে ঃ
১) ডান পায়ের উপর রিং লাগাতে হবে।.
২) কবুতর কে উল্টায়ে রিং পরাতে হবে আর খেয়াল রাখতে হবে যাতে রিং এ অধিষ্ঠিত অক্ষর পাঠযোগ্য হয়।
৩) ডান পায়ের নেভিগেশন রিং রাখুন ও বাপ পায়ে রেসিং এর জন্য রিং মুছে ফেলা বা খুলে ফেলা নিশ্চিত করুন।
৪) ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে রিং বা ব্যান্ড লাগানো উচিৎ, যাতে ব্যান্ড লাগানো সহজ হয়। আর আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যেন রিং বা ব্যান্ড বেশি টাইট না হয় বা বেশি ঢিলা না হয়।
৫) রিং বা ব্যান্ড লাগানোর সময় আপনাকে পিচ্ছিলকারক পদার্থ ব্যাবহার করা উচিৎ বা মেশিন ব্যাবহার করতে হবে আর খেয়াল রাখতে হবে যাতে লাগানোর সময় পা কেতে না যায়। এতে পায়ে ধনুষ্টংকার বা bumble foot হবার সম্ভাবনা থাকবে।
৬) মেটাল বা প্লাস্টিক যে কোন ধরনের রিং হোক না কেন নিয়মত পাদদেশ মুছা এবং পরিষ্কার অথবা ময়লা হলে ভাল কিছু পরিস্কার পদার্থ দিয়ে পরিস্কার করা নিশ্চিত করুন।
৭) যে সব কবুতরের পায়ে বেশি লোম বা মোজা হয় তাদের রানের মধ্যে রিং বা ব্যান্ড লাগানো উচিৎ যাতে লোম ছিড়ে যাবার ভয় না থাকে।
৮) রিং বেশি টাইট হলে কেটে ফেলা নিশ্চিত করতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে যাতে কবুতর রিং বা ব্যান্ড লাগানো পা উঠিয়ে না রাখে। তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার কবুতরের রিং বা ব্যান্ড এ সমস্যা হচ্ছে।
যাইহোক আশা করি ও মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দুয়া করি যে, রিং বা ব্যান্ড নিয়ে যে তেলেসমাতি আমাদের দেশে চলছে বা চলে আসছে তা অচেরেই বন্ধ হবে, মানুষের সচেতনতা বাড়বে, রিং নিয়ে যে ভুল ধারনা আছে, তা কেটে যাবে। আর যে সব মানুষ এই সব নিয়ে ব্যাবসা করছে তাদের বোধগম্য হবে, মানুষ ঠকানর প্রবণতা বন্ধ হবে। (আমিন।)
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
এমন একটা কবুতর কল্পনা করুন যা প্রতিবার দাম্ভিকতার সাথে ঘরের একই জায়গায় উড়ে এসে বসে। এই কবুতর প্রজাতিটি দক্ষিণ অঞ্চল এই বেশি দেখা যা তাদেরকে অন্যান্য স্পানিশ প্রজাতি হিসেবে খ্যাত Don Juan এর প্রথম সারির Gorguero pouter নামে পরিচিত। এর জন্মস্থান স্পেন। বিশেষকরে যে সকল খামারিরা মানসম্মত breed পেতে চান তাদের জন্য এটা খুবই আকর্ষণীয় কবুতরের প্রজাতি।
স্পেন এর লোকেরা বিভিন্নভাবে এই প্রজাতির কবুতর পালন করে থাকে। তাদের মধ্যে একটা ধারনা প্রচলিত আছে যে Jiennense এবং certainly প্রজাতির কবুতর থেকেই মুলত Gorguero প্রজাতির কবুতরের উৎপত্তি এবং এটি এখন বিলুপ্তির পথে।
Gorguero প্রজাতির কবুতর টিকিয়া রাখার জন্য পশুচিকিৎসক, প্রজনন বিশেষজ্ঞ এবং বিখ্যাত কবুতর পালক José Antonin i Cuatrecasas এর অবদান অনস্বীকার্য। ইনিএ নতুনভাবে এই প্রজাতির কবুতর আবিস্কার করেন। তিনি তার বাল্য জীবনে Raphael Buche Brage এর সাথে পরিচিত হন যিনি একজন ইতিহাসবিদ এবং স্পেন এর কবুতর সম্প্রসারন এ অনেক বড় ভুমিকা পালন করেন। Raphael এর কাছে তার বাবার আঁকা ১৯৯৫ সালের একটি Gorguero প্রজাতির কবুতরের প্রতিকৃতি ছিল যা পরবর্তীতে Antonin কে Gorguero এর নতুন বংশ খুজতে শুরু করার প্রেরনা যুগিয়েছিল।
ঊপরের ছবিটি হল José Antonin i Cuatrecasas এর আঁকা একটি Gorguero প্রজিতির কবুতরের আদর্শ প্রমান। আসুন আমরা এই প্রজাতির কবুতর এর বাহ্যিক গঠন সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টা করি।
এটি মাঝারি উচ্চতার কবুতর অনেকটা খারা ভাবে দাড়িয়ে থাকে। এর মাথা বড় এবং প্রসস্ত। মাথায় কিছু বাঁকানো দাগ দেকতে পাওয়া যায়। রুবি রঙ এর চোখগুলো বড় বড় কিছুটা মাথার পিছনের দিকে বাঁকানো। চোখের মণি সূক্ষ্ম এবং মসৃণ এবং প্লাস্মা এর রঙ সামঞ্জস্যপূর্ণ। বয়সের কারনের চোখের মণি বড় হতে পারে। এর রয়েছে শক্ত এবং একটু চ্যাপ্টা ঠোট। মাঝে মাঝে নাকের ঝুটির কারনে এদের ঠোট ছোট মনে হয়।
এদের ঘাড় মাঝারি আকারের এবং শক্তিশালী। বুক প্রশস্ত এবং গোলাকার। দানাগুলো লম্বা এবং প্রশস্ত। প্রতিটা ডানায় ১১/১২ টির মত পালক রয়েছে। পালকগুল লেজ এর শেষপর্যন্ত ছড়িয়ে থাকে। স্বাভাবিক অবস্তায় পাখাগুল গ্রুপ আকারে থাকে। লেজ এর পালকগুলো লেজকে অনেক বড় আকৃতি রুপ প্রদান করে। নখের রঙ অনেকটা পালক এর রঙ এর মতই।
সর্বোপরি Gorguero pouter এর সৌন্দর্য, দাম্ভিকতা, চলন ভঙ্গিমা সবকিচু মিলিেয় এটি একটি অসাধারন কবুতর।
inbreeding এর ব্যাপারে কম বেশি সবারই কিছু না কিছু ধারনা শোনা আছে বলে আশা করি, যাইহোক, inbreeding কোন ব্যবহারিক উদ্দেশ্য আছে কি না এটা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। আর এটা অনেক কে এই বিষয়ে নিয়ে বিভ্রান্তিকর অবস্থার মধ্যে ফেলে। Inbreeding বলতে নিকট আত্মীয়তাসূত্রে আবদ্ধ প্রাণীদের মধ্যে সন্তান উৎপাদন কে বুঝাই। Inbreeding হল নিকট Kin(আত্মীয়) এবং out breeding, দূরবর্তী আত্মীয় বা অনাত্মীয় প্রাণীর প্রজনন। সহজ কথাই ভাল প্রজনন এর আশায় রক্ত লাইন বরাবর এর বাইরের অন্য রক্তের প্রজনন কে বুঝাই।
প্রজনন দীর্ঘ বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। Inbreeding জেনেটিক অপূর্ণতা ব্যাপক হত্তয়া এবং এটি তার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রয়োজন হতে পারে। এর মাধ্যমে সম্ভাবনা বৃদ্ধি, একটি জাতের জনসংখ্যা জিন বৈচিত্র্য হ্রাস করা হয়। অধিকাংশ উদ্ভিদ এবং প্রাণীর inbreeding এড়ানোর আচরণগত এবং অঙ্গসংস্থান পদ্ধতি বিকশিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। যাইহোক, আজ অনেক বিপন্ন প্রজাতির শুধুমাত্র inbreeding করা অনিবার্য। তাই এটি সংরক্ষণবাদীর জন্য একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা প্রজনন নিয়ে আলোচনা করার সময় একসাথে দুই পাখি রাখা এবং তার সন্তানসন্ততি নিয়ে সহজভাবে আলোচনা করা হয় না। আমরা আমাদের স্টক থেকে অধিকাংশ সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে পেতে একটি উচ্চ মান সপন্ন প্রজাতির বংশবৃদ্ধি কিভাবে করা যায় তারই আলোচনা করা।
আমরা জিন এবং তারা কাজ এবং কৌশলগত জিনিস এবং কিভাবে তা কাজ করে তার খুঁটিনাটি বিষয় গবেষণা করা বেশ সহজ হয়। যদিও inbreeding একজন খামারিরি মুল লক্ষ্য হওয়ার কোন মানে হয় না। দুটি পদক্ষেপে প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ Inbreeding আর দ্বিতীয় ধাপে শঙ্কর যা আজ আমরা আলোচনাই যাচ্ছি না। তবে অনেকে এই শঙ্কর কেই একটি নতুন চক্র বলে বিবেচনায় এনে থাকেন। কিন্তু পশু ছাড়া, পাখি বা কবুতরের ক্ষেত্রে শঙ্কর ব্যাপারটা কোন কাজে আসে না তা অনেকেই সেটি সঠিক ভাবে জানেন না। inbreed যে দুটি সম্পর্কহীন পায়রার উপর ভিত্তি করে করা হয় বলে এটাই যথেষ্ট। fanciers একটি ভাল জাতের পায়রার রক্ত সংরক্ষণ বা inbreeding এর জন্য ব্যবহার দেখা যায়, যদিও এই প্রক্রিয়াটি খুব সহজ নয়। তবে অধিকাংশ অভিজ্ঞ ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, কবুতরের ক্ষেত্রে ভাই ও বোন ,বা একই রক্তের মধ্যে যদি জোড়া করা হয় তাহলে সে থেকে ভাল জাত আশা করা যায় না। যেমন ফাটা কবুতর,খারাপ জাতের কবুতর বা যারা রেস করতে পছন্দ করেন সেক্ষেত্রে নিম্ন দক্ষতা হতে পারে। যেমন মানুষের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটে থাকে। যেমন আত্মীয় বা একই ব্লাড গ্রুপ এর মধ্যে বিয়ে হলে অসুস্থ,বিকলাঙ্গ,ইত্যাদি সন্তান জন্ম নিতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, একটি সফল জোড়া খুঁজে পেতে অসুবিধা হলে, মতভেদ ১/৮ এবং ১/১২ এর মধ্যে ডবল inbreeds সাফল্য ১/১৫ এবং ১/২০ হয়ে থাকে। যাইহোক, ট্রিপল inbreeds কাছাকাছি ১/৩০ হতে পারে। এই সংখ্যার কোন সঠিক বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আছে কিনা তা বলা যায় না। কিন্তু তারা খামারে এবং অন্যদের lofts উভয় ফলাফল এর সঙ্গে মিলে যায়। এই সংখ্যার উপর নির্ভর করে আপনি inbreeding প্রথম প্রজন্মের মধ্যে প্রজনন এক বছরের সাফল্য থাকার গড় ভাল ফলাফল দেখতে পারেন, এবং আপনি ডাবল এর সঙ্গে সাফল্য থাকার প্রথম দুই বছরের এক প্রশংসনীয় ভাল করার সুযোগ আছে । তবে, তৃতীয় বছরে, আপনি মতভেদ উল্লেখযোগ্য ব্যাকক্রস দেখতে পারেন। যদি এটি সত্য হয় তাহলে আপনি সাফল্যের জন্য পায়রার এর জীবনকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। যা অনেক সময় সম্ভব হয় না ।
এখন এর সংকর করন আমাদের জন্য কি করতে পারে। সঙ্করীকরণ (inbreeding প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপ ) কোর্সের inbreeding প্রত্যেক প্রজন্মের জন্য বিনিময়ে কত উৎপাদন পাবেন? Inbreeding টেকসই করার জন্য প্রথমে আমরা যে inbreeding কম্প্রেশন বেশি প্রজন্মের বড় সংকর উৎপাদন অনুমান করা হয় মাত্র।
অনুসরণ এই ধারণা আরও সহজ করতে, এস = প্রজনন সাফল্যের হার, জি ( ) = জেনারেশন, ই () সম্ভব উৎপাদনের = শতকরা .
জি ( ১), এস (১/৮) , ই (৭৫%)
জি ( ২), এস (১/১৫) , ই (৮০%)
জি ( ৩), এস (১/৩০) , ই (৮৫%)
প্রথম প্রজন্মের মধ্যে , অল্প বয়স্ক ছেলেমেয়ে ১/৮ সফল হবে লক্ষ্য করুন, এবং তারা যখন তারা সম্ভাব্য উৎপাদন ৭৫% করা হবে। তারপর দ্বিতীয় প্রজন্মের দ্বারা, একটি ডবল inbred প্রজনন সম্ভাবনা ১/১৫ লক্ষ্য করবেন, কিন্তু আপনি শুধুমাত্র উৎপাদন এর অন্য ৫% পর্যন্ত বাছাই করতে বেশ কম এবং কর্ম সম্পন্ন এমনকি যখন আপনি শুধুমাত্র অন্য ৫% হয়, যা একটা ট্রিপল inbred প্রজনন সম্ভাবনা ১/৩০ যে তৃতীয় বৃত্তাকার পর্যায়ে হয়। এটা অনেক fanciers প্রথম প্রজন্মের inbreeding বিদ্ধ ঝোঁক এই কারণে হয়। যা পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে যেতে দেখা যায় না। তারপর একটি নতুন problem দেখা যায়। এখত্রে Inbreeds সমস্যার সম্মুখীন হয়।
সাধারণত ভাল উড়ে না এবং হাইব্রিড সাধারণত ভাল বংশবৃদ্ধি হিসাবে ধরা হয়না। তাই কয়েক কবুতর পরিবার কখনো প্রথম একই লাইন বরাবর থাকে না। যা সবচেয়ে কম fanciers শুরু করে। অনেকে প্রথম প্রজন্মের মধ্যে তারা একটি খুবই দুর্বল সংকর হিসেবে কাজ করে এবং এতে কিছু শূন্য সাফল্য থাকে। যদিও এতিকে অনেকে ইনব্রীড হিসাবে মনে করে থাকে। (একটি inbred সম্ভবত একটি সোজা ক্রস তুলনায় ৫০ গুণ বেশি শক্তিশালী , কারণ এই প্রথম প্রজন্ম শুধুমাত্র inbreeding ধারণা দেয় )। যাইহোক, পরে দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যে জিন পুল উল্লেখযোগ্যভাবে প্রশস্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে এবং যদি সঠিক নির্বাচন না হয় বা খেয়াল রাখা না হয় তাহলে এর সাফল্যের হার অনেক যায় নিচে যায়। সর্বাধিক fanciers শুধু জিন আবার মিলিত শুরু না হওয়া পর্যন্ত তিন বা চার প্রজন্মের জন্য পায়রা খুঁজে পাওার অপেক্ষার সময় বা ধৈর্য থাকে না। তাই তখন এটি বংশবৃদ্ধি করা যায় না আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে সত্য হাইব্রিড breeders তারা দেশী যা থেকে inbred পরিবারের দুই পক্ষের একই রক্তে ফিরে ( backcross ) হয়ে থাকে বা ফেরে আসার সভাবনা অনেক বেশি থাকে। প্রথম backcross এর পর এই প্রচেষ্টাটি বরবাদ হয়ে যায়। কারন দেখা যায় এক্ষেত্রে পুনরায় আগের পরিবারের সঙ্গে ক্রস এর মাধ্যমে আবার নতুন রক্ত ফিরে আসে। সম্প্রতি একটি inbreeding প্রোগ্রামে একজন fancier এই প্রচেষ্টা করেন। তিনি সম্ভবত ৫০ জোড়া রাখেন ও তারি উপর এই প্রক্রিয়া প্রয়োগ করেন। যাইহোক, যে হারে তিনি গভীর একাধিক প্রজন্মের inbreeds করেন। তবে এ ক্ষেত্রে সফল হবেন যদি বেশী backcross না হয়।
যখন inbreeding করা হয় তখন কিছু নিদিষ্ট কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করা উচিত বলে মনে করি।
১) ঘনঘন breeding না করা।(কারন এক্ষেত্রে কবুতরের স্পাম এর সংখ্যা কমে যায় ফলে ভাল জাত পাওয়া সম্ভব হয় না।)
২) শীতের সময় breeding না করা।
৩) নর মাদি কে আলাদা করে রাখা।
৪) breeding খোলা জায়গায় বা ঘরের মধ্যে করান।
৫) breeding কালীন সময়ে অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগ না করা।
৬) breeding জোড়া কে ভাল মানের খাবার ও ভিটামিন ও মিনারেলস সরবরাহ করা।
ইনব্রীড এর যদি একটি সহজ উদাহারন দেওয়া হয় তাহলে দেখা যায় এরূপঃ
একজন ব্রীডার ৪ জোড়া থেকে ৫০ জোড়ার মধ্যে একই প্রজাতির কবুতর বা পাকির মধ্যে এই প্রোগ্রাম করতে পারেন। যেমন ধরিঃ (abcd আকি প্রিজাতির ৮ টি কবুতর ও ১ নর ও ২ মাদি তাহলে a1-a2,b1-b2,c1-c2 ও d1-d2 এই ৪ জোড়া কবুতর ইনব্রীড করার সময় এর ব্লাড লাইন যদি ভেঙ্গে প্রথম প্রজন্ম a1+b2=ab1-ab2 বাচ্চা হল , b1+a2=ba1-ba2 বাচ্চা হল, c1+ d2=cd1-cd2 বাচ্চা হল and d1+c2+ =dc1-dc2 বাচ্চা হল অনুরূপ দ্বিতীয় প্রজন্মের জন্য ab1 + cd2, ab2+ cd1, dc2+ ba1, dc1+ ba2 এভাবে তৃতীয় প্রজন্মের ক্ষেত্রে ও একই তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন ভাবেই আবার আগের প্রজন্মের রক্ত ফেরে না আসে যাকে back cross বলে, অল্প সংখ্যক জোড়ারা ক্ষেত্রে এটি হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
ইনব্রীড শুধু জোড়া পরিবর্তন এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না,যেটা আগেই বলেছি যে ভাল ও পর্যাপ্ত খাবার। সময়মত ও প্র্যজনে সবসয় খাবার ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। ইনব্রীড এর গুরুত্ব শুধু fancy মধ্যেই সীমাবদ্ধ না racing কবুতরের ক্ষেত্রে এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
আমাদের দেশের কবুতর উৎপাদিত সৌখিন (fancy) বেদেশি কবুতর থেকে কোন অংশে কম নয় কিন্তু তারপরও বাইরের কবুতরের উপর একটা বিশেষ ঝোঁক দেখা যায়। যদিও বাইরের দেশের কবুতর পালন অনেক প্রতিকুল কিন্তু তারপরও তারা নিদিষ্ট নিয়ম পালনে ভাল জাত উৎপাদনে সফল হয়। যদিও আমাদের দেশে অনেক খামারি অনেক কষ্ট করে অনেক কাঠ খর পুড়িয়ে ভাল জাত উৎপাদন এর চেষ্টা করে কিন্তু উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় সেই উৎসাহে ভাটা পড়ে যায়। যেখানে অনেক খারাপ জাতের কবুতর বাইরের দেশ থেকে এনেও ভাল দাম পায়ে যায় সেই সব ব্যাবসায়িরা ফলে ভাল জাত দেশে উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে আমদানি তে উৎসাহিত হচ্ছে অনেকে। যেটা খুবই দুঃখ জনক ও অশনি সংকেত হিসাবে বলা যেতে পারে।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
রসূল (সঃ) বলেন, “একজন মুসলিম যিনি একটি পোষা প্রাণী রাখতে পছন্দ করে তার দায়িত্ব হল ভালমত এর যত্ন নেয়া,যথাযথ খাদ্য, পানি এবং আশ্রয়ের ব্যাপারে খেয়াল করা আবশ্যক। কোন বাক্তি যদি একটি পোষা প্রাণীর যত্নর ব্যাপারে উপেক্ষিত হয় তার কঠিন শাস্তি বর্ণনা করেছেন।”
কবুতর পালার কিছু নিয়ম আছে। শুধু পালার খাতিরে পালেন। একজন খামারি ১০০ কবুতর পাললে তাকে খামারি বলা যাবে না। যদি না তিনি সঠিক ভাবে খামারের পরিচর্যা করেন অথবা এই ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ না নেন। কিন্তু আপনি যদি অল্প কবুতর সফল ভাবে পালেন তবেই আপনাকে একজন আদর্শ খামারি বলা যাবে। আর এটাই একজন খামারির সার্থকতা ও আনন্দ। কবুতর অসুস্থ হলে জবাই করে ফেলা বা কাওকে দিয়ে দিয়া অথবা অপেক্ষা করা কবে মারা যাবে এটা কখনই একজন সত্যিকার কবুতর প্রেমির কাজ হতে পারে না। তিনি যতই দাবি করেন না কেন!
যাই হোক প্রসঙ্গে ফিরে আসি। কথাই আছে প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ ভাল, আর সেই প্রতিরোধ টা সঠিক হতে হবে। প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার খামারে ধুলা না থাকে। কারন সকল রোগের সুত্রপাত হয় এখান থেকে। এর পর খেয়াল রাখতে হবে যেন সাল্মনিল্লার প্রতিরোধ কোর্স ঠিকমত করান হচ্ছে। কারন সাল্মনিল্লা কবুতরের অন্যতম সমস্যা আর যা থেকে অনেক রোগের সুত্রপাত হয়। মানুষের ক্ষেত্রে আছে যে যদি আমাশয় হয় তাহলে টা নির্মূল তাড়াতাড়ি করতে হয়। কারন আমাশয় হল ৯০ টি রোগের জন্মদাতা। তেমনি বলা হয় সাল্মনিল্লা হল কবুতরের জন্য ১০০ টা রোগের জন্মদাত্রী বা জননী । তবে এই সাল্মনিল্লা নিয়ে অনেকের ভুল ধারনা পোষণ করে থাকেন। কারন সাল্মনিল্লা যেকোনো জিবিত প্রাণীর মধ্যে কমবেশি থাকবেই। আর এটা ১০০% নির্মূল সম্ভব না,তবে এটাকে নিয়ন্ত্রন এ রাখাতাই বুদ্ধিমানের কাজ।
যেমন সবুজ পায়খানা শুরু করলে অনেকে অস্থির হয়ে যায়। কিন্তু সবুজ পায়খানা করলেয় যে সাল্মিনিল্লা আক্রান্ত টা সঠিক নয়। তবে যদি দেখা যায় যে সবুজ পায়খানার সাথে সাথে খাওয়া দাওয়াও যদি বন্ধ করে দেয় তাহলে অনতিবিলম্বে কবুতরের অ্যান্টিবায়টিক চিকিৎসা শুরু করা উচিত। তবে মনে রাখতে হবে, যা অনেক বার অনেক পোষ্ট এ বলেছি যে, প্রতিরোধ মুলক হিসাবে কখনই অ্যান্টিবায়টিক আদর্শ হতে পারে না। যদিও অনেকে সেটাই করে থাকেন। কবুতরের ৩ নম্বর যে সমস্যা যা নিরব ঘাতক হিসাবে কাজ করে টা হল। এক্সটারনাল(শরীরের পোকা) ও ইন্টারনাল প্যারাসাইট (ক্রিমি) নির্মূল করা। ক্রিমির ক্ষেত্রে অনেকেই মানুষের ঔষধ ব্যাবহার করতে পছন্দ করেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে ক্রিমির ঔষধ একটি খুবই উচ্চ ক্রিয়াশীল যা, কবুতরের শরীরে খুবই মারাত্মক প্রভাব পরে ও স্ট্রেস তৈরি করে। আর এই স্ট্রেস অনেক রোগের কারন হতে পারে। যা আমার স্ট্রেস এর পোষ্ট এ বিস্তারিত লিখা হয়েছে। অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন যে,এত কিছু কিভাবে বুঝবো? কবুতর ত আর কথা বলতে পারে না। হা ভাই পারে কিন্তু আমরা অনেকেয় টা বুঝতে পারি না। একজন বোবা মানুষও আকার ইঙ্গিতে তাঁর কথা জানাই,তেমনি আপনার কবুতর আপনাকে নানা ভাবে বুঝাবে তাঁর অসুবিধার কথা। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত অনেকেই তা বুঝতে পারেন না। যেমন কিছুক্ষণ আগে আমাকে একজন জানালেন যে টার কবুতর কাল পায়খানা করছে ও খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। খুবই আশ্চর্য হলাম! উনাকে লিভার টনিক দিতে বললাম তিনি আবার জানালেন যে এটা ধরে খাওাবেন কিনা? আমার সন্ধেহ হল,উনাকে আবার জিজ্ঞাস করলাম যে পায়খানা টা কাল না ঘন সবুজ? এরপর তিনি ভাল করে পরীক্ষা করে জানালেন যে হা এটা গাড় সবুজ সাথে আমাশয় ভাব আছে……। আমার এটা বলার উদ্দেশ্য হল যে আপানর কবুতর কে যখন আপনি পর্যবেক্ষণ করবেন তখন ঠিকমত খেয়াল করবেন। কারন আপনার একটা ছোট ভুল সিধান্ত আপনার কবুতরের জীবনহানির জন্যই যথেষ্ট।
কবুতরের যে শুধু এই সব রোগই হয় তাই নয়, পেটে ব্যাথার মত কিছু সাধারন ক্রনিক সমস্যাও দেখা দেয়। কিভাবে বুঝবেন? যেমন দেখবেন…যে গুজ হয়ে বসে আছে বা পা টা একটু ছরিয়ে হাঁটছে। পিছনের পড় একটু ভিজার মত হয়ে আছে। এই এই সবই আপনাকে তাঁর চলাফেরা দেখে বুঝতে হবে। শুধু তাই নয় আপনি যদি কারও উপদেশ নেন, তাহলে তাকে ব্যাপারটা একটু ভালমত বর্ণনা করবেন। কারন আপনার বর্ণনার উপর তিনি আপনাকে ঔষধ দিবেন। তাই আপনার ভুল বর্ণনার খেসারত হয়ত আপনার নিরিহ প্রাণীটির কেই দিতে হতে পারে। এমন সব ছোটখাটো অথচ সাধারন পর্যবেক্ষণ আপানকে এক অসাধারন সাফল্য এনে দিবে। তবে তার আগে কিছু নিয়ম আপনাকে মেনে চলতে হবে। যেমনঃ
১) প্রথমে রোগ নির্ণয় করুন।
২) রোগ নির্ণয়ের সাথে সাথে ওষুধ নির্বাচন করুন ও প্রয়োগ করুন। হোক না তা রাত বা দিন।
৩) অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগ করলে অবশ্যই স্যালাইন দিতে ভুলবেন না।
৪) রোদের মধ্যে ভিটামিন বা ঔষধ রাখবেন না।
৫) অনেকে অমনে করেন অসুখ হলেই রোদে দেওয়া উচিত। কিন্তু কথাটা আসলে ঠিক না। আর এই ব্যাপারটা একটু খেয়াল রাখবেন।
৬) কিছু ঔষধ আছে যেগুলো পুরতা মিক্স করতে হয় নিয়ম অনুযায়ী, যেমনঃ সাসপেনসান ধরনের ঔষধ। আর এই ঔষধ ১ সপ্তাহ পর ফেলে দিতে হয়।
৭) অ্যান্টিবায়টিক নির্বাচনে একটু খেয়াল রাখুন, প্রথমে মধ্যম ধরনের অ্যান্টিবায়টিক আরপর উচ্চ অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহার করা উচিৎ। প্রথমেই উচ্চ লেভেল এর অ্যান্টিবায়টিক ব্যবহার করলে পরে সমস্যা হতে পারে।
৮) ঔষধ ব্যাবহারে ধৈর্য ধরতে হবে। ১ তা ঔষধ ব্যাবহারে যদি কাজ না হয় তাহলে কমপক্ষে ২/৩ দিন পর অন্য ঔষধে যেতে হবে।
৯) যেকোনো রোগের ঔষধ ব্যাবহারের সময় অবশ্যই চালের স্যালাইন ব্যাবহার করতে হবে।কারন অধিকাংশ কবুতর পানিশূন্যতা তে বেশি মারা যায়।
১০) অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহারের পর রোগ ভাল হলে অবশ্যই,প্রবায়টিক দিতে হবে। যাতে করে শরীর আবার শক্তি সঞ্চয় করতে পারে বা পুনরায় ভাল ব্যাকটেরিয়া তৈরি হতে পারে। তা না হলে সরদি,পাতলা পায়খানা,পারাল্যইসিস এর মত রোগ ফিরে ফিরে আসবে।
১১) হোমিও একটা ঔষধ প্রয়োগ এর পর আরেকটি ঔষধ দিলে পানির বাটি ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। তানা হলে অন্য ঔষধের মিস্রনে ঔষধের গুনাগুন নষ্ট হতে পারে। এমনকি আলাদা ড্রপার ও ব্যাবহার করতে হবে।
১২) কবুতরের অধিকাংশ রোগ তৈরি হয় লিভার জনিত সমস্যা থেকে তাই নিয়মিত লিভার টনিক দিতে হবে।
১৩) অসুস্থ কবুতরকে কোন প্রকার ভিটামিন দেওয়া যাবে না।
১৪) একই সঙ্গে ২ ধরনের অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহার করা যাবে না।
আপনি আপনার কবুতরের অভিভাবক যে যাই বলুক আপনার কবুতরের ভাল আপনি ছাড়া আর কেও বেশি ভাল বুঝতে পারবে না। কিন্তু তার জন্য আপনাকে সেই অনুভব তৈরি করতে হবে। আপনাকে সেই কবুতরের জায়গায় অনুভব করতে হবে। যেমন এক ফেসবুক বন্ধু তাঁর কবুতরের চোখে সমস্যা হয়েছিল। কারও উপদেশ না পেয়ে তিনি তাঁর ছেলের চোখ উঠার জন্য যে ঔষধ ব্যাবহার করেছিলেন,তার কবুতরের জন্য সেটাই ব্যাবহার করলেন। আর তাতেই কাজ হল। কারন তিনি তাঁর ছেলের জায়গাই তাঁর কবুতর কে অনুভব করেছিলেন। আর তাঁর ভালবাসা তাকে এই সাধারন জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করেছিল। আর এটাই দরকার সবচেয়ে বেশি।
“সকল প্রাণী ঈশ্বরের একটি পরিবারের মত হয় এবং তার পরিবারের সবচেয়ে যারা দয়াশীল তাদের আল্লাহ্ ভালবাসেন.” এটা আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ(সঃ) এর এই হজরত আনাস (রা) দ্বারা বর্ণিত (৩:১৩৯২ বুখারী থেকে উদ্ধৃত)।
আর অসুখ ও বিপদে মাথা ঠাণ্ডা রাখা একটা বড় গুন,আর এই গুন সবায়কে অর্জন করতে হবে। অন্তত চেষ্টা করাতাই অনেক বড় ব্যাপার।
মুহাম্মদ আমিন (রা.) হতে বর্ণিত। হুজুর (সা.) বলেছেন “যে প্রাণীর প্রতি দয়া করে, আল্লাহ্ তার প্রতি দয়া করবেন।”
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
মলের মাধ্যমে কবুতর অসুস্থতা শনাক্তকরণ পদ্ধতি ২
অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার, watery প্রস্রাব অংশ আপনার পাখি এর কিডনি দ্বারা উত্পাদিত হয়। যদিও কবুতরের মুত্রথলি নাই। পাখি এর ফোঁটা ফোঁটা পানি পরিমাণ সরাসরি আপনার পাখি যে খাবার জল পান করে তার দ্বারা প্রভাবিত হয়। প্রস্রাব urates নামক একটি স্ফটিক প্রস্রাব দ্বারা গঠিত একটি পরিষ্কার অংশ urates( chalky সাদা অংশ)। (অপরিষ্কার জল ) বলা হয়। কখনও কখনও মুত্র এবং Urates একত্রিত হয়ে একটি মেঘলা তরল গঠন এর মত দেখায়। এই পরিবর্তনগুলি রঙ পরিবর্তন এবং পরিমাণ ভিজা stools শুকনো খাবার সঙ্গে শোষক হওয়া উচিত। ফোঁটা ফোঁটা মধ্যে স্থায়ীরূপে প্রচুর পরিমাণে জল উপস্থিত গুরুতর রোগ হিসাবে চিহ্নত হতে পারে এবং আপনি আপনার পশুচিকিত্সক সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত্। একটা কথা মনে রাখতে হবে পায়খানার সাথে সাদা অংশ মানেই কিন্তু রোগ না আর এই ব্যাপারে একটু খেয়াল রাখবেন।
Urates ( chalky সাদা অংশ যা fluid বলা হয় ) এর পরিবর্তে যদি নীচের রঙ হয়ঃ
• সবুজ: যকৃতের রোগ বা ক্ষুধাহীনতা
• হলুদ : যকৃতের রোগ বা ক্ষুধাহীনতা
• বাদামি: সম্ভাব্য বিষক্রিয়া।
• লাল: তাজা অভ্যন্তরীণ রক্তপাত (পরিপাক নালীর সঙ্ক্রিনতা) অথবা কিডনি রোগ।
• বাড়তি মুত্র: জল বা রোগ উচ্চ খাবার খাওয়া বা অনেক পান করা (ব্যাকটেরিয়া মাত্রাধিক্য নির্দেশ করে।)
৩) ইউরিক অ্যাসিড উপাদানঃ
আপনার পাখি এর ফোঁটা ফোঁটা সাদা / ক্রীম রঙের ইউরিক অ্যাসিড অংশ স্বাস্থ্য এর একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ফোঁটা ফোঁটা এই ভাগে ব্যতিক্রম ছাড়া সাদা বা রঙ সাদা কাছাকাছি হতে হবে। চুন সবুজ, উজ্জ্বল হলুদ, সরিষা শ্যামবর্ণ, ফ্যাকাশে ব্রাউন এবং ইট লাল পরিবর্তনগুলি গুরুতর অসুস্থতা সাধারণ লক্ষণ। স্বাভাবিক অবস্থায় কোন পরিবর্তন অবিলম্বে তদন্ত করা উচিত।
বুঁদ বুঁদ পূর্ণ মল ভাল নাঃ
যে কোনো বুদবুদ বা ফেনা ধারণ করে ফোঁটা ফোঁটা সম্ভবত যেমন clostridium সংক্রমণ হিসাবে ধরা হয়।(যেমনঃ ডায়রিয়া, রক্ত আমাশা, জ্বর ইত্যাদি)
• tapeworms এবং roundworms মত বাস্তব কৃমি জন্য সন্ধান করতে ভুলবেন না
নিম্নলিখিত লক্ষণ তারা অস্বাভাবিক কারণ, জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন হয় আর এই লক্ষণ একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা নির্দেশ করতে পারেঃ
১) দীর্ঘায়িত molt বা pinfeathers এর ক্রমাগত উপস্থিতি।
২) ভাঙ্গা, ন্যুব্জ , বাছাই করা বা পালক চিবান।(তবে বাসা বানানর সময় এটা করতে পারে।)
৩) অস্বাভাবিক বা ভোঁতা পালকের রঙ।
৪) মুখ বা পেছনে প্রায় পাংশুল পালক।
৫) Nostrils অথবা কাছাকাছি খোলসযুক্ত বা কর্কশ উপাদান।
৬) চোখের চারপাশে লালভাব ফুলে বা পালক ক্ষতি, কেশবিরলতা ।
৭) চামড়া বা ঠোঁটের উপর মচমচে অসম্পূর্ণ অংশ ।
৮) পায়ের নীচে ক্ষত।
৯) শরীরের ওজন খোঁড়া বা নাড়াচাড়া।
১০) ঠোঁট বা নখ এর অতিবৃদ্ধি।
১১) ডাকে বা কামড়ে বা খাদ্যাভাস মধ্যে ছোটখাট পরিবর্তন।
১২) প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস ।
জরুরী প্রাথমিক চিকিৎসাঃ
আপনার খামারে পর্যাপ্ত তাপ এবং খাদ্য, অসুস্থ পাখি অস্থায়ী যত্ন জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। পাখি শান্ত রাখা উচিত এবং হ্যান্ডলিং ন্যূনতম করা উচিত। তাপ : একটি কক্ষ তাপমাত্রায় ৮৫– ৯০ ফাঃ রাখা উচিৎ ও অসুস্থ পাখি জন্য নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত। খাঁচার দিকে বা মেঝে বরাবর একটি গরম প্যাড স্থাপন এবং towels সঙ্গে একটি কম্বল বা খাঁচা কভার সম্পূর্ণ খাঁচা draping দ্বারা তৈরি করা যেতে পারে। একটি 60 – Watt হালকা একটি বিকল্প তাপ উৎস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কোনো খাঁচা কভার আলো / তাপ উৎস স্পর্শ করে না তা নিশ্চিত করুন। পাখি দ্রুত শ্বাস শুরু করে বা বা তার শরীর থেকে তার পাখা ঝুলে যায় তাহলে বুঝতে হবে তাপমাত্রা উচ্চ হয়েছে। রুম হিটার বিশেষ ধরনের (যেমন, কেরোসিন ) এড়িয়ে চলা উচিত। একটি অসুস্থ পাখিকে যথাসাধ্য খাদ্য খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিৎ আর সেটা তরল হলে ভাল। খাদ্য পাত্র পাশে স্থাপন করা উচিত। অচেতন বা অজ্ঞান পাখি খাওয়ানোর প্রচেষ্টা করা যাবে না। এন্টিবায়োটিক,এলকোহল বা তেল দেবেন না । পাখি আগামীকাল কিভাবে যায় দেখতে অপেক্ষা করবেন না। কারন বেশিরভাগ ভাগ ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে রোগের চিকিৎসা করতে দেখা যায়,ফলে তার ফলা ফল ভাল হয় না।
ময়না তদন্তঃ
খামারে যদি কোন পাখি মৃত পাওয়া যায় তাহলে শরীরের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষার জন্য প্লাস্টিকের ব্যাগ রাখা উচিৎ। সম্ভবত মৃত্যুর কারণ সনাক্ত করার জন্য একটি এভিয়ান পশুচিকিত্সক থেকে গ্রহণ করা উচিত। এই কবুতর পরিবারের অন্য সদস্য ও বাড়িতে অন্যান্য পাখি স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষা করা জরুরী।
পরিশেষে বলা যেতে পারে যে সাধারন অবস্থায় অনেকে চিকিৎসা দিতে দিরে করেন বা কাজের ওজুহাতে খাওয়া বা পানির দিকে নজর দেন কম বা ২৪ ঘণ্টার জন্য খাবার ও পানি দিয়ে যান। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে খাবার ও পানি আপনি দিচ্ছেন তা ময়লা হতে পারে, আর এই ময়লা খাবার থেকেই যত রোগের সুচনা। তাই যদি আপনি সত্যিকার কবুতর প্রেমী হন তাহলে কিছু সাধারন দায়িত্ব পালন করুন আর তা না হলে পাখি বা কবুতর পালা ছেরে দিন। শুধু লোক দেখানোর জন্য এটা করবেন না। কারন আপনার অবহেলা/অমনোযগিতা/গাফলতির কারনে কোন কবুতর বা পাখি মারা যায় তাহলে হয়ত এর জন্য আপনাকে একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই
মলের মাধ্যমে কবুতর অসুস্থতা শনাক্তকরণ পদ্ধতি ১
আপনি আপনার পাখির বা কবুতরের অভিভাবক। আপনার পাখির জন্য কোনটা ভাল কোনটা মন্দ এটা আপনি ছাড়া অন্য কেও ভাল বুঝতে পারবে না, ঠিক যেমন আপনার সন্তানের বেলাতে যেমনটি ঘটে থাকে। তবে পার্থক্য হল যে পাখির অসুস্থতা মানুষের মত বুঝা যায় না। আর এটা বুঝার জন্য প্রতিদিন মল নিরীক্ষন দ্বারা আপনি আপনার পাখির স্বাস্থ্য সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে পারেন। আর এটার জন্য প্রথম দিকে যদি একটু সময় ব্যয় করতে হয়, তাহলে তাই করুন। কিন্তু আপনাকে তা করেতেই হবে। কারন আপনি যদি যথেষ্ট ভাবে এই অধ্যয়ন করেন, তাহলে হয়ত এর সাথে পরিচিত হয়ে একদিন আপনার কবুতরের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে। আপনার সকাল এবং সন্ধ্যার পর্যবেক্ষণ , আপনার পাখিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। আর এই ক্ষেত্রে আপনি নিয়মিত ভাবে খাঁচার নীচে প্রতিদিন poopy কাগজপত্র পরিবর্তন করুন বা প্লেইন নিউজপ্রিন্ট কাগজ গামছা বা পরিষ্কার মোম কাগজ ব্যবহার করুন,যাতে poop Detecting সহজ হয়।
পাখি অসুস্থতা গোপন করার চমৎকার ঊপায় জানে, কিন্তু আপনার কাছে তা এড়াবে না কারণ আপনার পাখির ড্রপ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার পাখি অসুস্থ যা গোড়ার দিকে সূচক এক হতে পারে। আপনার পাখি এর মল-কম্পোনেন্ট বা উপাদান, মূত্র কম্পোনেন্ট বা উপাদান এবং ইউরিক অ্যাসিড কম্পোনেন্ট উপাদান আছে। তিনটি উপাদানের যে কোন পরিবর্তনের গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করা উচিত এবং যা আপনার পাখি অসুস্থ ইঙ্গিত হতে পারে।
আপনার poop ট্রে এর একটি অংশ হিসাবে , আপনি আপনার পাখি এর খামাড় এলাকা এবং cloaca(পেছন পাশ) , বা পেশী উপর নজর রাখতে পারেন। যদি খামাড় এলাকা সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো থাকতে হবে এবং cloaca কোন বিজোড় growths সঙ্গে মোটামুটি অভেদ্য থাকে । এক্ষেত্রে যদি আর্দ্রতা এলাকায় জট পাকানো stools বা অতিরিক্ত টিস্যু থাকে তাহলে অবিলম্বে চিকিত্সা করাতে হবে।
অস্বাভাবিক কবুতর মল :
১) বর্ধিত আকার।(যদিও ডিমে তাআ দিয়া মাদী কবুতর ডিম থেকে উঠে বেশী পরিমান মল করতে পারে।)
২) ভারী , তৈলাক্ত মল বা আমাশা ভাব।
৩) সবুজ আভা বা Discolored বা ঘন সবুজ, খাকীi থেকে যে কোনো রঙ হতে পারে।
৪) প্রায়ই ভিজা হয়।
৫) সাধারণত গন্ধ বহন করে।
৬) আলগা মল ( মানসিক চাপ, রোগ, অথবা নির্দিষ্ট খাবার কারণেও হতে পারে।), অথবা undigested বীজ ধারণ করে ফোঁটা ফোঁটা করে রোগের চিহ্ন হতে পারে। এছাড়াও মল এর রং পরিবর্তন হতে পারে।
স্বাস্থ্যকর বার্ড মল :
১. অল্প ও সংগে সাদা সাদা অংশ।
২. সাধারণত এটি সংযুক্ত একটি ডাউন পালক আছে.
৩. এটি পার্শ্ববর্তী অংশে কোন ভিজা কোন চিহ্ন থাকবে না।
৪. কোন গন্ধ থাকবে না।
আপনার পাখি এর মল এ ১) মল উপাদানঃ ২) প্রস্রাব উপাদানঃ ও ৩) ইউরিক অ্যাসিড উপাদানঃ এই তিনটি উপাদান থাকবে। তিনটি উপাদানের যে কোন একটির পরিবর্তনের আভাস গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করা উচিত যা আপনার পাখির অসুস্থ হবার ইঙ্গিত হতে পারে।
সবচেয়ে মল তিনটি উপাদান.
১) মল উপাদানঃ
মল গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালীর থেকে আসে এবং সাধারণত একটি সবুজাভ দড়ি বা blob বা ক্ষুদ্র বড়ির মত হয়। পাখি এর ফোঁটা ফোঁটা এই অংশ এর খাদ্য দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং আমূল খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের সঙ্গে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । শাকসবজি stools সবুজবর্ণ হতে পারে যখন উদাহরণস্বরূপ, গ্রিত stools লাল করতে পারে। কিছু বাণিজ্যিক খাদ্য মধ্যে Colorants এছাড়াও stools রং পরিবর্তন করতে পারে। রঙ পরিবর্তন প্রায়ই অপ্রাসঙ্গিক, কিন্তু stools কালো হয়ে বা একটি শক্তিশালী বা অস্বাভাবিক গন্ধ থাকে তাহলে পাখি মালিকদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।
মল মধ্যে বা Feces ( কঠিন নলাকার অংশ)
• ব্ল্যাক/ কালো অথবা Tar মত: পুরাতন রক্ত নির্দেশ করে থাকে। অভ্যন্তরীণ রক্তপাত বা অভ্যন্তরীণ আঘাত যার ফলে যে সম্ভাব্য পাকস্থলিতে কিছু গ্রহণ করার পর।
• বর্ধিত Urates বা বেশী পরিমান সাদা অংশঃ Bacillary diseases, Dehydration বা সম্ভব কিডনি সমস্যা ( dehydration ভুগছেন এমন পাখি তাদের চোখের চারপাশে crinkly চামড়া থাকতে পারে dehydration নির্ণয় আরেকটি উপায় হল । তাদের চামড়া চিম্টি হয় নিরূদ চামড়া অর্থাৎ চামড়া চিমটি দিলে কয়েক সেকেন্ডের জন্য tented থাকবে। )
• মটর সবুজ: যকৃতের ক্ষতি করা বা শাল্মনিল্লা রোগ।
• সাদা বা ক্লে রঙ: অগ্ন্যাশয় বা পরিপাক সমস্যা।
• সবুজাভ বা Greyish Watery মল বা হলুদ :ককসিডিওসিস , আমাশা ইত্যাদি সম্ভাবনা ।
• ডেলা-পাকানো বা হজম করা হয় নাই এমন Undigested খাদ্য: অসম্পূর্ণ হজম, Giardia , hypermotile intestine ইত্যাদি রোগ সভাবনা।
মনে রাখতে হবে অনেক সময় কিছু খাবার আছে, যার কারনেও মল এর রং বিভিন্ন হতে পারে। যেমনঃ রেজা, গ্রীন পিস, মাস কলায় ইত্যাদি আবার গ্রিত এর কারনে লাল হতে পারে এবং এই অবস্থায় কখনও অ্যান্টিবায়টিক বা অন্য কোন ঔষধ দিয়া ঠিক না।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই