শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০১৪

For urgent sell kakji running pair


For urgent sell kakji running pair BD Online Pigeon Market

For urgent sell kakji running pair

Red Komorner running female for sale


Red Komorner running female for sale BD Online Pigeon Market

Red Komorner running female for sale

Kakji plain head Male pigeon for sale


Kakji plain head Male pigeon for sale BD Online Pigeon Market

Kakji plain head Male pigeon for sale

Peshwary nor pigeon for sale


Peshwary nor pigeon for sale BD Online Pigeon Market

Peshwary nor pigeon for sale

4 storage 3 storage and single 3 Pigeon cage for sale


4 storage 3 storage and single 3 Pigeon cage for sale BD Online Pigeon Market

4 storage 3 storage and single 3 Pigeon cage for sale

বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০১৪

সোমবার, ৭ জুলাই, ২০১৪

ভুল সবই ভুল (কবুতরের কেস স্টাডি ষষ্ঠ পর্ব)

ভুল সবই ভুল (কবুতরের কেস স্টাডি ষষ্ঠ পর্ব)


“যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার। তবে আমি তোমাদের ক্রটি-বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাব।“(সূরা আন নিসাঃআয়াত- ৩১)


শুক্রবারের ও ঈদের যে খুদবা শুনা প্রতিটি মুসলিমের জন্য ওয়াজিব। যদিও খুদবা বলতে আমরা আরবি টাকেই প্রাধান্য দেই বেশী। কিন্তু যে জিনিষ আপনি বুঝতে পারছেন না সেটা থেকে, আপনি যেটা বুঝবেন সেটা শুনাই কি ভাল না আমাদের জন্য? আর সেটার জন্য আপনাকে একটু আগেভাগে যেতে হবে মসজিদে যাতে আপনি সেই বাংলা খুদবা টা ঠিকমত শুনতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে অশিকাংশ মানুষ শেষ মুহূর্তে মসজিদে প্রবেশ করেন, কোনমতে ২ রাকাত ফরজ টা আদায় করতে পারলেই কাজ শেষ, কমপক্ষে নাম টা তো খাতাই থাকল! অনেকে তো আছেন সেই নাম টাও খাতাই রাখার প্রয়োজন মনে করেন না। যাই হোক, আমি একবার এ রকম ঢাকার বাইরে খুদবা শুনছিলাম, হুজুর খুব সুন্দর করে বয়ান করছিলেন..যে, এক লোক নানা পাপ কাজে লিপ্ত ছিল, সে জীবনে ৯৯ টা খুন করেছিল, হটাত তার খেয়াল হল যে, সে তো জীবনে অনেক পাপ করেছে, তাহলে এখন তার কি হবে? সে কি মাফ পাবে? এ কথা ভেবে ভেবে সে অস্থির, তার অবস্থা দেখে তার এক বন্ধু তাকে জিজ্ঞাস করল তার কি হয়েছে? সে তার ঘটনা বর্ণনা করল আর তাকে জিজ্ঞাস করল সে মাফ পাবে কিনা? তার বন্ধু তাকে বলল যে, সে মাফ পাবে না। এ কথা শুনে সে আরও রেগে গেল ও তার বন্ধুকেও হত্যা করে ফেলল!!! সঙ্গে সঙ্গে তার সমস্থ গুনাহ মাফ হয়ে গেল!! এটা ছিল মুসুল্লিদের প্রতি সেই মসজিদের হুজুরের জুম্মাবারের বার্তা!



কি অবাক করা খুদবা? এ থেকে সাধারন মুসুল্লিরা কি শিখবে? মানে যাই করি না কেন আমরা মাফ পেয়ে যাব তউবা করলেই। তাই না? এমনকি বিনা কারনে খুন করলেও! আমরা সাধারণত হুজুরদের সব কথা শুনি না, কিন্তু এই ধরনের আজগুবি কথা আবার অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করি। আর এই থেকেই নানা অন্যায় এর সুত্রপাত হয়। এই যে আমাদের বদ্ধমুল ধারনা যাই করি মাফ পাওয়া যাবে, আর এ কারনেই আমরা নানা পাপে উৎসাহিত হই। আমরা সবাই নামেই মুসলমান কিন্ত কাজের ক্ষেত্রে, সুযোগের না পেলে করিব না, কিন্তু সুযোগ পেলে ছাড়িব না। এমন অবস্থা। প্রতি ধর্মে তাদের প্রধানরা পাপ মোচনের কিছু সহজ পন্থা বলে দেন, আপনি যাই করেন না কেন? যদি মুসলমান হন তাহলে তওবা করলেই সব মাফ বা হজ্জ করে সব গুনাহ মাফ। যদি হিন্দু হন গচনা খেয়ে গঙ্গা স্নান করেলেই পাপ মচন। যদি খৃষ্টান হন তাহলে কনফেস করলেই সব পরিস্কার। কিন্তু আসলেই কি তাই? আমরা সব ক্ষেত্রেই কৌশল অবলম্বন করি, “একবার এক লোককে ধরা হল দুধে পানি মিশানর জন্য, সে কিরে কশম কাটল যে দুধে পানি মিশায় না। এমনকি ধর্ম গ্রন্থ তাকে দিয়া হলে সেটা ছুয়ে সে শপথ করল। যে সে দুধে পানি মিশায় না। সবাই থাকে বিশ্বাস করে ছেড়ে দিল কিন্তু পরে সেই একই অবস্থা এবার তাকে সরাসরি মারার জন্য সবাই প্রস্তুত হল, তার আগে সবাই তাকে আবার একই কথা জিজ্ঞাস করল সে একই উত্তর দিল। এর মধ্যে যখন সে বুঝল যে তার চালাকি ধরা পরে গেছে সে বলল, ভাই আমি তো মিথ্যা বলি নাই আমি তো দুধে পানি মিশাই না পানিতে দুধ মিশাই।”


আমাদের মধ্যে আমনই একটা অবস্থা বিরাজ করে। কিন্তু আমরা ভুলে যাই, হযরত আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “মানুষের উপর এমন এক যুগ অবশ্যই আসবে যখন মানুষ পরোয়া করবেনা যে কিভাবে সে মাল অর্জন করল, হালাল থেকে নাকি হারাম থেকে। “(সহীহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ১৯৫৩)


এরই রাস্তা ধরে আমাদের দেশে কবুতরের অনেক বড় বড় খামারিরা আছেন, যারা এই সেক্টর তাকে নিয়ন্ত্রন করেন। তারা যদি রাতকে দিন বলেন আপনাকে মেনে নিতে হবে! কারন আপনি ছোট খামারি। আর যেহেতু আপনি ছোট খামারি তাই আপনার জ্ঞান কম! কোন মতেই তাদের জ্ঞানের সাথে বরাবরি করতে পারবেন না। হোক না আপনি এই সম্পর্কে পড়াশুনা করেছেন বা আপনি বেশী জানেন তাতে কি যায় আসে? আর আমাদের চারপাশে মসাবেবের সংখ্যাও নেয়াত কম না! যারা এই ধরনের খামারি দের তাবেদারি করে! অনেকেই হয়ত এরই মধ্যে ভুরু কুচকে চিন্তা করা শুরু করেছেন যে, আমি কেন হেয়ালিপনা কথা বলছি? আমি মোটেই হেয়ালিপনা কথা বলছি না। আমাদের দেশে যখন রিং এর আমদানি করা কবুতরের রমরমা একটা ব্যাবসা চালু হয়েছে সেখানে কিছু খামারি গোঁদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত, নতুন নতুন কবুতর আবিস্কার করছেন, আমাকে কয়দিন আগে একজন জানালেন তিনি ১ জোড়া মন্টানা কিনেছেন! এটা কি ধরনের কবুতর? দেখলাম বুঝালাম যে, কিং+মদিনা= মন্টানা। চমৎকার আবিস্কার, যেমন আবিস্কার, অপরাজিতা, যেমন আবিস্কার লাজুক/সেজুক লক্ষা! আর আমরা এই ধরনের অত্যাচারে যখন অতিষ্ঠ তখনি এই ধরনের খামারিরা তাদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়র কারিশমাতে রঙ ও নামের উপর তাদের জাদুকরি প্রভাব বিস্তার শুরু করেছেন কি সেগুলো? আমাকে একজন খামারি তার কবুতরের রঙের ভুল ধরিয়ে দেয়াতে আমাকে বললেন, যে এর অনেক শ্রেনিবদ্ধ ভাগ আছে আসলে কি তাই ? না তা ঠিক না একেবারেই আমাদের দেশের মত এত কবুতরের শ্রেনিবদ্ধ বিভাগ পৃথিবীর আর কোন দেশেই নাই। আর এগুলো আমরা আমাদের স্বার্থেই তৈরি করে নিয়েছি। আমাদের নিজেদের সুবিধার জন্য তাহলে ভুক্তভুগি কে? আপনি নিজেই বুঝে নিন না?


আল্লাহ্‌ বলেন,”আর যদি তারা তোমার সাথে প্রতারণা করতে চায়-বস্তুতঃ তারা আল্লাহর সাথেও ইতিপূর্বে প্রতারণা করেছে, অতঃপর তিনি তাদেরকে ধরিয়ে দিয়েছেন। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে পরিজ্ঞাত, সুকৌশলী।“(সূরা আল-আনফালঃআয়াত-৭১)


যেমন আমাদের দেশে নেতা নেত্রিদের মত বড় খামারিরাও যে কথা বলবেন সেটাই সত্যি আর সেটাই সঠিক, এর কোন ব্যাতিক্রম নাই। মানে একজন বড় খামারি যদি কোন কবুতর কে হলুদ রঙ এর বলেন অবশ্যই আপনাকে তা মেনে নিতে হবে না হলে আপনি কিছু জানেন না। আর এদেরই কিছু মোসাহেব আছেন যারা এদের কথা হালাল করার জন জি হুজুর জি হুজুর করতে থাকেন। বা বুঝুক আর নাই বুঝুক লাইক দিয়ে বসে থাকেন। কিন্তু উনারা জানেন না এর ফলে যে এই কবুতর খাতের বারটা বেজে যাচ্ছে। কি আসে যাই এই সেক্টরের উন্নতি ও অবনতি নিয়ে, কারন তাদের তো পকেট ভারি হচ্ছে। সেক্টরের উন্নতি দিয়ে কি ধুয়ে ধুয়ে পানি খাব? টাকাই যদি না থাকে? আমাদের জন্য আজ টাকাই সব। ঈমানের কোণো মূল্য নাই। এরা তো জ্ঞানপাপী, এসব খামারিরা সব জানে কিন্তু নিজেদের স্বার্থের জন্য তা গোপন করে, আর এদের সম্পর্কে আল্লাহ্‌ বলেন, “ আর যে লোক গোপন করবে সে কিয়ামতের দিন সেই গোপন বস্তু নিয়ে আসবে। অতঃপর পরিপূর্ণভাবে পাবে প্রত্যেকে, যা সে অর্জন করেছে। আর তাদের প্রতি কোন অন্যায় করা হবে না।“(সূরা আল ইমরানঃআয়াত- ১৬১)


এদের সম্পর্কে আল্লাহ্‌ আরও বলেন,”আর আল্লাহ যখন আহলে কিতাবদের কাছ থেকে প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করলেন যে, তা মানুষের নিকট বর্ণনা করবে এবং গোপন করবে না, তখন তারা সে প্রতিজ্ঞাকে নিজেদের পেছনে ফেলে রাখল আর তার কেনা-বেচা করল সামান্য মূল্যের বিনিময়ে। সুতরাং কতই না মন্দ তাদের এ বেচা-কেনা।“(সূরা আল ইমরানঃআয়াত-১৮৭)


কবুতরের সেক্টরের কিছু লোক মনে করেন আসলেই তারা কবুতরের উন্নয়নের কল্পে অনেক কিছু করে ফেলেছেন। কিন্তু আসলেই কি তাই, আমরা যদি কাজের সংজ্ঞা নিয়ে একটু আলোচনা করি তাহলে কি দেখি? দৈনন্দিন জীবনে কাজ সম্পর্কে আমাদের যে ধারণা তার সাথে পদার্থবিজ্ঞানগত ধারণার বেশ পার্থক্য রয়েছে। যেমন কোন বস্তুকে দুহাতে আঁকড়ে ধরে উপরে তুলে আবার যেখান থেকে তোলা হলো সেখানে নামিয়ে রাখলে পদার্থবিজ্ঞান এর দৃষ্টিকোন থেকে কাজের পরিমাণ হবে শূন্য, অথচ নিত্যদিনকার ধারনামতে আমরা এটাকেও হয়ত কাজ বলব কারণ এর মাধ্যমে উত্তোলনকারী ক্লান্ত এবং ঘর্মাক্ত হয়ে পড়তে পারেন। পদার্থবিজ্ঞান এর ভাষায়, বল এবং বলের দিকে সরণ-এর উপাংশ ও এর গুণফল হলো কাজ। অর্থাৎ আপনি যে উদ্দেশ্যে কাজটি শুরু করলেন মানে লোক দেখানোর জন্য সেটা যদি আপনি নাম কামানোর জন্য করেন তাহলে সেটাকে কাজের কাজ বলা হবে কিনা সেটা আপনার উপর ছেড়ে দিলাম।


“যে সৎকাজ করছে, সে নিজের কল্যাণার্থেই তা করছে, আর যে অসৎকাজ করছে, তা তার উপরই বর্তাবে। অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে।“(সূরা আল জাসিয়াঃ আয়াতঃ১৫)


আমাদের দেশে কিছু ধরনের মানুষ আছেন যারা শুধু চাই নিজের নাম,সুনাম ও পরিচিতি আর এ জন্যই এত সব আয়োজন। এ ধরনের লোকরা নিজেদের কবুতরপ্রেমি বলে পরিচয় দেয় কিন্তু এর ক্ষতি করার জন্য হেন কাজ নাই যা তারা করে না।


“তুমি মনে করো না, যারা নিজেদের কৃতকর্মের উপর আনন্দিত হয় এবং না করা বিষয়ের জন্য প্রশংসা কামনা করে, তারা আমার নিকট থেকে অব্যাহতি লাভ করেছে। বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।“(সূরা আল ইমরানঃআয়াত-১৮৮)


উনারা কবুতরের উন্নতি কল্পে নানা গ্রুপ খুলে বসে আছেন ঠিক যেন দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। উদ্দেশ্য কি? গ্রুপ সদস্য সংখ্যা বাড়ান? এক এক গ্রুপ এর অ্যাডমিন, এই বলে দাবি করেন জানেন আমাদের গ্রুপ এ ৮০০০ সদস্য আমার গ্রুপ এ ১০,০০০ সদস্য! যে সদস্য আপনার বা আমাদের কোন কাজ আসে না বা যে সংখ্যা শুধু গননাই বাড়ায় সেই সংখ্যা দিয়ে কি হবে, সেটা একজন হলেই কি? আর একলক্ষ হলেই কি? একটা কথা মনে রাখতে হবে দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভাল। আর একজন নেতা যেমন ভোটের লোভে ভোটারদের সব অন্যায় মেনে নেন, আমাদের এইসব গ্রুপ এর অ্যাডমিনরাও এইসব ফেক সদস্যদের কিছু বলেন না, কারন গ্রুপ এর জনপ্রিয়তা কমে যাই যদি। এই ধরনের ফেক জনপ্রিয়তা দিয়ে আপনার কি হবে যদি আল্লাহ্‌ কে আপনি রাজি খুশি করতে না পারেন আপনার লক্ষ্য যদি ঠিক না থাকে।


এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্‌ বলেন”আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন নাই।“(সূরা আস শুরাঃআয়াত-৪০)


যে শব্দ দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর পরিচয় জানা যায় তাকে নাম বলে। আমরা জন্ম গ্রহন করার পর আমাদের পিতামাতা আকিকা বা ধুমধাম করে নাম রাখেন, মরার পরও সেই নাম ধরেই ডাকা হবে, আর আমরা সবইকে কবর থেকে একে একে উঠতে হবে। কিন্তু আজকাল খুবই অবাক ও দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি যে সামাজিক সাইট গুলোতে মানুষজন সেই নামে পরিচিত হতে লজ্জা বোধ করেন। কেন? কারন ছদ্ম নামে যেকোনো অপকর্ম গুলো করা যাই নিশ্চিন্তে । আমাদের মনে যদি কুটিলতা না থাকে তাহলে ত এ রকম হবার কথা না ! এ সব আইডি করে নানা অপকর্ম, নানা অযাচিত মন্তব্য করা যায় নিচিন্ত মনে!


কারো নাম ‘আমার আমি’ কেউ বা ‘একান্ত আমি’ আবার কেউ ‘একাকি আমি’ কোনটা ‘আগুন’ কোনটা আবার “পানি” কেউ আবার “যত লাইক চান তত দিব”, “মাইরা ফালামু” কোনটার নাম “হৃদয়ে গোলাপ” কেউ আবার নানা ধরনের ইংলিশ সব শব্দ ব্যাবহার করে রাখা হয় ইত্যাদি। কেউ আবার আজব সব ছবিও ব্যাবহার করে থাকেন এই সব আইডি গুলোতে কোনটা ভুতের কোনটা পিশাচ কোনটা আবার সাপ এই ধরনের আজগুবি ও ভয়ঙ্কর সব ছবি ব্যাবহার করেন,কেন? এমনকি আর আমার ধারনা, এ রকম এক এক জনের ৭-৮ আইডি আছে। আমরা Hollywood এর সিনেমা গুলোতে দেখি যে কোন প্রকার ডাকাতি বা খুন খারাবি বা কোন অপ কর্ম করার জন্য মুখোশ ব্যবহার করা হয়। এই সব সামাজিক সাইট গুলোতেও ইদানিং একই অবস্থা। তাহলে কি আমরা ধরে নিব? অনেকেই আছেন কোন গ্রুপ এ যোগ দিবার জন্য ছবি ব্যাবহার করেন, কিন্তু যোগ হবার পরপরি ছবি পাল্টে ফেলেন, কেন? এতে কি লাভ হবে? এ সমস্থ কাজ যারা করেন তারা আবার এগুলোর জন্য কিছু না কিছু, কোন না কোন যুক্তি দাঁড় করানর চেষ্টা করে থাকেন। সে যুক্তিই দাঁড় করানর চেষ্টা করেন না কেন, যেকোনো যুক্তি হয়ত আপনি আপনার মানসিক প্রসান্তি পাবেন কিন্তু হিসাব থেকে পার পাবে না।


এ ধরনের লোক সম্পর্কে আল্লাহ্‌ বলেন, “যখন ফিরে যায় তখন চেষ্টা করে যাতে সেখানে অকল্যাণ সৃষ্টি করতে পারে এবং শস্যক্ষেত্র ও প্রাণনাশ করতে পারে। আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না।“(সূরা আল বাক্বারাহ 205)


একলোক তার ছেলের মান খুবই সখ করে নাম রাখল খিঞ্জীর। আর তার নাম কেউ সুনলেই প্রথমেই ভুরু কুচকে যেত, কেন? কারন তার নামের অর্থ ছিল “শূয়র” কেন এ রকম নাম রাখা হল? যেহেতু এটা আরবি শব্দ আর যেহেতু এই শব্দটা কোরআনে আছে, আর যেহেতু হুজুর বলেছেন যে, কোরআনের ১ টা শব্দ উচ্চারন করলে ১০ তা নেকি তাই তার বাবা মা তার এরূপ নাম রেখেছিল। কিন্তু মনে রাখতে হবে প্রতিতা নামের একটা তাসির আছে যা মানুষের স্বভাব ও চরিত্র কে প্রভাবিত করে থাকে।


এ সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে-আলী ইবন আব্দুল্লাহ (রহঃ) আবূ হ্বামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ” আল্লাহ তা’আলা আমার নিকট সর্বাধিক নিকৃষ্ট নামধারী অথবা বলেছেন, সব নামের মধ্যে ঘৃণিত নাম হল সে ব্যাক্তি, যে রাজাধিরাজ- নাম ধারণ করেছে। সুফিয়ান বলেন যে, অন্যেরা এর ব্যখ্যা করেছেন, শাহান শাহ। ” (সহীহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৫৭৭৩ )


যাইহোক আসল কোথাই ফিরে আসি। একটু চিন্তা করবেন ছদ্ম নামে কোন ভাল কাজ করা যাই না। বিশেষ করে সেটা যদি অসভ্য বা অশ্লীল হয়। কোন গ্রুপ এ ছদ্দনামে প্রবেশ করাটা অনেকটা বিনা অনুমতিতে প্রবেশের মত আর অনেকেই এ ধরনের কাজ করে থাকেন অবলীলায় ? ছদ্ম না ব্যাবহার ও লুকিয়ে বিনা অনুমতিতে শুনা বা বিনা অনুমতিতে কারো বাড়িতে প্রবেশ কি আপনার এক ধরনেরই মনে হয় না, আমার ধারনা দুটোই এক। আপনি ছদ্ম নাম ব্যাবহার করে আপনি আরেকজনের গ্রুপ এ প্রবেশ করলেন, যিনি চান না আপনি তার গ্রুপ এ থাকেন, এটা বিনা অনুমতিতেত প্রবেশ বা উকি মারার সমান।


আর বিনা অনুমতিতে প্রবেশের বা উকি মারার ব্যাপারে হাদিসে কি বলে বূল ইয়ামান (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) -কে বলতে শুনেছেন যে, আমরা হচ্ছি (পৃথিবীতে) সর্বশেষ ও (আখিরাতে) সর্বপ্রথম। উক্ত হাদীসের সুত্রে এও বর্ণিত, তিনি বলেছেনঃ যদি কেউ তোমার ঘরে তোমার অনুমতি বেতিরেখে উকি মারে আর তুমি পাথরঁ নিক্ষেপ করে তার চক্ষু ফূটা করে দাও, তাতে তোমার কোন গুনাহ হবে না। (সহীহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৬৪২১)


যদিও আমার বলার মতলব এটা না যে, আমি এ রকম করাতে উৎসাহিত করছি, বা কাউকে এটা করার জন্য পরামর্শ দিতেছি, বরং এটা বলার উদ্দেশ্য হল এটা কত বড় অন্যায় সেটাই বুঝান। আমারা সামাজিক সাইট গুলো তে বন্ধু বানাই, যেখানে কোন নুংরামু থাকবে না, যেখানে একজন আরেকজনকে নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্য করবে। একজনের বিপদে আরেকজন ঝাপিয়ে পড়বে। আর এই বন্ধুর কোন সিমা থাকবে না। কিন্তু আমরা সংস্কার যুক্ত মানসিকতাই আছন্ন, আমারা একই ব্যাপার ছাড়া অন্য কিছু থাকতে পারে সেটা চিন্তা করতে পারি না। আর কেনই বা আপনি ছদ্ম নাম ব্যাবহার করবেন? কারন আপনি একজন খামারি আর ভবিষ্যতে আপনি আপনার পরিচয়ে বড় খামারি হবেন লোকে আপনাকে এক নামে চিনবে।তাহলে কেন এরূপ ছলচাতুরির আশ্রয় নেয়া?


হযরত মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) হযরত আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরন মেশক বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের ন্যায়। আতর বিক্রেতার থেকে তুমি রেহাই পাবেনা। হয় তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় তার সুঘ্রান পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয় তোমার ঘর অথবা কাপড় পুড়িয়ে দেবে, না হয় তুমি তার দুর্গন্ধ পাবে। (সহীহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ১৯৭১)


আল্লাহ্‌ বলেন, “যার প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন। শয়তান বললঃ আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করব। তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, তাদেরকে আশ্বাস দেব; তাদেরকে পশুদের কর্ণ ছেদন করতে বলব এবং তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেব। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়।সে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাদেরকে আশ্বাস দেয়। শয়তান তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা সব প্রতারণা বৈ নয়।তাদের বাসস্থান জাহান্নাম। তারা সেখান থেকে কোথাও পালাবার জায়গা পাবে না।” (সূরা আন নিসাঃআয়াতঃ-১১৮-১২১)


আমি জানি আমার এই পোস্ট আগের পোস্ট গুলোর মতই হবে, সবাই পড়বে কিন্তু কিছু মানুষ ছাড়া আর কেউ মানবে না। মানার কথাও না। কারন আমাদের চামড়া মোটা হয়ে গেছে কানের মধ্যে ঠুলি পরে গেছে। আমাদের ঢাকা শহরের সিটি সার্ভিস বাস গুলোর দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখব, কোনটা বিরতিহিন, গেট লক, সিটিং(চিটিং) ইত্যাদি কিন্তু কয়টা বাস আছে তারা তাদের সেই সার্ভিস দেয়? একবার এ রকম এক সিটি সার্ভিস বাসে উঠলাম তার সিটিং হয়ে গেছে তারপরও সে গাড়ি ছাড়ছে না। লোকজনের ধৈর্যচ্যুতি ঘটল অনেকেই গালিমন্দ করা শুরু করল, কিন্তু আশ্চর্য হয়ে দেখলাম কন্ডাক্টর আর চালকের কোন বিকার নাই! চালক একটা ম্যাচের কাঠী দিয়ে কান চুলকাচ্ছে আর কন্ডাক্টর বাইরে নেমে গুলিস্তান বলে চিৎকার করছে। গালির পরিমান যখন বেড়ে গেল, তখন দেখলাম। চালক ম্যাচের কাঠির উল্টা পিঠ দিয়ে দাঁত খিলাল করতে লাগল জানালা দিয়ে বাইরে মুখ বের করে রাখল। বুঝলাম এদের ঘিনপিত বলে কিছুই নাই, আর কথা আর গালি শুনতে শুনতে এরা অভাস্ত হয়ে পড়েছে।


(একবার কিছু নেতারা বক্তিতা দিচ্ছিলেন, একের পর এক অনেক কথা অনেক প্রতিশ্রুতি! সবশেষে বড় নেতা আসবেন এর ফাকে এক পাগল কোথা থেকে যেন দৌড়ে আসে মঞ্চে উঠে পড়ল, তার পড়নে একটা ছেঁড়া লুঙ্গির মত এক টুকরা কাপড়, সে হটাত করে পরনের কাপড়টা খুলে তার ঘাড়ে ফেলে চিৎকার করে মাইকে বলল আগে বস্র সমস্যার সমাধান চাই! সবার সম্ভিত ফিরে পেতেই তাকে সবাই মিলে ধরে মঞ্চ থেকে নামাল। বাইরের অনেকেই মনে করল যে সেও একজন বড় মাপের নেতা তাই সবাই প্রচুর করতালি পড়ল। এরপর বড় নেতা মঞ্চে উঠলেন এরপর শুরু করলেন, আমাদের খাদ্য ,বস্ত্র ও চিকিৎসা সমস্যার সমাধান করতে হবে! এ সময় বাইরে থেকে এক লোক চিৎকার করে বলে উঠল “আরে মিয়া এরকম করে কয়লে কি হোইব?, হের মত লুঙ্গি কাঁধে লন, হেরপর কন!“)


এটা একটা সাধারন ঘটনা, কিন্তু এটা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে, আমাদের চারপাশে এ রকম হাজারও লোক আছেন। যারা জিবনেও একটা ভাল কাজ করেছেন কিনা খুজে পাওয়া যাবে না, কিন্তু সমালচনার ক্ষেত্রে ১০০% আগে। এটা করলে অমুক হত সেটা করলে তমুক হত, সে খেলোয়াড় সাড়া জীবন ভুল শট খেলে খেলে আউট হয়েছেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি অন্যের সমালোচনা করা শুরু করেন, এই শট টা খেলা ঠিক হয়নি, ওটা এমন ভাবে খেলা উচিৎ ছিল ইত্যাদি। কিন্তু জিবনেও তিনি ভাল ভাবে খেলার চেষ্টাও করেনি, নিজের ভুলগুলো শুধরিয়ে। আর তাই আজকাল টিভি গুলোতে টক শো এর কদর বেশী। যে সব লোক জিবনেও একটা ভাল কাজ করেছেন কিনা খুজে পাওয়া যাবে না তারা বসে বসে টক শো গুলোতে সমালচনার ঝড় তুলেন। যেন তিনি সমালোচনা করলেই দেশ উদ্ধার হয়ে যাবে। এমনকি এসব লোকগুলো একটা ভালকাজ করে নিদর্শন সৃষ্টি করতে পারেনা। কিন্তু তারপরও, সমালোচনা করা সোজা কিন্তু কাজটি করা কঠিন। আর আমরাও কিছু বুঝি আর না বুঝি সাধু সাধু করে সাবাস দিতে থাকি।


“প্রত্যেকের জন্যে তাদের কর্মের আনুপাতিক মর্যাদা আছে এবং আপনার প্রতিপালক তাদের কর্ম সম্পর্কে বেখবর নন।“(সূরা আল আন-আমঃ আয়াত- ১৩২)


কিছুদিন আগে আমার একটা পোস্ট এর সমালচনায় বলেছিলেন, আমরা যারা কবুতর পালক তারা সবাই একই নৌকার যাত্রী, তাই একটু ভেবে দেখবেন? উনার কথা ১০০% ঠিক আমরা সবাই একই বাহনের যাত্রী ,কিন্তু সবাই তো আর যার যার স্বার্থের বোঝা মাথাই নিয়ে বসে নাই। তাই না? তাই এখন সময় এসেছে, আসুন আমরা আমাদের স্বার্থের খোলস থেকে বের হয়ে আসি তাহলেই হয়ত সবচেয়ে ভাল হয়। আর এ কাজ করতে আমাদের ইচ্ছা ও চেষ্টাই যথেষ্ট বাকিটা আল্লাহপাক ব্যাবস্থা করে দিবেন। আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে সথিকভাবে জীবন গঠনের তৌফিক দান করুন আমীন।


পরিশেষে, আবূ নু’মান (রহঃ) হযরত আবদুল্লাহ ইব’ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে। একজন শ্বাসক সে তার অধীনস্তদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন পুরুষ তার পরিবারের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন স্ত্রী তার স্বামীর গৃহের রক্ষক, সে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন গোলাম তার মনিবের সম্পদের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব সাবধান, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে।“(সহীহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৪৮০৯)


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



ভুল সবই ভুল (কবুতরের কেস স্টাডি ষষ্ঠ পর্ব) BD Online Pigeon Market

ভুল সবই ভুল (কবুতরের কেস স্টাডি ষষ্ঠ পর্ব)

Pigeon Discussion, Pigeon Diseases & treatment

শনিবার, ৫ জুলাই, ২০১৪

Master Lahore pair for sale

Master Lahore pair for sale. very big size – male 2010 and female 2011 EE



Master Lahore pair for sale BD Online Pigeon Market

Master Lahore pair for sale

EE Ringed German Shield Runing Pair pigeon

EE Ringed German Shield Runing Pair pigeon



EE Ringed German Shield Runing Pair pigeon BD Online Pigeon Market

EE Ringed German Shield Runing Pair pigeon

QUALITY RACING pigeon BIRD for sale


QUALITY RACING pigeon BIRD for sale BD Online Pigeon Market

QUALITY RACING pigeon BIRD for sale

Nun Chick pigeon for sale

Nun Chick pigeon for sale. Disease free & Vaccinated.



Nun Chick pigeon for sale BD Online Pigeon Market

Nun Chick pigeon for sale

Big Iron pigeon Cage for sale

Big Iron pigeon Cage for sale. Size:6 feet / 4 feet / 3.5 feet.



Big Iron pigeon Cage for sale BD Online Pigeon Market

Big Iron pigeon Cage for sale

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০১৪

কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ও বর্ষা কালীন মাসিক ছক (কবুতরের কেস স্টাডি)

কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ও বর্ষা কালীন মাসিক ছক (কবুতরের কেস স্টাডি)


“আমি যখন রোগে আক্রান্ত হই তখন তিনিই (আল্লাহ) আমাকে রোগমুক্ত করেন।” (সূরা শুআরা : আয়াত ৮০)


বুখারী শরীফে বর্ণিত একখানা হাদীসে রাসূলেপাক (সা.) ইরশাদ করেন, “আল্লাহ এমন কোন রোগ প্রেরণ করেন না যার আরোগ্য নেই.”


“আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।“ (সূরা বনী ইসরাঈল ৮২)


একবার এক ডাক্তার রুগীকে এক বোতল ঔষধ দিয়ে বললেন প্রতিদিন একদাগ করে খেতে। আর ১ সপ্তাহ পর দেখা করতে। রোগী এক সপ্তাহ পর আবার আসলেন অবস্থা আরও খারাপ…! ডাক্তারের উপর রেগে আগুন কি ডাক্তার সাব কি ঔষধ দিলেন রোগ ভাল হয় না? ডাক্তার রোগীকে জিজ্ঞাস করলেন ঔষধ ঠিকমত খেয়েছিলেন তো? রোগী উত্তর দিল হ আপনি যেভাবে এক দাগ করে খেতে বলছিলেন সেই ভাবেই খাইছি। ডাক্তার বললেন কয় দেখি ফাইল? রোগী বোতল বের করে দেখালেন…। ডাক্তার দেখলেন ঔষধ যেমন ছিল তেমনই আছে…কি ব্যাপার আপনি তো দেখি ঔষধ খান নাই একটুও. রোগী এবার আরও রেগে গেল আপনি কি আমারে ঔষধ কাইতে বলছিলেন নাকি দাগ খাইতে বলছিলেন…আমি তো আপনার কথামত একদাগ করে প্রতিদিন (বোতলের গায়ে যে দাগ দিয়া ছিল) খাইছি। ডাক্তার তার সহকারিকে বলল, এই চেম্বার বন্ধ কর আর ডাক্তারি করব না।


ইসলাম ধর্মে জ্ঞানার্জনের উপর ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে আগেও আলোচনা করা হয়েছে ব্যাপকভাবে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার ব্যাপারে নানা দিক নির্দেশনা রয়েছে। রোগ হলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে, চিকিৎসা করতে হবে। এটাই আল্লাহ ও তার রাসূলের নির্দেশ। প্রত্যেক রোগেরই ওষুধ আছে। সঠিকভাবে চিকিৎসা করা হলে রোগ নিরাময় করা যায়। আল্লাহপাক রোগ যেমন প্রেরণ করে থাকেন তেমনি এর প্রতিকারেরও ব্যবস্থা করে থাকেন। তবে রোগুমুক্তির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে এবং আল্লাহর রহমত কামনা করতে হবে। হযরত জাবির (রা.) বর্ণিত হাদীসে রাসূলেপাক (সা.) ইরশাদ করেন। প্রত্যেক রোগেরই ওষুধ আছে। সঠিকরূপে রোগের উপর ওষুধ পড়লে আল্লাহর হুকুমে আরোগ্য লাভ হয় (মুসলিম শরীফ)। আল্লাহতায়ালা নানা ভাবে মানুষকে পরীক্ষা করে থাকেন। আর এর ফলে ঈমান আরও দৃঢ় হয়। পবিত্র কোরআনে এমন সব দিক-নির্দেশনা রয়েছে, যা মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যা থেকে মানুষকে দূরে রাখে। ইসলাম ধর্ম রোগ প্রতিরোধের ওপরই সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। কোরআনের বিভিন্ন আয়াত এবং হাদিসে এমন সব দিকনির্দেশনা রয়েছে,যা রোগ প্রতিরোধের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।


“তিনি মুমিনদের অন্তরের রোগ নিরাময়কারী” (সূরা তওবা : আয়াত ১৪)।


যেমন বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, ক্ষুধার্ত না হলে খেতে বসনা এবং পেট পরিপূর্ণ হবার আগেই খাওয়া শেষ কর। রাসূল (সাঃ) ও ইমামগণ এমন সব খাদ্যদ্রব্যের নাম উল্লেখ করেছেন,যা ব্যাথা উপশমসহ নানা রোগ থেকে মানুষকে মুক্ত রাখে। একই সাথে কোরআনে অনেক খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতেও বলা হয়েছে। মানুষের মন-মানষিকতার ওপর খাদ্যের প্রভাবের কথাও কোরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।


“হে মানব-জাতি! পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্য আছে, তা হতে তোমরা খাও এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করোনা। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু ।”সূরা বাকারারঃআয়াত ১৬৮) “যে ভয় করে, সে উপদেশ গ্রহণ করবে,আর যে, হতভাগা, সে তা উপেক্ষা করবে,সে মহা-অগ্নিতে প্রবেশ করবে।অতঃপর সেখানে সে মরবেও না, জীবিতও থাকবে না।“(সূরা আল আ’লা আয়াত-১০-১৩)


রাসূলেপাক (সা.) হাদীসে রোগ নিরাময়ের বিভিন্ন পন্থা বর্ণনা করেছেন। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদীসে রাসূলেপাক (সা:) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা কালজিরা ব্যবহার কর। কেননা এতে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ওষুধ রয়েছে’ (বুখারী)।


কালজিরা সকল রোগের অদ্বিতীয় ওষুধ। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা যেসব নতুন নতুন ওষুধ তৈরি করছেন তা মূলত কোরআন-হাদীস গবেষণা করেই তৈরি করছেন। আজ থেকে চৌদ্দশ’ বছর পূর্বে নবী (সা.) এসব ওষুধ তৈরির কথা বর্ণনা করেছিলেন। হযরত উম্মে কায়েস বিনতে মিহসান (রা.) বর্ণিত হাদীসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন ‘তোমরা চন্দকাঠ ব্যবহার কর। কেননা ইহাতে সাত প্রকার রোগের ওষুধ রয়েছে’ (বুখারী)।

হযরত আয়শা (রা.) ও হযরত রাফে ইবনে খাদিজ (রা.) বর্ণিত হাদীসে নবী (সা.) ইরশাদ করেন- ‘জ্বরের উৎপত্তি হয় জাহান্নামের তাপ হতে সুতরাং তোমরা পানি দিয়ে তা ঠাণ্ডা কর’ (বুখারী ও মুসলিম)। আর আজ এত বছর পর জ্বরে যখন কেউ ছটফট করতে থাকে, মাথার যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে জ্ঞানহারা হয়, তখন চিকিৎসকগণ মাথায় পানি দিতে পরামর্শ দেন ও গা পানি দিয়ে মুছে দিতে বলেন। সৌদি আরবে এক্ষেত্রে বরফ পানিতে গোসল করানো হয়। এছাড়া পবিত্র কোরআনে মানুষের সুস্থতার প্রতি ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রোজার বিধান অন্যতম। মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রোজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।


মহানবী (সাঃ) বলেছেন, রোজা রাখুন তাহলে সুস্থ্য থাকবেন।


আল্লাহ্‌ বলেন, “হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য”। [সূরা ইউনুস আয়াত- ৫৭]


আল্লাহ্‌ এভাবে মানুষের চিকিৎসার মাধ্যমে সব প্রানিকুলের চিকিৎসার উদাহারন দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা আমাদের চিকিৎসা যেভাবে করি আমাদের প্রানিকুলের চিকিৎসা সেভাবে বা সেরকম গুরুত্ত দিয়ে করি না।। আমাদের যখন পায়খানা বা সর্দি হয় তখন আমরা নিজেরা সেই সব ঔষধ খাই না যেগুলো অবলীলায় কবুতর দের কে খাওয়াই। আমাদের ডাইরিয়া বা ঠাণ্ডা লাগলে অ্যান্টিবায়টিক নিজেরা খাই না কিন্তু এই নিরীহ প্রাণীটিকে খাওয়াতে থাকে যতক্ষণ না তার দফারফা হয়ে যাই। এ জন্য যদি বিচার করা হয় তাহলে বলতে পারি যে আমাদের কবুতরের খামারে যে রোগ বালাই বা অসুখ দেখা দেয় তা একজন খামারি দায়ী ৯৫% বা একজন খামারির কারনে হয়ে থাকে বেশী। প্রথমত অধিকাংশ খামারি কবুতর কে খেয়াল করেন না বা পর্যবেক্ষণ করেন না ঠিকমত। বা হয়ত অনেকেই তাদের কর্মচারীর উপর নির্ভর করেন। আর তাই একজন একজন খামারি কবুতরের রোগ দেখা দিবার পর সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করেন না আগে দেখেন ভাল হয় কিনা, তার পর সহজ পন্থা অবলম্বনের চেষ্টা করেন, এর পর ভাল না হলে হাতের কাছে যাকে পান তার উপদেশ নেন, হোক না সে অনভিজ্ঞ (যদিও আমাদের দেশে সব লোকই অভিজ্ঞ, কারন আপনি কাউকে কবুতরের কোন রোগ বা তার ঔষধ সম্পর্কে জিজ্ঞাস করে দেখেন, কেউ না বলবে না।) এর পর যদি ভাল না হয় তখন খুজেন কে আছেন? আর এর মধ্যে কবুতর কে ১ ডজন ঔষধ ইতিমধ্যে প্রয়োগ করা হয়ে যাই। এর মধ্যে যদি রোগ ভাল হয়ে যাই ঝড়ে বক পড়ার মত, তাহলে তো ভাল আর যদি মারা যায় তাহলে আমরা নিয়তি কে দোষ দেয়, এই বলে আসলে তার হায়াত ছিল না ত তাই বাচানো গেল না। কিন্তু আসলে কি এভাবে পার পাওয়া যাবে? একজন খামারি লক্ষণ বর্ণনা দিবার ব্যাপারে আরও কৃপণতা করে থাকেন। অধিকাংশ খামারি প্রথমে বলেন, আমার কবুতর ঝিমাচ্ছে বা লোম ফুলিয়ে বসে থাকে! এটা কি কোন রোগের সঠিক লক্ষণ হতে পারে? আমাদের যখন মাথা ধরে বা পেত ব্যাথা করে বা মন খারাপ থাকে বা প্রচণ্ড স্ট্রেস এ থাকি তখন কি আমরা জ্ঞান ছেড়ে দিয়ে নাচ করি নাকি মন খারাপ করে চুপ করে বসে থাকি। আর এই সময় আমাদের পরিবারের লোক কি কাউকে বলে যে ওর রোগ হয়েছে? নাকি আগে জিজ্ঞাস করবে তোমার কি হয়েছে? যখন প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। কেবল তখনি এর চিকিৎসা করা যাবে তাই না। আপনি হয়ত ভাবতে পারেন, কবুতর কে কিভাবে জিজ্ঞাস করবেন তার কি হয়েছে? হা আপনি তাকে জিজ্ঞাস করতে পারবেন যদি আপনার সেই চোখ বা আগ্রহ থাকে। একটি কবুতরের পায়খানা দেখে তার রোগের ৭০% খবর পাওয়া যায়, আর বাকিটুকু তার শারীরিক ব্যাবহার দেখে। তাহলে আপনার কবুতরের রোগের ব্যাপারে কি ভাবে জানবেন? কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজার চেষ্টা করবেনঃ কি সেগুলো…


১) পায়খানার রঙ কেমন? বা পাতলা না শক্ত? বা গন্ধযুক্ত কিনা?
২) খাওয়া দাওয়া করে কিনা? করলে কেমন? বা পানি কম না বেশী খাই?
৩) খাবার ঠিকমত হজম হয় কিনা?
৪) কবুতরের ঠাণ্ডা ভাব আছে কিনা? বা ঘড় ঘড় শব্দ করে কিনা? মুখের ভিতর কফ বা লালা আছে কিনা? লালার রঙ কেমন? বা সাদা সাদা কোন ঘা বা লম্বা সুতার মত কিছু আছে কিনা?
৫) হা করে শ্বাস নেয় কিনা?
৬) নাকে বা চোখে পানি আছে কিনা?
৭) অ্যালার্জি ধরনের খাবার দিয়া হয় কিনা? জেমনঃ রেজা, ধান ইত্যাদি
৮) কি ধরনের কবুতর ও এর বয়স? বা বাচ্চা আছে কিনা? বা ঘন ঘন ডিম বাচ্চা নিয়া হয় কিনা?
৯) কোন ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছে কিনা?
১০) কৃমির ঔষধ শেষ কবে প্রয়োগ করা হয়েছে? আর সাল্মনিল্লা কোর্স (প্রাকৃতিক টা) করা হয় কিনা? ইত্যাদি।


আমরা উপরের বিষয় গুলো যদি পর্যালোচনা করি তাহলে, তিনটি জিনিষ পরিলক্ষিত হয়ঃ


১) প্রতিরোধঃ প্রতিরোধের জন্য অনেক আগেই কিছু প্রাকৃতিক খাদ্য নিয়ে অনেক বার আলোচনা করা হয়েছে।


ক) কবুতর কে সপ্তাহে/১৫ দিনে/মাসে অন্তত ১ দিন কিছু সময়ের জন্য উপবাস রাখা। এতে কবুতরের কর্প এ জমে থাকা সঞ্চিত খাদ্য হজম হয় ফলে বিভিন্ন রোগ থেকে বেচে থাকে।


খ) আমি একটি খাদ্য তালিকা দিয়েছিলাম সেখানে কাল জিরার আন্তভুক্ত ছিল। আপনি যদি মাঝে মাঝে কালজিরা + মেথি + মউরি + জাউন এই উপাদানের মিক্স করে (৪০% + ৩০% + ১৫% + ১৫%) খেতে দেন আপনার কবুতর কে তাহলে দেখবেন আপনার খামারে অনেক অনাখাঙ্কিত রোগ থেকে মুক্ত থাকবে।


গ) এছাড়াও মধু/রসুন/লেবুর রস, কাঁচা হলুদ, অ্যাঁলভিরা বা কাঁচা শাক-সবজি এগুলো আপনার কবুতর কে সজিব রাখতে সাহায্য করবে।


ঘ) একটা বিষয়ে সতর্ক থাকবেন অনেকেই কবুতর কে মোটা তাজা করার জন্য সংক্ষেপ রাস্তা খুজেন! এটা ঠিক না বিশেষ করে যারা বর্তমানে বয়লার গ্রয়ার খাওয়াচ্ছেন তারা এটা খাওয়ান বন্ধ করে দেন কারন বর্তমানে এই খাবারে না ধরনের ক্যেমিকাল মিক্স করা হচ্ছে যা আপনার কবুতরের স্বাস্থ্য গত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।


ঙ) আপনার খামারে রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে অন্যতম উপাদান হল, খাদ্য পরিস্কার বা নিয়মিত ফাঙ্গাস মুক্ত বা স্যাঁতসেঁতে মুক্ত রাখা। খাবারে ফাঙ্গাস সব ঋতুতেই কমবেশি পরে এই আপনি যদি আপনার খাবারের এই ফাঙ্গাস এর ব্যাপারে খেয়াল রাখেন বা খাবার পরিস্কার এর ব্যাপারে খেয়াল রাখেন তাহলে আশা করা যায় যে আপনার খামার ৮০% রোগ মুক্ত থাকবে কোন প্রকার ঔষধ প্রয়োগ ছাড়াই। আর এই লক্ষে আপনাকে খাবার রোদে দিতে হবে মাঝে মাঝে বা আগুনে হালকা গরম করে নিতে পারেন।


চ) ৪৫ দিন পর পর কৃমির ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। তবে অসুস্থ ও বাচ্চা যেগুলোর আছে সেগুলো কে বাদে বা যেগুলো ১-২ দিনের মধ্যে ডিম দিতে পারে এমন বা যে সমস্থ কবুতরের ৩-৪ দিনের মধ্যে বাচ্চা ফুটবে আমন কবুতর কে অনুগ্রহ করে দিবেন না।


ছ) আমাদের দেশে অধিকাংশ খামারি তথাকথিত ভ্যাকসিন (মুরগির) দিবার ব্যাপারে খামারি অস্থির থাকেন এবং দুঃখ জনক হলেও সত্য যে অনেকেরই ধারনা এই ভ্যাকসিন না দিলে না জানি কি হয়ে যাবে, নতুন খামারিরে দের দোষ দিব না কারন এই ভ্যাকসিনের ভ্রান্ত ধারনা অনেক বড় ও পুরাতন খামারি দের মধ্যেও আছে। ভ্যাকসিন দিতে আমি মানা করব না তবে অনুরধ করব যেন আমাদের দেশের মুরগির ভ্যাকসিন না দিয়ে কবুতরের জন্য তৈরি ভ্যাকসিন দিবেন। তা না হলে হিতে বিপরীত হবে।


জ) আপনার খামার পরিস্কার পরিছন্ন রাখারা চেষ্টা করবেন, আর এই লক্ষে আপনার খামারকে অন্তত ২-৩ দিন পর পর তাদের বিষ্ঠা বা মল পরিস্কার করা উচিৎ। কারন কবুতরের রোগের অন্যতম আরেকটি উপাদান হল এই মল। এগুলো শুকিয়ে ধুলাই পরিনত হয় আর ফলে না ধরনের রোগ জীবাণু ছড়ায়। আর পরিস্কার করার পাশাপাশি জীবাণু মুক্ত ঔষধ ছিটান উচিৎ। যেমন- VIROCID, FARM30, VIRCON S, HALAMID,OMNICIDE, TEMSEN ETC ১ লীটার পানিতে ১ গ্রাম মীক্স করে স্প্রে করা ভালো।


ঝ) যদি প্রতিরোধের ব্যাপার আসে তাহলে হোমিও Tiberculinum 30 দিতে পারেন ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে পুরো খামারে। আপনার খামারে যতটুকু পানি লাগে সেই অনুযায়ী। সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। আর এই ঔষধ গ্রীষ্ম ও বর্ষার জন্য ঠাণ্ডা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ভাল কাজ করে থাকে। আরও কিছু হোমিও ঔষধ যা আপনার প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকেঃ যেমন-


১) Borax 30 = ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। এটি বায়ু বাহিত রোগ প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।


২) Belodona 30= ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। পি,এম,ভি রোগ প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।


৩) Hypericum 200= ১ ফোঁটা করে আক্রান্ত কবতর কে ১০ মিন পর পর ৭-৮ বার দিলে ধনুষ্টংকার রোগ প্রতিরোধে ও নিরাময়ে ভাল কাজ করে ভাল কাজ করে থাকে।বিশেষ করে ১-৫ দিনের বাচ্চা কবুতরকে ১ চামচ পানিতে ১-২ ফোঁটা মিচ করে ১ ফোঁটা করে ৩-৫ বার ১০ মিন পর পর দিলে ভাল ফল হয়।


৪) Nux Bhum 30= ঊচ্চমাত্রার ঔষধ বা অ্যান্টিবায়টিক বা বেশী গরম ঔষধ ব্যাবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কাটাতে ১ ফোঁটা করে ৪ থেকে ৫ বার ১০-১৫ মিন পর পর প্রয়োগ করতে হবে যদি কোন খাবারের কারনে বিষক্রিয়া হয় তাহলেও এটি ভাল কাজ করে থাকে।


৫) Kali Mur 6x or deptherin 200= ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন তবে deptherin 200ব্যাবহার করলে ১ ঘণ্টার মধ্যে পানি সরিয়ে ফেলবেন আর প্রথমটি ১ টি করে ট্যাবলেট লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন ।এটী ডীপথেরিয়া রোগ প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।


৬) EUPOTORIUM PERFO 30= ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। এটী ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরের রোগ প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।


পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্‌ বলেন, “আমি এই কোরআনে মানুষকে বিভিন্ন উপকার দ্বারা সব রকম বিষয়বস্তু বুঝিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ লোক অস্বীকার না করে থাকেনি।“(সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত-৮৯)


২) প্রতিকারঃ আমরা প্রতিকারের ব্যাপারে ধৈর্য ধারন করি কম। অথচ রোগের নিরাময়ে এটার গুরুত্ত অপরিসিম। আমাদের মনে কাজ করে ঔষধ যেন কম্পিউটারের বাটন এর মত কাজ করে চাপ দিলাম আর হয়ে গেল। কিন্তু বাস্তবে এভাবে হয়না। আমরা নিজেরা নিজেদের জীবন থেকে শিক্ষা নেয়না। আমাদের অসুখ হলে আমরা কম মাত্রার ঔষধ আগে ব্যাবহার করি পরে ভাল না হলে উচ্চ মাত্রার তাই না? কিন্তু কবুতরের ক্ষেত্রে করি ঠিক তার উল্টাটা কেন? তখন আমাদের বিচার বুদ্ধি ঘাস চরতে যায়। প্রতিকারের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহার করা হচ্ছে তা প্রয়োগের ২ দিনের মধ্যে কবুতরের পায়খানার রঙ পরিবত্তন হচ্ছে কিনা? যদি না হয় তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার প্রয়োগকৃত অ্যান্টিবায়টিক নির্ণয় ঠিক নাই বা আপনার রোগ নির্ণয় সঠিক নাই অথবা এতে কোন কাজ হচ্ছে না তার ফলে আপনাকে দ্বিতীয় বিকল্প চিকিৎসা তে যেতে হবে বা অন্য ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। আমাদের দেশে অধিকাংশ কবুতর খামারি একটি সাধারন সমস্যাই ভুগেন আর এই সাধারন সামান্য সমস্যা কে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যান যেখান থেকে ফিরা মুশকিল হয়ে যায়। যেমনঃ প্রায় খামারির কবুতর পাতলা পায়খানা করে থাকে। এটি অতি সাধারন সমস্যা কিন্তু এই সাধারন সমস্যা কে এমন জটিল করে ফেলে নানা অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগ করে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাতলা পায়খানা কেন হয় তার কিছু কারন নিচে দিয়া হলঃ


১) প্রথমত, কবুতরের পাতলা পায়খানা ঋতু-অনুযায়ী হয়। যেমনঃ শীতে, গ্রীষ্মে ও বর্ষাই এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে এটা কে অবজ্ঞা করা যাবে না তবে অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগ ও করা যাবে না কারন অধিকাংশ পাতলা পায়খানা ভাইরাল আর ভাইরাল সংক্রমনে অ্যান্টিবায়টিক কোন কাজে আসে না। তবে এ ক্ষেত্রে স্যালাইন দিতে হবে বিশেষ করে রাইস স্যালাইন দিলে ভাল আর হামদারদ এর পেচিস যা বর্তমানে ডেনিশ নামে পাওয়া যায় অর্ধেক করে দিনে ৩ বার ৩ দিন দিতে পারেন।


২) লবনের ঘাটতি হলে, অধিকাংশ কবুতর পাতলা পানির মত পায়খানা করে থাকে আর এই ঘটনাই বেশী গতে থাকে বেশীরভাগ খামারে। আর এ ক্ষেত্রে আপনাকে গ্রিট বা লবন পানি সরবরাহ করতে হবে। লবন সরাসরি প্রয়োগ করা যাবে না এতে বিষক্রিয়া হবার সম্ভাবনা থাকতে পারে। অনেকেরই ধারনা বাজারে যে গ্রিট পাওয়া যায় সেগুলো দিলে কবুতরের জন্য ক্ষতি হতে পারে, আসলে তা ঠিক না। যদি তাই হয় তাহলে তো বাইরের খাবার আপনি খাওয়া তে পারবেন না, তাই না। আপনি বাইরের গ্রিট কে এনে একটু গরম করে খেতে দিন না। কোন সমস্যা নাই। আর একটা ব্যাপার চিন্তা করতে হবে যার ২-৩ জোড়া কবুতর আছে, তিনি তো আর গ্রিট তৈরি করতে যাবেন না আর তার পক্ষে সেটা সম্ভবও না।


৩) খাবারে ফাঙ্গাস এর কারনে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে আগে আপনাকে যেভাবে উপদেশ দিয়া হয়েছে সেটা অনুসরন করুন।


৪) অনেক সময় ভিটামিন প্রয়োগের ফলে পাতলা হলুদ ধরনের পায়খানা দেখা দিতে পারে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি যে ভিটামিন টি প্রয়োগ করছেন সেটা নষ্ট হয়ে গেছে, আর এ ক্ষেত্রে আপনাকে সেই ভিটামিন তা পরিবর্তন করতে হবে।


৫) অনেক সময় new adult কবুতর প্রজননের সময় পাতলা পায়খানা করতে পারে, এটি অতি সাধারন একটি ঘটনা, বিভিন্ন প্রাণী বিভিন্ন ভাবে এই জিনিসটা জানান দেয়।


৬) ভ্রমন জনিত কারনে পাতলা পায়খানা করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধু স্যালাইন ও গোসল দিবার ব্যাবস্থা করতে হবে। বা অনেক সময় স্ট্রেস বা পানি শূন্যতার লক্ষণ প্রকাশের সময় এই ধরনের পাতলা পায়খানা করতে পারে সেটা আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। কবুতরের স্ট্রেস ও পানিশূন্যতার উপর যে পোস্ট আছে তা পরে আপনারা জানতে পারবেন কেন এটা হয়।


৭) দূষিত পানির কারনে বা বিশুদ্ধ পানির অভাবে পাতলা পায়খানা হতে পারে, আর এই কারনে আপনাকে ফুটান পানি, ফিল্টার পানি বা গভির নলকূপের পানি ব্যাবহার করতে হবে। পানির ও খাবারের পাত্র নিয়মিত পরিস্কার রাখতে হবে। বাইরের স্যান্ডেল খামারে প্রবেশ করান হাবে না। বা যদি কোন ব্যাক্তি ডাইরিয়ায় আক্রান্ত থাকে তাহলে তাকে খামারে প্রবেশ করান যাবে না বা যিনি খাবার ও পানি পরিবেশন করবেন তাকে হাত মুখ ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।


৮) যদি পাতলা পায়খানাটা চাল ধুঁয়া পানির মত হয় বা বমি করতে থাকে অনবরত তাহলে, চালের স্যালাইন দিবেন পেচীশ ১ টা করে দিবেন দিনে ৩ বার আর হোমিও champhor 30 দিতে পারেন ১ ফোঁটা করে দিনে ৫-৬ বার, যদি পায়খানা গোটা খাবার সহ হয় তাহলে হোমিও Chaina 30 দিতে পারেন ১ ফোঁটা করে ৪-৫ বার। বমি বন্ধের জন্য হোমীও ঈপীকাক ৩০ ১ ফোটা করে দিবেন ১০ মিনিট পর পর।


বর্ষা কালীণ মাসিক ছক


১-৪ তারিখঃ সাল্মনিল্লা কোর্স করাতে হবে। (যেটা বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে করে থাকে, কিন্তু সবচেয়ে উপযুক্ত সাফি ২ টেবিল চামচ+ফেবনিল ২ টেবিল চামচ এর মিক্স কোর্স করা সাথে যদি মারবেলাস টা ১ চামচ করে দেন তাহলে এর কার্যকারিতার মাত্রাটা বেড়ে জাবে।)


৫ তারিখঃ স্যালাইন দিন। (অথবা এর বদলে ভিটামিন সি দিতে পারেন যেমন লেবুর রস। ১ টি লেবু ১ লিটার পানিতে।)


৬-৯ তারিখঃ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দিন। (এক্ষেত্রে toxynil, biovit, vita B+C ইত্যাদি ভিটামিন দিতে পারেন। কারন এর অভাবে বেশীর ভাগ টাল রোগ হয়। আর এ জন্য অন্য কোন কিছু করেন আর নাই করেন সাল্মনিল্লা,বি কমপ্লেক্স ও কৃমির ঔষধ ৪৫ দিন পর পর অবশ্যই দিবেন)


১০ তারিখঃ হোমিও Tiberculinum 30 দিন। (এটা ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা থেকে প্রতিরোধ করবে।)


১১ তারিখঃ রসুন বাঁটা +মধু+লেবুর রস। (১ লিটার পানিতে ২ চা চামচ রসুন বাটা,২ চা চামচ মধু আর ১ চামচ লেবুর রস মিক্স করে দিলে ভাল।তবে পানি অবশ্য ছেকে নিতে হবে। আর লেবু চিপার সময় গ্লভস বা লেমন ইস্কুইজার ব্যাবহার করবেন। এটা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে।তবে খেয়াল রাখতে হবে যে এই কোর্স করার আগে ক্রিমির ঔষধ দিয়া আছে কিনা টা জেনে নিবেন।কারন ক্রিমি থাকলে এটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।)


১২ তারিখঃ হোমিও Belodona 30 = ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন।


১৩-১৬ তারিখঃ ক্যাল ডি,ভিটামিন কে ও ই ভিটামিন দিয়া ভাল। (এক্ষেত্রে Calcium Forte+K অথবা AD3e+k Vit অথবা Calbo D+Ad3e+k Vit দিয়া যেতে পারে। এতে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবেও ভিটামিন কে ডিমের ভিতর বাচ্চা মারা যাওয়া ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।)


১৭ তারিখঃ হোমিও Borax 30 ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন।


১৮ তারিখঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার দিন। (এক্ষেত্রে আমিরিকার তৈরি অ্যাপেল সিডার দিয়া উত্তম। তবে অপরিশোধিত টা পেলে ভালো এটা সাল্মনিল্লা প্রতিরোধে সাহায্য করবে।১ লিটারে ১ সিসি বা তার কম, বেশি প্রয়োগ করবেন না তাতে বিপরিত ফল হতে পারে।)


১৯ তারিখঃ স্যালাইন দিন। (অথবা এর বদলে ভিটামিন সি দিতে পারেন যেমন লেবুর রস। ১ টি লেবু ১ লিটার পানিতে।)


২০-২১ তারিখঃ পর্যন্ত লিভার টনিক দিন। (অধিকাংশ কবুতর লিভার জনিত সমস্যায় বেশি ভুগে থাকে। তাই লিভার এর ব্যাপারে একটু খেয়াল রাখা জরুরি। ১-২ চামচ ১ লিটার পানিতে এক্ষেত্রে হামদারদ এর Cinkara, Icturn, Karminaইত্যাদি ব্যাবহার করা যেতে পারে।)


২২ তারিখঃ হোমিও Tiberculinum 30 ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন।


২৩ তারিখঃ লিকার বা লাল চা বা গ্রিন চা দিয়া ভাল। (এটা কাঙ্কার প্রতিরোধ ও ভাল ব্যাকটেরিয়া উৎপাদনে সাহায্য করবে।)


২৪-২৮ তারিখঃ মাল্টি ভিটামিন দিয়া ভাল। (এক্ষেত্রে pawer max(made in Vietnam),All Vit Ma(Made in Germany),Max grower (made in Holland) দিয়া যেতে পারে। এতে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে। সকল ভিটামিন ও মিনারেলস এর অভাব পুরন করবে।)


২৯ তারিখঃ স্যালাইন দিন। (অথবা এর বদলে ভিটামিন সি দিতে পারেন যেমন লেবুর রস। ১ টি লেবু ১ লিটার পানিতে।অথবা সাধারন পানিও দিতে পারেন।)অথবা স্যালাইন এর দিনে ALO VERA দিতে পারেন ১ টী পাতার রস ১ লিটার পানিতে।


৩০ তারিখঃ কাচা হলুদ ১ চামচ ১ লিটার পানিতে মীক্স করে সাধারন পানি হিসাবে দিতে পারেন।


এই ছক যে আপনাকে অনুসরন করতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নাই, এটা আপনার পছন্দ অনুযায়ী পরিবর্তন করে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন অসুস্থ কবুতর কে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ছাড়া অন্য কোনও ভিটামিন দিবেন না। তাহলে তাতে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।


পরিশেষে, কোরআনের আয়াত দিয়ে শেষ করছি, আল্লাহ বলেন, “যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, তখন তারা বোঝে না।“ (সূরা আস-সাফফাত আয়াত-১৩)


আল্লাহ্‌ আরও বলেন, “আপনার দায়িত্ব তো পৌছে দেয়া এবং আমার দায়িত্ব হিসাব নেয়া।“ (সুরা রাদঃ৪০)


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ও বর্ষা কালীন মাসিক ছক (কবুতরের কেস স্টাডি) BD Online Pigeon Market

কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ও বর্ষা কালীন মাসিক ছক (কবুতরের কেস স্টাডি)

Pigeon Discussion, Pigeon Diseases & treatment