বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০১৪

কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ও বর্ষা কালীন মাসিক ছক (কবুতরের কেস স্টাডি)

কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ও বর্ষা কালীন মাসিক ছক (কবুতরের কেস স্টাডি)


“আমি যখন রোগে আক্রান্ত হই তখন তিনিই (আল্লাহ) আমাকে রোগমুক্ত করেন।” (সূরা শুআরা : আয়াত ৮০)


বুখারী শরীফে বর্ণিত একখানা হাদীসে রাসূলেপাক (সা.) ইরশাদ করেন, “আল্লাহ এমন কোন রোগ প্রেরণ করেন না যার আরোগ্য নেই.”


“আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।“ (সূরা বনী ইসরাঈল ৮২)


একবার এক ডাক্তার রুগীকে এক বোতল ঔষধ দিয়ে বললেন প্রতিদিন একদাগ করে খেতে। আর ১ সপ্তাহ পর দেখা করতে। রোগী এক সপ্তাহ পর আবার আসলেন অবস্থা আরও খারাপ…! ডাক্তারের উপর রেগে আগুন কি ডাক্তার সাব কি ঔষধ দিলেন রোগ ভাল হয় না? ডাক্তার রোগীকে জিজ্ঞাস করলেন ঔষধ ঠিকমত খেয়েছিলেন তো? রোগী উত্তর দিল হ আপনি যেভাবে এক দাগ করে খেতে বলছিলেন সেই ভাবেই খাইছি। ডাক্তার বললেন কয় দেখি ফাইল? রোগী বোতল বের করে দেখালেন…। ডাক্তার দেখলেন ঔষধ যেমন ছিল তেমনই আছে…কি ব্যাপার আপনি তো দেখি ঔষধ খান নাই একটুও. রোগী এবার আরও রেগে গেল আপনি কি আমারে ঔষধ কাইতে বলছিলেন নাকি দাগ খাইতে বলছিলেন…আমি তো আপনার কথামত একদাগ করে প্রতিদিন (বোতলের গায়ে যে দাগ দিয়া ছিল) খাইছি। ডাক্তার তার সহকারিকে বলল, এই চেম্বার বন্ধ কর আর ডাক্তারি করব না।


ইসলাম ধর্মে জ্ঞানার্জনের উপর ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে আগেও আলোচনা করা হয়েছে ব্যাপকভাবে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার ব্যাপারে নানা দিক নির্দেশনা রয়েছে। রোগ হলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে, চিকিৎসা করতে হবে। এটাই আল্লাহ ও তার রাসূলের নির্দেশ। প্রত্যেক রোগেরই ওষুধ আছে। সঠিকভাবে চিকিৎসা করা হলে রোগ নিরাময় করা যায়। আল্লাহপাক রোগ যেমন প্রেরণ করে থাকেন তেমনি এর প্রতিকারেরও ব্যবস্থা করে থাকেন। তবে রোগুমুক্তির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে এবং আল্লাহর রহমত কামনা করতে হবে। হযরত জাবির (রা.) বর্ণিত হাদীসে রাসূলেপাক (সা.) ইরশাদ করেন। প্রত্যেক রোগেরই ওষুধ আছে। সঠিকরূপে রোগের উপর ওষুধ পড়লে আল্লাহর হুকুমে আরোগ্য লাভ হয় (মুসলিম শরীফ)। আল্লাহতায়ালা নানা ভাবে মানুষকে পরীক্ষা করে থাকেন। আর এর ফলে ঈমান আরও দৃঢ় হয়। পবিত্র কোরআনে এমন সব দিক-নির্দেশনা রয়েছে, যা মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যা থেকে মানুষকে দূরে রাখে। ইসলাম ধর্ম রোগ প্রতিরোধের ওপরই সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। কোরআনের বিভিন্ন আয়াত এবং হাদিসে এমন সব দিকনির্দেশনা রয়েছে,যা রোগ প্রতিরোধের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।


“তিনি মুমিনদের অন্তরের রোগ নিরাময়কারী” (সূরা তওবা : আয়াত ১৪)।


যেমন বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, ক্ষুধার্ত না হলে খেতে বসনা এবং পেট পরিপূর্ণ হবার আগেই খাওয়া শেষ কর। রাসূল (সাঃ) ও ইমামগণ এমন সব খাদ্যদ্রব্যের নাম উল্লেখ করেছেন,যা ব্যাথা উপশমসহ নানা রোগ থেকে মানুষকে মুক্ত রাখে। একই সাথে কোরআনে অনেক খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতেও বলা হয়েছে। মানুষের মন-মানষিকতার ওপর খাদ্যের প্রভাবের কথাও কোরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।


“হে মানব-জাতি! পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্য আছে, তা হতে তোমরা খাও এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করোনা। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু ।”সূরা বাকারারঃআয়াত ১৬৮) “যে ভয় করে, সে উপদেশ গ্রহণ করবে,আর যে, হতভাগা, সে তা উপেক্ষা করবে,সে মহা-অগ্নিতে প্রবেশ করবে।অতঃপর সেখানে সে মরবেও না, জীবিতও থাকবে না।“(সূরা আল আ’লা আয়াত-১০-১৩)


রাসূলেপাক (সা.) হাদীসে রোগ নিরাময়ের বিভিন্ন পন্থা বর্ণনা করেছেন। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদীসে রাসূলেপাক (সা:) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা কালজিরা ব্যবহার কর। কেননা এতে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ওষুধ রয়েছে’ (বুখারী)।


কালজিরা সকল রোগের অদ্বিতীয় ওষুধ। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা যেসব নতুন নতুন ওষুধ তৈরি করছেন তা মূলত কোরআন-হাদীস গবেষণা করেই তৈরি করছেন। আজ থেকে চৌদ্দশ’ বছর পূর্বে নবী (সা.) এসব ওষুধ তৈরির কথা বর্ণনা করেছিলেন। হযরত উম্মে কায়েস বিনতে মিহসান (রা.) বর্ণিত হাদীসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন ‘তোমরা চন্দকাঠ ব্যবহার কর। কেননা ইহাতে সাত প্রকার রোগের ওষুধ রয়েছে’ (বুখারী)।

হযরত আয়শা (রা.) ও হযরত রাফে ইবনে খাদিজ (রা.) বর্ণিত হাদীসে নবী (সা.) ইরশাদ করেন- ‘জ্বরের উৎপত্তি হয় জাহান্নামের তাপ হতে সুতরাং তোমরা পানি দিয়ে তা ঠাণ্ডা কর’ (বুখারী ও মুসলিম)। আর আজ এত বছর পর জ্বরে যখন কেউ ছটফট করতে থাকে, মাথার যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে জ্ঞানহারা হয়, তখন চিকিৎসকগণ মাথায় পানি দিতে পরামর্শ দেন ও গা পানি দিয়ে মুছে দিতে বলেন। সৌদি আরবে এক্ষেত্রে বরফ পানিতে গোসল করানো হয়। এছাড়া পবিত্র কোরআনে মানুষের সুস্থতার প্রতি ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রোজার বিধান অন্যতম। মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রোজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।


মহানবী (সাঃ) বলেছেন, রোজা রাখুন তাহলে সুস্থ্য থাকবেন।


আল্লাহ্‌ বলেন, “হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য”। [সূরা ইউনুস আয়াত- ৫৭]


আল্লাহ্‌ এভাবে মানুষের চিকিৎসার মাধ্যমে সব প্রানিকুলের চিকিৎসার উদাহারন দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা আমাদের চিকিৎসা যেভাবে করি আমাদের প্রানিকুলের চিকিৎসা সেভাবে বা সেরকম গুরুত্ত দিয়ে করি না।। আমাদের যখন পায়খানা বা সর্দি হয় তখন আমরা নিজেরা সেই সব ঔষধ খাই না যেগুলো অবলীলায় কবুতর দের কে খাওয়াই। আমাদের ডাইরিয়া বা ঠাণ্ডা লাগলে অ্যান্টিবায়টিক নিজেরা খাই না কিন্তু এই নিরীহ প্রাণীটিকে খাওয়াতে থাকে যতক্ষণ না তার দফারফা হয়ে যাই। এ জন্য যদি বিচার করা হয় তাহলে বলতে পারি যে আমাদের কবুতরের খামারে যে রোগ বালাই বা অসুখ দেখা দেয় তা একজন খামারি দায়ী ৯৫% বা একজন খামারির কারনে হয়ে থাকে বেশী। প্রথমত অধিকাংশ খামারি কবুতর কে খেয়াল করেন না বা পর্যবেক্ষণ করেন না ঠিকমত। বা হয়ত অনেকেই তাদের কর্মচারীর উপর নির্ভর করেন। আর তাই একজন একজন খামারি কবুতরের রোগ দেখা দিবার পর সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করেন না আগে দেখেন ভাল হয় কিনা, তার পর সহজ পন্থা অবলম্বনের চেষ্টা করেন, এর পর ভাল না হলে হাতের কাছে যাকে পান তার উপদেশ নেন, হোক না সে অনভিজ্ঞ (যদিও আমাদের দেশে সব লোকই অভিজ্ঞ, কারন আপনি কাউকে কবুতরের কোন রোগ বা তার ঔষধ সম্পর্কে জিজ্ঞাস করে দেখেন, কেউ না বলবে না।) এর পর যদি ভাল না হয় তখন খুজেন কে আছেন? আর এর মধ্যে কবুতর কে ১ ডজন ঔষধ ইতিমধ্যে প্রয়োগ করা হয়ে যাই। এর মধ্যে যদি রোগ ভাল হয়ে যাই ঝড়ে বক পড়ার মত, তাহলে তো ভাল আর যদি মারা যায় তাহলে আমরা নিয়তি কে দোষ দেয়, এই বলে আসলে তার হায়াত ছিল না ত তাই বাচানো গেল না। কিন্তু আসলে কি এভাবে পার পাওয়া যাবে? একজন খামারি লক্ষণ বর্ণনা দিবার ব্যাপারে আরও কৃপণতা করে থাকেন। অধিকাংশ খামারি প্রথমে বলেন, আমার কবুতর ঝিমাচ্ছে বা লোম ফুলিয়ে বসে থাকে! এটা কি কোন রোগের সঠিক লক্ষণ হতে পারে? আমাদের যখন মাথা ধরে বা পেত ব্যাথা করে বা মন খারাপ থাকে বা প্রচণ্ড স্ট্রেস এ থাকি তখন কি আমরা জ্ঞান ছেড়ে দিয়ে নাচ করি নাকি মন খারাপ করে চুপ করে বসে থাকি। আর এই সময় আমাদের পরিবারের লোক কি কাউকে বলে যে ওর রোগ হয়েছে? নাকি আগে জিজ্ঞাস করবে তোমার কি হয়েছে? যখন প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। কেবল তখনি এর চিকিৎসা করা যাবে তাই না। আপনি হয়ত ভাবতে পারেন, কবুতর কে কিভাবে জিজ্ঞাস করবেন তার কি হয়েছে? হা আপনি তাকে জিজ্ঞাস করতে পারবেন যদি আপনার সেই চোখ বা আগ্রহ থাকে। একটি কবুতরের পায়খানা দেখে তার রোগের ৭০% খবর পাওয়া যায়, আর বাকিটুকু তার শারীরিক ব্যাবহার দেখে। তাহলে আপনার কবুতরের রোগের ব্যাপারে কি ভাবে জানবেন? কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজার চেষ্টা করবেনঃ কি সেগুলো…


১) পায়খানার রঙ কেমন? বা পাতলা না শক্ত? বা গন্ধযুক্ত কিনা?
২) খাওয়া দাওয়া করে কিনা? করলে কেমন? বা পানি কম না বেশী খাই?
৩) খাবার ঠিকমত হজম হয় কিনা?
৪) কবুতরের ঠাণ্ডা ভাব আছে কিনা? বা ঘড় ঘড় শব্দ করে কিনা? মুখের ভিতর কফ বা লালা আছে কিনা? লালার রঙ কেমন? বা সাদা সাদা কোন ঘা বা লম্বা সুতার মত কিছু আছে কিনা?
৫) হা করে শ্বাস নেয় কিনা?
৬) নাকে বা চোখে পানি আছে কিনা?
৭) অ্যালার্জি ধরনের খাবার দিয়া হয় কিনা? জেমনঃ রেজা, ধান ইত্যাদি
৮) কি ধরনের কবুতর ও এর বয়স? বা বাচ্চা আছে কিনা? বা ঘন ঘন ডিম বাচ্চা নিয়া হয় কিনা?
৯) কোন ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছে কিনা?
১০) কৃমির ঔষধ শেষ কবে প্রয়োগ করা হয়েছে? আর সাল্মনিল্লা কোর্স (প্রাকৃতিক টা) করা হয় কিনা? ইত্যাদি।


আমরা উপরের বিষয় গুলো যদি পর্যালোচনা করি তাহলে, তিনটি জিনিষ পরিলক্ষিত হয়ঃ


১) প্রতিরোধঃ প্রতিরোধের জন্য অনেক আগেই কিছু প্রাকৃতিক খাদ্য নিয়ে অনেক বার আলোচনা করা হয়েছে।


ক) কবুতর কে সপ্তাহে/১৫ দিনে/মাসে অন্তত ১ দিন কিছু সময়ের জন্য উপবাস রাখা। এতে কবুতরের কর্প এ জমে থাকা সঞ্চিত খাদ্য হজম হয় ফলে বিভিন্ন রোগ থেকে বেচে থাকে।


খ) আমি একটি খাদ্য তালিকা দিয়েছিলাম সেখানে কাল জিরার আন্তভুক্ত ছিল। আপনি যদি মাঝে মাঝে কালজিরা + মেথি + মউরি + জাউন এই উপাদানের মিক্স করে (৪০% + ৩০% + ১৫% + ১৫%) খেতে দেন আপনার কবুতর কে তাহলে দেখবেন আপনার খামারে অনেক অনাখাঙ্কিত রোগ থেকে মুক্ত থাকবে।


গ) এছাড়াও মধু/রসুন/লেবুর রস, কাঁচা হলুদ, অ্যাঁলভিরা বা কাঁচা শাক-সবজি এগুলো আপনার কবুতর কে সজিব রাখতে সাহায্য করবে।


ঘ) একটা বিষয়ে সতর্ক থাকবেন অনেকেই কবুতর কে মোটা তাজা করার জন্য সংক্ষেপ রাস্তা খুজেন! এটা ঠিক না বিশেষ করে যারা বর্তমানে বয়লার গ্রয়ার খাওয়াচ্ছেন তারা এটা খাওয়ান বন্ধ করে দেন কারন বর্তমানে এই খাবারে না ধরনের ক্যেমিকাল মিক্স করা হচ্ছে যা আপনার কবুতরের স্বাস্থ্য গত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।


ঙ) আপনার খামারে রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে অন্যতম উপাদান হল, খাদ্য পরিস্কার বা নিয়মিত ফাঙ্গাস মুক্ত বা স্যাঁতসেঁতে মুক্ত রাখা। খাবারে ফাঙ্গাস সব ঋতুতেই কমবেশি পরে এই আপনি যদি আপনার খাবারের এই ফাঙ্গাস এর ব্যাপারে খেয়াল রাখেন বা খাবার পরিস্কার এর ব্যাপারে খেয়াল রাখেন তাহলে আশা করা যায় যে আপনার খামার ৮০% রোগ মুক্ত থাকবে কোন প্রকার ঔষধ প্রয়োগ ছাড়াই। আর এই লক্ষে আপনাকে খাবার রোদে দিতে হবে মাঝে মাঝে বা আগুনে হালকা গরম করে নিতে পারেন।


চ) ৪৫ দিন পর পর কৃমির ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। তবে অসুস্থ ও বাচ্চা যেগুলোর আছে সেগুলো কে বাদে বা যেগুলো ১-২ দিনের মধ্যে ডিম দিতে পারে এমন বা যে সমস্থ কবুতরের ৩-৪ দিনের মধ্যে বাচ্চা ফুটবে আমন কবুতর কে অনুগ্রহ করে দিবেন না।


ছ) আমাদের দেশে অধিকাংশ খামারি তথাকথিত ভ্যাকসিন (মুরগির) দিবার ব্যাপারে খামারি অস্থির থাকেন এবং দুঃখ জনক হলেও সত্য যে অনেকেরই ধারনা এই ভ্যাকসিন না দিলে না জানি কি হয়ে যাবে, নতুন খামারিরে দের দোষ দিব না কারন এই ভ্যাকসিনের ভ্রান্ত ধারনা অনেক বড় ও পুরাতন খামারি দের মধ্যেও আছে। ভ্যাকসিন দিতে আমি মানা করব না তবে অনুরধ করব যেন আমাদের দেশের মুরগির ভ্যাকসিন না দিয়ে কবুতরের জন্য তৈরি ভ্যাকসিন দিবেন। তা না হলে হিতে বিপরীত হবে।


জ) আপনার খামার পরিস্কার পরিছন্ন রাখারা চেষ্টা করবেন, আর এই লক্ষে আপনার খামারকে অন্তত ২-৩ দিন পর পর তাদের বিষ্ঠা বা মল পরিস্কার করা উচিৎ। কারন কবুতরের রোগের অন্যতম আরেকটি উপাদান হল এই মল। এগুলো শুকিয়ে ধুলাই পরিনত হয় আর ফলে না ধরনের রোগ জীবাণু ছড়ায়। আর পরিস্কার করার পাশাপাশি জীবাণু মুক্ত ঔষধ ছিটান উচিৎ। যেমন- VIROCID, FARM30, VIRCON S, HALAMID,OMNICIDE, TEMSEN ETC ১ লীটার পানিতে ১ গ্রাম মীক্স করে স্প্রে করা ভালো।


ঝ) যদি প্রতিরোধের ব্যাপার আসে তাহলে হোমিও Tiberculinum 30 দিতে পারেন ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে পুরো খামারে। আপনার খামারে যতটুকু পানি লাগে সেই অনুযায়ী। সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। আর এই ঔষধ গ্রীষ্ম ও বর্ষার জন্য ঠাণ্ডা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ভাল কাজ করে থাকে। আরও কিছু হোমিও ঔষধ যা আপনার প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকেঃ যেমন-


১) Borax 30 = ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। এটি বায়ু বাহিত রোগ প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।


২) Belodona 30= ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। পি,এম,ভি রোগ প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।


৩) Hypericum 200= ১ ফোঁটা করে আক্রান্ত কবতর কে ১০ মিন পর পর ৭-৮ বার দিলে ধনুষ্টংকার রোগ প্রতিরোধে ও নিরাময়ে ভাল কাজ করে ভাল কাজ করে থাকে।বিশেষ করে ১-৫ দিনের বাচ্চা কবুতরকে ১ চামচ পানিতে ১-২ ফোঁটা মিচ করে ১ ফোঁটা করে ৩-৫ বার ১০ মিন পর পর দিলে ভাল ফল হয়।


৪) Nux Bhum 30= ঊচ্চমাত্রার ঔষধ বা অ্যান্টিবায়টিক বা বেশী গরম ঔষধ ব্যাবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কাটাতে ১ ফোঁটা করে ৪ থেকে ৫ বার ১০-১৫ মিন পর পর প্রয়োগ করতে হবে যদি কোন খাবারের কারনে বিষক্রিয়া হয় তাহলেও এটি ভাল কাজ করে থাকে।


৫) Kali Mur 6x or deptherin 200= ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন তবে deptherin 200ব্যাবহার করলে ১ ঘণ্টার মধ্যে পানি সরিয়ে ফেলবেন আর প্রথমটি ১ টি করে ট্যাবলেট লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন ।এটী ডীপথেরিয়া রোগ প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।


৬) EUPOTORIUM PERFO 30= ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। এটী ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরের রোগ প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।


পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্‌ বলেন, “আমি এই কোরআনে মানুষকে বিভিন্ন উপকার দ্বারা সব রকম বিষয়বস্তু বুঝিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ লোক অস্বীকার না করে থাকেনি।“(সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত-৮৯)


২) প্রতিকারঃ আমরা প্রতিকারের ব্যাপারে ধৈর্য ধারন করি কম। অথচ রোগের নিরাময়ে এটার গুরুত্ত অপরিসিম। আমাদের মনে কাজ করে ঔষধ যেন কম্পিউটারের বাটন এর মত কাজ করে চাপ দিলাম আর হয়ে গেল। কিন্তু বাস্তবে এভাবে হয়না। আমরা নিজেরা নিজেদের জীবন থেকে শিক্ষা নেয়না। আমাদের অসুখ হলে আমরা কম মাত্রার ঔষধ আগে ব্যাবহার করি পরে ভাল না হলে উচ্চ মাত্রার তাই না? কিন্তু কবুতরের ক্ষেত্রে করি ঠিক তার উল্টাটা কেন? তখন আমাদের বিচার বুদ্ধি ঘাস চরতে যায়। প্রতিকারের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহার করা হচ্ছে তা প্রয়োগের ২ দিনের মধ্যে কবুতরের পায়খানার রঙ পরিবত্তন হচ্ছে কিনা? যদি না হয় তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার প্রয়োগকৃত অ্যান্টিবায়টিক নির্ণয় ঠিক নাই বা আপনার রোগ নির্ণয় সঠিক নাই অথবা এতে কোন কাজ হচ্ছে না তার ফলে আপনাকে দ্বিতীয় বিকল্প চিকিৎসা তে যেতে হবে বা অন্য ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। আমাদের দেশে অধিকাংশ কবুতর খামারি একটি সাধারন সমস্যাই ভুগেন আর এই সাধারন সামান্য সমস্যা কে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যান যেখান থেকে ফিরা মুশকিল হয়ে যায়। যেমনঃ প্রায় খামারির কবুতর পাতলা পায়খানা করে থাকে। এটি অতি সাধারন সমস্যা কিন্তু এই সাধারন সমস্যা কে এমন জটিল করে ফেলে নানা অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগ করে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাতলা পায়খানা কেন হয় তার কিছু কারন নিচে দিয়া হলঃ


১) প্রথমত, কবুতরের পাতলা পায়খানা ঋতু-অনুযায়ী হয়। যেমনঃ শীতে, গ্রীষ্মে ও বর্ষাই এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে এটা কে অবজ্ঞা করা যাবে না তবে অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগ ও করা যাবে না কারন অধিকাংশ পাতলা পায়খানা ভাইরাল আর ভাইরাল সংক্রমনে অ্যান্টিবায়টিক কোন কাজে আসে না। তবে এ ক্ষেত্রে স্যালাইন দিতে হবে বিশেষ করে রাইস স্যালাইন দিলে ভাল আর হামদারদ এর পেচিস যা বর্তমানে ডেনিশ নামে পাওয়া যায় অর্ধেক করে দিনে ৩ বার ৩ দিন দিতে পারেন।


২) লবনের ঘাটতি হলে, অধিকাংশ কবুতর পাতলা পানির মত পায়খানা করে থাকে আর এই ঘটনাই বেশী গতে থাকে বেশীরভাগ খামারে। আর এ ক্ষেত্রে আপনাকে গ্রিট বা লবন পানি সরবরাহ করতে হবে। লবন সরাসরি প্রয়োগ করা যাবে না এতে বিষক্রিয়া হবার সম্ভাবনা থাকতে পারে। অনেকেরই ধারনা বাজারে যে গ্রিট পাওয়া যায় সেগুলো দিলে কবুতরের জন্য ক্ষতি হতে পারে, আসলে তা ঠিক না। যদি তাই হয় তাহলে তো বাইরের খাবার আপনি খাওয়া তে পারবেন না, তাই না। আপনি বাইরের গ্রিট কে এনে একটু গরম করে খেতে দিন না। কোন সমস্যা নাই। আর একটা ব্যাপার চিন্তা করতে হবে যার ২-৩ জোড়া কবুতর আছে, তিনি তো আর গ্রিট তৈরি করতে যাবেন না আর তার পক্ষে সেটা সম্ভবও না।


৩) খাবারে ফাঙ্গাস এর কারনে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে আগে আপনাকে যেভাবে উপদেশ দিয়া হয়েছে সেটা অনুসরন করুন।


৪) অনেক সময় ভিটামিন প্রয়োগের ফলে পাতলা হলুদ ধরনের পায়খানা দেখা দিতে পারে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি যে ভিটামিন টি প্রয়োগ করছেন সেটা নষ্ট হয়ে গেছে, আর এ ক্ষেত্রে আপনাকে সেই ভিটামিন তা পরিবর্তন করতে হবে।


৫) অনেক সময় new adult কবুতর প্রজননের সময় পাতলা পায়খানা করতে পারে, এটি অতি সাধারন একটি ঘটনা, বিভিন্ন প্রাণী বিভিন্ন ভাবে এই জিনিসটা জানান দেয়।


৬) ভ্রমন জনিত কারনে পাতলা পায়খানা করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধু স্যালাইন ও গোসল দিবার ব্যাবস্থা করতে হবে। বা অনেক সময় স্ট্রেস বা পানি শূন্যতার লক্ষণ প্রকাশের সময় এই ধরনের পাতলা পায়খানা করতে পারে সেটা আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। কবুতরের স্ট্রেস ও পানিশূন্যতার উপর যে পোস্ট আছে তা পরে আপনারা জানতে পারবেন কেন এটা হয়।


৭) দূষিত পানির কারনে বা বিশুদ্ধ পানির অভাবে পাতলা পায়খানা হতে পারে, আর এই কারনে আপনাকে ফুটান পানি, ফিল্টার পানি বা গভির নলকূপের পানি ব্যাবহার করতে হবে। পানির ও খাবারের পাত্র নিয়মিত পরিস্কার রাখতে হবে। বাইরের স্যান্ডেল খামারে প্রবেশ করান হাবে না। বা যদি কোন ব্যাক্তি ডাইরিয়ায় আক্রান্ত থাকে তাহলে তাকে খামারে প্রবেশ করান যাবে না বা যিনি খাবার ও পানি পরিবেশন করবেন তাকে হাত মুখ ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।


৮) যদি পাতলা পায়খানাটা চাল ধুঁয়া পানির মত হয় বা বমি করতে থাকে অনবরত তাহলে, চালের স্যালাইন দিবেন পেচীশ ১ টা করে দিবেন দিনে ৩ বার আর হোমিও champhor 30 দিতে পারেন ১ ফোঁটা করে দিনে ৫-৬ বার, যদি পায়খানা গোটা খাবার সহ হয় তাহলে হোমিও Chaina 30 দিতে পারেন ১ ফোঁটা করে ৪-৫ বার। বমি বন্ধের জন্য হোমীও ঈপীকাক ৩০ ১ ফোটা করে দিবেন ১০ মিনিট পর পর।


বর্ষা কালীণ মাসিক ছক


১-৪ তারিখঃ সাল্মনিল্লা কোর্স করাতে হবে। (যেটা বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে করে থাকে, কিন্তু সবচেয়ে উপযুক্ত সাফি ২ টেবিল চামচ+ফেবনিল ২ টেবিল চামচ এর মিক্স কোর্স করা সাথে যদি মারবেলাস টা ১ চামচ করে দেন তাহলে এর কার্যকারিতার মাত্রাটা বেড়ে জাবে।)


৫ তারিখঃ স্যালাইন দিন। (অথবা এর বদলে ভিটামিন সি দিতে পারেন যেমন লেবুর রস। ১ টি লেবু ১ লিটার পানিতে।)


৬-৯ তারিখঃ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দিন। (এক্ষেত্রে toxynil, biovit, vita B+C ইত্যাদি ভিটামিন দিতে পারেন। কারন এর অভাবে বেশীর ভাগ টাল রোগ হয়। আর এ জন্য অন্য কোন কিছু করেন আর নাই করেন সাল্মনিল্লা,বি কমপ্লেক্স ও কৃমির ঔষধ ৪৫ দিন পর পর অবশ্যই দিবেন)


১০ তারিখঃ হোমিও Tiberculinum 30 দিন। (এটা ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা থেকে প্রতিরোধ করবে।)


১১ তারিখঃ রসুন বাঁটা +মধু+লেবুর রস। (১ লিটার পানিতে ২ চা চামচ রসুন বাটা,২ চা চামচ মধু আর ১ চামচ লেবুর রস মিক্স করে দিলে ভাল।তবে পানি অবশ্য ছেকে নিতে হবে। আর লেবু চিপার সময় গ্লভস বা লেমন ইস্কুইজার ব্যাবহার করবেন। এটা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে।তবে খেয়াল রাখতে হবে যে এই কোর্স করার আগে ক্রিমির ঔষধ দিয়া আছে কিনা টা জেনে নিবেন।কারন ক্রিমি থাকলে এটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।)


১২ তারিখঃ হোমিও Belodona 30 = ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন।


১৩-১৬ তারিখঃ ক্যাল ডি,ভিটামিন কে ও ই ভিটামিন দিয়া ভাল। (এক্ষেত্রে Calcium Forte+K অথবা AD3e+k Vit অথবা Calbo D+Ad3e+k Vit দিয়া যেতে পারে। এতে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবেও ভিটামিন কে ডিমের ভিতর বাচ্চা মারা যাওয়া ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।)


১৭ তারিখঃ হোমিও Borax 30 ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন।


১৮ তারিখঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার দিন। (এক্ষেত্রে আমিরিকার তৈরি অ্যাপেল সিডার দিয়া উত্তম। তবে অপরিশোধিত টা পেলে ভালো এটা সাল্মনিল্লা প্রতিরোধে সাহায্য করবে।১ লিটারে ১ সিসি বা তার কম, বেশি প্রয়োগ করবেন না তাতে বিপরিত ফল হতে পারে।)


১৯ তারিখঃ স্যালাইন দিন। (অথবা এর বদলে ভিটামিন সি দিতে পারেন যেমন লেবুর রস। ১ টি লেবু ১ লিটার পানিতে।)


২০-২১ তারিখঃ পর্যন্ত লিভার টনিক দিন। (অধিকাংশ কবুতর লিভার জনিত সমস্যায় বেশি ভুগে থাকে। তাই লিভার এর ব্যাপারে একটু খেয়াল রাখা জরুরি। ১-২ চামচ ১ লিটার পানিতে এক্ষেত্রে হামদারদ এর Cinkara, Icturn, Karminaইত্যাদি ব্যাবহার করা যেতে পারে।)


২২ তারিখঃ হোমিও Tiberculinum 30 ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন।


২৩ তারিখঃ লিকার বা লাল চা বা গ্রিন চা দিয়া ভাল। (এটা কাঙ্কার প্রতিরোধ ও ভাল ব্যাকটেরিয়া উৎপাদনে সাহায্য করবে।)


২৪-২৮ তারিখঃ মাল্টি ভিটামিন দিয়া ভাল। (এক্ষেত্রে pawer max(made in Vietnam),All Vit Ma(Made in Germany),Max grower (made in Holland) দিয়া যেতে পারে। এতে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে। সকল ভিটামিন ও মিনারেলস এর অভাব পুরন করবে।)


২৯ তারিখঃ স্যালাইন দিন। (অথবা এর বদলে ভিটামিন সি দিতে পারেন যেমন লেবুর রস। ১ টি লেবু ১ লিটার পানিতে।অথবা সাধারন পানিও দিতে পারেন।)অথবা স্যালাইন এর দিনে ALO VERA দিতে পারেন ১ টী পাতার রস ১ লিটার পানিতে।


৩০ তারিখঃ কাচা হলুদ ১ চামচ ১ লিটার পানিতে মীক্স করে সাধারন পানি হিসাবে দিতে পারেন।


এই ছক যে আপনাকে অনুসরন করতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নাই, এটা আপনার পছন্দ অনুযায়ী পরিবর্তন করে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন অসুস্থ কবুতর কে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ছাড়া অন্য কোনও ভিটামিন দিবেন না। তাহলে তাতে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।


পরিশেষে, কোরআনের আয়াত দিয়ে শেষ করছি, আল্লাহ বলেন, “যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, তখন তারা বোঝে না।“ (সূরা আস-সাফফাত আয়াত-১৩)


আল্লাহ্‌ আরও বলেন, “আপনার দায়িত্ব তো পৌছে দেয়া এবং আমার দায়িত্ব হিসাব নেয়া।“ (সুরা রাদঃ৪০)


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ও বর্ষা কালীন মাসিক ছক (কবুতরের কেস স্টাডি) BD Online Pigeon Market

কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ও বর্ষা কালীন মাসিক ছক (কবুতরের কেস স্টাডি)

Pigeon Discussion, Pigeon Diseases & treatment

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন