বুধবার, ২৮ মে, ২০১৪

দালাল চক্র (কবুতরের কেস স্টাডি)

ইসহাক (রঃ) আবদুল্লাহ ইবন আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,” এক লোক তার মালপত্র বাজারে এনে এবং হলফ করে বলল যে, এগুলো (খরিদ বাবদ) সে এত দিয়েছে, অথচ সে তত দেয়নি। তখন আয়াত নাযিল হলঃ যারা নগণ্য মূল্যের বিনিময়ে আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা এবং নিজের শপথ বিক্রি করে । ইবন আবূ আওফা (রাঃ) বলেন, (দাম চড়ানোর মতলবে) যে ধোকা দেয়, সে মূলতঃ সুদখোর ও খিয়ানতকারী।” (সহীহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ২৪৯৭)


আল্লাহ্‌ বলেন, “তারা সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করে। বস্তুতঃ তারা তাদের এ ব্যবসায় লাভবান হতে পারেনি এবং তারা হেদায়েতও লাভ করতে পারেনি।” (সূরা আল বাকারাঃআয়াত-১৬)



একবার আমাদের পার্শ্ববর্তি দেশে প্লেগ রোগ দেখা দিল। আর কিছু ডাক্তাররা বললেন যে, Tetracycline এই রোগের জন্য ভাল। তখন রাতারাতি এই ক্যাপসুলের দাম ২০ গুন বেড়ে গেল অর্থাৎ যে ক্যাপসুল ১ টাকা দাম ছিল সেটার দাম হয়ে গেল ২০ টাকা। তাও আবার পাওয়া যাচ্ছে না। অধিকাংশ মানুষ চিন্তাই পড়ে গেল। হায় হায় করতে লাগল। কি হবে ঔষধ না পেলে? আমরা সবাই তো তাহলে মারা যাব। রোগ কিন্তু তখন আমাদের দেশের থেকেও ১০০০ মাইল দূরে তারপরও আমাদের দুশ্চিন্তার অন্ত নাই। আর এই সুযোগেই কিছু অসাধু ব্যাবসায়ির পকেট গরম। আমাদের একটা মানসিক রোগ আছে আর তা হল, যে বেশী দামী জিনিষের প্রতি একটা আকর্ষণ বোধ করি সব সময়। মরিচের দাম বাড়তে শুরু করলে মরিচ কেনা বেড়ে যাই, চালের দাম বাড়লে চাল কেনা বেড়ে যায়। একবার রোজার সময় বেগুণের দাম বেড়ে গেল, আর মানুষের মধ্যে একটা কি ধরনের যেন হাহাকারও বেড়ে গেল, সবার মুখে মুখে, আরে ভাই বেগুণের দাম বেড়ে গেছে! আরে ভাই বেগুণের দাম বেড়ে গেছে! বেগুনি খেতে পারছি না…এখন কি করব? আর সভাবসুদ্ধ বেগুন কেনাও বেড়ে গেল, কি আশ্চর্য?! ব্যাপারটা অনেকটা এ রকম যে বেগুন বা বেগুনি না খেলে রোজা হবে না?! বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন কোন জিনিষের দাম বাড়ে তখন এর পরিবর্তে বিকল্প ব্যাবস্থা অবলম্বন করে। একবার চীনে খাদ্যাভাব দেখাদিলে তারা বিকল্প খাবার খাওয়া শুরু করল, আর এর মধ্যে কাঁকও এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। ফলে তারা সেই বিপদ মুকাবেলা করতে পেরেছিল। (কেউ আবার ভুল বুঝবেন না অনুগ্রহ করে পুরাটা না পড়ে।) ছোট বেলায় জেনেছিলাম যে ভুতের উল্টা পা থাকে, আর রাতে ওরা মানুষের বেশ ধরে আসে! ভয়ঙ্কর ব্যাপার…রাতে তাই কারো সাথে দেখা হলে আগে পায়ের দিকে খেয়াল করতাম! যখন দেখতাম যে পা ঠিক আছে তখনি কেবল নিচিন্ত মনে কথা বলতাম। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন আমার এখনও এই ধরনের উল্টা পায়ের মানুষ নামের প্রাণীর বা আত্মার সাথে দেখা হয়নি। তবে মানুষ নামের উল্টা মনের মানুষের প্রতিনিয়ত দেখা হয় কথা হয় উঠাবসা হয়। যদিও এদের চিনতে অনেক দেরি করে ফেলি, হয়ত অনেক কিছুর বিনিময়ে বা অনেক ক্ষতি স্বীকার করার পর। মাঝে মাঝে হতাশ হই, যে সৃষ্টিকর্তা যদি এই ধরনের উল্টা মনের মানুষকে চিনার ক্ষমতা দিতেন, তাহলে কতই না ভাল হত। তারপরও সৃষ্টিকর্তা ধন্যবাদ যে আমাদের মানুষ করে তৈরি করেছেন। আর আমারা যদি সারাদিন ধরে সাড়া জীবনভর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে থাকি তাহলেও শেষ হবে না।


বেশ কবছর আগে বাচ্চা পউটারের দাম ২৪ হাজার টাকাতেও অনুরধ করে কিনতে পারি নাই। আর সেটা আজ কত দাম? লক্ষা, সিরাজি, জরনা সার্টইন ইত্যাদি এমনভাবে অনেক কবুতর আজ অদৃশ্য হাতের কারসাজিতে রাতারাতি আকাশচুম্বী দাম হয়ে যাই। আবার রাতারাতি কমে এমন ভাবে নেমে আসে যেন মনে হয় আমারা নাগর দলায় আছি। কিছুদিন ধরে মুখি কবুতর নিয়ে মুখামুখি চলছে! সেই একই রোগ! মুখির দাম বাড়ছে, কাল,চকলেট,সিলভার অবশেষে ইয়েলো মুখিতে এসে ঠেকেছে। আমাকে একজন জানালেন, যে এটা ১ লক্ষ্য ২০ হাজার টাকা দাম…এখন!!! এই কবুতর বাজারের সাথে, আমার হটাত করে শেয়ার বাজারের সেই চক্রের কথা মনে পড়ে গেল। কারা এই চক্র আর কিইবা তাদের উদ্দেশ্য তা আমাদের জানা দরকার বা জানতে হবে যেকোনো মুল্যেই হোক। যদিও এই চক্রের সাথে কারা জরিত কমবেশী সবাই জানি, কিন্তু বলি না, কেন?


আবূ আসিম (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহর নিকট সেই লোক সবচেয়ে বেশী ঘৃণিত, যে অতি ঝগড়াটে।“(সহীহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ২২৯৫)


হযরত সালত ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্নিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা পন্যবাহী কাফেলার সাথে (শহরে প্রবেশের পূর্বে সস্তায় পন্য খরিদের উদ্দেশ্যে) সাক্ষাৎ করবেনা এবং শহরবাসী যেন গ্রামবাসীর পক্ষে বিক্রয় না করে।


রাবী তাউস (রহঃ) বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, শহরবাসী যেন গ্রামবাসীর পক্ষে বিক্রয় না করে, [রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর] একথার অর্থ কী? তিনি বললেন, তার হয়ে যেন সে প্রতারনামূলক দালালী না করে।“(সহীহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ২০২৪)


আজ আমাদের নাম ছাড়া আর আমাদের মধ্যে কোন কিছুই ইসলামের লেশ মাত্র নাই। আমরা কয়টা টাকার জন্য ঈমান বিক্রি করে দেই! কয়টা টাকার জন্য আমরা ওয়াদা বিক্রি করে দেই! কয়টা টাকার জন্য আমরা আমাদের জবান/কথা বিক্রি করে দেই! কয়টা টাকার জন্য আমরা আমাদের বিশ্বাস বিক্রি করে দেই! কয়টা টাকার জন্য আমরা আমাদের জামীর বিক্রি করে দেই! কয়টা টাকার জন্য আমরা আমাদের আত্মা এমনি আমরা আমদের নিজেকে বিক্রি করতে পিছপা হইনা!!!


হযরত ইসহাক (রহঃ) হযরত হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) সূত্রে বর্নিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার থাকবে উভয়ের বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত। যদি তারা উভয়ে সত্য কথা বলে এবং (পন্যের দোষগুন) যথাযথ বর্ননা করে, তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত দেওয়া হবে, আর যদি তারা মিথ্যা বলে এবং গোপন করে, তবে হয়ত খুব লাভ করবে কিন্তু তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত মুছে যাবে। “(সহীহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ১৯৮৪)


এইসব লোকদের আপনি কোন কোথাই বলে বুঝাতে পারবেন না। তারা এক কান দিয়ে শুনবে আরেক কান দিয়ে বের করে দিবে। ব্যাপারটা এমন যে, “তোরা যে যা বলবি বল,আমি কান করেছি ঢোল।”


আল্লাহ্‌ এদের সম্পর্কে বলেন, “আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন। তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না। তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বে সত্যকে তোমরা গোপন করো না। “ (সূরা আল বাকারাঃআয়াত-৭,১০,১৮ ও ৪২)


আমরা সবাই এক একজন আজব এক প্রাণী, যতক্ষণ আমরা আমদের নিজেদের লেজে (মানে ঘরে) আগুন না লাগে ততখন পর্যন্ত আমরা নিশ্চিন্ত, আমরা নাকে তেল দিয়ে বসে থাকি বা ঘুমায়। কিন্তু আমরা কেউ আমাদের জিম্মদারি থেকে দায়িত্ব এড়াতে পারব না। সেখানেই আর যে অবস্থাতেই থাকুক। আমরা কখনও এটা বলে পাশ কাটাতে পারব না যে, এটা আমার দায়িত্ব না।


ইসমাঈল (রহঃ) আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ “জেনে রেখো! তোমাদের প্রত্যেকেই একজন দায়িত্বশীল; আর তোমরা প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব ইমাম, যিনি জনগণের দায়িত্বশীল তিনি তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। পুরুষ গৃহকর্তা তার পরিবারের দায়িত্বশীল; সে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। নারী তার স্বামীর পরিবার, সন্তান-সন্ততির উপর দায়িত্বশীল, সে এসব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কোন ব্যাক্তির দাস স্বীয় মালিকের সম্পদের দায়িত্বশীল; সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব জেনে রাখ, প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বাধীন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।“(সহীহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৬৬৫৩)


আমাকে কিছুদিন আগে একজন আমারই একটা পোস্টের মধ্যে মন্তব্য করলেন যে, ভাই আপনি লিখা অনেক বড় করেন পড়তে কষ্ট হয়। একটু ছোট করে লিখবেন। মন্তব্য পড়ে অবাক হলাম কিছুটা দুঃখও পেলাম। কিন্তু পরোক্ষনেই ভাবলাম! আরে আমি তো এই ধরনের লোকদের জন্য লিখিনা, আমি তো লিখি যারা বুঝবে পালন করবে তাদের জন্য! যদিও আমি যখন লিখা শুরু করি তখন উদ্দেশ্য থাকে আত বড় করার না, কিন্তু হয়ে যাই, তাও কিছু কথা মনের মধ্যেই থেকে যাই, কারন সব কথা তো আবার সব জাইগাই বলা যাই না!


পরিশেষে, একটা ঘটনা দিয়ে শেষ করছি। এক এলাকায় ফেতনা ফ্যাসাদ ও অন্যায় এত বেড়ে গেল যে,আল্লাহপাক ফেরেস্তাকে আদেশ করলেন যে, সে এলাকাকে ধ্বংস করে দিবার জন্ন,ফেরেস্তা সে এলাকাই গিয়ে দেখল যে, এক আল্লাহ্‌ বান্দা আল্লাহ্‌র ধ্যানে মগ্ন হয়ে আছে। ফেরেস্তা আল্লাহ্‌র কাছে ফিরে আসল ও আল্লাহ্‌র কাছে আরজ করলেন ইয়া আল্লাহ্‌ ওই জাইগাই আপনার এক খাস বান্দা আপনার ধ্যানে মগ্ন,সে সারাদিন রাত আপনার ইবাদত করে থাকে। তাকে কিভাবে এই আজবের মধ্যে ফেলে ধ্বংস করব? আল্লাহ্‌ সবই জানেন, তিনি ফেরেস্তাকে বল্লেন,হা তাকে সহই ধ্বংস করবে, আল্লাহ্‌ ফেরেস্তার মনভাব বুঝতে পেরে বললেন, সে আমার আমার ইবাদতে সারাদিন মগ্ন থাকে, কিন্তু তার এলাকায় যে, আত অন্যায় হয়, সে তার কোনদিন শারীরিক ভাবে বাধা দেইনি, মুখে কোন প্রকার প্রতিবাদ করিনি, অন্তর থেকে একবারের জন্যও ধিক্কার দেয়নি, আল্লাহ্‌র কাছে একবারের জন্য এদের থেকে পানাহ চাইনি। তাই সমান অপরাধী হিসাবে ওকেও ধ্বংস করার জন্য আল্লাহ্‌ নির্দেশ দিলেন।


হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন। আমি রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “তোমাদের কেউ যদি কোন পাপ কাজ সংঘটিত হতে দেখে, সে যেন তা হাত দিয়ে (শক্তি দ্বারা) বন্ধ করে দেয়। যদি সে এতে সমর্থ না হয়, তবে সে যেন মুখের (কথার) সাহায্যে (জনমত গঠন করে) তা বন্ধ করে দেয়। যদি সে এই শক্তিটুকুও না রাখে, তবে যেন অন্তরের সাহায্যে তা বন্ধ করার চেষ্টা করে। (কাজটির প্রতি ঘৃণা পোষণ করে)। আর এটা হলো ঈমানের দুর্বলতম (বা নিম্নতম) স্তর; এর নীচে ঈমানের আর কোন স্তর নেই।” (মুসলিম ১৮৪)


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



দালাল চক্র (কবুতরের কেস স্টাডি) BD Online Pigeon Market

দালাল চক্র (কবুতরের কেস স্টাডি)

Pigeon Discussion

সাবধান (কবুতরের কেস স্টাডি)

“যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার। তবে আমি তোমাদের ক্রটি-বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করার।” (সূরা আন নিসাঃআয়াত-৩১)


মাগুরার লিটন ভাইয়ের একটা ছোট খামার কিছু সখেরবসে কবুতর পালেন। কিছুদিন আগে তিনি ২ জোড়া কবুতরের বিজ্ঞাপন দিলেন, অনেক সাড়া পেলেন। কিন্তু একজন বিশেষ ভাবে অনুরধ করেন যে তার কবুতর গুলো খুবই পছন্দ হয়েছে আর তিনি এটা নিতে আগ্রহী যাই হোক দাম দর শেষে, ক্রেতা তাকে বিশেষ ভাবে অনুরধ করলেন যেন তিনি কবুতর গুলো ঢাকায় পৌঁছে দিবার ব্যাবস্থা যেন করেন তাহলে তিনি কৃতজ্ঞ থাকবেন। যেহেতু লিতন ভাইয়ের নিয়মিত অফিসের কাজে ঢাকায় আসতে হয়,তাই তিনি কোন প্রকার দ্বিমত না করেই রাজি হয়ে গেলেন। গত তিনি বৃহস্পতি বা রাতে গাড়িতে উতলেন ঢাকার জন্য শুক্রবার ভোরে তিনি ঢাকার খিলগাঁও পেট্রোল পাম্পের অখানে কথামত দাড়িয়ে আছেন, কিছুক্ষণ আগেও ক্রেতার সাথে কথা হয়েছে। ক্রেতা তাকে আসস্থ করেছেন যে তিনি লোক পাঠাচ্ছেন…! কিন্তু ১ ঘণ্টা যাই ২ ঘণ্টা যাই লোকের কোন খবর নাই ক্রেতা কে ফোন দিলে বন্ধ টোন আসে, শেষে কোন উপায়ন্তর না দেখে তিনি কাপ্তান বাজার হাতে গিয়ে কবুতর গুলো বিক্রি করে বাসাই ফেরেছিলেন এক তাক্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে।


তাহলে কি বিশ্বাস নামক কোন বস্তু আর নাই। “প্রত্যেককে বিশ্বাস করা বিপদজনক, কিন্তু কাউকে বিশ্বাস না করা আরো বেশী বিপদজনক।“(আব্রাহাম লিংকন।) আমাদের কবুতর খাতে বিশ্বাস টাই একমাত্র জিনিষ যার উপর ভর করে চলছে। হয়ত ছবি দেখে, বিক্রেতা কে জানাচ্ছেন টাকা পাঠাচ্ছেন কবুতর বুঝে নিচ্ছেন এটাই হয়ত অনেকেই ১০০% ভাগ সন্তোষ হচ্ছেন না কিন্তু এভাবেই চলছে এই খাতটি। ব্যাতিক্রম যে হয়না টা না। কিন্তু তারপরও সর্বোপরি সন্তোষজনকই বলা যায়। কিন্তু সেদিনের যে ঘটনাটা ঘটেছে সেটা কিন্তু স্বাভাবিক না। কিছুদিন দরেই লক্ষ করা যাচ্ছে কিছু লোক এ ভাবেই ফোনে কনফার্ম করে কবুতর আনতে বলে, এর পর বলে অমুক দোকানে রাখেন, আমি টাকা নিয়ে আসতেছি। এভাবে এক ঘণ্টা পার হল হয়ত আপনি একটু চা খেতে বা কিছু খেতে অন্য দোকানে গেলেন আর এই ফাকেই সে কবুতর টা নিয়ে কেটে পড়বে। আপনি হয়ত, ফিরে এসে দোকানদার কে জিজ্ঞাস করলেন যে, কবুতর কই দোকানদার আপনাকে জানাবে আপনার ভাই টো নিয়ে গেল। আপনি কিছুই করতে পারবেন না। হতবম্ব হওয়া ছাড়া। কিছুদিন আগে কাজিপাড়ার এক ছাত্র যে খুবই সখ করে কবুতর পালে, তার সাথেও এই ধরনের ঘটনা অল্পের জন্য বেচে গেছে। এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে। কিন্তু বেশীরভাগ খামারি এটা তেমন গুরুত্ত দেন না। বা হয়ত নিজের বোকামি টা লজ্জার খাতিরে চেপে যেতে চান। কিন্তু কেন ভাই। আপনার এহেন আচরন আরেকজনের সর্বনাশ করছে। তাই সবাইকে একটু সচেতন হতে হবে। আপানর কোন তাক্ত অভিজ্ঞতা আপনি শেয়ার করুন আপনার পরিচিত খামারির সাথে বা পরিচিত জনের সাথে, তাহলেই হত ভবিতসতে এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব। আর আপনি যদি এরূপ করতেই চান তাহলে আগে বিকাশ করে টাকা নিয়ে নেন, এরপর একজনকে সাথে নিয়ে তারপর যান বা ক্রেতা কে নিজের বাসাতেই আসতে বলেন, বা যদি দূরের পথ হয় তাহলে আগে টাকা নেন এর পর পাঠাবার ব্যাবস্থা করেন। আর যদি কখনও এই ধরনের কোন তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হন সেটা সবার সাথে শেয়ার করুন, তাহলেই হয়ত ব্যাপারটাকে এড়ানো সম্ভব তা না হলে নয়।


পরিশেষে,যারা এই ধরনের ঘৃণিত কাজ করে থাকে, তারা হয়ত ভাবে যে তারা পার পেয়ে যাবে, কিন্তু এদের সম্পর্কে আল্লাহ্‌ বলেন, “আমি প্রত্যেককেই তার অপরাধের কারণে পাকড়াও করেছি। তাদের কারও প্রতি প্রেরণ করেছি প্রস্তরসহ প্রচন্ড বাতাস, কাউকে পেয়েছে বজ্রপাত, কাউকে আমি বিলীন করেছি ভূগর্ভে এবং কাউকে করেছি নিমজ্জত। আল্লাহ তাদের প্রতি যুলুম করার ছিলেন না; কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলুম করেছে।“ (সূরা আল আনকাবুতঃ আয়াত-৪০)


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



সাবধান (কবুতরের কেস স্টাডি) BD Online Pigeon Market

সাবধান (কবুতরের কেস স্টাডি)

Pigeon Discussion

বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০১৪

কিছু খাবার ও ঔষধ প্রয়োগে সাবধান (কবুতর এর কেস স্টাডি)

“মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক।” (সূরা আবাসাঃআয়াত-৩৪)


আমার স্কুল জীবনে এক দুষ্ট প্রকৃতির এক সহপাঠী ছিল, সে সারাদিন ক্লাসে বদমাশি করে বেরাত, আর এ জন্য তাকে প্রতিদিন মার খেতে হত। কিন্তু তাতে তার কিছু আসত যেত না। মার খাবার একটু পরে আবার সে চিরাচরিত দুষ্টামি শুরু করে দিত, তাকে মারের কথা বললে বলত, আরে এটাত শরীর শক্ত করার জন্য। যাই হোক সে যেকোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করতে ও কথা বলতে পারত। একবার শিক্ষা সফরে যাচ্ছিলাম রাস্তার পাশে নাম না জানা না ধরনের গাছ, এক ছাত্র জিজ্ঞাস করল। এগুলো কি গাছ? সে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর করল, “ল্যাভেশিয়া”…আমি তার দিখে ভুরু কুচকে জানতে চেষ্টা করলাম সে সত্য বলছে কিনা? সে বুঝতে পেরে চোখ টিপ মারল, বুঝলাম বরাবরের মত এবারও সে চাপা মারছে। তার পুরাটাই বদমাশি ছিল, তবে তার একটা ভাল গুন ছিল যে ভুলটা সে করত পরে সে, সেটা স্বীকার করত।


আমাদের দেশে সামাজিক সাইট গুলো যেমন একটি যোগাযোগের ভাল মাধ্যম আর এই মাধ্যমে যেমন একটা ভাল কথা সহজে ছড়ান যায়, তেমনি একটা ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তও করা যায় সহজেই। এখানে যারা ভুল তথ্য গুলো দেন তারা অবশ্য সেই ছেলের মত কোনদিন তাদের ভুল স্বীকার করেন না। কারন তাতে ত মান যাবে। কি যায় আসে তাদের এই ভুল তথ্যের জন্য অন্যের কি ক্ষতি হল তা দেখার। আরে এত সময় কই। নাম কামানই বড় কথা।


আল্লাহ্‌ বলেন “ বস্তুতঃ ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ।“(সূরা আল বাকারা,আয়াতঃ১৯১)


যদি একটু ব্যাখ্যা করি তাহলে, এভাবে বলা যায়, ফিতনা হল এমন এক নতুন মতবাদ যা মানুষকে ভুল পথে প্রচালিত করবে, বা ভুল পথে চলার জন্য প্রলুব্ধ করবে। আর অধিকাংশ লোকই কম বেশী নানা ভাবে নানা ধরনের ফেতনার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জরিত।


“আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ।“(সূরা আন নিসাঃআয়াত- ১৪৮)


রসূল (সঃ) বলেন, “একজন মুসলিম যিনি একটি পোষা প্রাণী রাখতে পছন্দ করে তার দায়িত্ব হল ভালমত এর যত্ন নেয়া, যথাযথ খাদ্য, পানি এবং আশ্রয়ের ব্যাপারে খেয়াল করা আবশ্যক। কোন বাক্তি যদি একটি পোষা প্রাণীর যত্নর ব্যাপারে উপেক্ষিত হয় তার কঠিন শাস্তি বর্ণনা করেছেন।“


কবুতরের অধিকাংশ খাবার তার স্বাস্থ্যগত বাপারে বিরাট ভূমিকা রাখে, বিশেষ করে ব্রিডিং কবুতরের জন্য সুষম খাদ্য। তেমনি আবার কিছু খাদ্য হিতে বিপরীত হয়। যদিও অধিকাংশ খামারি তা জানেন না। কবুতরের খাবার ক্ষেত থেকে তুলার পর মাড়াই এর পর দোকানে আশা পর্যন্ত অনেক পর্ব পার করে এর মধ্যে অনেক ধুলবালি যোগ হয়। অবশেষে যখন দোকানে আসে এর সাথে যোগ হয় তেলেপোকা ও ইদুরের লাদি ও পেসাব। আর এই অবস্থায় যদি আপনি আপনার কবুতরকে খাবার গুলো পরিবেশন করেন তাহলে টাল ফল সম্পকে হয়ত আপনারা অবগত আছেন। আপনার কবুতর নিয়মিত রোগ বালাই তে আক্রান্ত হতে থাকবে । আপনি বুঝতেও পারবেন এর কারন কি? তাই নিয়মিত ভাল ও সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে যেকোনো সফল খামারিকেই । কবুতরের যতো রোগ হয় তার অধিকাংশই সূত্রপাত হয় খাবার ও পানির মাধ্যমে, তাই খাবার দিবার আগে সেগুলো যতদূর সম্ভব পরিষ্কার করে দিতে হবে। কিছু খাবার আবাড় ধুয়া সম্ভব না, যেমন তিসি, চীণা,কাওণ, সবুজ মটর ইত্যাদি, তবে কিছু ধুয়ে পরিস্কার না করে দেয়া ঠিক না যেমন ঃ কালী মটর, লাল বাজরা, সাদা দেশী মটর, লাল মটর মূঘ ডাল,সরিষা ইত্যাদি ।


হজরত আনাস (রা) দ্বারা বর্ণিত আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ(সঃ) বলেন “সকল প্রাণী ঈশ্বরের একটি পরিবারের মত হয় এবং তার পরিবারের সবচেয়ে যারা দয়াশীল তাদের আল্লাহ্‌ ভালবাসেন.” (৩:১৩৯২বুখারী থেকে)।


এগুলো গেল প্রাথমিক পর্যায়, কিন্তু যে খাবার গুলো আপনি যা আপনি আদৌ জানেন এর কুফল সম্পর্কে, তারপরও দিনের পর দিন নানা মতবাদ দিয়ে,নিজস্ব মনগড়া মতবাদ তৈরি করে দিনের পর দিন খেতে দিতেছেন। যে খাবার গুলো উপকারের থেকে অপকারি বেশী সেগুলো না দিয়াই ভাল।


আল্লাহ্‌ বলেন,”তারা আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান রাখে এবং কল্যাণকর বিষয়ের নির্দেশ দেয়; অকল্যাণ থেকে বারণ করে এবং সৎকাজের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে থাকে। আর এরাই হল সৎকর্মশীল।“(সূরা আল ইমরান ১১৪)

এখন আসুন আমরা জেনে নেয় কি সেগুলো কিঃ


১) রেজাঃ রেজা এমন এক খাবার যা কোন প্রকার খাদ্য শস্যর মধ্যে পরে না, এগুলো গম খেতের মধ্যে আগাছার মত এক প্রকার জংলা হয় সেগুল থেকেই তৈরি হয়। এ খাবার গুলো কবুতরের স্বাস্থ্যগত কোন ভুমিকা রাখে না। তারপরও কিছু লোক এগুলো খাওয়ান ও অন্যকে খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। আর এই সুযোগে এক শ্রেণীর ব্যাবসায়ি দান মারেন। শস্যর মধ্যে না পরেও এর দাম কিন্তু নেয়াত কম না। আর বিচিত্র কারনে কবুতর এই খাবার পছন্দ করে থাকে। কিন্তু এই খাবার দিলে কবুতরের অ্যালার্জি, সাল্মনিল্লা সহ নানা রোগের উপসরগ দেখা যায়।


২) ধানঃ আমাদের দেশে ৭০% খামারি কবুতর কে ধান খাওয়ান, যেহেতু এটা খুবই সহজলভ্য তাই নানা ধরনের প্রবাদ ছড়িয়ে কবুতর কে ধান খাওয়ানোর ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়ে থাকে। যেমনঃ ধান খাওয়ালে কবুতরের পায়খানা ভাল থাকে, ধান খাওয়ালে কবুতরের স্বাস্থ্য ভাল থাকে, ধান খাওয়ালে কবুতর ভাল উড়ে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের দেশের বাইরে ধান খাওয়ানোর জন্য কোন উপদেশ পাওয়া যাই না। তাহলে কি তাদের কবুতরের সাস্থ, পায়খানা বা উড়া ভাল না? কি জানি? তাহলে কেন এই ধরনের প্রবাদ প্রচলন আছে এ দেশে। ওই যে বললাম আমরা আমাদের নিজেদের স্বার্থেই এই সব তৈরি করে রেখেছি। যাই হোক কবুতরের ধান খাওয়ানোর ব্যাপারে যতই প্রবাদ থাকুক, এটা কবুতরের স্বাস্থ্যগত সুবিধা থেকে অসুবিধাই বেশী। (ক)ধান কবুতরের ক্রপ ইনফেক্সন ঝুকি বাড়ায়। (খ) ধান বাচ্চাদের খাদ্য নালিতে ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে। (গ) ধান পাকস্থলী তে আটকিয়ে ক্রপ সউর হতে পারে ইত্যাদি।


৩) বয়লার গ্রয়ারঃ বয়লার গ্রয়ার খাবারটি যদিও আমাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়, ও অনেকের ধারনা এটা কবুতর কে স্বাস্থ্যবান হতে বা মোটা হতে সাহায্য করে থাকে। যদিও অনেকেই মনে করেন মোটা কবুতর মানেই ভাল কবুতর আবার অনেকেই বলেন মোটা কবুতর ভাল না এটা কবুতরের জন্য ক্ষতিকর ডিম পাড়া বন্ধ হয়ে যাই ইত্যাদি ইত্যাদি। কোন সব জ্ঞানের কথা, আসলেই কি কথা গুলো ঠিক। কবুতর মোটা হোক বা পাতলা হোক সুস্থ কবুতরই ভাল। আর সব সময় খেয়াল রাখবেন যেন কবুতরের রোগ বালাই কম হয়। আমাদের দেশে অনেকেরই হয়ত জানা নাই যে বয়লার গ্রয়ার খাবারটি বাজারের কিমা গোস্তের মত নানা ধরনের ভাল খারাপ জিনিষ মিক্স করে তৈরি করা হয়। আর যেহেতু এটা অনেক দিন ধরে পরে থাকে তাই এতে ফাঙ্গাস পড়ার ভয় থাকে অনেক বেশী। এই খাবার টো আসলে কবুতরের জন্য না এটা সাধারণত ফার্ম/পোলট্রি এর জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি। মোরগ/মুরগি জেভাবে বা যে খাবার বা যেভাবে হজম করতে পাড়বে কবুতর তা পাড়বে না। তাই এটা যারা খাওাবেন তারা একটু গরম করে নিবেন আর পরিমানের ব্যাপারটাও বিবেচনায় রাখবেন।


৪) ভাঙ্গা ভুট্টাঃ ভাঙ্গা ভুট্টা কেউ যদি কবুতর কে খাওয়ান কোন ব্যাবস্থা না করে, থাহলে বলব সেই খামারি বা কবুতর পালক সেই তৈলাক্ত বাসে উঠার চেষ্টা করছেন, তিনি একফুত উঠলে ২ ফুত নেমে যাচ্ছেন। ভাঙ্গা ভুট্টাতে অনেক রোগ জীবাণু থাকে, আপনি যদি এটাকে সেদ্ধ করে না খাওয়ান তাহলে আপনার কবুতর সাল্মনেল্লা, এ কলাই, ককসিডাইওসিস এর মত না ধরনের মারাত্মক রোগে ভুগবে। আর এই সব রোগ তাড়াতে তাকে নিয়মিত ব্যাতিবাস্ত থাকতে হবে। তাই একজন আদর্শ খামারি কখনও ভাঙ্গা ভুট্টা খাওয়াবে না তার কবুতরদের।


৫) দুধঃ কবুতর কে কখনও দুধ খাওাবেন না। বিশেষ করে বাচ্চা কবুতর কে, অনেকেই আছেন যারা কবুতরের পিতামাতা খাওয়ান বন্ধ করেদিলে দুধ খাওয়ান শুরু করেন। এটা ঠিক না…তবে হা আপনি সেই দুধ খাওয়াতে পারেন যেটিতে ফ্যাট যুক্ত না থাকে। তাও খুবই অল্প পরিমানে কিছু মিক্স করে। কারন কবুতর তার শারীরিক গঠনের কারনে স্নেহ জাতীয় খাবার হজম করতে পারেনা। দুধ শুধু মাত্র বাচ্চা কবুতরের জন্য প্রযোজ্য বড় কবুতরের জন্য নয়।


৬) চিরতাঃ অনেক খামারি আছেন, যে আবেগের অতিসজ্জে চিরতা পানি খাওয়ান শুরু করেন। উনারা উপদেশ দেন যে চিরতা পানি কবুতরের জন্য খুবই ভাল ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু চিরতা পানি কিডনি ও লিভারের জন্য সুবিধা জনক না। বিশেষ করে চিরতার পানি কবুতর কে খাওয়ালে সাল্মনেল্লার মত ও বদ হজমের মত নানা রোগ দেখা দিতে পারে।


৭) ঔষধঃ কিছু ঔষধ আছে তাদের মধ্যে অ্যান্টিবায়টিক অন্যতম, যেগুলো অবলীলায় আমাদের কবুতরেকে প্রয়োগ করি। আর তাদের মধ্যে কিছু আছে যেগুলো কে extreme পর্যায়ে ফেলা যাই, কেন? কারন এগুলো তে ৩-৪ ধরনের অ্যান্টিবায়টিক যুক্ত থাকে। আর আমরা জানি বা না জানি সেগুল কে বংশানুমিক ভাবে উপদেশ দিতে থাকে। তাদের মধ্যে erocot অন্যতম। কোন কিছু হলেই এই ঔষধ টি প্রয়োগের উপদেশ দেন অধিকাংশ মানুষ কেন? জানা নেই কারোরই…! আমি কিছুদিন আগে একটা রোগের জন্য zimax ব্যাবহার করার পরামর্শ দিলাম, কিন্তু সেটা তিনি ব্যাবহার না করে আগের ঔষধ টা ব্যাবহার করলেন ও আমাকে জানালেন যে আমি এটা ব্যাবহার করে কবুতরের রোগ ভাল করেছি। আমি বললাম খুবই ভাল কথা, কিন্তু তিনি জানেন না যে আমি যে ঔষধ টি বলেছিলাম সেটা ও এটা একই ঔষধ খালি erocot অ্যান্টিবায়টিক ২ অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়টিক আছে। আমাদের লক্ষ্য শুধু রোগ ভাল করা নয়। রোগ ভাল করে পরবত্তিতে এর থেকে ডিম বাচ্চা করাও আরেকটি লক্ষ্য। তাই ঔষধ ব্যাবহারের একটু সতর্ক থাকবেন।


অনেকেই মনে করে থাকেন গরম কালে কিছু খাবার কবুতরেকে দিতে হয় না। কেন? জানা নাই? তাদের ধারনা দিলে কবুতরের শরীর গরম হয়ে যায়। মানে শরীর গরম করার অধিকার খালি কি মানুষের? আমারা যদি বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বা বাসায় বসে পোলাও কোরমার মত গরম খাবার গরমের দিনে খেতে পারি, তাহলে কবুতর কে কেন খাওয়াতে পারব না। এভাবেই অনেকেই তাদের নিজস্ব মত প্রচার করেন এই সব সামাজিক সাইটে, যেমন কিছুদিন আগে একজন মন্তব্য করলেন, যে কবুতর কে চাল খাওয়ান উচিৎ না এতে কবুতর এর চর্বি জমে যাই?!!!! আরেকজন জানালেন কবুতর কে সরিষা দিতে হই না গরমের দিনে?!!! আরেকজন জানালেন…কুসুম ফুলের বিচি…???!! কিছু খাবার পরিমান মত দিতে হয়, যেমন ভেনেগার বা সিরকা ধরনের খাবার এর পরিমান বেশী হলে পাকস্থলী বা হজম তন্ত্রে বা ইমিউন সিস্টেম এ ক্ষতি হবার সভাবনা অনেক বেশী থাকে। ফলে এতে আপনার উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। এভাবে যে যেমন পারেন তেমন ভাবে তাদের অনর্থক ভিত্তিহীন মন্তব্য করেন। যদি কোন রেফারেন্স চান আপনি এ ব্যাপারে তারা দিতে পারবেন না একটাও …কিন্তু তারপর…বলে যাবেন…! বলে চলছেন…!! বলে চলবেন…!!! ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে “জান্তাহু সাবকুচ মাগার পুছ তো কুচনেহি।“ মানে সবই জানি কিন্তু আসলে জিজ্ঞাস করলে কিছুই জানি না।


আল্লাহ্‌ বলেন,”যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে।“(সূরা বনী ইসরাঈলঃআয়াত-৩৬)


আপনার যদি সঠিক জ্ঞান থাকে তাহলেই কেবল মন্তব্য করুন না হলে চুপ থাকুন, কারন আপনার একটা ছোট্ট সাধারন মন্তব্য হয়ত আরেক জনকে ভুল পথে পরিচালিত করবে। যার দায়িত্ব আপনি এড়াতে পারবেন না। সেটা কবুতরের খামারি হোক বা উপদেশকারিই হোক কেওই পার পাবেন না আল্লাহ্‌র ও তার ফেরেস্তাকুলের লানত ঠেকে।


পরিশেষে, মুহাম্মদ আমিন (রা.) হতে বর্ণিত হুজুর (সা.) বলেছেন, “যে প্রাণীর প্রতি দয়া করে, আল্লাহ্‌ তার প্রতি দয়া করবেন।”


আপনি আপনার কবুতরের অবিভাবক, আর আপনাকেই চিন্তা করতে হবে কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ, আল্লাহ্‌ আমাদের কে মানুষ বানিয়েছেন যাতে আমরা আমাদের জ্ঞান বুদ্ধি সঠিক ভাবে ব্যাবহার করতে পারি, তা না হলে আমাদের মানুষ না হয়ে অন্য কিছুর সঙ্গে তুলনা হয়ে যাবে। বেশী কিছু না খালি একটু সঠিক সিধান্ত ও একটু সুস্থ চিন্তা আপনার প্রাণীটির প্রান বাঁচানোর জন্যই যথেষ্ট।


পবিত্র কোরআন এ আল্লাহ্‌ বলেছেন, “আর যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের মত চল তবে তারা তোমাকে আল্লাহ্‌র পথ থেকে বিচ্যুত করবে,তারা শুধু অনুমানের অনুসরন করে। আর তারা সুধুই মিথ্যা বলে।”(সূরা আনা-আম,আয়াতঃ১১৬)


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



কিছু খাবার ও ঔষধ প্রয়োগে সাবধান (কবুতর এর কেস স্টাডি) BD Online Pigeon Market

কিছু খাবার ও ঔষধ প্রয়োগে সাবধান (কবুতর এর কেস স্টাডি)

Pigeon Discussion

সোমবার, ১৯ মে, ২০১৪

নতুন খামারি ও কবুতর পালকদের জন্য কিছু জরুরি কথা (কবুতরের কেস স্টাডি)

আমাদের দেশে ছোট বেলার রাজার গল্পে কৃষকের ছেলে রাজার মেয়েকে বিয়ে করে অর্ধেক রাজত্ব পেল আর সুখে শান্তিতে বাস করতে থাকল অথবা বাংলা সিনেমা যদি দেখি তাহলে দেখব নায়ক যেকোনো একটা ঘটনা ঘটিয়ে, দৌড়াতে শুরু করল, আর দৌড়াতে দৌড়াতে বড় হয়ে, একজন সফল ব্যাবসায়ি বা একজন নামকরা ব্যাক্তি বা একজন নামকরা ডন হয়ে গেল। বা নায়কের মা নায়ককে কোলে নিয়ে গান গায়তে গায়তে নায়ক বড় হয়ে গেল ও একজন সফল মানুষ হয়ে গেল। এটাই হল অধিকাংশ বাংলা সিনেমার বা শিশুতোষ গল্পের চিত্র। আর এসব থেকেই আমার খুবই সংক্ষেপে সফল হবার একটা মানসিক প্রবনতা আমাদের প্রায় অধিকাংশ মানুষের মধ্যে কম বেশী বিরাজ করে। কিন্তু বাস্তব জীবনে এটা হয় না এত সহজে।



কবুতরের আদর্শ জোড়া প্রস্তুত ও সঠিক প্রজনন প্রণালী বা ভাল মানের বা ভাল জাতের কবুতর প্রজনন (ব্রিডিং) খুব একটা সহজ ব্যাপার না। আর একজন সফল বা আদর্শ খামারি হওয়া ছেলেখেলা না। কথায় আছে একটি কবুতর ১২ মাসে ১৩ বার ডিম বাচ্চা করে। আর আপনি যখন আপনার বাসার পাশে এ রকম খামারি কে দেখবেন যে সে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতেছেন। তখন একজন নতুন খামারি এরই স্বপ্নে বিভোর হয়ে কবুতর পালা শুরু করে। আর এর পরই শুরু হয় তার অগ্নি পরীক্ষা। প্রথমেয় সে কোন বাছ বিচার না করেই কবুতর কিনে এক জায়গা থেকেই কোন পরিশ্রমের তোয়াক্কা না করেই। সেই বাংলা সিনেমার মত, আর এটাই একজন নতুন খামারির সবচেয়ে বড় ভুল। যাই হোক একজন আদর্শ খামারি যদি বছরে ৪-৫ জোড়া ভাল মানের বাচ্চা তুলে বড় করতে পারে ঠিকমত তাহলেই কেবল একটু স্বস্তির বা শান্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটার ব্যাতিক্রম হয়। বাচ্চা বড় করা ত দূরের কথা ব্রিডিং জোড়ার বাচাতেই ব্যাতিবাস্ত থাকতে হয় অনেক সময় অধিকাংশ খামারিকে। অনেক সময় ব্যাপারটা এ রকম হয় যে ভিক্ষা চাই না কুত্তা সামলানোর মত অবস্থা হয়।


একজন খামারি কে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোগ বালায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ভিইরাল সংক্রমন,ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমন, ডিমের ভিতর বাচ্চার মৃত্যু, অনুরবর ডিম, নেষ্ট এ বাচ্চার মৃত্যু, একটু বড় অবস্থায় বাচ্চার মৃত্যু, প্রতিদিন খাবার ও পানি সরবরাহ ও নিয়মিত চেক করা, চরম আবহাওয়া (আতি গরম বা শীত বা বৃষ্টি)। এ সব প্রতিকুলতা সামাল দিতে গিয়ে একজন খামারি অনেক সময় ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু তারপরও তাকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও এ সব বিষয় দেখতে হয় দিনের পর দিন। আর এ ক্ষেত্রে একজন খামারির অধিক ধৈর্যই এ সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে সফলতা এনে দেয়। আর এই ধৈর্য একজন খামারি অর্জন করে অনেক দিন ধরে, যদিও ধৈর্য ও অভিজ্ঞতা কেউ যদি একজন খামারির সফলতা ধরে নেয়, তাহলেও একটু বিতর্ক থেকেই যায়। কারন এর সঙ্গে ভাগ্যও কিছুটা আপনার সাথে থাকতে হবে! যেমন আপনি হইত আপনার অভিজ্ঞতা ও ধৈর্য সহকারে খামার পরিচালনা করছেন ঠিকমত, হটাত দুর্ভাগ্য এসে আপনার খামারে বাসা বাধল, তাহলেও বেশী সময় লাগবে না, খুবই অল্প সময়েই আপনার খামার ঝড় বাতাসের মত লণ্ডভণ্ড করে চলে যাবে। আপনি কিছু বুঝে উঠার আগেই। একজন নতুন খামারি হিসাবে আপনার কিছু করনীয় আছে, সেগুলো কি?


১) জায়গা নির্বাচন।


২) কবুতর নির্বাচন করা। আর এ জন্য প্রথম পর্যায়ে দামি কবুতর না তুলে ছোট অল্প দামি কবুতর দিয়ে খামার শুরু করা ভাল।


৩) খাঁচা, ঔষধ প্রাপ্তিস্থান ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ।


৪)কবুতরের বাজার পর্যবেক্ষণ ও বিক্রেতা সম্পর্কে ধারনা সংগ্রহ। (যেমনঃ কবুতর বাজার টা খুব একটা বড় বাজার না যদিও এটা একটা বড় বাজার হতে পারত, কিন্তু কিছু কারনে এটা এখন হয়ে উঠেনি। ফলে বিক্রেতা সম্পর্কে ধারনা নেয়াটা খুব একটা কঠিন ব্যাপার না। আর আস্তে আস্তে, অল্প অল্প করে, একজোড়া দুইজোড়া করে সংগ্রহ করুন।


৫) একজন ভাল ও বিশ্বস্ত বন্ধু নির্বাচন করুন। যিনি আপনাকে রোগ ও কবুতরের ব্যাপারে ভাল কিছু উপদেশ দিবেন। কারন অধিকাংশ মানুষ এ ব্যাপারে হিংসা পোষণ করে, ফলে হিতে বিপরীত হয় বা হতে পারে।


৬) কবুতর কেনার সময় ভাল করে যাচাই করে নেয়া। পরিচিত না হলে পুরনবয়স্ক কবুতর না নিয়া। তবে বাচ্চা কবুতর একজন নতুন খামারিদের বেশী প্রাধান্য দিয়া উচিৎ। যদিও এক্ষেত্রে সুবিধা যেমন অসুবিধাও তেমন বাচ্চা নিলে আপনি আপনার খামারের পরিবেশ ও খাদ্য তালিকার সাথে খাপ খাওয়াতে পাড়বেন। তবে সেক্ষেত্রে দুটাই নর বা দুটাই মাদী হবার সভাবনা থেকেই যাই তার পরও অসুবিধার থেকে সুবিধাটাই বেশী। অনুরূপ ভাবে পুরনবয়স্ক কবুতর নিলে আপনি হয়ত জানতেও পারবেন না যে এটা কত দিন বা কতবার ডিম বাচ্চা করেছে। যেহেতু আমাদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র তাই হয়ত ১০ বছর বয়স হলেও বলবে এইত ২-৩ বছর, আর সেক্ষেত্রে আপনি কবুতর কে বাসাই এনে আর বড় জোর ৫-৬ বার সফল ভাবে ডিম বাচ্চা করলেন, এর পর হয়ত আর ভাল বাচ্চা তুলা সম্ভব হয়না। কিন্তু আপনি যদি জিজ্ঞাস করেন তাহলে হয় বলা হবে বিশ্রামে গেছে। কিন্তু অনেক সময় সেই বিশ্রাম আর শেষ হয় না চূড়ান্ত বিশ্রামের আগে।


৭) কবুতর কেনার আগে ভাল করে এর পায়খানা পরীক্ষা করে নিবেন, মুখের ভিতর পরীক্ষা করবেন, হাতে ধরে দেখে নিবেন যে এর শারীরিক অবস্থা কেমন? যদিও অনেক সময় একজন বিক্রেতা যে খাঁচায় ড্রপিং ভাল সে খাঁচায় রেখে দেখানোর চেষ্টা করেন যে কবুতরটা সুস্থ। এর পরও অনেক সময় নানা কারনে নতুন জায়গাই আসার পর পরিবেশ, খাবার, ভ্রমন ইত্যাদি কারনে একটু অসুস্থ হয়ে যেতে পারে, আর এ জন্য এ সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক ধারনা নিতে হবে।


৮) রিং এর ব্যাপারটা যেন আপনার মাথায় বা গলায় রিং পরিয়ে না দেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনাকে কবুতরের আকার,মারকিং ও জাতের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেটা রিং হোক বা রিং ছাড়াই হোক। যদিও আজকাল অনেক ভাল খামারি নিজেরাই রিং এর ব্যাবস্থা করে ও আমদানি করা রিং বলে চালাচ্ছেন। এদিকে একটু খেয়াল রাখতে হবে।


৯) খামার বা কবুতর পালা শুধু ব্যাবসায়িক চিন্তা করে পালবেন না অনুগ্রহ করে। এই প্রাণীটির প্রতি যদি আপনার ভালবাসা বা ভাললাগা না থাকে তাহলে এর চিন্তা মাথা থেকে ঝেরে ফেলুন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আপনি এক্ষেত্রে ব্যর্থ হবেনই হবেন। কোন সন্দেহ নাই তাতে।


১০) আপনাকে কবুতর পালার জন্য একটি সার্কেল তৈরি করতে হবে যারা কবুতর সম্পর্কে জানে ও যে আপনাকে এ ব্যাপারে নিয়মিত সাহায্য করতে পারে।


১১) রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ লোকের পরামর্শ নিবেন তা না হলে নানা জনে আপনাকে না উপদেশ দিয়ে বিভ্রান্ত করে ফেলবে। ফলে সেটা আপনার জন্য একটা কাল হয়ে দাঁড়াবে। একটা কথা মনে রাখবেন এই সেক্টরে গুনির সংখ্যা অনেক বেশী, আমরা সবাই একটু বেশী জানি আর তাই আপনি যদি কিছু জিজ্ঞাস করেন কাওকে না জানলেও তিনি টা জানেন। তাই এই ব্যাপারে একটু সতর্ক হবেন।


১২) পরিশেষে আপনার যদি এই প্রাণীটির প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন আর আপনার যথেষ্ট ধৈর্য থাকে আর আপনার যদি মনে হয় আপনি অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত তাহলেই কেবল আপনি পারবেন আর তা না হলে এই চিন্তা করতেও যাবেন না। অন্যের দেখাদেখি কবুতর পালতে যাবেন না বা মানুষ কে এই কথা বলার জন্যও না যে আপনি দামি কবুতর পালেন। বা আপনার মনে যদি এই চিন্তা আসে যে অমুক কবুতর পেলে অনেক টাকা কামাচ্ছে তাহলে আমি কেন পারব না? আপনার এহেন চিন্তা থেকেই বলতে পারি আপনি পারবেন না ! কেন পারবেন না…সেটা নিয়ে আরেকদিন হয়ত আলোচনা করব।


আল্লাহ্‌ কোরআন এ বলেছেন,”আর তোমরা আকাঙ্ক্ষা করো না এমন সব বিষয়ে যাতে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের একের উপর অপরের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার অংশ এবং নারী যা অর্জন করে সেটা তার অংশ। আর আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত।“(সূরা আন নিসা : আয়াত-৩১)


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



নতুন খামারি ও কবুতর পালকদের জন্য কিছু জরুরি কথা (কবুতরের কেস স্টাডি) BD Online Pigeon Market

নতুন খামারি ও কবুতর পালকদের জন্য কিছু জরুরি কথা (কবুতরের কেস স্টাডি)

Pigeon Discussion

শনিবার, ১৭ মে, ২০১৪

Crown Crested White Loton Breeding pair pigeon for sale urgent

Crown Crested White Loton Breeding pair pigeon for sale urgent



Crown Crested White Loton Breeding pair pigeon for sale urgent BD Online Pigeon Market

Crown Crested White Loton Breeding pair pigeon for sale urgent

One Racer maksi homer male pigeon for sale

One Racer maksi homer male pigeon for sale

good bloodline

high flyer bloodline…

without tag…

sex; male

age: 2 feather

very fresh and very healthy and 100000% diseases free…

vaccinated……….

Price:888 BDT (fixed)

Location: Mirpur – 12……..

interested person plz call me……



One Racer maksi homer male pigeon for sale BD Online Pigeon Market

One Racer maksi homer male pigeon for sale

This pigeon pair for urgent sale

This pigeon pair for urgent sale . urgent for sell..breeding guaranty (money bck),100% marking

location – wari



This pigeon pair for urgent sale BD Online Pigeon Market

This pigeon pair for urgent sale

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০১৪

আমারা কি সঠিক পথে আছি? (কবুতর এর কেস স্টাডি)

আমি এক সময় একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি তে কর্মরত ছিলাম প্রায় ১২ বছর সময়। আর এই দীর্ঘ সময়ে যে সব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা আমার পরে অনেক কাজে লাগছে ও এখন লাগছে। সেই সময়ে আমাকে প্রায় একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা নিতে হত তা হল, প্রায় আমাদের বাইরের প্রধান অফিস থেকে জুনিয়র লেভেল এর লোক আসত আর আমার উপর দায়িত্ব পড়ত তাদের ট্রেনিং দিবার জন্য, এরপর তারা চলে যেত, তারা যখন আসত তখন আমাদের অনেক সিনিয়র পর্যায়ের সহকর্মীরা তাদের একটু অতিরিক্ত সমিহ করত, এমনকি জুনিয়র হবার পরও তাদের স্যার স্যার বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলত। এই এটা নিয়ে আমার সিনিয়র দের সঙ্গে লাগত আমার। আর হয়ত এ কারনেই হোক বা সেই বিদেশী সহকর্মীর বদৌলতেই হোক ৭ বছর আমার কোন পদন্নোতি হয়নি। কিন্তু যেদিন আমি সেই কোম্পানি থেকে ইস্থফা দেয় সেদিন আমার একসঙ্গে ৩টি প্রমোশনের অফার দিয়া হয়। যদিও আমি সেই প্রস্তাব ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করে চলে আসি। যাই হোক যা বলছিলাম, তো কেন এই বিদেশী প্রীতি?



প্রথমত প্রধান অফিসের লোক আর দ্বিতীয়ত বিদেশী। আর এই বিদেশী প্রীতি কেন জানি আমাদের মধ্যে একটা মজ্জা গত ব্যাপারে দাঁড়িয়েছে। বিদেশী বেণিয়ারা আমাদের এই উপমহাদেশে ২০০ বছর রাজত্ব করেছে। হয়ত সে কারনেই তাদের কোন ১ জোড়া জিন এখন আমাদের ১৩ জোড়া জিনের মধ্যে বিরাজ করছে। এটি কোন বিছিন্ন ঘটনা নয়। এটা শুধু একটা উধারন মাত্র। বিদেশী শুধু মানুষই না যেকোনো বিদেশী জিনিষ দেখলেই আমাদের মাথা নষ্ট হয়ে যাই। একবার বাণিজ্য মেলাতে এক জায়গায় অনেক ভিড় রিতিমত মারামারি লাগার মত! কি ব্যাপার কাছে গিয়ে দেখি, সেখানে অনেক পুরানো বিদেশী হাতল ভাঙ্গা সসপ্যান, টোস্টার, আইরন ইত্যাদি নানা ধরনের জিনিষ সস্তায় বিক্রি করছে আর মানুষরা সেগুলো যে যা পারছে কিনছে, কোন বিচার বিবেচনা না করেই। আদৌ এগুলো ঠিক আছে কিনা? বা এগুলো আর ব্যাবহার করা যাবে কিনা?


কোন ভ্রূক্ষেপ নাই। কিনছে তো কিনছেই। কি আশ্চর্য রকম আমাদের বিদেশী প্রীতি! আমাদের দেশের কবুতর সেক্টরেও ঠিক একই দশা, একজন খামারি যদি অনেক কষ্টকরে একটা ভালজাতের কবুতর যদি আজ বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দেয় তাহলে প্রথমেই যে প্রশ্নের সম্মুখিন হন তাহল এটা কি রিং এর? যদি সে নিজের রিং লাগান তাহলে, দ্বিতীয় প্রশ্ন হল আপনার কবুতর কি ই এর রিং নাকি এনপিএ রিং এর? যদিও বলে রাখা ভাল এই এর রিং বা এনপিএ রিং এর ব্যাপারে অধিকাংশ লোক জানে না, তারপরও। আপনি যদি এটা ভুয়া রিং লাগান তাতেও ভাল কিন্তু আপনাকে করতে হবে। আর এতে করেই দুর্নীতিকে প্রস্রয় দিয়া হচ্ছে বা এক শ্রেনির মানুষ এই ধরনের কাজে উতসাহিত হচ্ছেন। এর পর যদি তিনি(ক্রেতা) সন্তেস্ট হন তখন আসবে দামের ব্যাপার! আপনি যে দাম বলবেন ক্রেতা নির্ঘাত তার অর্ধেক দাম বলবেন। হোক না আপনার কবুতর বড় সাইজ বা সুস্থ বা ভাল মারকিং এর কিছু আসে যাই না। হয়ত দাম শুনে রাগে আপনার মাথার চুল খাড়া হয়ে যাবে বা আপনার মাথা গরম হয়ে যাবে, আপনি যদি প্রেসারের রুগী হন তাহলে হয়ত আপনার রাগে ব্লাড প্রেশারও বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু মাথা গরম করা যাবে না ক্রেতা বলে কথা ! আপনার যদি ঠেকা থাকেন তাহলে আপনি হয়ত রাজি হয়ে যাবেন তার প্রস্তাবিত দামে, আর যদি তানা হয় তাহলে হয়ত আপনি অন্য ভাবে চিন্তা করবেন। আর এ কারনেই ঠকবাজি বা ভণ্ডামি বেড়ে গেছে বহুগুণে। যাইহোক, অপর দিকে কবুতর আমদানির নামে আজ আমাদের দেশে এক দুঘলকি কারবার চলছে! ফান্স্যি সব কবুতরই বিদেশী কিন্তু তার পরও নতুন আমদানি করা কবুতরের প্রতি একটা মোহ আজ আমাদের পেয়ে বসেছে এক নেশার মত, হোক না সেটা খারাপ জাতের হোক না তৃতীয় গ্রেড এর হোক না অসুস্থ হোক না মরাধরা কিছু যাই আসে না, যে কবুতর আমাদের দেশে ৫০০ টাকাতে কেউ নিবে না, সেগুলো ১০ গুন দামে কিনছেন। ব্যাপার টা অনেকটা এ রকম যে বিদেশী বা উচ্চবিত্ত একটা লোক ছেরা প্যান্ট পরে হাঁটলে সেটা স্টাইল আর আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত পরিবারের একটা ছেলে যদি করে তাহলে সেটা বলবে তার প্যান্ট নাই তো তাই! আর দামের তো কোন ব্যাপারি না। ২০ হাজার টাকার কবুতর ৪৫ হাজার কোন ব্যাপার না। আর কবুতর কেনার পর বাসায় নিবার পর মরে গেল কোন আফসোস নাই। আরে রিং এর কবুতর বলে কথা। কথাই আছে হাতি মরলেও লাখ টাকা। আমি যদিও জানি না যে, যাদের এই কবুতর গুলো মারা গেছে সেগুলো কে মমি বানিয়ে রেখেছেন কিনা? শুধু এটা না, এ ধরনের কিছু লোক এসব কবুতর কেনার পর গর্ব ভরে সামাজিক সাইটে আপডেট দেন, আবার কিছু আছেন যারা ফোন করে জানা, ভাই আজ ২/৩ জোড়া রিং এর কবুতর কেনা ফেললাম, যদিও দামটা একটু বেশী নিয়েছে, কিন্তু রিং এর বলে কথা! কি ধরনের অবাক করা কথা।


আল্লাহ্‌ বলেন,“এটা এজন্যে বলা হয়, যাতে তোমরা যা হারাও তজ্জন্যে দুঃখিত না হও এবং তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তজ্জন্যে উল্লসিত না হও। আল্লাহ কোন উদ্ধত অহংকারীকে পছন্দ করেন না।“(সূরা আল হাদিদ-আয়াতঃ২৩)


আমরা কেন ভুলে যাই? যে আমরা, আমদানিকৃত নতুন জাতের কবুতরই কেবল কিনছি না সেই সাথে আমদানি করছি নতুন জাতের কবুতরের রোগ বালাই আর আমরা সেগুলো উচ্চ দামে কিনছি। আগে শুধু দু এক জন আমদানি কারক ছিল কবুতরের! কিন্তু যেহেতু এটা একটা ভাল ব্যাবসা তাই (কিছু উৎসুক ব্যাক্তি) আজ ব্যাঙের ছাতার মত নতুন নতুন অনেক কবুতর আমদানি কারক তৈরি হয়ে গেছেন। কিন্তু আমরা কি ভুলে গেছি যে ২ দিন পর এই আমদানি করা কবুতর কে কিনবে? আর যেগুলো দেশে ব্রীড হচ্ছে সেগুলো? তবে কি বিদেশী দের মত আমরাও উচ্চ ব্রীড কবুতরের গোশত খাওয়া শুরু করব? নাকি বিনিময় প্রথার মত খামারি দের মধ্যে কবুতরের লেনদেন প্রথা চালু করা হবে? আজ আমাদের দেশে এই আমদানি করা কবুতর বিনা পরীক্ষায় দেশে প্রবেশ করছে ও বিনা বাধায়, কেউ দেখার নাই। ফলে কি হচ্ছে আজ, যে সব রোগ বালাই এ দেশে আজ পর্যন্ত দেখা যাইনি সেগুলো মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে। যদিও এ সেক্টরের কিছু দালালরা এসব কথা মানতে নারাজ, তারা এইসব কঠিন রোগ কে সেই ফর্মুলাতে ফেলে দায় থেকে বাচতে চাই। কোন খামারে কোন কবুতর মারা গেলে হয়ত বলবে যে, প্যারামক্সি বা রানিক্ষেত হয়েছে। জানুক আর না জানুক মন্তব্য করতে ত আর পয়সা লাগে লাগে না তাই না?


আল্লাহ্‌ বলেন,”সমান নয় ভাল ও মন্দ। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু।” ( সূরা হা-মীম সেজদাহ আয়াতঃ৩৪)


যাই হোক আমাদের ভাল আমাদেরকেই বুঝতে হবে। লাভ হলে যেমন আমাদেরই তেমন ক্ষতি হলেও কিন্তু এই দায়ভার আমাদেরই। আমরা আমাদের কবুতরের অভিভাবক ফলে আমাদের ক্ষতি অন্য কেউ বলে দিবে না, আমাদেরকেই এটার ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।


পরিশেষে, কোরআন এ আল্লাহ্‌ তায়ালা এ ধরনের লোকদের সম্পর্কে বলেন,”যখন ফিরে যায় তখন চেষ্টা করে যাতে সেখানে অকল্যাণ সৃষ্টি করতে পারে এবং শস্যক্ষেত্র ও প্রাণনাশ করতে পারে। আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না।” (সূরা আল বাক্বারাহ আয়াতঃ ২০৫)


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



আমারা কি সঠিক পথে আছি? (কবুতর এর কেস স্টাডি) BD Online Pigeon Market

আমারা কি সঠিক পথে আছি? (কবুতর এর কেস স্টাডি)

Pigeon Discussion

রবিবার, ৪ মে, ২০১৪

কবুতর গুলা এই ড্রপিং করে ড্রপিং এ কৃমি আছে ... এখন কি করব ?

কবুতর গুলা এই ড্রপিং করে । ড্রপিং এ কৃমি আছে … এখন কি করব ।


হাল্কা হয়ে গেছে , খাবার খায় না , শুধু পানি খায় পরে বমি করে দেয় ।


Kf SohelRabbi ভাই হেল্প করেন প্লিজ ।।


pigeon dropping


Kf SohelRabbi : Krimir medicine apply koren er pordin saline den er por 3 din liver tonic den…update janaben thanks.


Kf SohelRabbi : Apatoto Avinex den 1 lit panite 1 grm diye ager din bikale pani soriye niben porer din medicine pani diben ekbar kore khabar por pani soriye normal pani diben porer din saline pani diben, er por 3 din multivitamin ba liver tonic diben thanks.



কবুতর গুলা এই ড্রপিং করে ড্রপিং এ কৃমি আছে ... এখন কি করব ? BD Online Pigeon Market

কবুতর গুলা এই ড্রপিং করে ড্রপিং এ কৃমি আছে ... এখন কি করব ?

Pigeon Diseases & treatment