বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

কবুতরের আচার আচরন ও সহজাত অভ্যাস (কেস স্টাডি)

“বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।“ (সূরা যুমারঃআয়াত-৯)


ছোট বেলার অনেক কথা মনের মধ্যে এমনি ভাবে গেঁথে যায় যা কখনও ভুলা যায় না। আজ আমনি একটা কথা মনে পড়ছে। আমি তখন অনেক ছোট, আমি আমার বড় ভাই মা ও বড় বোন নানা বাসাই বেড়াতে গিয়েছিলাম। ইস্টেসনে মামা এসেছিলেন আমাদের নিতে। আমরা গ্রামের মেঠো পথে পায়ে হেঁটে রওনা দিলাম কারন সে রাস্তাটা ছিল সরু তাই সাইকেল ছাড়া আর কিছু চলতে পারত না। আমরা হাঁটছিলাম আমাদের আগে আমার বড়ভাই মামা আমার হাত ধরে ছিলেন অন্য হাতে ব্যাগ। পিছিনে আম্মা ও আমার বড় বোন। রাস্তাই যেতে যেতে একটা ছোট্ট গর্ত পড়ল (গর্তটা গোল ধরনের সেখানে ছোট ছোট কঙ্কর ছিল) মামা আমাদের আগেই বলে দিয়েছিলেন যে সামনে একটা গর্ত আছে সাবধান! কিন্তু আমার বড় ভাই সেখানে পিছলীয়ে পরে গেল, মামা আমাকে নিয়ে পার হবার সময় আমার একই দশা হল, তবে মামা আমার হাত ধরে থাকাতে তেমন ভাবে পড়লাম না। মামা অনেক বিরক্ত হয়ে বললেন, “কিরে তোরা কানা নাকি? বলার পরও কিভাবে পড়লি ??” আজ জীবনের অনেকটা বছর চলে গেছে মামা আজ আর বেচে নেই, কিন্তু মামার সেই কথা আজ মাঝে মাঝে মনে পড়ে,”কিরে তোরা কানা নাকি?”



বর্তমানে যদি চারিদিকে একটু নজর দেই তাহলে বুঝব আসলেই তো আমরা কানা! আমাদের মনে হয় দিনে দিনে আমাদের বাহ্যিক দৃষ্টি অন্ধ হবার পাশাপাশি অন্তর দৃষ্টিও বা জ্ঞান দৃষ্টি যাই বলি না কেন অন্ধ হয়ে গেছে বা যাচ্ছে। আমাদের পরিবেশ ও প্রকৃতি প্রতিনিয়ত আমাদের নানা শিক্ষা দিবার প্রয়াস করছে কিন্তু আমরা খুব কম মানুষই তা থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে পারছি। আর সেটাকে ব্যাক্তি জীবনে প্রতিফলিত করছি। কেন এরকম হয় বা হচ্ছে? এর অন্যতম কারন আমাদের জ্ঞান চর্চারই অভাব। আমরা পড়তে পছন্দ করি না। কারন পড়তে গেলে অনেক পরিস্রম করতে হবে। কিন্তু সেটা আমরা করতে নারাজ। আমার জীবনের ১ যুগের ও বেশী একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি তে কেটেছে। সেখানে প্রতিদিন প্রতি সপ্তাহে প্রতি মাসে প্রতি ছয় মাসে এমনি কি প্রতি বছরে একটা বিশেষ ধরনের রিপোর্ট পাঠাতে হত আমাদের হেড অফিসে, তো পরে প্রায়ই দেখা যেত যে তারা সেই রিপোর্ট গুলো বার বার চাচ্ছে, ব্যাপারটা কি? কেন এমন হচ্ছে? তারা কি আমার রিপোর্ট ঠিক মত পাচ্ছে না নাকি অন্য কোন সমস্যা এটা নিয়ে আমাদের গ্রুপ হেড এর সাথে কথা বললাম পরে তিনি আমাকে হেসে জানালেন যে তিনিও অনেক বছর এ রকম সমস্যা ভোগ করেছেন কিন্তু এখন আর করেন না । তিনি ব্যাখ্যা করলেন যে আসলে ওরা পুরানো জিনিষ খোজার থেকে একটা ম্যাসেজ লিখা সহজ, তাই তারা না খুজে ম্যসেজ পাঠাত।


আমি কবুতর ও এর সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক কিছুই লিখেছি বিভিন্ন গ্রুপ এ আমার লিখা যদি কেউ ঠিক মত পড়ে আর তা থেকে ১০% ও মনে রাখে তাহলে মনে হয় না তার খামারে কোন অসুবিধা হবার কথা। আমার এই লিখা গুলো বই আকারে বের করার অনেক দিনের প্রয়াস কিন্তু সময় স্বল্পতা আর অর্থনৈতিক কারনে হয়ে উঠছে না। তারপরও চেষ্টা করছি অনবরত। যাই হোক প্রায় দেখা যাই আমাদের অধিকাংশ কবুতর খামারি ভাইরা এসব লিখা ঠিকমত পড়েন না। আর পড়ার জন্য যে কষ্ট করা দরকার মানে খুজতে সেটাও করেন না আর তাই প্রতি নিয়ত আমাকে এ সব খুজে খুঁজে বিভিন্ন জনকে দিতে হয়। দেয়াটা কোন ব্যাপার না। কিন্তু ব্যাপারটা যখন সময়ের আর যখন চাচ্ছেন অনেক জন প্রতিদিন, তখন আমাকে এক একটার পিছে ৫ মিনিট করেও সময় দিলে অনেক সময়। সে যাই হোক কাজের কথা আসি।


রসুলুল্লাহ(সঃ) বলেছেন যে,” জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটা মুসলিম নর নারীর জন্য ফরজ।“ (ইবনে মাজাহঃহাদিস-২২৪) কিন্তু আমরা প্রতি নিয়ত অন্য ফরজ তরখের সাথে সাথে নিজ জানতে বা অজান্তে এই ফরজ টাও তরখ করে যাচ্ছি, কোন খেয়াল নেই। আর কিছু মানুষ আছে আমাদের কবুতর সেক্টরে তারা তাদের অর্জিত জ্ঞান তাদের নিজেদের কাছে কুক্ষিত করে রাখে কারো সাথে শেয়ার করতে চান না। বা করলেও ভুল তথ্য দিয়ে ভিভ্রান্ত করে মানুষকে।


হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) বলেছেন “কাউকে তার জ্ঞাত কোনো জ্ঞান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সে তা গোপন করলে কেয়ামতের দিন তার কাঁধে আগুনের লাগম পরিয়ে দেওয়া হবে।”


আরেকদল আছেন যারা নিজেদের জাহির করার জন্য এ রকম করে থাকেন। যাই করি না কেন আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা প্রতিনিয়ত কার্যকলাপ নিয়ে একদিন জিজ্ঞাসিত হব। আমার এক বন্ধুর সাথে অনেকদিন পর একদিন রাস্তাই দেখা হল সে কথা বলছিল আর তার বাম ঘাড়টা প্রচণ্ড ভাবে নাড়াচ্ছিল। আমি আশ্চর্য হয়ে তাকে জিজ্ঞাস করলাম, সে কেন এমনটি করছে, সে বলল মিথ্যা কথা বলছিলাম তো তাই যাতে ফেরেশতা সেটা লিখতে না পারে তাই তাকে ঘার নাড়িয়ে লিখাটা বরবাদ করছিলাম আর কি এটা হয়ত ছিল তার একটা ছেলেমানুষি বা কথা হয়ত সে কৌতুক করে করেছিল। কিন্তু বাস্তবে কি এভাবে আমরা আমাদের কৃত কর্ম থেকে বেচে যেতে পারব? মনে হয় না।


কিছুদিন আগে এক খামারি আমাকে জানালেন যে তার খামারে প্রতিদিন ৩-৪ কবুতর মারা যাচ্ছিল আর তাই সে নানা জনের নানা পরামর্শ মত কাজ করে ফল না পেয়ে এক নাম করা পশু ডাক্তারের (যার নামের পাশে ডিগ্রি দেখলে চোখ ছানা বড়া হয়ে যাই আর এই সম্পর্কে একটা লিখা লিখেছিলাম কিছুদিন আগে সংক্ষেপে) পরামর্শ নিলেন। ডাক্তার সাহেব তাকে তার কবুতরের ময়না করতে বললেন। সে তাই করল। রিপোর্টে জানালেন রানিক্ষেত ও ফাঙ্গাল সংক্রমন! প্রথমেই জেনে রাখা ভাল যে কবুতরের রানিক্ষেত হয় না। সে যাই হোক একজন নাম করা ডাক্তারের রিপোর্ট তো আর ছোট করে দেখা যায় না তার কথাই মেনে নিলাম আপাতত।


তো তিনি তার ডিগ্রি ধারি প্যাডে ঔষধ লিখে দিলেন 1) TWO PLUS 2) RESPIRION 3) NEW FLOXIN 4) LISOVIT 5) BIOVIT ভালো কথা কিন্তু একজন পেশাদার ডাক্তার হিসাবে তার প্রথমেই জানার কথা ছিল যে রানিক্ষেত একটি ভাইরাল সংক্রমন আর যেকোনো ভাইরাল সংক্রমনে কোন প্রকার অ্যান্টিবায়টিক কোন কাজে আসে না। এটা যে কোন ডাক্তারদের প্রথমেই শিখান হয় আমার জানা মতে। যদিও তিনি রানিক্ষেতের সাথে ফাঙ্গাল সংক্রমনের কথা যোগ করে সেই ঔষধ গুলোকে হালাল করার অপচেষ্টা করেছেন মাত্র! তাই বলে একসঙ্গে এতগুলো অ্যান্টিবায়টিক? আর সেই খামারি অবিবেচকের মত সেগুলকে প্রয়োগ করেছেন সেই নিরীহ প্রাণী গুলো উপর, যদিও কোন কাজ হইনি তাতে। আর কয়দিন পরপরই আরও কিছু মানুষকে দেখলাম এই একই ঔষধ উপদেশ দিতেছেন বিভিন্ন কবুতর খামারিদের সামাজিক সাইট গুলোতে!এতে কাকে দোষ দিব যারা উপদেশ দিতেছেন তাদের নাকি যারা না জেনে না বুঝে নিজেদের কমন সেন্স ব্যাবহার না করে পালন করছেন তাদের? বলে রাখা ভাল যে ভেটেনারি ডাক্তারি করার জন্য একটা সর্ট কোর্স ও লং কোর্স করা যাই কম পক্ষে এস এস সি ও এইস এস সি পাস করা থাকে তাহলেই আর তাতেই উনারা নিজেদেরকে বিশাল জ্ঞানী মনে করে থাকেন, আর জতসব উল্টাপাল্টা ঔষধ উপদশ দিয়ে থাকেন। হাই হোক এ প্রসঙ্গে একটা গল্প বলার লোভ সামলাতে পারছি না, একবার ২ জন লোক এক জঙ্গলে গেল শিকারে, শিকারের নেশাই তারা অনেক গভিরে চলে গেল ফলে তারা একসময় জঙ্গলের অধিবাসীদের হাতে ধরা পড়ল। এখন তাদের এলাকায় অনধিকার প্রবেশের কারনে তাদের শাস্তি দিবার জন্য আনা হল, তাদের কে জিজ্ঞাস করা হল যে কি শাস্তি তোমরা চাও, একটা হল মৃত্যুদণ্ড আরেকটা হল ‘সডমি’(sodomy) করা। প্রথম জন বলল আমাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়া হোক, দ্বিতীয়জন ভাবল ‘সডমি’ করলে তো প্রানে বেচে যাওয়া যাবে। তাই সে দ্বিতীয় শাস্তি পছন্দ করল। তাদের সর্দার নির্দেশ দিল, প্রথম জনে কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা কর আর দ্বিতীয়জনকে ‘সডমি’ করতে করতে মেরে ফেল।


কবুতর জগতে যারা হয়ত কবুতর কে সময় মত চিকিৎসা দেয় না তাদের সেই ফাঁসিতে মারার মত আর যারা পশু ডাক্তারের কাছে যান তাদের অবস্থা হয় সেই দ্বিতীয় শাস্তির মতই হয়। আমরা সাধারণত হুজুর দের আর ডাক্তার দের কথা যেভাবে অনুসরন বা পালন করার চেষ্টা করি মাঝে মাঝে মনে হয় যদি এ রকম কোরআন হাদিস এর কথা মানুষ এমন ভাবে অনুসরন করত তাহলে কতই না ভাল হত। সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। একজন হুজুর যদি ভুলও বলে আমরা আমাদের নিজস্ব বিচার বুদ্ধি না খাটিয়ে বা কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিচার না করে সেটাই সঠিক বলে মনে করি, অন্যদিকে একজন ডাক্তার যদি কাওকে বলে যে, আপনি একপায়ে হাঁটবেন কোন বিচার ব্যাতিরেকেই সেই লোক এক পায়ে হাঁটার চেষ্টা করবেন, নিজের মনে একবার হলেও প্রশ্ন আসবে না যে কেন আমাকে এই উপদেশ দিয়া হল, আর কেনই বা আমি এমন করব। আমাদের কবুতর সেক্টরে অনেক শিক্ষিত মানুষ নিজেদের ক্ষেত্রে অনেক সচেতন কিন্তু কবুতরের ক্ষেত্রে আসলেই কেন জানি নিজের বিবেক বুদ্ধি লোপ পেয়ে যাই। আর কেউ জিজ্ঞাস করলেই ভাই আমি তো নতুন বা আমি ত কিছু জানি না বা আমি ভয় পেয়ে গেছিলাম তো মাথা কাজ করছিল না। এভাবে এসব কথা বলে অনেকেই তার ভুল থেকে বা দায়িত্ব থেকে পালিয়ে বাচতে চাই। কিন্তু এভাবে বললেই কি আপনি আপনার দায়িত্ব এড়াতে পারবেন বা যে ভুলের জন্য সেই নিরহ প্রাণীটার প্রান গেল তার মূল্য হয়ত দুনিয়াবি টাকার মূল্যতে মূল্যায়ন করতে পারবেন কিন্তু যদি প্রানের ক্ষেত্রে ধরেন তাহলে তার মূল্য আপনার আমার দিবার সাধ্য নাই। একজন খামারি তার খামারি যত না রোগ হয় তার থেকেও বেশী রোগ বয়ে আনে অনর্থক ঔষধ প্রয়োগ করে বা রোগ না জেনে ঔষধ দিয়াতে। আপনাকে একজন আদর্শ খামারি হতে বড় বড় ডিগ্রির দরকার নাই খালি একটু সাধারন জ্ঞানের দরকার এ ছাড়া আপনি একজন আদর্শ খামারি হতে পারবেন না, কখনই না।


রাসূল (সা.) আরও বলেন : ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য নয় বরং অন্য কিছু লাভের আশায় জ্ঞানার্জন করে, তার চিরস্থায়ী নিবাস হচ্ছে জাহান্নাম।'(তিরমিজী )


একজন আদর্শ খামারি হতে আপনাকে যে কাজটি সবচেয়ে আগে করতে হবে তাহল আপনার কবুতরের আচার আচরন ও সহজাত অভ্যাস সঠিক ভাবে পর্যবেক্ষণ করা ও জানা। আর এটা যে কত একটা মজার আর শিক্ষণীয় বিষয় আপনি না দেখলে বা না জানলে এটার আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব না। এতে আপনার একদিকে যেমন মজা পাবেন অন্য দিকে আপনি আপনার কবুতরের আচরন বা অভ্যাস জানার ফলে আপনি আপনার খামারে অনাখাংকিত পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবেন তাতে কোনই সন্দেহ নাই বিশ্বাস করুন। এগুলো যদি আপনি না জানেন তাহলে যেমন আপনি একটি বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়বেন অন্যকেও ফেলতে পারেন বা হয়ত এর ফলে আপনি অনর্থক ভয়ে ভিত হতে পারেন, যে মনে হয় আপনার কবুতর টি অসুস্থ কিনা। কিছুদিন আগে এক নতুন খামারি আমাকে কল দিলেন, ভাই আমার কবুতর টা কেমন যেন করতেছে, আমি তাকে জানতে চাইলাম কিরকম করছে, তিনি জানালেন যে তার একটা কবুতর অন্য কবুতরের পায়ের কাছে বসে কেমন যেন একটা শব্দ করছে। খাওয়া দাওয়া তেমন করছে না কি করব? এগুলো সবই সাধারন আচারন বা অভ্যাস ব্রিডিং এর সময় এ রকম আচরন করবে এটাই স্বাভাবিক। এরকম আরও অনেক আচার আচরণ বা অভ্যাস সম্পর্কে আপনার বাস্তব জ্ঞান থাকতে হবে। তাদের অনেক আচার আচরন স্বাভাবিক মানুষের মতই। এখন আসুন আমরা জেনে নেই একটা কবুতর কি ধরনের আচরণ করে বা করতে পারে বা কি ধরনের তাদের সহজাত অভ্যাস আছেঃ কবুতরের আচার আচরন বা অভ্যাস কয়েক ধরনের (ক) স্বাভাবিক আচরন বা অভ্যাস ও (খ) অস্বাভাবিক আচরন।


ক) স্বাভাবিক আচার আচরন বা অভ্যাস আবার ২ প্রকার (১) চরিত্রগত আচরন ও স্বভাব (২) বাহ্যিক আচরন।


ক)স্বাভাবিক আচার আচরন বা অভ্যাসঃ ১) চরিত্রগত আচরন ও স্বভাবঃ


১) একটা বাচ্চা কবুতর ২০-২৫ দিনের মধ্যে খাওয়া শিখে ফেলে, যদি না অন্যকোন অবস্থাই পড়ে। আর এই সময় আপনি যে ধরনের খাদ্য দিবেন বা যে ধরনার অভ্যাস বা পরিবেশ দিবেন তাতেই তারা অভস্থ হয়ে যাবে। এই সময় আপনি অনেকগুল বাচ্চাকে একসাথে রাখতে পারবেন। কারন এই সময় তাদের আচরন খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।(দুই এক জাতের কবুতর ছাড়া)আর যারা আদর্শ খামারি তারা এ ভাবেই একই জতের কবুতর একসাথে রেখে আদর্শ জোড়া মিলানর পাথমিক কাজটি সেরে ফেলেন। আর এই সময় থেকেই তাদের খাদ্য ও ভিটামিন/মিনারেলস এর দিকে একটু বিশেষ নজর দিতে হয়।


২) কবুতরের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের আচার আচরণও পরিবর্তন হতে থাকে প্রতিনয়ত। এ সময় থেকেই জোড়ার মধ্যে প্রচুর মিল দেখা যাই, যেমন একজন আরেকজনের গায়ে ঠোট দিয়ে বিলি কেটে দিয়া বা একজন যা করে তা আরেকজন করা ইত্যাদি। এটাকে গ্রম্মিং বলে। যদিও অনেক সময় একসাথে থাকার কারনে একই লিঙ্গের কবুতরের সাথে এই ধরনের সম্পর্ক হতে পারে যেমন ২ টি নর বা ২ টি মাদির মধ্যেও এ ধরনের সম্পর্ক হতে পারে ডিম পাড়া বা পূর্ণ বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত। আর তাতে অনেকেই জোড়া ভেবে ভুল করে ফেলে যতক্ষণ না ২ টা মাদী ডিম পাড়া শুরু করে। বা নর ২ টা মারামারি করে।


৩) সাধারন কবুতরে স্বভাব অনেকটা মানুষের সঙ্গে মিল পাওয়া যাই, তারা একই জোড়ার সাথে সাড়া জীবন কাটিয়ে দিতে পারে, কোন প্রকার ব্যাতিক্রম ছাড়াই, কিন্তু যদি ডিম না দেয় বা ডিম দিতে দেরি করে তাহলে অনেক জ্ঞানী খামারিরা কথাই কথাই জোড়া পরিবর্তন করে, তাদের এই বদ্ধমূল ধারনা থেকে যে জোড়া পরিবর্তন করলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। যদিও কবুতরের ইন ব্রিডিং এর ক্ষেত্রে অনেক সময় এটা হতে পারে কিন্তু সব ক্ষেত্রে না। একটি জোড়া যখন নতুন যৌবনে আসে তখন তারা একটু নার্ভাস থাকে । অন্য নর থেকে মাদিকে সব সময় রক্ষা করার চেষ্টা করে এ জন্য ছাড়া অবস্থাই মাদির কাছে অন্য নরের উপস্থিতি মেনে নিতে পারে না ঝাপিয়ে পড়ে বির দর্পে। বা লোম ফুলিয়ে পাখা উচিয়ে ঘুরে ঘুরে ডাক দিয়ে তার ক্ষমতা জাহির করার চেষ্টা করে। আর এই সময়টা তাদের একটু প্রাইভেশি দিতে হয়। মানে একটু আড়াল দিয়া বা বিরক্ত না করা ইত্যাদি। নতুন অ্যাডালট কবুতর যে প্রথম দিকেই ক্রস করবে তা ঠিক না এটা কিছুদিন পরও করতে পারে। আবার কিছু কবুতর একটু লজ্জা বা লাজুক প্রকৃতির হয়ে থাকে সেগুলো মানুষের সামনে কখনি ক্রস করে না বা করবে না। যেমন তাদের মধ্যে বিউটি হুমার অন্যতম। এই সময় নর কবুতর মাদির পায়ের কাছে মাথা নিয়ে একটা আজব ও করুন শব্দ করে থাকে তার কর্প তা ফুলিয়ে। আর মাদী মাঝে মঝে লেজ নিচের দিকে নামিয়ে নর কে তেরে এসে হালকা আঘাত করে থাকে। এর পর মাদী নরকে অনেক যত্নে মুখের ভিতরে ঠোট নিয়ে তাকে খাবার দেয়, এটাকে ম্যাটিং কিস বলে আর নর তাতে সন্তুষ্ট হলে সে তার মাথা হালকা করে স্লো মোশনে সামনে সামনে পিছনে করতে আর মাদী একটু পাখা ছড়িয়ে বসে ও নর ক্রস করে পাখা দুইটা দুপাশে ছড়িয়ে, অনেক সমত এই সময় পায়ের অতিরিক্ত লম,বা গলার লোম বা নখ বা লেগ প্রতিবন্ধক হিসাবে কাজ করে থাকে। তাই একজন খামারির এ ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে হয়। এ সময় নর পাখা ছড়ায় । আর এজন্ন যেগুলো বড় কবুতর সেগুলোর জন্য বড় খাঁচা বা বাইরে ক্রস করার ব্যাবস্থা করতে হয়। নর ক্রস করার পর লেজটা নিচের দিকে নিমিয়ে স্লো মোশনে একটু হাঁটে ও উড়ে যাই একটু নির্দিষ্ট দুরত্তে যেগুলো উড়ার সুযোগ থাকে সেগুলো আর মাদী তাকে অনুসরন করে।


৪) ক্রস করার আগে নর একটা জায়গা পছন্দ করে আর মাদী সেটাকে সমর্থন বা অনুমদন দেয়। যদি জায়গা পছন্দ বা উপযুক্ত না হয় তাহলে তারা বিকল্প জায়গা খুজার চেষ্টা করে। আর এ জন্য অনেক সময় খাচায় পালা কবুতর বাটিতে না বসে নিচে বাসা বানানর ব্যবস্থা করে থাকে। এক এক কবুতরের বাসা বানানোর পদ্ধতি এক এক রকম । যদিও বিভিন্ন প্রকার উপাদান পাওয়ার অভাবে একই ধরনের বা ভাবে বাসা বানাই অধিকাংশ কবুতর।


৫) ক্রস করার পর একটা নর খুবই আক্রমণাত্মক ভাব থাকে ও তার অনাগত শাবক এর চিন্তায় বাতিব্যাস্ত থাকে। এই সময় নর ও মাদী ২ জনাই খুবই নার্ভাস থাকে। আর এ কারনেই হয়ত মাদী কে বাটি বা ঘর থেকে বের হতে দেয় না। আর বের হলে অনবরত ঠোকর দিতে থাকে। অনেক সময় ডিম না পাড়া পর্যন্ত মাদী কে ঠিকমত খেতে বা বসতেও দেয় না। ডিম পাড়ার পর নর শান্ত হয় কিন্তু আশেপাশের নজর দারিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে আর এ সময় আসে পাশে কোন কবুতর বা পাসের খাঁচার কবুতর কে অনবরত শাসন করতে থাকে।


৬) ডিম পাড়ার পর নর ও মাদী পালাক্রমে ডিমে তা দেয় যদিও মাদী কবুতর কে ডিমে বেশী ক্ষণ বসে থাকতে দেখা যাই। তারা ২৪ ঘণ্টাতে ১ বার বা ২ বার ডিম থেকে উঠে পানি ও খাবার খাই। বিশেষ করে সকালে ও সূর্য দুবার আগে। আর পায়খানা করে করে অনেক বেশী আর গন্ধ যুক্ত ফলে এটা নিয়ে ভয় পাবার কিছু না। আর এই সময় খাবার ও পানি ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলস ও লবন বা গ্রিট সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়। কারণ এই সময় মাদী কবুতর অনেক হাল্কে বা শুকিয়ে যাই। অনেক সময় ডিম পাড়ার পর মাদী কবুতর গোসলের জন্য ব্যাতিবাস্ত হয়ে পরে কারণ অনেক কবুতর গোসল করার পর ডিমে বসে, ডিমের আদ্রতা রক্ষা করার জন্য আর যদি গোসল করতে না পারে তাহলেও মুখ ও ঠোট ভিজিয়ে ডিমে মুখ ঘষতে দেখা যাই।


৭) ডিম ফুটার পর মাদী কবুতর ডিম থেকে উঠতে দেখা যাই না। আর এই সময় তারা গায়ের লোমটা এমন ভাবে ফুলিয়ে থাকে যাতে বাচ্চা কে ভাল করে দেখা না যাই। বা বেশী পরিমান আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে মাদী কবুতর। আর অতি যত্নে মুখ নামিয়ে বাচ্চাদের কর্প মিল্ক খাওয়াতে দেখা যাই, যা সাদা রঙের দুধের মতই হয়ে থাকে। এই সময় খামারি দের বাচ্চাদের প্রতি একটু খেয়াল রাখতে হই কারণ বাচ্চারা যদি মাথা না নাড়াই সেক্ষেত্রে বাবা মা রা মনে করে বাচ্চার খিদে নাই তাই তারা খাওয়ানোর চেষ্টাও করে না আর এভাবেই অনেক দুরবল বাচ্চা না খেতে পেয়ে মরেও যাই। যদি এই সময় অনেকেই এটা দিতে হই না ওটা দিতে হই না এই ধরনের নানা উপদেশ দিয়ে থাকেন। কিন্তু তারা নিজেরাও জানেন না যে এই সময় কোন কবুতর তাদের বাচ্চাদের সয়ারাসরি কোন খাবার বা পানি দেই না। পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে। ১০ দিন পর থেকে বা তারও ১-২ দিন আগে থেকে নাবা মা’রা বাচ্চার উপর কম বসার থেকে বাচ্চাদের খাওয়ান দিকে বেশী নজর দেয়। এই সময় তারা খাবের পরপরই সেই খাবার বাচ্চাদের কাছে গিয়ে এক ধরনের শব্দ করে বা অনেক সময় শব্দ করার আগেই বাচ্চারা চিচি শব্দ করে খাবারের ইচ্ছা জাহির করে থাকে আর বাবা মা খাওয়ানোর চেষ্টা করে। কবুতরের পারিবারিক বন্ধন টা মানুষের মতই খুবই বেশী হই। এজন্য অনেক সময় বাচ্চা সরালে তারা অস্থির হয়ে উঠে।


৮) বাচ্চার বয়স যখন ১৫-২০ দিন হয় তখন অনেক কবুতর আনার ব্রিডিং করার জন্য ব্যাতিবাস্ত হয়ে উঠে। আর এই সময় যদি খেয়াল রাখা না হয় তাহলে বাচ্চারা তাদের এই ব্রিডিং এ অসুবিধার সৃষ্টি করে থাকে। আর তাই অনেক ডিমই দ্বিতীয় পর্যায় না জমার সম্ভাবনা বেশী থাকে। তাই এই সময় বাবা মা কবুতর কে আলাদা খাঁচাই বা ব্রিডিং করার সুযোগ দিতে হই। বাচ্চা দের যদি সময় মত না সরান হয় তাহলে অনেক সময় তারা ডিম ভেঙ্গে দেয়, বাচ্চা বাচ্চা ফুটার আগে না সরান হয় তাহলে পা দিয়ে মেরে ফেলে তাদের বেশী সময় পিতামাতার কাছে থাকার ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে চাই।


(২)বাহ্যিক আচরনঃ


৯) কবুতরের বাহ্যিক আচরন সম্পর্কে একজন খামারির বেশী জ্ঞান থাকা দরকার কারণ এই আচরনটাকে তার কবুতরের সুস্থতা বা অসুখের আগাম বার্তা দিতে পারে। একটা কবুতর খামারে পরিচিত রক্ষক থাকতে হয় অর্থাৎ যিনি খাবার বা ভিটামিন দিবেন তিনিই যেন নিয়মিত সেই কাজটি করেন। কারণ খাবার প্রদান কারি কে কবুতর বা প্রাণীরা বেশী পছন্দ করে আর তার আগমনে তারা বেশী আচরন প্রদর্শন করে থাকে, যেমন পাখা ঝাপটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করা বা বেশী ডাকাডাকি করা বা রাগ দেখান ইত্যাদি সে তার পরিচিত জনের সাথেই এটা করে থাকে। একজন অপরিচিত লোক যদি খামারে প্রবেশ করে তাহলে দেখা যাবে, যে কবুতর টা সবচেয়ে বেশী রাগি যেটা আপনাকে দেখলেই পাখা ঝাপটাই বা আপনাকে দেখলেই রাগে অস্থির হয়ে উঠে সেই কবুতর টা কেমন যেন ভয়ে খাঁচার মধ্যে পালাতে চাইছে বা ঝটপট করছে। আর এ কারনেই অনেক খামারে যারা খামারের তত্ত্বাবধায়ক নিয়মিত পরিবর্তন করে সেই খামারে কবুতরের ডিম পাড়ার ক্ষমতা তো কমে যেতে থাকে। বা দেরিতে ডিম পাড়ে বা স্ট্রেস এর কারনে বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ে।


কবুতরের মাথা সামনে বা পিছনে নাড়ান বা দুপাশে নাড়ান ওদের আরেকটি আচরন এটাকে হেড টুইষ্টিং বলে,যেটা আমরা অনেকেই জানেন না এটা কি কিন্তু এটা অনেক কিছু নির্দেশ করেঃ


ক) হাঁটার সময় বা দাড়িয়ে থাকার সময় তাদের হেড টুইষ্টিং করলে তাদের শারীরিক ভারসাম্য রক্ষা করার ব্যাপারটা নির্দেশ করে।

খ) গভিরভাবে উপলব্ধি করার যখন চেষ্টা করে।(এজন্য কোন বিড়াল বা কাঁক বা নতুন মানুষ বা কিছু তারা দেখলেই মাথাটা বেশী বার নাড়াতে বা হেড টুইষ্টিং করতে দেখা যাই)

(গ) অনেক সময় দৃষ্টি কে প্রখর করার জন্যও তারা বার বার হেড টুইষ্টিং করে। আর এই সময় তাদের চোখের মনি টা ছোট বড় হতেও দেখা যাই। (তবে মনে করেন না টালের মত মাথা ঘুরান টা স্বাভাবিক।)


একটা কবুতরের ভিতরে টেলিপ্যাথি খুবই ভাল মত কাজ করে থাকে যেটা যেকোনো সাধারন মানুষ বা প্রাণীর থেকেও অনেক অনেক বেশী। তাই আপনার তার প্রতি কি অনুভূতি সেটা সে অতি সহজেই জানতে পারে, আপনার যদি কবুতরের প্রতি ভালবাসা থাকে তাহলে যে খামারি যান না কেন সেই কবুতর আপনাকে দেখে এমন আচরন করবে যেন সে আপনাকে অনেক আগে থেকেই চিনে। আমার কথা বিশ্বাস না হলে আজকেই একটা পরীক্ষা করে দেখেন, যেমন যে কবুতর টা আপনার কাছে খাবার দিবার সময় অতি সহজেই চলে আসে আপনি যদি টাকে ধরার মানসিকতা নিয়ে তার কাছে যান সে সহজে আসবে না, তবে বেশী খুদা থাকেলে আবার কথা আলাদা। কারণ খুদার সময় পৃথিবী গদ্যময় মনিষীরা বলে থাকেন। আর এই সময় অনেক ভুল আমার করে ফেলি। কবুতরের বুদ্ধি মত্তা অনেক সাধারন মানুষের বুদ্ধি লেভেল থেকেও অনেক বেশী। যদিও অনেকেই এই ব্যাপারটাকে গুরুত্ব কম দেন। তবে কিছু আচরন সম্পর্কে থেকে আমাদের আলাদা, যেমন আমরা কোন মানুষ দেখলে একটু দাঁত বের করে হাসার চেষ্টা করে থাকি কিন্তু প্রাণী জগতে এটার অর্থ হল বিপরীত এই মানে আপনি থাকে ভয় দেখাচ্ছেন বা চ্যালেঞ্জ করছেন। আর এই সময় সে একটু সতর্ক হয়ে যাবে। প্রানিদের কে সরাসরি তাকান অপরিচিত সেটাও আবার আরেক ধরনের অর্থ বহন করে থাকে আমরা যদি কারো দিকে না তাকাই তাহলে সে হইত ভাববে অহংকারী ভাব দেখাচ্ছে। কিন্তু প্রানিদের দিকে সরাসরি তাকানকে তারা শিকারের প্রচেষ্টা বলে মনে করে থাকে। তাই যেকোনো প্রাণীর কাছে সরাসরি তাকাতে হই না আপনার অবস্থান না জানিয়ে। আপনি যখনি খামারে যাবেন তখনি চেষ্টা করবেন আপনার কবুতরের সঙ্গে কথা বলা বা কোন শব্দ করা বিশেষ করে খাবার দিবার সময় তাতে আপনার কবুতর আপনার সাথে তাড়াতাড়ি পরিচিত হয়ে যাবে আপনার শব্দে অভস্থ হয়ে পড়বে ফলে এতে তাদের স্ট্রেস কমবে। আর কবুতরের বেশির ভাগ রোগ এই স্ট্রেস থেকেই শুরু হয়। যদি এই ব্যাপারে অনেক আগেই পোস্ট দিয়া হয়েছে।


(খ) অস্বাভাবিক আচরনঃ


একজন খামারি যদি কবুতর ভালবেসে পালেন তাহলে তার আচার আচরন তার জানা থাকে কারণ সেই খামারিকে খামারে অনেক সময় দিতে হয়। ফলে তাদের সম্পর্কে একটা ধারনা তার হয়ে যাই। তবে এটা শুধুই সম্ভব যদি সেই খামারি তার কবুতর কে ছোট থেকে বড় করে বা অনেক দিন ধরে তার অভ্যাস বা চরিত্র পর্যবেক্ষণ করে থাকে। যদিও আজকাল অধিকাংশ খামারি কে বাচ্চা কবুতরের থেকে বড় কবুতরের প্রতি ঝোঁক বেশী। এক্ষেত্রে আপনি আপনার কবুতরের স্বভাব ও অনেক আচরন জানা থেকে বঞ্চিত হবেন। একজন মানুষের মতই কবুতরের ও দিবা নিদ্রার অভ্যাস থাকতে পারে বা রাতে ঘুম না হলে বা যদি শরীরে বেশী পোকা হয় তাহলে ঘুমের অসুবিধা হয় আর তাহলে তারা একটু ঝিমানর মতই ন্যাপ নিতে পারে আর এজন্য অনেক খামারিই অসুস্থ ভেবে নানা ধরনের ঔষধ প্রয়োগ শুরু করে সুস্থ কবুতর কে অসুস্থ করে তোলে। অনেক সময় গস্ল করার পর কবুতর আরামে পাবার জন্য ঝিমাতে পারে, এটা খুবই স্বাভাবিক, আপনাকে দেখতে হবে যে আপনার কবুতর আসলেই ঝিমাচ্ছে, বা পায়খানা টা অস্বাভাবিক বা আপনি যখন খামারে প্রবেশ করেছেন তারপরও তার স্বাভাবিক চাঞ্চল্য নাই বা আপনাকে খুবই অলস ভাবে দেখল একবার আবার লোম ফুলিয়ে বা পেট চেপে বসে আছে, বা পা উচিয়ে পিছনে মাথা গুঁজে দাড়িয়ে ঝিমাচ্ছে বা লেজটা পিছনে দিয়ে খাঁচার এক কোনে দাড়িয়ে আছে, পছন্দ করছে না বা বাতাস থেকে সরে যেতে চাইছে। যদি এমন কোন আচরন দেখেন তাহলে অবশ্যই তাকে ধরে একটু ভাল মত পরীক্ষা করুন যে তার কোন সমস্যা হল কিনা।


মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই



কবুতরের আচার আচরন ও সহজাত অভ্যাস (কেস স্টাডি) BD Online Pigeon Market

কবুতরের আচার আচরন ও সহজাত অভ্যাস (কেস স্টাডি)

Pigeon Discussion, Pigeon Diseases & treatment

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন